সাহিত্য
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ

চির নুতনেরে দিল ডাক/ পঁচিশে বৈশাখ। আজ ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী।
কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ সাল) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের ১৬২ বছর পেরিয়ে গেলেও বাঙালির জীবন ও মানসে তার উপস্থিতি এখনো দেদীপ্যমান।
রবীন্দ্রনাথের রচনায় মানুষের যাবতীয় আবেগ, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা, অভিব্যক্তির অতুলনীয় প্রকাশ ঘটেছে। বাঙালির সব সমস্যা-সংকটে তার গান, কবিতা জুগিয়েছে সাহস ও প্রেরণা। সবকিছু ছাপিয়ে আছে তার শান্তি, কল্যাণ ও বোধের প্রতি সুগভীর প্রত্যয় ও নিরন্তর কামনা। একেই তিনি নানা রূপে ছড়িয়ে দিয়েছেন তার বহুমাত্রিক সৃজনকর্মে। সাহিত্যে তার নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি বাংলা ভাষা ও বাঙালির জন্য বয়ে এনেছিল বিশ্বের গৌরব। যে গীতাঞ্জলির জন্য তার এই নোবেল পুরস্কার অর্জন, সেই গীতাঞ্জলি এবং আরও অনেক বিখ্যাত রচনা বর্তমান বাংলাদেশের মাটিতেই। তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ এদেশের জাতীয় সংগীত।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে এ দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তার সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের গান হয়ে উঠেছিল প্রেরণার বিশেষ উৎস। শেখ হাসিনা বলেন ‘কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি নির্দেশকের ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীত স্রষ্টা। চিত্রকর, সমাজচিন্তক এবং মানবতাবাদী দার্শনিক হিসেবেও রয়েছে তার বিশ্বখ্যাতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুসহ নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তি নিকেতন। সেইসঙ্গে তিনি পুথিগত শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। মানবতাবাদী কবি রবীন্দ্রনাথ শিক্ষার ক্ষেত্রে চিরকাল বিশ্বের জানালাকে খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। জীবনের প্রতিটি সমস্যা-সংকট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে আন্দোলিত করে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবারও অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে। এ ছাড়া ঢাকাসহ কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর, খুলনার দক্ষিণ ডিহি ও পিঠাভোগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। ছায়ানট আয়োজন করছে দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্র-উৎসব।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সাহিত্য
জাপানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানের টোকিওতে জাপানি চিত্রকলা ‘মাঙ্গা’ ফর্মের কমিক বই ‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু’ এর দ্বিতীয় প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু’ বইটিতে ছবি ও বর্ণনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শিশু ও কিশোররা বইটি পড়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যেমন জানতে পারবেন তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
বিশেষ অতিথি লেখক ও সাংবাদিক মনজুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন কমিক বই আর হয়নি। এই কমিক বই তিন ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশের তরুণদের পাশাপাশি জাপানি তরুণদের আকৃষ্ট করবে। এছাড়া ইংরেজি পাঠকদেরও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। এই বই থেকে অ্যানিমেশন মুভি হলে তা আরেকটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই মাঙ্গা কমিক বই প্রকাশ করা একটি দারুণ ব্যাপার। এর ফলে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আরও একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ হলো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাপান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের বাংলা রেডিও বিভাগের প্রধান শিখা মুরাকামি, বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম, বইটির সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।
শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিও’র আকাসাকা প্যালেসে জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোনের হাতে বইটি তুলে দেন বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম ও বইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক স্কলার্স বাংলাদেশের সোসাইটির উপদেষ্টা, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান, বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।
এ সময় পাঁচ পর্বে প্রকাশিতব্য বইটির বাকি চার পর্বের প্রকাশ ও প্রকাশনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
বইটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা, সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা, শাইন পার্টনারস করপোরেশনের সিএফও ইয়েমতো এআই, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও অভিনেতা আল মনসুর বেলাল, তথ্যচিত্র নির্মাতা কায়সার কাদের সেলিম। বইটি প্রকাশ করেছে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠান এনএস পাবলিশার্স।
গত ৫ এপ্রিল ঢাকায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। বইটি প্রকাশ করেছে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠান এনএস পাবলিশার্স। প্রকাশনা সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস ও ম্যাক্স গ্রুপ।
জাপানিদের কমিক ও কার্টুন ধাঁচের চিত্রকলার একটি সৃজনশীল এবং সুপরিচিত ধরন হচ্ছে মাঙ্গা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস মাঙ্গা ফর্মে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটিতে বর্ণনা এবং ব্যতিক্রমী ছবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
জাপানি আর্ট ফর্ম ‘মাঙ্গা’ চিত্রকলার একটি ব্যতিক্রমী ধারা, যা নিজ বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র। এর সঙ্গে পাশ্চাত্য ধারা বা অন্য কোনো ফর্মের সম্পৃক্ততাও নেই। জাপানি কমিকের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ফর্মটি জাপানি চিত্র ও প্রকাশনা শিল্পে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। অভিযান কাহিনি থেকে ফ্যান্টাসি, শিশুপাঠ থেকে বরণীয় ব্যক্তিত্বের জীবনী, লোককথা থেকে শুরু করে আধুনিক বাস্তব ও পরাবাস্তববাদী উপন্যাস, ইতিহাস থেকে শুরু করে রোমাঞ্চ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকে শুরু করে রহস্যভেদী কাহিনি সবই অল্পকথায় এবং অসনাতন ছবিতে মাঙ্গায় মূর্ত হয়ে থাকে।
‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু’ বইটি মাঙ্গা ফর্মে বাংলা, ইংরেজী এবং জাপানি ভাষায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে চিত্রশিল্পের এই ফর্মটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত হওয়ার প্রয়াস পাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সংগ্রামী জীবন সুপাঠ্য আকারে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে।
যোগাযোগ: স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম, মোবাইল: +880 1730-000605
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সাহিত্য
রাস্তায় হাঁটতে গেলেও আমার বই কিনতে চায়: টিপু সুলতান

বইমেলায় নিজের বই নিজেই বিক্রি করছেন আলোচিত টিপু সুলতান
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সাহিত্য
সোহেল মাহমুদের থ্রিলার-উপন্যাস ‘অ-নির্বাণ’

মানুষের মন এক অদ্ভুত গোলকধাঁধাঁ। আজন্ম মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় সে এই গোলক ধাঁধাঁর অলিতে-গলিতে ছুটে চলে। গল্পের প্রতিটি মুহূর্তে যেন মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, ব্যাকুলতা লেখক তার প্রকাশিত বই ‘অ-নির্বাণ’ এ গল্পের চরিত্রগুলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। কিন্তু সত্যিই কি সেই মুক্তি সম্ভব? বইটি পাঠক সমাজে প্রশংসিত হলেই লেখকের এই সৃষ্টির সার্থকতা।
বইটির লেখক সোহেল মাহমুদ। জন্ম ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯০, রাজবাড়ীতে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ থেকে তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়ে স্মাতক (সম্মান) শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় অনুষদের ব্যাবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
সোহেল মাহমুদ বিগত ১০ বছর ফটোগ্রাফি পেশার সাথে জড়িত। শখের বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে ফটোগ্রাফির সাথে জড়িত থাকলেও পড়াশােনা শেষ করে ২০১৫ সাল থেকে একেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। বর্তমানে কে, নাসিফ ফটোগ্রাফিতে একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত আছেন। এই পর্যন্ত দেশ এবং বিদেশ মিলে প্রায় ৫০ টি আলােকচিত্র প্রদর্শনীতে সম্মানের সাথে অংশগ্রহণ করেছেন।ফটোগ্রাফির পাশাপাশি তিনি অবসর সময়ে কবিতা, ছােট গল্প লিখতে ভালােবাসেন। তার লেখা ছােটগল্প থেকে বাছাইকৃত ৭টি গল্প নিয়েই প্রথমবারের মতাে প্রকাশিত বই ‘ঘুণ পােকাদের গল্প’।
এবারের বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা নতুন বই ‘অ-নির্বাণ’। বইটি প্রকাশ করেছে অনার্য পাবলিকেশন। বইটির মুদ্রিত মূল্য ৫০০ টাকা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সাহিত্য
একুশে বইমেলায় আলতামিশ নাবিলের ‘অস্কারনামা’

বিশ্বে চলচ্চিত্র বিষয়ক অন্যতম সেরা বার্ষিক পুরস্কার একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কারের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর উপর বিশ্লেষণধর্মী একটি গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবারের ঢাকা অমর একুশে বইমেলায়। ‘অস্কারনামা’ শিরোনামের বইটি লিখেছেন মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল যা প্রকাশিত হয়েছে ‘শোভা প্রকাশ’ থেকে।
বইটি প্রসঙ্গে এর লেখক আলতামিশ নাবিল বলেন, “১৮৯৫ সালে ফ্রান্সে লুমিয়ের ব্রাদার্সের বানানো প্রামাণ্য ধাঁচের স্বল্পদৈর্ঘ্য বড়পর্দায় প্রদর্শনের মাধ্যমে পৃথিবীতে চলচ্চিত্র নামক নতুন এক শিল্পমাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়। এরপর চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কেটে গেছে একশো বছরের বেশী সময়। আইএমডিবির এক তথ্যমতে যেই ১৯০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে ২,৫৭৭ টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ক্ষুদ্র এই জীবনে সাধারণ দর্শকের পক্ষে এর ১ শতাংশ চলচ্চিত্র দর্শনও বাস্তবিকঅর্থে সম্ভব নয়। বিশ্বে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করতে চালু আছে নানা চলচ্চিত্র পুরস্কার। তন্মধ্যে অস্কার বা অ্যাকাডেমি পুরস্কার সর্বজনস্বীকৃত। অস্কারনামা বইটিতে ১৯২৯ সালে অস্কারের প্রথম আসরের সেরা ছবি ‘উইংস’ থেকে বইটি প্রকাশকাল পর্যন্ত সর্বশেষ অস্কারজয়ী সেরা ছবি ‘কোডা’ পর্যন্ত বিজয়ী সমস্ত সেরা চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।“
উল্লেখ্য, সিনেমাগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি লেখাগুলোর শেষে যুক্ত করা হয়েছে কিউআর কোড যার মাধ্যমে মোবাইলে স্ক্যান করেই পাঠকেরা দেখতে পারবে অস্কারজয়ী কালজয়ী চলচ্চিত্রগুলোর ট্রেলার। আলতামিশ নাবিল নিয়মিত লেখালেখি ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন মিয়াকি নামের একটি বহুজাতিক আইসিটি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বি পজেটিভ ফাউন্ডেশন। অস্কারনামা তাঁর প্রকাশিত পঞ্চম একক বই। এর আগে তিনি প্রকাশ করেছেন ‘মহারাজা তোমারে সেলাম’, ‘লুমিয়ের থেকে হীরালাল’, ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ এবং ‘বাংলার চলচ্চিত্রপাঠ’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সাজ্জাদুল ইসলাম সায়েম। বইমেলায় শোভা প্রকাশ (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, প্যাভিলিয়ন নম্বর ১১) বইটি পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া এটি কেনা যাবে বইয়ের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট রকমারি ডট কমসহ দেশের সকল প্রধান বইঘর থেকে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
‘কাব্যরাগে অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের স্পন্সরে প্রকাশিত হয়েছে কবি মনজুরুল হকের রচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ‘কাব্যরাগে অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ নামে একটি গ্রন্থ। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বাংলা একাডেমীর বই মেলায় মোড়ক উন্মোাচন মঞ্চে ‘কাব্যরাগে অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন ব্যাংকের সিইও এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধান।
এসময় তিনি বলেন ,আজ এমন একটি দিনে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোাচন হলো যেদিন জাতির পিতার শুভ জন্মদিন। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর স্পন্সরে প্রকাশিত এ বইয়ের মোড়ক উন্মোাচন বরতে পেরে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করছেন। এই বইটিতে লেখক বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থকে কাব্যিক ভাষায় তুলে ধরে সাহিত্যিক ও কাব্যিক রূপ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যন্ত একটি গ্রাম থেকে উঠে আসা একজন কবি ও মুক্তিযোদ্ধার অসামান্য মৌলিক রচনা এ গ্রন্থতি।এটি সকল শ্রেণীর পাঠকের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে নতুন করে পরিচিতি করে তুলবে।
কবি মনজুরুল হক ১৯৫৪ সালে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় ধবলবতী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি ৬ নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক। তিনি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর সিনিয়র অফিসার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র জীবন থেকেই কবি মনজুরুল হক সাহিত্যাঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ অবলম্বনে ‘কাব্যরাগে অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি রচনা করেছেন। এটি তাঁর চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার বাংলাবাজারের অবধূত বইঘর। এছাড়া তিনি পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে প্রকাশ করেছেন ‘৭১ এ পাটগ্রাম ’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থ।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি,সাহিত্যিক,প্রকাশক,মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও ব্যাংকের নির্বাহীবৃন্দসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা ।