খেলাধুলা
সাকিব আল হাসান, একটি অনুপ্রেরণার নাম

ক্রিকেট দুনিয়ায় সাকিব আল হাসানের এক নামেই পরিচিত। সানাথ জয়সুরিয়া ও শহীদ আফ্রিদি’র মত রেকর্ড বইয়ে লিখিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটে ৭০০০ রান করে নিজের দক্ষতা ও প্রতিভার অনন্য পরিচয় দিয়েছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার ওপর, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে “বাংলাওয়াশ” তো রয়েছেই!
কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি নিরলস মনোযোগের ফল হিসেবেই শুরু হয়েছে সাকিবের সাফল্যের পথে অগ্রযাত্রা। ২৪ মার্চ, ১৯৮৭-এ জন্ম নেওয়া সাকিবের ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল। ২০০৩ সালে তার অনূর্ধ্ব ১৭ ক্রিকেটে অভিষেক হয় এবং ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তার প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ খেলা খেলেন। এছাড়া, খুলনা জাতীয় ক্রিকেট লীগে তিনি খেলেছেন ২০০৪ সাল থেকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে একটি ওডিআই ম্যাচে আগস্ট ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন সাকিব, যেখানে এলটন চিগুম্বুরার উইকেটসহ ৩০ রান করেছিলেন এই তারকা খেলোয়াড়। ব্যাট ও বল উভয় ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করে খুব দ্রুত তিনি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
একের পর এক মনোমুগ্ধকর পার্ফরমেন্স দিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন কেড়ে সাকিব হয়ে উঠেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মাশরাফি মর্তুজার প্রথম মেয়াদে একাধিক ইনজুরির পর ২০০৯ সালে বাংলাদেশে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব আসে সাকিব আল হাসানের হাতে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর পাশাপাশি সাকিবের ধারাবাহিকতা ও চাপ সামলানোর অনন্য প্রতিভা বাংলাদেশকে ৪৭টির মধ্যে ২২টি খেলায় বিজয় এনে দেয়। এই বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার এখন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি২০’র অধিনায়ক।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭০০০ রান ও ৩০০ উইকেট নেওয়া সাকিবের এই সাম্প্রতিক কীর্তি একজন শীর্ষ শ্রেণীর অলরাউন্ডার হিসেবে তার দক্ষতার প্রমাণ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের ৯৩ রান এবং চার উইকেটের অবদান দলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জয়ের দিকে নিয়ে যায় এবং সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন হিসাবে সাকিবের অবস্থান আরও মজবুত করেছে।

এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ২৩১ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর অবস্থান ধরে রেখেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একমাত্র বাংলাদেশি বোলার হিসেবে তিনি ১২৮ উইকেট পেয়েছেন, যা এই সংস্করণে যেকোনো বাংলাদেশি বোলারের সবচেয়ে বেশি উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স তাকে টি-টোয়েন্টিতে ৬০০০ রান, ৪০০ উইকেট এবং ৫০টি ক্যাচের মাইলফলক অর্জন করা ক্রিকেটারদের অভিজাত গ্রুপে স্থান দিয়েছে।
ক্রিকেটে অতুলনীয় দক্ষতার পাশাপাশি শিক্ষার প্রতি সাকিবের প্রতিশ্রুতিও সমানভাবে প্রশংসনীয়। ১৪ বছরে বিবিএ শেষ করে সম্প্রতি এআইইউবি থেকে স্নাতক গ্রহণ করলেন তিনি –যা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমাদের এই ক্রিকেট তারকা এর মধ্যে জড়িয়েছেন একাধিক বিতর্কেও, কিন্তু তার কোনটি এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার-কে টাইগারদের কে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
দুর্দান্ত পারফরমেন্স দিয়ে বিশ্বজুড়ে ভক্তদের মন্ত্রমুগ্ধ করে সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান এবং সফল ক্রিকেটারদের একজন। তার এই এগিয়ে যাওয়া সবার জন্যই অনুপ্রেরণাদায়ক। ক্রিকেটের প্রতি তার নিবেদন, কঠোর পরিশ্রম, ধারাবাহিকতা এবং অধ্যবসায় প্রমাণ করে যে সঠিক মানসিকতা এবং দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে যেকোন কিছু অর্জন করা সম্ভব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলা
ক্রিকেটারকে নিয়ে বাজি, মিলল ৫০ হাজার পাউন্ড

লর্ডসে জেমস অ্যান্ডারসনের কাছ থেকে গতাকাল ইংল্যান্ডের ৭১১ নম্বর টেস্ট ক্যাপটি পেয়েছেন জশ টাং। ১৪ বছর আগে যাকে নিয়ে বাজি ধরা হয়েছিল। গতকালকের টেস্ট অবিষেকের মধ্য দিয়ে সেই বাজির অবসান ঘটলো। বাবা, মা, সঙ্গিনী, পুত্র—সবাই সাক্ষী হয়েছেন বিশেষ মুহূর্তটির। বাজি ধরা টিম পাইপার গ্যালারিতে ছিলেন কি না, ঠিক নিশ্চিত নয়। না থাকলেও হয়তো টেলিভিশনে দেখে থাকবেন টাংয়ের টেস্ট অভিষেকের মুহূর্তটি। এ মুহূর্ত যে পাইপারের কাছে একই সঙ্গে আবেগের এবং অর্থপ্রাপ্তির আনন্দেরও!
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টাংয়ের টেস্ট অভিষেক পাইপারকে এনে দিয়েছে ৫০ হাজার পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার! সেটির জন্য অবশ্য ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে।
১৪ বছর আগে ১১ বছর বয়সী টাংকে খেলতে দেখে বাজি ধরেছিলেন পাইপার। তাঁর বাজির বিষয় ছিল, একদিন টাং ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলবেন। ৫০০-১ দরে তিনি বাজি ধরেছিলেন ১০০ পাউন্ড।
অর্থসংবাদ/এস.ইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বেনজেমাকে সৌদি ক্লাবের ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব

শুধু ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোকে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকছে না সৌদি আরব। লিওনেল মেসিকেও বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির ক্লাব আল-হিলাল।
যদিও সেই প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত রাজি হননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তবে এবার শোনা যাচ্ছে, সৌদি আরবেরই আরেক ক্লাবের পক্ষ থেকে রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি সুপারস্টার করিম বেনজেমাকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ দাবি করেছে, ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। সে জন্যই দেশটির ঘরোয়া লিগে বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের সমাবেশ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। সেই লক্ষ্যেই তারা রোনাল্ডোর পর মেসি ও বেনজেমার দিকে হাত বাড়াচ্ছে। ব্যালন ডি’অরজয়ী রিয়াল তারকার জন্য নাকি দুই মৌসুমের জন্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরবের একটি ক্লাব। কিন্তু ক্লাবটির নাম এখনো জানা যায়নি।
এর আগে প্রো লিগের শীর্ষ ক্লাব আল-হিলাল মেসিকে ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে। যে প্রস্তাব নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি পিএসজি তারকা। তবে এ মৌসুম শেষেই যে তিনি প্যারিস ছাড়তে যাচ্ছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে তার সম্ভাব্য ঠিকানা হিসেবে আল-হিলালের নামও জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। এবার সৌদি লিগকে সম্ভাব্য ঠিকানা ভাবা হচ্ছে বেনজেমার ক্ষেত্রেও। তবে শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, মেসি ও বেনজেমা উভয়কেই ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পাওয়ার লক্ষ্যে কাজে লাগাতে চায় সৌদি আরব।
বেনজেমার সৌদি আরবে পাড়ি জমানোর সম্ভাবনা কতটুকু তা সময় হলেও জানা যাবে। তবে রিয়ালে নাকি আর মন টিকছে না এই ফরাসি স্ট্রাইকারের। গত মৌসুমে লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে ব্যক্তিগত ও দলীয় সাফল্যে ভেসেছেন তিনি। লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো পেয়েছেন ব্যালন ডি’অরও। এর জেরে তার চুক্তির মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করা হয়।

তবে এবারের মৌসুমটা রিয়ালের হয়ে শুধু কোপা দেল রে জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাকে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তিনি। ফলে আগামী রোববার অ্যাটলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিই হতে পারে রিয়ালের জার্সিতে তার বিদায়ী ম্যাচ। এর পর জানা যাবে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
২০২২ সালের বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেওয়া বেনজেমা যদি সৌদি আরবে পাড়ি জমান তা হলে স্প্যানিশ ফুটবল মাতানো তিন মহাতারকা একই লিগের অংশ হতে পারেন। ২০২২ সালে রোনাল্ডোকে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছে আল-নাসর। তবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত খেলা চালিয়ে গেলে নাকি এই অঙ্কটা হতে পারে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ মেসি ও বেনজেমাকে যে পরিমাণ অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, একই পরিমাণ অর্থ আয় করবেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। আর তাদের তিনজনকে বিশ্বকাপের আয়োজনের প্রচারে কাজে লাগাবে সৌদি আরব।
আগামী ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্বের ভোটাভুটি হবে। যেখানে স্পেন, পর্তুগাল, মরক্কোর মতো দেশ আয়োজন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
১৪ বছর পর আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান

ফেডারেশন কাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে টাইব্রেকারে আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে ১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বিকেল সোয়া ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে দেশের ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব আবাহনী-মোহামেডান। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা ৩-৩ ড্র হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত (৩০ মিনিট) সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও খেলা ৪-৪ ড্র হয়।
যে কারণে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে আবাহনীকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ১৪ বছর পর শিরোপার উল্লাসে মেতে ওঠে মতিঝিলের ক্লাব আবাহনী।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য আাধিপত্য বিস্তার করে আবাহনী। প্রথমার্ধে তারা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। খেলার ৪৩তম মিনিটে কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ধানমণ্ডির ক্লাবটি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় দৃশ্যপট। চার মিনিটের ব্যবধানে অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের জোড়া গোলে সমতায় ফেরে মোহামেডান।

মোহামেডান সমতা আনার মিনিট পাঁচেক তথা খেলার ৬৫ মিনিটে নাইজেরিয়ান এমেকার গোলে আবাহনী ফের (৩-২) ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
৮৩ মিনিটে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মোহামেডানের অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে। তার কল্যাণে মোহামেডান আবারও (৩-৩) সমতায় ফেরে।
খেলার ১০৫ মিনিটে সোলেমান দিয়াবাতে গোলের জন্য এগিয়ে যান। আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে একা পেয়ে নিজের চতুর্থ গোলের জন্য মরিয়া ছিলেন তিনি।
গোল ঠেকাতে পা বাড়িয়ে দেন গোলরক্ষক সোহেল। রেফরি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি শটে মোহামেডানের অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে গোল করে দলকে ৪-৩ এ এগিয়ে নেন।
১১৯ মিনিটে রহমতের দুর্দান্ত গোলে ফের সমতায় ফিরে আবাহনী। অতিরিক্ত সময়ে খেলা ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে আবাহনীর দুই বিদেশি খেলোয়াড় রাফায়েল এবং দানিয়েল কলিঞ্জ গোল মিস করায় জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে মোহামেডান।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে গুজরাটকে হারিয়ে পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই

শেষ ২ বলে চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য দরকার ১০ রান। নাটকীয় এক লড়াইয়ে শেষটায় এসে হতাশায় ডোবার মতো অবস্থা মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের। কে জানতো, এরপরও নাটক বাকি আছে!
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালের সাক্ষী হলো। শেষ দুই বলে ছক্কা আর চার হাঁকিয়ে বৃষ্টি আইনে চেন্নাইকে ৫ উইকেটের নাটকীয় জয় এনে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্সের টানা দ্বিতীয় শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিতলো ধোনির দল। তাদের সমান ৫টি শিরোপা কেবল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।
এক ফাইনাল নিয়ে কত নাটক হলো! তার এমন সমাপ্তি, নাটকের চেয়েও যেন নাটকীয়। রোববার ছিল ফাইনালের নির্ধারিত দিন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে টসই করা গেলো না। ফলে ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডেতে। সেই রিজার্ভ ডেতেও এক ইনিংস যাওয়ার পর বৃষ্টির হানা।
ফলে সোমবারের ম্যাচ সময়ের হিসেবে মঙ্গলবার চলে গেলো। আদতে একটা ফাইনাল শেষ করতে লাগলো তিনদিন! তবে এতটা অপেক্ষার পর হতাশ হতে হয়নি সমর্থকদের। এমন ম্যাচ দেখার সৌভাগ্য যে মেলে কালেভদ্রে!

বৃষ্টি হতে পারতো চেন্নাইয়ে অভিশাপ, সেটি হয়েছে আশীর্বাদ। অভিশাপ কিভাবে? এই ম্যাচটি যদি পরিত্যক্ত হতো, তবে গ্রুপপর্বে পয়েন্ট বেশি থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হতো গুজরাট টাইটান্স।
কিন্তু বৃষ্টি এসে উল্টো আশীর্বাদ করে দিলো মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে। গুজরাট তাদের সামনে ২০ ওভারে ছুড়ে দিয়েছিল ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। ম্যাচ পুরোটা হলে কাজটা কঠিনই হতো।
কিন্তু বৃষ্টির কারণে ওভার কমে যায়। ফলে ১৫ ওভারে চেন্নাইয়ের সামনে বেঁধে দেওয়া হয় ১৭১ রানের লক্ষ্য। চেন্নাই অবশ্য রান তাড়ায় ভালোভাবেই ছিল। ওপেনার রুতুরাজ গাইকদের ১৬ বলে ২৬, ডেভন কনওয়ের ২৫ বলে ৪৭ আর আজিঙ্কা রাহানের ১৩ বলে ২৭ রানে বেশ ভালো অবস্থানে দাঁড়ায় ধোনির দল।
১২.৩ ওভার শেষে রান ছিল ৩ উইকেটে ১৪৯। অর্থাৎ শেষ ১৫ বলে চেন্নাইয়ের লাগতো ২২ রান, হাতে ৭ উইকেট। এমন সময়ে এসে জোড়া উইকেট শিকার করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মোহিত শর্মা।
বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা আম্বাতি রাইডুকে (৮ বলে ১৯) আর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) ফেরান এই পেসার। চাপে পড়ে চেন্নাই। ১৪তম ওভারে মোহাম্মদ শামি দেন মাত্র ৮ রান। ফলে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার পড়ে ১৪।
মোহিত প্রথম ৪ বলে মাত্র ৪ রান দিলে ম্যাচ ঝুলে যায় গুজরাটের দিকে। সেখান থেকে রবীন্দ্র জাদেজার অসাধ্য সাধন। পঞ্চম বলে লংঅনের ওপর দিয়ে ছক্কা, শেষ বলে মোহিতের লো ফুলটস শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস জাদেজার। ধোনি যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, অনেকটা সময় তিনি মাথা নিচু করে বসেছিলেন ডাগআউটে।
এর আগে সাই সুদর্শনের ৪৭ বলে ৯৬ রানের (৮ চার আর ৬ ছক্কা) বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৪ রান তুলেছিল গুজরাট। এছাড়া ঋদ্ধিমান সাহা ৩৯ বলে ৫৪, শুভমান গিল ২০ বলে ৩৯ এবং হার্দিক পান্ডিয়া ১২ বলে করেন অপরাজিত ২১ রান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাংলাদেশে আসতে তর সইছে না মার্টিনেজের

কাতার বিশ্বকাপে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বুদ্ধিদীপ্ততায় টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার দেওয়া গোলরক্ষক মার্টিনেজের স্বপ্ন বাংলাদেশ ঘুরে দেখা। তার ইচ্ছাপূরণ করতে যাচ্ছে স্পোর্টস প্রমোটার কোম্পানি শতদ্রু দত্ত অ্যাসোসিয়েটসের শতদ্রু দত্ত।
সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এক পোস্টে ভারতে আসন্ন সফর নিয়ে মার্টিনেজ লিখেছেন- হ্যালো সবাই, আমি ৩ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশে আমার প্রথম সফর করব এবং মোহনবাগান ক্লাবে একটি দাতব্য ফুটবল ম্যাচের প্রধান অতিথি হওয়া ছাড়াও অনেক দাতব্য কার্যক্রমে অংশ নেব। আমি জানি কলকাতা এবং বাংলাদেশে অগণিত আর্জেন্টিনার ভক্ত রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে দেখা করতে মুখিয়ে আছি।
এরপরই মার্টিনেজ লিখেছেন- আমি তোমাদের ভালোবাসি!
শতদ্রু দত্ত জানিয়েছেন, মার্টিনেজ নিজে থেকেই বাংলাদেশের কথা বলেছেন। যেহেতু তিনি কলকাতা আসছেনই তাই আমরাও চাই তার ইচ্ছাপূরণ হোক বাংলাদেশে ঘুরে এসে।

জানা যায়, ৩ জুলাই ঢাকায় আসতে পারেন মার্টিনেজ। সেদিন বাংলাদেশে থাকতে পারে অথবা সেদিন রাতে কলকাতায় চলে যেতে পারেন।