অর্থনীতি
২৫০ টাকার নিচে ব্রয়লার মুরগি, কাল-পরশু আরও কমবে

দুইদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। রাজধানী ঢাকার বাজারে এখন আড়াইশো টাকার কমে ব্রয়লার মুরগি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামারপর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করে। এরপর বাজারে মুরগির দামে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকা দরে, যা শুক্রবার (২৪ মার্চ) ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে মুরগির দাম আরও কমবে। খামারে মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলে, তা খুচরা বাজারে ২৩০ টাকার নিচে বিক্রি হওয়ার কথা।
মুরগি বিক্রেতারা বলেন, ‘সরকার খামার পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পর বাজারেও মুরগির দাম কমেছে। আগামীকাল হয়তো আরও কমবে। এটা ২০০-২২০ টাকা কেজির মধ্যে এলে ঠিক আছে। আজ সকালে কাপ্তানবাজার থেকে ব্রয়লার মুরগি এনেছি। এটা ২৩০ টাকা দরেও বিক্রি করতে পারছি। আগামীকাল হয়তো দামটা আরও কমবে।’
এদিকে, ব্রয়লার মুরগির নিম্নমুখী দামের কারণে সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫০-৩৬০ টাকা দরে, যা দুদিন আগেও বিক্রি হচ্ছিল প্রায় ৪০০ টাকা দরে।
বাজারে দরদাম করে নিলে বিক্রেতার চাওয়া দামের চেয়ে আরও ৫-১০ টাকা কমে কেনা যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। তবে পাড়া-মহল্লার কিছু দোকানে এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, রমজানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকে। এজন্য মুরগির চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। রোজা যত শেষের দিকে যাবে, চাহিদা বাড়বে।
খামার থেকে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি হলে খুচরায় ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারবেন ভোক্তারা। পরিবহন, ঘাটতি অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বাজারে দামের পার্থক্য হবে ৩০-৪০ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
পেঁয়াজের দাম নেমেছে অর্ধেকে, বাড়ছে চিনির দাম

ভারত থেকে আমদানি করা হবে এমন ঘোষণার পর কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনে পণ্যটির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরই মধ্যে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজও পৌঁছে গেছে। প্রায় এক মাস সীমান্তে এসে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি।
তবে প্রায় দুই মাস অস্থির থাকার পর পেঁয়াজের বাজার লাগামে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে বাড়তির দিকে চিনির দাম। মণপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়ে গেছে চিনির দাম। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়তির দিকে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বুধবার (৭ জুন) দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, দামের লাগাম টানতে গত ১৪ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি দিতে অনুরোধ করে। এরপর থেকে মূলত ভারতীয় পেঁয়াজবাহী ট্রাক সীমান্তে আসতে শুরু করে। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না মেলায় সীমান্তে এসে অপেক্ষা করতে থাকে পেঁয়াজের গাড়ি। শেষমেশ গত ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে দেশে পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে গাড়িতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। আবার মান একটু ভালো থাকায় বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি বলে জানা গেছে।
এদিকে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে বুধবার চিনি বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৪ হাজার ৫৮০ টাকায়। গতকাল (মঙ্গলবার) বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকায় এবং সোমবার বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৪৬০ টাকায়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, চিনির তো তেমন কোনো সংকট নেই। দাম বাড়ানোর জন্য একটি চক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। মূলত সরকার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় একটির পর একটি সংকট তৈরি হচ্ছে। কোনোভাবে লাগাম টানা যাচ্ছে না। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে এরকম হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশকে ৮৬ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

জলবায়ু সহনশীল কৃষি এবং সড়ক নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে প্রায় ৮৬ কোটি (৮৫ কোটি ৮০ লাখ) ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে বুধবার দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ইআরডি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে সাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, ইন্টারপ্রেনিয়রশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় ৫০ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে খাদ্য নিরপত্তা, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, শস্য বৈচিত্র্যায়ন, জলবায়ু সহনশীল শস্য উৎপাদন, যুব উদ্যোক্তা তৈরিসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া রোড সেফটি প্রকল্পের আওতায় ৩৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা হবে।
এছাড়া নির্বাচিত উচ্চঝুঁকিপূর্ণ মহাসড়ক এবং জেলা সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহত কমাতে সহায়ক হবে। দুটি জাতীয় মহাসড়ক-(গাজীপুর-এলেঙ্গা) এবং নাটোর থেকে নবাবগঞ্জ পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় উন্নত প্রকৌশল নকশা, স্বাক্ষর ও চিহ্নিতকরণ, পথচারীদের সুবিধা, গতি প্রয়োগ এবং জরুরি সেবাসহ ব্যাপক সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। এটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে কাজ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সোনার দাম বাড়লো

দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ৭৫০ টাকা বেড়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) থেকে সব থেকে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
গত ১৮ মার্চ দেশের ইতিহাসে এক লাফে সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এত দাম হয়নি। ১৯ মার্চ থেকে সোনার এ দাম কার্যকর হয়।
বুধবার (৭ জুন) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৯৫৩ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়লে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে ২৮ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়ে ৯৬ হাজার ৬৯৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৭৪ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৩২০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ২৯১ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা করা হয়েছিল।
তার আগে ১৬ এপ্রিল সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা করা হয়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৮৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ২৫১ টাকা করা হয়েছিল।
গত ১১ এপ্রিল সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা কমিয়ে ৯৭ হাজার ১৬১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯২৫ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৭২৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ৪৯০ টাকা এবং আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ৬৬ হাজার ২৫১ টাকা করা হয়।
গত ২ এপ্রিল ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৬৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ১২৩ টাকা এবং আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ৫৯৩ টাকা করা হয়েছে।
তারও আগে গত ২৪ মার্চ সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা এবং আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়।
এরআগে গত ২৩ মার্চ ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৮৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৭৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তার একদিন আগে গত ২২ মার্চ সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৩৪ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা কমিয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়।
তার আগে গত ১৮ মার্চ সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৭ হাজার ২৯০ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৬ হাজার২৪১ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৫ হাজার ১৩২ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের অর্থনীতি ওপরে চকচকে কিন্তু গভীরতা কম

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বর্তমানে দেশে চকচকে অর্থনীতি আছে, কিন্তু গভীরতা কম। ফলে সামান্য বাতাসে এটা কেপে উঠে। এখন অর্থনীতির গভীরতা বাড়াতে হবে। অর্থনীতির গভীরতা বাড়ানোর জন্য কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে। আমরা সেই কাজটাই করব, যেটা করলে অর্থনীতির গভীরতা বাড়বে।
বুধবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবিএস’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনএসডিএস ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন এবং প্রকল্পটির সিনিয়র কনসালটেন্ট বিকাশ কিশোর দাস।।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ভারতের অর্থনীতি সামান্য ধুলা বাতাসে কেপে উঠে না। কারণ তাদের অর্থনীতির গভীরতা অনেক। আমাদের থেকে তাদের অর্থনীতির গভীরতা প্রায় ৫০ গুণ বড়। এ কারণে হাওয়ার দোলাটা তাদের একটু কম লাগে। তবে ভারতের এই অর্থনীতি এক দিনে হয়নি। শতবর্ষের প্রচেষ্টায় হয়েছে। আমরাও সেই প্রচেষ্টায় আছি। ভালোভাবেই আছি। আমাদের অর্থনীতিতে উপরে যথেষ্ট চাকচিক্য এসেছে। এখন গভীরতা বাড়াতে হবে।
এমএ মান্নান বলেন, এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ভয়ংকর মূল্যস্ফীতি এবং বিদ্যুতের সমস্যা। এটা মোকাবিলা করতে হবে। মোকাবিলার জন্য কিছু কৌশল ঠিক করা হয়েছে। খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করতে হবে। কৌশলগুলোর মধ্যে প্রধান উদ্দেশ্যই হলো ডলার বাড়ানো। অধিক পরিমাণে মার্কিন মুদ্রা আয় করতে হবে এবং জমাতে হবে।

বিবিএসের জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র শীর্ষক প্রকল্প প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যানের উন্নয়নে গুরুত্ব বাড়ছে। যেকোনো তথ্যের জন্য পরিসংখ্যান আমাদের প্রধান অস্ত্র। যা দিয়ে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয় এবং বাস্তবায়নে কাজে লাগে। ভবিষ্যতে গুরুত্ব আরও বাড়বে। এজন্য বিবিএসকে বিভিন্ন কাজ করতে হবে। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে। মিতব্যয়ী মানে এমন নয় যে অর্থ খরচ করব না। তবে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এক টাকাও খরচ করলে সেটার ফল যেন পাওয়া যায়। এজন্য কাজ সমাপ্তির পর মূল্যায়ন করাটা জরুরি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১১ হাজার কোটি টাকায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৩ হাজার ৮৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৮০ কোটি ৭৮ লাখ পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ফরিদপুর জেলাধীন মধুমতি নদীর বাম তীরের ভাঙন হতে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর সংযোগ রাস্তাসহ অন্যান্য এলাকা সংরক্ষণ ও ড্রেজিং’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘বাগেরহাট জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প; কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগার উন্নয়ন’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘নেত্রকোণা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘আশ্রয়ণ-২ (৫ম সংশোধন)’ প্রকল্প।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ‘১০টি মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১৯টি হোস্টেল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প; স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ‘পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, পটুয়াখালী (১ম সংশোধনী)’ প্রকল্প; মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং স্থাপন’ ও ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (এইচইএটি)’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায়) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভটি প্রজেক্ট-১: শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘সাতক্ষীরা সড়ক ও সিটি বাইপাস সড়ককে সংযুক্ত করে সংযোগ সড়কসহ তিনটি লিংক রোড নির্মাণ (প্রস্তাবিত ১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; ‘সাভার সেনানিবাস এলাকায় মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন’ প্রকল্প; ‘ডিজিএফআই এর টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ এবং কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়ন (টিআইএইচডিটিসিবি) (প্রস্তাবিত ২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (প্রস্তাবিত ২য় সংশোধনী)’ প্রকল্প, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের মেয়াদ ৪র্থ বার বৃদ্ধি’ প্রকল্প ‘চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড’ প্রকল্প; ‘জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমি প্রতিষ্ঠা’ প্রকল্প এবং ‘নড়াইল জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এই.ইউ