বিনোদন
‘শুধু রুচির নয়, বিবেকের বিকলাঙ্গতা কতটা’

‘হলভর্তি মানুষের মুহু মুহু করতালি পেয়েছেন, শহীদ মিনারের পাদদেশে অসীম নিবরতায় আপনার বক্তব্য শুনেছে মানুষ। সকল অসামঞ্জস্য নিয়ে সরকারের প্রতিও কত তীক্ষ্ণ বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কখনও কি এমন অসভ্য মন্তব্য শুনেছেন? শুধু রুচির নয়, বিবেকের বিকলাঙ্গতা কতটা, তা কি আর বলার দরকার আছে?’
নাট্যজন মামুনুর রশীদের হিরো আলমকে নিয়ে বক্তব্যের ইস্যুতে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাসে শাহনাজ খুশি এসব কথা বলেন।
নাট্যজন মামুনুর রশীদের ভাষ্যমতে, ‘এখন রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। এর মধ্য দিয়েই হিরো আলমের উত্থান হয়েছে।’ তার এই বক্তব্যে নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের বেশির ভাগ মানুষই সহমত পোষণ করেছেন। তবে কেউ কেউ আবার এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মামুনুর রশীদকে নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনাও করেছেন। এবার সেসব কটূক্তিকারীদের এক হাত নিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি।
তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘একটা উপজেলা শহর থেকে যখন ঢাকায় এসেছি, ঢাকার নানান অঙ্গনের মানুষকে দেখেছি। তারা কোনো-না কোনোভাবে আমার চেয়ে সমৃদ্ধ! একটা চায়ের কাপ ধরা, একটা সভাস্থলে নীরবতায় বসা, একটা কথা শুরু করার ম্যানারস- সব শিখতে হয়! এগুলো পাঠ্য বইয়ের মতোই অতীব গুরুত্বপূর্ণ!

থিয়েটারে যুক্ত হয়েছি, দেখেছি এ এক শিক্ষার সাগর। সেখানে শুধু নাটক শেখানো নয়, দেশ তথা দেশের বাইরের প্রখ্যাত গুণিজনের জীবনবৃত্তান্ত, সংগ্রাম, জীবনের সৌন্দর্য্য নিয়ে চলেছে বিস্তর আলাপ! দিনরাতের কোন হিসাব থাকে নাই। প্রতি মূহুর্তে গ্রহণ করেছি সে বিদ্যালয় থেকে। এসব কিছু জানতাম না কেন, সে লজ্জায় নত থেকেছি। জানতে পারার গৌরবে বিনয়ী হয়েছি! জীবনের পরিমিতিবোধ শিখেছি, যে পরিমিতিবোধ সকল চরিত্র রুপায়নে বড় বোধের জোগান দিয়েছে। বিনীত করেছে সৃষ্টির পায়ে! যা আমি জানি না, তা শেখার জন্য জানা মানুষের অপেক্ষা করেছি প্রেমের মত করে।
এখন কিছু জানার দরকার হয় না মামুন ভাই! কিছু না জানা মানুষগুলো, জানা মানুষকে হিংসাত্মক প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলছে। সে প্রতিপক্ষের জিঘাংসা কত নোংরা হতে পারে, তা আজ দুইদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে! যা বাকরুদ্ধ করে দেয়!
মামুন ভাই, আপনার হাতে তৈরি এ সংস্কৃতি অঙ্গন আলোকিত করা কত শিল্পী! কত না জানার জন্য, ভুলের জন্য আপনি সবাইকে বকেছেন বা রাগ করেছেন! সে জন্য কেউ হয়ত থিয়েটারে আসেনি, অভিমান করেছে। দল ভেঙে নতুন দলও তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই কুৎসিত এবং উদ্ধত্যপূর্ণ বিমাতাসুলভ কথা কি কখনও শুনেছেন?
হলভর্তি মানুষের মুহু মুহু করতালি পেয়েছেন, শহীদ মিনারের পাদদেশে অসীম নিবরতায় আপনার বক্তব্য শুনেছে মানুষ। সকল অসামঞ্জস্য নিয়ে সরকারের প্রতিও কত তীক্ষ্ণ বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কখনও কি এমন অসভ্য মন্তব্য শুনেছেন? শুধু রুচির নয়, বিবেকের বিকলাঙ্গতা কতটা, তা কি আর বলার দরকার আছে?
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের তুখোঁড় আপনাকে টিকটকের ভাঁড় জনকদের তুলনায় দাঁড় করিয়েছে যারা, তারাও তারই অনুসারী! শিল্প দিয়ে শিল্পীর প্রতিযোগীতা করা যায়। যাদের সে সঞ্চয় নাই, তারাই নীচতায় হরিলুট শুরু করে। সুন্দর কিছু শুরুর আগে কুৎসিত কিছু কালক্ষেপণ হয়, এটা নিশ্চয় তেমন সময়। বাংলাদেশের এত সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারক/বাহক অথবা উদাহরণ নিশ্চয় এরা হতে পারে না!
যারা অতি কথ্য দিয়ে আপনাকে হেয় করতে চেয়েছে, সেটা তাদের দীনতা এবং ব্যর্থতার আক্রোশ! শিল্পী এবং শিল্পকে মোকাবেলা করতে শৈল্পিক/কথা/যুক্তি/আচরনই লাগবে, এটা তারা জানে না। তাদের এ দীনতাকে ক্ষমা করবেন আপনি।
ভাগ্যিস আপনি কোন সরকারি মন্ত্রণালয়ে/টিভি চ্যানেলে/কোন সরকারের আনুক্যলের প্রতিষ্ঠানে নাই এবং কোনদিন ছিলেনও না। যদি সেটা থাকতেন, তাহলে কি বলতো এই মন্তব্যকারীরা?
প্রায় আশির কাছাকাছি একজন নাট্যপ্রাণ মানুষ, যে তার একটা জনম বিলিয়ে দিয়েছে নাটক/শিল্পের জন্য। বিনিময়ে উল্লেখ করবার মত কিছুই নেয়নি কখনও! এখনও এই বয়সে তাকে সংসারের জন্য অভিনয় করতে হয়, লিখতে হয়। এই শিল্প থেকে কিছুই সঞ্চয় করেনি বলেই তার অসুস্থতায় আমরা তার শিল্প সন্তানরা তার হাত ধরে তার পাশে দাঁড়িয়ে যাই। তার তুলনা এবং মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে এ কোন অশৈল্পিক দুর্বৃত্ত অন্ধকার! আমাদের কবে, কোন মোহে এত বিবেক এবং রুচির বিকালঙ্গতা হল? আপনার সন্তানদের আপনি বরাবরের মত, নিজ গুণে ক্ষমা করবেন মামুন ভাই!’
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বিনোদন
নাট্যকার মোহন খান আর নেই

জনপ্রিয় নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক মোহন খান আর নেই (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
মোহন খানের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
দেশের নাট্য অঙ্গনে মোহন খানের বিচরণ তিন দশকের বেশি সময়ের। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ করেন। পাশাপাশি নাটক রচনাও করেন। তার পরিচালিত প্রথম নাটক ‘আমার দুধমা’ বিটিভিতে প্রচার হয়। তাঁর লেখা ও পরিচালনায় নাটক ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড়ের খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুর লতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ ইত্যাদি নাটক বানিয়ে তিনি প্রশংসিত হন।
সবশেষ তিনি নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
ধর্মের টানে অভিনয় ছাড়েন নায়িকা পপি

অনেক আগেই ধর্মের টানে শোবিজজগৎ ছেড়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পুষ্পিতা পপি। জীবনযাপনও বদলে ফেলেছেন। আর বর্তমানে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করছেন এ নায়িকা, যা তার সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুক হ্যান্ডেলে চোখ রাখলেই স্পষ্ট।
সম্প্রতি এ নায়িকা ফ্রান্স থেকে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইসলামের পথে সঠিকভাবে চলার জন্য সিনেমা ছেড়েছেন। বাকি জীবন এভাবেই ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কাটাতে চান। আপাতত কিছু করছেন না বলেও জানান তিনি।
সিনেমা জগত থেকে পুরোপুরি সরে গেছেন এ নায়িকা। পর্দায় আর কখনই দেখা যাবে না তাকে। বর্তমানে ফ্রান্সে স্বামী-সংসার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। বলেন, মহান আল্লাহ ভবিষ্যতে যা করবেন, আমাকে যেভাবে চালাবেন সেভাবেই চলব আমি।
২০১৮ সালেই সিনেমা থেকে দূরে সরে যান পুষ্পিতা পপি। তবে ২০১৯ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্র ছাড়ার ঘোষণা দেন। তখন জানিয়েছিলেন, আমি ধার্মিক পরিবারের মেয়ে। বলা যায় শখ থেকে অভিনয়ে এসেছিলাম। অভিনয়ে আসার পরও নিয়মিত নামাজ পড়তাম, জিকির-আসকার করতাম। অভিনয়ে থাকার সময় মাঝে মাঝেই মনে হতো, ক্ষণিকের আনন্দের জন্য সব হারাচ্ছি আমি। এর পর এ ব্যাপারে বোধ চলে আসায় সিনেমা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই।
প্রসঙ্গত, ‘পাঙ্কু জামাই’ সিনেমায় শাকিবের প্রথম প্রেমিকার ভূমিকায় অভিনয় করেন পুষ্পিতা পপি। তবে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘আগে যদি জানতাম তুই হবি পর’ সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক হয় তার।

তিনি ‘কখনো ভুলে যেও না’, ‘ঠোকর’, ‘প্রেম হতেই পারে’ ও ‘ফাগুনের আগুন’ সিনেমায় অভিনয় করেন। তার অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ধূসর কুয়াশা’।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
আত্মসম্মান-ব্যক্তিত্ব মেয়েদের সেরা সৌন্দর্য: বুবলী

গত ঈদে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা বুবলী অভিনীত দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। একটির নাম ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’। এতে বুবলীর নায়ক শাকিব খান। অন্যটি ‘লোকাল’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়ক আদর আজাদ।
ঈদুল ফিতরে বুবলীর এ দুই সিনেমাই ভালো ব্যবসা করেছে। পাশাপাশি দর্শকদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব থাকেন এ অভিনেত্রী। ভক্তদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তার ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করেন। আবার নজরকাড়া ছবি পোস্ট দেন। আজ বুধবার (২৪ মে) একটি ছবি পোস্ট করছেন বুবলী। পোস্টে তিনি লিখেছেন, আত্মসম্মান এবং ব্যক্তিত্ব মেয়েদের সেরা সৌন্দর্য।
এ পোস্টে অভিনেত্রী দীপা খন্দকারসহ বেশ কয়েকজন শোবিজ তারকা ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এদিকে বুবলীকে দেখা যাবে নাট্যকার ও নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর ‘প্রহেলিকা’ সিনেমায়। এ সিনেমায় বুবলী প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছেন নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের সঙ্গে।
পান্থ শাহরিয়ারের কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জামাল হোসেন। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ আট বছর পর বড় পর্দায় দেখা মিলবে মাহফুজ আহমেদের।

মাহফুজ-বুবলী ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, রাশেদ মামুন অপু, এ কে আজাদ সেতু, রহমত উল্লাহ, সাবিহা জামানসহ অনেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ প্রহেলিকা’র ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, আসছে ঈদুল আজহায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে। জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে সিনেমার বাকি চরিত্রগুলোর লুক।
সিনেমার শেষ কিছু পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ করতে এ সপ্তাহে-ই ভারতে যাবেন চয়নিকা। সব কাজ শেষ করে দ্রুতই সেন্সর বোর্ডে সিনেমাটি জমা দিতে চান নির্মাতা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
রিমান্ডে গায়ক নোবেল

প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২০ মে) তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালত একদিনের রিামান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, অগ্রিম টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম।
গত ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
গায়ক নোবেল গ্রেপ্তার

অনুষ্ঠানে না গিয়ে অগ্রিম এক লাখ ৭২ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার (২০ মে) দুপুরে রাজারবাগে একটি অনুষ্ঠান শেষে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, প্রতারণার অভিযোগে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের কথা বলে সে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডিবি কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, নোবেলের নামে একটা প্রতারণা মামলা হয়েছে। একটা অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন, কিন্তু যাননি। যার ফলে তারা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সেজন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের কাছে এমন তথ্য আছে, তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নেন, কিন্তু যান না। এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠানে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।