তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ

তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ
করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে উঠছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প। পরপর দুই মাস ৩০০ কোটি ডলার করে পোশাক রপ্তানি হয়েছে।গত আগস্টে চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৩৩৬ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তাতে সাত মাস পর ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে পোশাক রপ্তানি। সর্বশেষ গত আগস্টে রপ্তানি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। এর আগে গত জুনে শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানি দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৯৫ কোটি ডলার।

পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, গত আগস্টে চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৩৩৬ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। আর জুলাইয়ে ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। তার আগের পাঁচ মাসে (ফেব্রুয়ারি-জুন) রপ্তানি কখনোই ৩০০ কোটি ডলার ছাড়ায়নি।

আগস্ট মাসের প্রথম দিন ঈদের কারণে কোনো পোশাক রপ্তানি হয়নি। পরদিন ১ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। তারপর ধীরে ধীরে রপ্তানি বাড়তে থাকে। ১৩ আগস্ট ২০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়, যা পুরো মাসে সর্বোচ্চ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে গত মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। এদিকে দেশেও ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় মাসখানেক কারখানা বন্ধ থাকে। তাতে এপ্রিলে পোশাক রপ্তানি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। মাসটিতে ৩৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়, যা গত দুই দশকে সর্বনিম্ন। পরের মাসে রপ্তানি হয় ১২৩ কোটি ডলারের পোশাক। জুনে সেটি বেড়ে ২২৫ কোটি ডলারে ওঠে।

গত জুনে শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানি দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৯৫ কোটি ডলারে, যা আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ৬১৮ কোটি ডলার কম। ওই বছরে ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।

মার্চে পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ায় মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে সরকার রপ্তানিমুখী কারখানার শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। সেই তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কারখানার মালিক ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জে ঋণ নিয়ে তিন মাসের মজুরি দিয়েছেন। সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে জুলাইয়ের মজুরি দিতে ঋণ সহায়তা পান মালিকেরা। আগস্ট মাসেও শ্রমিক-কর্মচারীর মজুরি দিতে ঋণ চায় পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। তবে সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মতামত দেওয়া হয়নি।

এদিকে পোশাক রপ্তানিতে গতি ফিরলেও ইতিমধ্যে বেশ কয়েক হাজার শ্রমিক ছাঁটাই করেছেন পোশাকশিল্প উদ্যোক্তারা। এপ্রিলে কারখানা বন্ধের সময়ে ৬৫ শতাংশ মজুরি দিয়েছেন। ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়া পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। তা ছাড়া মাস্ক ও পিপিই গাউনও যাচ্ছে। সব মিলিয়ে রপ্তানি বেড়েছে।

পোশাক রপ্তানিতে ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়া পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। তা ছাড়া মাস্ক ও পিপিই গাউনও যাচ্ছে। সব মিলিয়ে রপ্তানি বেড়েছে। তিনি বলেন, নতুন ক্রয়াদেশ আসছে। তবে ক্রেতারা এত কম মূল্য অফার করছে যে সব ক্রয়াদেশ নেওয়া যাচ্ছে না। কেউ না কেউ সেগুলো আবার নিচ্ছেনও। সুত্র: প্রথম আলো।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ