এ সময় তাদের হেফাজত হতে ৮,৪২,৫০,০০০ (আট কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ পঞ্চাশ) টাকা উদ্ধার করা হয়।
গত ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ চট্টগ্রাম মহানগর ইপিজেড থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিএমপি ডিবি’র সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
ডিবি’র সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সোলায়মান মিয়া জানান, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকার মতিঝিলে রূপসা মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জনৈক এনামুল হকের নিকট থেকে মাসিক লভ্যাংশ প্রদানে চুক্তিনামা মূলে তিন কোটি দশ লক্ষ টাকা নেয়। এভাবে আরও লোকজনের নিকট হতে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিস বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি’র সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রোবারী প্রিভেনশন টিম তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ঢাকার মতো তারা চট্টগ্রামেও রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। সেখানেও একই কায়দায় লোকজনের নিকট থেকে প্রতারণামূলকভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
সোলায়মান জানান, গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে টাকা থাকার কথা অস্বীকার করলেও তাদের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপি’র মতিঝিল থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
সাধারন জনসাধরনের প্রতি একটি বার্তা দিয়ে ডিবি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সোলায়মান বলেন, অধিক লাভের আশায় কেউ এমন প্রতারকদের খপ্পরে পড়বেন না। সূত্র-ডিএমপি নিউজ