আমান ফিডের কারখানা বিক্রির নিলামে ক্রেতা মিলেনি

আমান ফিডের কারখানা বিক্রির নিলামে ক্রেতা মিলেনি
আমান ফিড লিমিটেডের জমি ও কারখানা বিক্রির জন্য আহ্বান করা নিলামে ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। কোম্পানিটির কাছে ২৬৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় না করতে পেরে জামানত হিসেবে বন্ধক রাখা এসব সম্পত্তি বিক্রির জন্য নিলাম আহ্বান করেছিল ঋণদাতা এবি ব্যাংক লিমিটেড।

আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) নির্ধারিত সময় শেষে দরপত্র জমা দেওয়ার বাক্স খোলা হয়। তখন দেখা যায় বাক্সে কোনো দরপত্র জমা পড়েনি।

এদিকে নিলামের বিরুদ্ধে আমান ফিডের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে এই নিলামের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। পাশাপাশি আদালত কোম্পানিটিকে এবি ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধেরও নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। (এ বিষয়ে একটি আলাদা রিপোর্ট আসছে। পড়তে চোখ রাখুন অর্থসূচকে)।

অন্যদিকে কোম্পানির জমি ও কারখানা নিলামের খবরে পুঁজিবাজারে অস্বস্তি বিরাজ করছে। বিশেষ করে আমান ফিডের শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিটির ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

উল্লেখ, গত ৭ আগস্ট এবি ব্যাংক লিমিটেড আমান ফিডের জমি নিলামে তোলার বিষয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আমান ফিডের কাছে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ঋণ ও সুদসহ মোট ২৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাওনা এবি ব্যাংকের। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, কোম্পানিটির সিরাজগঞ্জে কারখানা, জমি ও গাজীপুরের জমির মূল্যমান আসে ৭০ কোটি টাকা।

আজ বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিলামে অংশ নিয়ে দরপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। বিকাল ৪টার পরে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে দরপত্র জমা দেওয়ার বাক্স খোলা হয়। তাতে দেখা যায়, বক্সে কোনো দরপত্র নেই। অর্থাৎ কোনো আগ্রহী ক্রেতা দরপত্র জমা দেয়নি।

আমান ফিড লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের একটি কোম্পানি। কোম্পানিটি ২০১৫ সালে  বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। আইপিওতে  ২৬ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩৬ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা হয় বিনিয়োগকারীদের কাছে।

অভিযোগ রয়েছে, উচ্চ প্রিমিয়াম আওয়ার জন্য আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির মুনাফা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারের আয় (ইপিএস) দেখানো হয় ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। আইপিওর পর থেকেই মুনাফার বুদ্বুদ ফেটে যায়। মাত্র ৪ বছরের মধ্যে ইপিএস কমে ১ টাকা ৬০ পয়সায় নেমে আসে।

উচ্চ প্রিমিয়ামে শেয়ার বিক্রির পরও প্রতারণা থেমে থাকেনি আমান গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আমান ফিড মিলের উদ্যোক্তাদের। তারা বিনিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার আস্থার কোনো প্রতিদান তো দেয়-ই-নি, বরং আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যবহারে নয়-ছয় করেছে।

এ কারণে গত বছর কোম্পানির পরিচালকদের কোটি টাকা জরিমানাও করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত