বুধবার রাতে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম ফরমান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ন্যান্সি যে লিখিত অভিযোগ করেছেন তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বাসার গৃহকর্মীদের সন্দেহ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ন্যান্সি বলেন, ‘ঈদের আগেই ওয়ার্ডরোব পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি স্বর্ণের জিনিসপত্র নেই। আমার ধারণা এটা কাজের মেয়েরা চুরি করেছে। স্বর্ণ চুরির সময় জাতীয় পুরস্কারের মেডেল ছিল সেটাও নিয়ে গেছে।’
চুরি যাওয়া জিনিসের মধ্যে কী কী ছিল? ন্যান্সি বলেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের স্বর্ণপদক, মেয়ের গলার সোনার দুটি চেইন এবং দুটি কানের দুল, স্বর্ণের আংটি, লকেট। তবে ডায়মন্ডের জিনিস খোয়া যায়নি। এটাকে চুরি বলছি এ কারনে কেউ যদি বাইরে থেকে নিতে আসতো তাহলে ডাকাতি হতো। এটা গোপনে চুরি করা হয়েছে।’
সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে দুবাই থেকে ফিরে ওয়ার্ডরোব দেখেছিলেন জানিয়ে ন্যান্সি বলেন, ‘দুবাই থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়ার্ডরোব দেখেছিলাম। বারবার তো ওয়ার্ডরোব খুলে দেখা হয় না। ১৭ এপ্রিল বাসার ওয়ার্ডরোব পরিষ্কার করতে গিয়ে টের পাই। প্রথমে বাসা থেকে পৃথকভাবে চলে যাওয়া দুই কাজের মেয়ের কাছ থেকে চেষ্টা করেছি এসব উদ্ধারের। তারা আমাকে নয়-ছয় বুঝানোর চেষ্টা করেছে, এরপরে মামলা করি।’
ইতোমধ্যে তাহমিনা নামের একজন গৃহকর্মী ও তার স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই গায়িকা।
প্রজাপতি সিনেমার গানের জন্য ন্যান্সি এইজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পদক পেয়েছিলেন।