লাইফস্টাইল
ভূমিকম্প থেকে যেভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন

ভূমিকম্প কখন আঘাত হানবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করা সহজ নয়, তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনাকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে, অর্থাৎ ভূমিকম্প ঘটলে কী করতে হবে সে সম্পর্কে আপনার একটা পরিকল্পনা থাকা উচিত।
ভূমিকম্পবিদ ড. স্টিফেন হিকস বলেছেন, ‘আপনি যদি ভূমিকম্প-প্রবণ কোনও এলাকায় থাকেন, তাহলে আপনার বাড়িতে একটি জরুরি প্যাক তৈরি রাখা ভালো।’ এতে অতিরিক্ত খাবার পানি, একটি টর্চ, প্রাথমিক চিকিৎসার একটি কিট এবং কিছু শুকনো খাবার থাকতে হবে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মতে, কিটটিতে কিছু নগদ অর্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত নথিপত্রের কপি, যেমন আপনার ওষুধের তালিকা, ইত্যাদি রাখতে হবে।
যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন, যদি বিল্ডিংটি নিরাপদ হয়
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে মার্কিন সরকারের একটি বৈজ্ঞানিক সংস্থা। এর পরামর্শ হচ্ছে, আপনি যেখানে আছেন সেখানে থাকলে আপনার আহত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই ভূমিকম্প ঘটার সময় দৌড়ে বাইরে যাওয়া কিংবা অন্য ঘরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
‘ড্রপ, কভার এবং হোল্ড অন’ অর্থাৎ বসে পড়ুন, কিছু একটার তলায় ঢুকে পড়ুন এবং সেভাবেই থাকুন হচ্ছে নিরাপদ থাকার মূলমন্ত্র, বিশেষজ্ঞরা বলছেন। হাঁটু গেড়ে বসে পড়লে মাথার ওপর কোন কিছু পড়ে যাওয়া থেকে আপনাকে রক্ষা করবে এবং প্রয়োজনে ঘরের ভেতরে আপনি সামান্য নড়াচড়া করতে পারবেন। কাছাকাছি অন্য কোনও আশ্রয় না থাকলে কোন টেবিল বা ডেস্কের নিচে ঢুকে পড়তে পারেন। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি সেখানেই থাকতে পারেন।

প্রথম দিকে মনে করা হতো দরজার ফ্রেমের নিচে থাকলে তা নিরাপদ হবে। কিন্তু এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি তুলনামূলকভাবে পুরানো বাড়িতে থাকেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে টেবিলের নিচে আশ্রয় নেয়া। জানালা এবং ভবনের সামনের অংশ প্রায়ই প্রথম ধসে পড়ে। তাই এসব বিপদজনক জায়গা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিরাপদ হলে বাইরে যাবেন
ঝাঁকুনি একেবারে থেমে যাওয়ার পর সাধারণত খোলা জায়গায় বের হওয়া নিরাপদ। কারণ আপনি যে বিল্ডিংয়ে থাকেন সেটিও ধসে পড়তে পারে। কিন্তু আপনি যখন বাইরে থাকেন তখন যদি ভূমিকম্প হয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। তবে বিল্ডিং, বৈদ্যুতিক তার, ম্যান-হোল, জ্বালানি এবং গ্যাসের লাইন থেকে দূরে সরে গেলে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। গাছ, টেলিফোনের খুঁটি এবং বিল্ডিং থেকে দূরে খোলা জায়গায় চলে যাওয়াই ভালো
বিপদ থেকে দূরে থাকুন
আর্থকোয়েক কান্ট্রি অ্যালায়েন্স সংস্থার মতে, টেলিভিশন, বাতি, কাঁচ এবং বইয়ের আলমারি পড়ে গিয়ে বা উড়ন্ত বস্তুর কারণে বেশিরভাগ আঘাত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। এসব আঘাত এড়ানোর একটি উপায় হল ভারী আসবাবপত্রগুলোকে স্ট্র্যাপ দিয়ে পেছনের দেয়ালের সাথে আটকে রাখা।
আরেকটি সম্ভাব্য ঝুঁকি হলো ভূমিকম্পের পর ফেটে যাওয়া পাইপ থেকে গ্যাস বের হওয়া। ড. হিকস ১৯০৬ সালে সান ফ্রান্সিসকোর ভূমিকম্পের উদাহরণ দিয়ে বলছেন, ঐ ঘটনায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল। ‘ভবনের ঝাঁকুনি কিংবা ভবন ধসে পড়ে নয়, অধিকাংশ প্রাণহানি ঘটেছিল গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণের ফলে,’ তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, আশেপাশের দাহ্য পদার্থ থেকে দূরে থাকুন।
নিয়মিত মহড়া
ড. হিকস ভূমিকম্পের প্রস্তুতি হিসেবে নিয়মিত মহড়ার গুরুত্বের উপরও জোর দিচ্ছেন। ‘কোনও কোনও দেশে ভূমিকম্পের মহড়ার প্রচলন রয়েছে, যেখানে সবাইকে কী করতে হবে তার প্র্যাকটিস করতে হয়। তবে তুরস্কের এই অংশে সম্ভবত তেমন কোনো প্রচলন ছিল না, কারণ দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ভূমিকম্প হয়নি।’
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
তীব্র গরমে যেভাবে ঘর শীতল রাখবেন

চলতি বছর অন্যান্য বছরের চেয়ে তাপের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। অসহনীয় গরমে পুড়ছে দেশ। বৃষ্টি নেই। গরমে শরীর না ঘামলেও অনুভূত হচ্ছে অসহনীয় তাপ; যেন দাবানলের আগুনে পুড়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। এই গরমে ঘরে স্বস্তি আনতে কিছু টিপস অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
তীব্র গরম থেকে ঘরকে শীতল রাখতে যা করবেন-
-দিনের বেলা জানালা বন্ধ করে দিন অথবা পর্দা টেনে দিন। মোটা ও গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করবেন।
-হালকা রঙের সুতি চাদর ব্যবহার করুন বিছানায়। সম্ভব হলে সাদা চাদর ব্যবহার করুন। গরমে স্বস্তি মিলবে।
-ঘরে ভেন্টিলেটর থাকলে, ভালো করে পরিষ্কার করুন। এতে ঘরে বাতাস চলাচল হবে ঠিকঠাক।
-ঘরের দেয়ালে হালকা রঙ ব্যবহার করুন। এতে বাড়তি আলো শোষিত হবে না এবং গরম কম লাগবে।
-ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম অপ্রয়োজনে ব্যবহার করবেন না। কারণ এগুলো কাজ করার সময় তাপ উৎপন্ন করে।
-ইনডোর প্ল্যান্ট রাখুন ঘরে। বাতাস ঠান্ডা থাকবে ঘরের। যে জানালা দিয়ে রোদ আসে তার সামনে বড় একটি গাছ রাখতে পারেন। এতে রোদ থেকেও রক্ষা পাবেন।
-প্রয়োজন ছাড়া লাইট জ্বালাবেন না।
-খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে দিন। জানালা দিয়ে আসা বাতাস ভেজা চাদর থেকে পানি শোষণ করে শীতলতা ছড়িয়ে দেবে ঘরে।
-বিকেলে রোদ কমলে অথবা সন্ধ্যার দিকে জানালা খুলে দিন।
-বিছানার চাদর জিপলক ব্যাগে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। রাতে ঘুমানোর আগে ফ্রিজ থেকে বের করে বিছিয়ে নিন চাদর।
-আরেকটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন ঘরের পরিবেশ শীতল করার জন্য। টেবিল ফ্যানের সামনে বাটি ভর্তি বরফ রাখুন। শীতল বাতাসে প্রাণ জুড়াবে।
অর্থসংবাদ/এস.ইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শিশুকে লিচু খেতে দেওয়ার আগে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে

শিশুকে লিচু খেতে দেওয়ার আগে কয়েকটা বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে, প্রথমত অবশ্যই লিচুর খোসা ও বিচি ভালোভাবে ছাড়িয়ে নিতে হবে এবং সম্ভব হলে গোটা লিচু না দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে খাওয়ানো যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, খোলা জায়গায় যেখানে শিশুদের আনাগোনা আছে এমন জায়গায় লিচু বা লিচুর বিচি রাখা যাবেনা।
এছাড়াও খালিপেটে বা ভরা পেটে শিশুদের অতিরিক্ত লিচু খাওয়া ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লিচু খেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। তাই কোনোভাবেই অতিরিক্ত লিচু খাওয়া উচিত নয়। ৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের লিচু খাওয়ানো উচিত নয়। ৪ বছর পরে একটি লিচু খাওয়ানো যেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে আমিষ রান্না

কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে নিরামিষ নানাভাবেই রান্না করা যায়। তবে এটি দিয়ে যদি মুরগির মাংস রান্না করা হয়, সেক্ষেত্রে স্বাদটাও অতুলনীয় হওয়ার কথা।
ঘরোয়া আয়োজন থেকে শুরু করে যে কোনো অনুষ্ঠানেও রাখতে পারেন এই পদ। একবার খেলেই মুখে লেগে থাকবে এর স্বাদ।
কিভাবে তৈরি করবেন তার উপকরণ
১. মুরগির মাংস পরিমাণমতো
২. কাঁচা কাঁঠাল ২৫০ গ্রাম
৩. আদা
৪. রসুন বাটা
৫. কাঁচা মরিচ
৬. জিরা বাটা
৭. শুকনো মরিচের গুঁড়া
৮. গরম মসলা
৯. তেজপাতা
১০. ঘি
১১. টমেটো কুচি ও
১২. গোটা গরম মসলা ইত্যাদি।
সব উপকরণ পরিমাণমতো নিতে হবে।

পদ্ধতি
কাঁচা কাঠাল সেদ্ধ করে পানিতে ফেলে দিন। এরপর প্যানে সরিষার তেল দিয়ে আস্ত গরম মসলা ও তেজপাতা সামান্য ভেজে মুরগির মাংসের ছোট ছোট টুকরো এর মধ্যে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
মাংস ভাজা ভাজা হলে এর মধ্যে লবণ, হলুদ, পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা ও টমেটো পিউরি এসব দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
এরপর আঁচ কমিয়ে ঢেকে রান্না করুন। কষানো হলে এর মধ্যে সেদ্ধ করা কাঁচা কাঁঠাল মিশিয়ে আবারও কষিয়ে নিন।
প্রয়োজনে সামান্য গরম পানি মিশিয়ে নিন। এরপর চেখে দেখুন সব ঠিকঠাক আছে কি না। তারপ ঘি ও গরম মসলা গুঁড়া মিশিয়ে নিন।
বেশ মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল জিভে জল আনা কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে মুরগির মাংস ভুনা।
অর্থসংবাদ/এস.ইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
স্কচটেপ লাগানোর দিন আজ

ছেঁড়া টাকা জোড়া লাগানো, দরকারি কাগজ জুড়ে দেওয়া, উপহারের প্যাকেট মোড়ানো ইত্যাদি টুকিটাকি কাজে বস্তুটি বেশ দরকারি। তাই পড়ার টেবিল, ঘর, কর্মস্থল কিংবা বিপণিবিতান সবখানেই প্রায় অবধারিতভাবেই জিনিসটা থাকে। হ্যাঁ, সেলোটেপের কথাই বলছি, আমাদের কাছে যা স্কচটেপ নামেই অধিক পরিচিত। একটা ছোট্ট পার্থক্য অবশ্য আছে। স্কচটেপ পণ্যের ব্র্যান্ড নাম, সাধারণ নাম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের থ্রি-এম কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড এটি। ওই কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার রিচার্ড গুরলে ড্রিউ ১৯৩০-এর দশকে পণ্যটি উদ্ভাবন করেন। নানামুখী ব্যবহারের কারণে উদ্ভাবনের পরপরই এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। বিশেষত সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে চলমান মহামন্দায় স্কচটেপ দিয়ে জোড়া দেওয়া ছেঁড়া নোট গ্রহণ করা শুরু হয়।
সেলোফেন দিয়ে তৈরি হয় এই টেপ। সেলোফেন একধরনের প্রক্রিয়াজাত সেলুলোজ, যার ফলে এই স্কচটেপ স্বচ্ছ ও আঠালো হয়ে থাকে।
আজ ২৭ মে, সেলোফেন টেপ বা স্কচটেপ দিবস। ১৯৩০ সালের এই দিনে পণ্যটি পেটেন্ট করা হয়েছিল। এ জন্য দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবছর স্কচটেপ দিবস পালন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনযাত্রা সহজ করছে প্রযুক্তি

এক বছর আগে ফেলিনার ডায়াবিটিস টাইপ ওয়ান ধরা পড়েছে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে তার ইনসুলিনের ডোজ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ফেলিনার মা আনে ফারেনহলৎস বলেন, ‘এবার আমরা দেখছি, দুপুরের খাবারের পর মাত্রা উপরে চলে গেছে। কার্বোহাইড্রেটের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে, যে সে সোয়া এগারোটার মধ্যেই খেয়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী শর্করার মাত্রা আবার কমে গেছে।’
ফেলিনার গ্লুকোজের মাত্রা সারা দিন ভালোই ছিল। সবকিছু ঠিকমতো চলছে। এবার বাসায় ফেরার পালা। ইনজেকশন দিলে ব্যথা হয়, ঝামেলাও বটে। তবে দিনে আট, দশ, বারো বার ব্লাড সুগার মাপা আনে ও ফেলিনার মতো ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু এখন এক বা দুই দিন পর পর মাপলেই চলে। তাদের পরিমাপের যন্ত্র নিখুঁতভাবে কাজ করছে কিনা, শুধু সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই কাজ করতে হয়।
ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ উলরিকে টুয়র্মের কল্যাণেই আনে ফারেনহলৎস এই প্রযুক্তির কথা জানতে পারেন। অন্তঃসত্ত্বা হবার আগে থেকেই উলরিকে টুয়র্ম তার চিকিৎসা করে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘ডায়াবেটিস প্রযুক্তি অবিশ্বাস্য গতিতে ধারাবাহিকভাবে গ্লুকোজ মনিটরিং-এর উন্নতি ঘটাচ্ছে। মানুষের জীবনের মানের জন্য সেটা বড় এক আশীর্বাদ।’
গত কয়েক বছরের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো, ধারাবাহিক গ্লুকোজ মনিটারিং-এর তথ্যের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে সরাসরি এক ইনসুলিন পাম্প নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে।
আনে বলেন, ‘আমি সহজেই এই পাম্প ব্যবহার করতে পারি, সামনেই সেটা রয়েছে। ছোট হওয়ায় আর কোনো সমস্যা নেই।’
অটোম্যাটিক ইনসুলিন ডোজিং বা এআইডি প্রণালী একটি লাইভ পরিমাপ যন্ত্রের সাথে এক ইনসুলিন পাম্পের সংযোগ ঘটায়। স্মার্টফোনের মতো ডিভাইসে এক অ্যালগোরিদম সেটা নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর গ্লুকোজের মাত্রা মেপে সেই তথ্যের ভিত্তিতে অ্যালগোরিদম পাম্পের মাধ্যমে ঠিক ততটা ইনসুলিন শরীরে প্রবেশ করায়, যাতে তার মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ৭০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে। তা সত্ত্বেও হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে রিসিভিং ডিভাইস অ্যালার্ম বাজায়, যাতে ঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া যায়। ফেলিনার এবার মিষ্টি কিছু খেতে হবে।
ফেলিনার মা আনে ফারেনহলৎস বলেন, ‘সিস্টেম এত আগে সতর্ক করে দেয়, যে সে কখনোই পুরোপুরি কাহিল হয়ে পড়ে না এবং সে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কবলে পড়ে না। শুধু তার অদ্ভুত অনুভূতি হয়। তবে কাঁপুনির মতো অন্য উপসর্গ বা অজ্ঞান হয়ে পড়ার মতো মারাত্মক অবস্থা এখনো ঘটেনি।
ফেলিনা ছোট হলেও লাফঝাঁপ করতে, বিশেষ করে অ্যাক্রোব্যাটিক্স খুব ভালোবাসে। এআইডি সিস্টেম সে সব সামলে নেয়।
ফেলিনা বলে, শুধু রাতে নতুন করে লাগানো হলে সকালে ব্যথা হয়।
তার ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ব্লাড সুগার পরিমাপ যন্ত্রের বাজারের গতি প্রকৃতির উপর কড়া নজর রাখেন। আনে ও তার মেয়ের কাছে অত্যন্ত আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে।
উলরিকে টুয়র্ম বলেন, ‘এই প্রণালী বর্তমানে সবচেয়ে উন্নত বলে আমি মনে করি। কারণ এটাই একমাত্র সিস্টেম, যেটি অন্তঃসত্ত্বা নারী ও ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। ফলে ফেলিনা শুরু থেকেই সেটি ব্যবহার করতে পারছে।’
এই ধরনের ডায়াবেটিস এখনো নিরাময় করা সম্ভব নয়। মায়ের মতো ফেলিনাকেও হয়তো সারা জীবন এই রোগ সামলাতে হবে। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শরীরে প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইনসুলিন ঢোকানোর প্রণালী তাদের জীবন অনেক সহজ করে তুলছে।