Connect with us

আন্তর্জাতিক

ইতালিতে যে ভাস্কর্য ঘিরে উত্তেজনা

Published

on

ভাস্কর্য

ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি গ্রামে স্থাপিত একটি ভাস্কর্য ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ভাস্কর্যটি স্বেচ্ছাচারী ও যৌনাবেদনময়।

দক্ষিণ ইতালির পুগলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রামটি মাছ ধরার জেলেদের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এই গ্রামের রিটা লেভি-মন্টালসিনি চত্বরে মৎস্যকন্যার আদলে তৈরি করা হয়েছে ভাস্কর্যটি।

ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন ইতালির মনোপলি শহরের লুইগি রোসো আর্ট স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। তবে উদ্বোধনের আগেই ভাস্কর্যটির ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

ইতালির জনপ্রিয় অভিনেত্রী টিজিয়ানা শিয়াভারেলি ফেসবুকে লিখেছেন, সিলিকনের তৈরি দুটি বিশাল স্তনবিশিষ্ট ভাস্কর্যটি দেখতে অনেকটা মৎস্যকন্যার মতো। এ ধরনের মৎস্যকন্যা আগে কেউ দেখেছে কি না, আমি জানি না। আমি জিনিসটি দেখে মজা পেয়েছি। কে জানে, পর্যটকদের জন্যও এটি হয়তো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে!

ভাস্কর্য

লুইগি রোসো আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক অ্যাডলফো মার্সিয়ানো বলেছেন, নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই শিক্ষার্থীরা ভাস্কর্যটি তৈরি করেছে। মনোপলির মেয়র শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্য তৈরির দায়িত্বটি দিয়েছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সমুদ্রের থিমভিত্তিক ভাস্কর্য নির্মাণের কথাও বলেছিলেন।

অ্যাডলফো মার্সিয়ানো আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা ভাস্কর্যটির মডেল মেয়রের পরিষদকে আগেই দেখিয়েছিল। মেয়রের পরিষদ তখন এটিকে ভালো বলে মন্তব্য করেছিলেন। তারপর সম্পূর্ণ ভাস্কর্যটি রিটা লেভি-মন্টালসিনি চত্বরে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মনোপলির স্থানীয় বাসিন্দা বেপ্পে বলেন, উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত ভাস্কর্যটি ঢেকে রাখা হয়েছে। তার পরও কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি অশ্লীল ও যৌন উত্তেজক।

বেপ্পে আরও বলেন, অযথাই শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করা হচ্ছে। আমি মনে করি, তাঁরা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।

ইতালির অন্যান্য এলাকায়ও নারীদের ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২০০১ সালে ক্যাম্পানিয়া শহরে একটি নারীর ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়, যেটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি এবং স্বচ্ছ পোশাকে আবৃত। সেটির বিরুদ্ধেও যৌনতার অভিযোগ ওঠে। ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন ভাস্কর ইমানুয়েল স্টিফানো। এটি উদ্বোধন করেছিলেন ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কন্টে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক

বিশ্ববাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ সোনার দাম

Published

on

জিকিউ

বিশ্ববাজারে সোনার মূল্যবৃদ্ধির জেরে ভারতের বাজারেও সোনার দাম বাড়ছে। দেশটির বাজারে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৬৪ হাজার রুপি ছাড়িয়েছে। এতে বিয়ের মৌসুমে গয়নার কেনাকাটা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ভারতের বাজারে ৯৯৯ মাত্রার বিশুদ্ধ সোনার দাম আরও বেশি। করসহ প্রতি ১০ গ্রাম এই সোনার দাম ৬৭ হাজার ৫০০ রুপিতে উঠেছে। এটি ভারতের বাজারে এযাবৎকাল সোনার সর্বোচ্চ দাম।

গতকাল সোমবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ২ হাজার ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এ নিয়ে টানা তিন দিন সোনার দাম বাড়ল। মূল্যবৃদ্ধির পেছনে লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও কিছু বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার প্রভাব আছে। গতকাল বিকেল থেকে অবশ্য বিশ্ববাজারে সোনার দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সোনার দাম প্রতি আউন্স ২ হাজার ৩৬ ডলারে নেমে এসেছে।

ইন্ডিয়ান বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুরেন্দ্র মেহতা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, বিশ্ববাজারে সোনার মূল্যবৃদ্ধিতে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব আছে। দুই মাস আগে যেখানে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ছিল আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৮২০ ডলার গতকাল তা প্রায় ২ হাজার ১৫০ ডলারে উঠে যায়। এই মূল্য সংশোধন হওয়া জরুরি। সোনার দাম বাড়তে কেবল কিছু খবর প্রয়োজন।

অল ইন্ডিয়া জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ডমেস্টিক কাউন্সিলের সাবেক পরিচালক অবিনাশ গুপ্ত বলেছেন, মৌলিক কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি হয়নি। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ প্রত্যাশিত সময়ের আগেই নীতি সুদহার হ্রাস করবে, এই ধারণার কারণে সোনার দাম বাড়ছে।

বিয়ের মৌসুমের ঠিক শুরুতে গয়নার মূল্যবৃদ্ধির কারণে কপালে হাত চাপড়াচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকে। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর, গয়নার বড়-ছোট সব দোকানেই বিক্রি কমেছে, বিশেষ করে ছোটা দোকানগুলোর বেচাকেনা তলানিতে ঠেকেছে। ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় কারিগরদের আয়-রোজগারও কমছে।

জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডমেস্টিক কাউন্সিলের পরিচালক সমর দে এবং সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের এমডি শুভংকর সেনের শঙ্কা, সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। তাঁদের বক্তব্য, বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ছে, সঙ্গে চিন্তা বাড়ছে ভারতে। ২৪ ক্যারেটের সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রাম ৭০ হাজারে উঠলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। সে ক্ষেত্রে হলমার্ক করা গয়নার সোনার দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে ভারতের বড় বড় সোনার দোকানগুলো নতুন কৌশল নেওয়ার কথা ভাবছে। তারা এখন কম ওজনের গয়না তৈরিতে ঝুঁকবে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।

চলতি বিয়ের মৌসুমে ভারতে প্রায় ৩৮ লাখ বিয়ের অনুষ্ঠান হতে পারে। তাতে পণ্য, সেবাসহ মোট ৪ দশমিক ৭৪ লাখ কোটি রুপির ব্যবসা হবে বলে ধারণা। সেটা হলে গত বছরের তুলনায় বিয়ের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হবে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। গত বছর সাড়ে ৩৭ লাখ বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় ৩ দশমিক ৭৫ লাখ কোটি রুপির ব্যবসা হয়েছে।

দ্য কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি) ধারণা করছে, এবারের বিয়ের মৌসুমে শাড়ি ও কাপড়ে ১০ শতাংশ, গয়না ও অন্যান্য খাতে ১৫ শতাংশ, ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও দীর্ঘস্থায়ী পণ্যে ৫ শতাংশ, খাদ্যশস্য, মুদিপণ্য, সবজিতে ৫ শতাংশ, উপহারসামগ্রীতে ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ৬ শতাংশ অর্থ খরচ হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

চীনে বাড়ছে খেলাপি ঋণ

Published

on

জিকিউ

খেলাপি ঋণ যে কোনো দেশের অর্থনীতির জন্য খাঁড়ার ঘা সরূপ। করোনাভাইরাস মহামারীর পর থেকে চীনে খেলাপিঋণ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে সংকটে ফেলেছে। একই সঙ্গে মহামারীর পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।

চীনের স্থানীয় আদালতের তথ্যানুসারে, মোট ৮৫ লাখ ৪ হাজার লোক বাড়ি বন্ধক থেকে ব্যবসায়িক ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এদের কালো তালিকাভুক্ত করেছে।

চীনা আইনে কালোতালিকাভুক্ত খেলাপিদের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিমানের টিকিট না কিনতে পারা এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতে না দেয়া।

একজন ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে ঋণদাতা মামলা করলে এবং পরবর্তীকালে কিস্তি পরিশোধ না করলে তাকে কালো তালিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

চায়না মার্চেন্টস ব্যাংক এ মাসে জানায়, ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্টজনিত ব্যাড লোন (৯০ দিনের বেশি বকেয়া) ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

সাংহাইভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চায়না ইনডেক্স একাডেমির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে চীনে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ফোরক্লোজার (বন্ধকি সম্পত্তি দখল নেয়ার পদক্ষেপ) চিহ্নিত হয়েছে। এটা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি।

এদিকে আইন বিশেষজ্ঞরা ব্যক্তিগত দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে ঋণ মওকুফসহ ব্যক্তিগত দেউলিয়া আইন প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছেন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ঘুরে দাঁড়াবে বিশ্ব অর্থনীতি

Published

on

জিকিউ

২০২৪ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্থর থাকবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ক্রমাগতভাবে চাপ তৈরি করবে। চলতি বছর বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করলেও আগামীতে তা থাকবে না। আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা প্রকাশ করেছেন।

আগামী বছর সুদহার কমতে শুরু করবে, যা প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করবে। নতুন পুঁজি বিনিয়োগে আস্থা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। অর্থনীতিবিদরা জানান, এর কারণ চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক গত অক্টোবরে সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ আশা করছে। এটা ২০২২ সালের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সম্প্রসারণের চেয়ে ধীর। একই সঙ্গে এটা গড় প্রবৃদ্ধির চেয়েও কম।

আগামী বছরের জন্য আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, বৈশ্বিক জিডিপি ২ দশমিক ৯ শতাংশ প্রসারিত হবে, যা জুলাইয়ের পূর্বাভাস থেকে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট কম।

আইএমএফ জানায়, প্রবৃদ্ধি ধীর ও অসম থাকবে। বিশেষ করে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোয়। উচ্চ সুদহার এবং ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ চলতি মাসে একটি বিবৃতিতে জানায়, এ মাসে সুদহার নতুন করে বৃদ্ধি করেনি ফেড। গত বছরের মার্চ থেকে ১১ বার সুদহার বাড়ানোর পর এটা একটা বিরতি। মূল্যস্ফীতি রোধ করার কৌশল হিসেবে সুদহার বৃদ্ধি ২০২২ সালের জুনে চার দশকের উচ্চতায় পৌঁছেছিল। সুদহার এখন ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২২ বছরের সর্বোচ্চ। এটা গত বছরের মার্চে শূন্যের কাছাকাছি ছিল। দ্বিতীয়বারের মতো ফেড ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে সুদহার অপরিবর্তিত রেখেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি অব্যাহত। দেশটিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম তৃতীয় প্রান্তিকে দ্রুতগতিতে প্রসারিত হয়েছে। চাকরির বাজার এখনো শক্তিশালী। মূল্যস্ফীতি গত বছরের ৫ দশমিক ৬ থেকে বর্তমানে ৩ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থা রকফেলার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান রুচির শর্মা বলেন, ‌বৈশ্বিক অর্থনীতি আগামী বছর ধীরগতিতে বাড়বে। ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকবে। মন্দা হওয়ার আশঙ্কা নেই। উচ্চ সুদহারের প্রভাব বজায় থাকবে। তবে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

চারটি গ্রন্থের লেখক রুচির শর্মা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গড়ে বিশ্ব অর্থনীতি প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছিল। ২০০৮ সালে আর্থিক সংকটের সময় প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসে। কারণ ঋণ খুব বেশি বেড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ‌আমি সে সময়টি দেখেছি। দুটোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পরে এখন মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেশি।

বাহরাইনভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টকর্পের নির্বাহী চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলারধি বলেন, ‌আমি ২০২৪ সালের জন্য আশাবাদী। আমি মনে করি, আগামী বছর আমরা সুদহার কমতে দেখব। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসতে দেখব। বিনিয়োগকারীরা অর্থ বিনিয়োগে আত্মবিশ্বাসী হতে শুরু করবে। এরই মধ্যে আমরা আর্থিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেখেছি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বিশ্ববাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

Published

on

জিকিউ

বিশ্ববাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেড়েছে মূল্যবান ধাতু সোনার দাম। এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে সোনা। অন্য যেকোনো কিছুর তুলনায় সোনা সুরক্ষিত হওয়ায় এটির প্রতি ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এদিন প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে ২ হাজার ১১১ ডলার হয়। এরমাধ্যমে গত শুক্রবার হওয়া নতুন রেকর্ডটিও ভেঙে গেছে।

২০২০ সালের আগস্টে একবার সোনার বাজার এমন চড়া হয়েছিল। তখন তৈরি হয়েছিল নতুন রেকর্ড। তবে সেবার সোনার দাম যা হয়েছিল সেটি থেকে নতুন দামে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অবশ্য জানিয়েছে, সর্বোচ্চ দাম স্পর্শ করার পর এটি ২ হাজার ৬৪ ডলার প্রতি আউন্সে নেমে আসে।

বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডসহ আগামী বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার কমাবে। আর এই আশা থেকেই বেড়েছে সোনার দাম। সোনার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্বল হয়েছে ডলারের দাম।

মার্কিন-ব্রিটিশ অর্থনৈতিক তথ্য প্রদানকারী সংস্থা রিফিনিটিভ জানিয়েছে, এ বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের শুরুর সপ্তাহ পর্যন্ত দ্রুত গতিতে সোনার দাম বেড়েছে। অক্টোবরে যেখানে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৮২০ ডলার। সেখানে ডিসেম্বরে এসে এটি ২ হাজার ১১১ ডলার স্পর্শ করেছে। যদিও দাম আবার কিছুটা কমে গেছে।

সোনার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ক্রিপ্টো কারেন্সির দামও। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিটকয়েনের দাম এ বছর প্রথমবারের মতো ৪০ হাজার ডলার পার করেছে। এদিন বিটকয়েন ৪২ হাজার ডলারে লেনদেন হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

থাই ও ভিয়েতনামি চালের দাম তিন মাসের সর্বোচ্চে

Published

on

জিকিউ

এশিয়ার বাজারে চলতি সপ্তাহে বেড়েছে চালের চাহিদা। এতে তিন মাসের সর্বোচ্চে উঠেছে থাই ও ভিয়েতনামি চালের দাম। একই সময়ে বেড়েছে ভারতীয় চালের সরবরাহ।

ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেছেন, থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম গত সপ্তাহের ৬০০ ডলার থেকে বেড়ে প্রতি টনের মূল্য উঠেছে ৬৫০ ডলারে। মূলত ফিলিপাইন ও অন্যান্য দেশ থেকে ব্যাপক চাহিদা বাড়ায় এ দাম বেড়েছে। সরবরাহকারীরা বিক্রি করতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। দাম আরো বাড়ার প্রত্যাশায় অনেকেই এখন বিক্রি না করে মজুদ করে রেখেছেন।

ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চাল গত সপ্তাহেও টনপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৬৫০-৬৫৫ ডলারে। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৫-৬৬৫ ডলারে।

হো চি মিন শহরভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেছেন, চলতি সপ্তাহে চালের বাজার নিয়ে ফিচ সলিউশনের শাখা বিএমআইর একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর এশিয়ার বাজারগুলোয় চালের দাম বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, আগামী বছর এল নিনোর প্রভাবে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সরবরাহ কমায় রফতানি সীমিত করবে শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশগুলো, যা খাদ্যশস্যটির দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

প্রাথমিক শিপিং ডেটা বলছে, নভেম্বরে হো চি মিন সিটি বন্দরে থাকা জাহাজগুলোয় ৩ লাখ ২৫ হাজার ৩১৭ টন চাল লোড করা হয়েছে। এসব চালের বেশির ভাগেরই গন্তব্য আফ্রিকা, কিউবা, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া। আরো ৫ হাজার ৭০০ টন চালের ক্রয়াদেশ রয়েছে, যেগুলো ১-১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠানো হবে।

প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করেছে ভিয়েতনাম, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

তবে শীর্ষ রফতানিকারক ভারতের ৫ শতাংশ ভাঙা-আধা সেদ্ধ চালের বাজার গত সপ্তাহের দামেই অপরিবর্তিত। টনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫০৭ ডলারে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডার এক রফতানিকারক বলেছেন, অন্যান্য দেশের চালের দাম ভারতের তুলনায় বেশি থাকায় ভারতীয় চালের বিক্রি বেড়েছে। তবে গত মাসে ভারত ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সেদ্ধ চালের রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে ক্রেতাদের কাছে ভারতীয় চালের আমদানি খরচও বেড়ে গেছে।

এদিকে ফিচ সলিউশনের প্রতিবেদনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়ার পূর্বাভাসদাতারাও সম্প্রতি জানিয়েছেন, এল নিনোর প্রভাব উত্তর গোলার্ধে ২০২৪ সালের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। একই তথ্য জানিয়ে জাপানের আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে, উত্তর গোলার্ধে এল নিনোর প্রভাব বাজায় থাকার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।

ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলেছেন, কম চাল উৎপাদন ও খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির সঙ্গে ভারত আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত রফতানি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে পারে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডেও রফতানি করার মতো কম উদ্বৃত্ত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডায় এক রফতানিকারক বলেন, ধান উৎপাদনকারী অনেক রাজ্যে মাটির আর্দ্রতার মাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে গেছে। আর গত ১০ বছরের গড়ের নিচে নেমেছে পুকুর-জলাশয়ের পানির স্তর।

অন্যদিকে ভালো ফলন ও মজুদ থাকা সত্ত্বেও চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে চালের অভ্যন্তরীণ মূল্য ঊর্ধ্বমুখী ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতির কারণে সরকার ভর্তুকি মূল্যে চাল বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

December 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31