জাতীয়
আ’লীগ নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ শেখ হাসিনার

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোনো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে না। আমাদের নেত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। বরং সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবেন।’
শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সামাবেশে এ কথা বলে ওবায়দুল কাদের। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা ইফতারের আয়োজন না করে পার্টির পক্ষ থেকে, যারা কষ্টে আছেন, যারা গরিব মানুষ তাদের হাতে খাবার তুলে দেবো।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বিদ্যুৎ নিয়ে সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী

তীব্র তাপদাহে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তির মধ্যে বিদ্যুৎ নিয়ে সুখবর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দুই একদিনের মধ্যেই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হতে যাচ্ছে। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
আজ বুধবার (৭ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। তাদের কষ্ট উপলব্ধি করতে পারছি আমরা। আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। দু’একদিনের মধ্যেই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে।’
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেয়া বিদ্যুতে, ইন্টারনেটে, এসি রুমে বসে আমাদেরই সমালোচনা করা হয়৷ আমরা জানি, কখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷ কখন কোন কথা বলতে হয়৷ ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে৷’
দেশে তীব্র দাবদাহের মধ্যে জ্বালানির অভাবে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় পায়রার ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। প্রথম ইউনিটের পর সোমবার থেকে দ্বিতীয় ইউনিটও বন্ধ হয়।

দেশের সবচেয়ে বড় চালু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জোগান মেটাতে বড় ধরণের ঘাটতির মুখে পড়তে হয়ে সরকারকে। লোড ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল চেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, হঠাৎ লোডশেডিং বেড়ে যাওয়া আকস্মিক ঘটনা। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তথা গণতন্ত্রের স্বার্থে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, সংলাপ চলমান থাকবে। সংলাপের বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সবকিছুই সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৪ দলের সমাবেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
তবে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ বা আলোচনার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বুধবার সকালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসের আলোচনায় জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এমন কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি।
এদিকে সংলাপ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি পপুলার পার্টি। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণের ক্ষমতায় চলতে হবে। জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই সংলাপ বা আলোচনার বিকল্প কিছু নেই।
জামায়াতে ইসলামীকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা রাজনীতি করেন তাদের সভা-সমাবেশ করার রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে। তারা তাদের মতামত প্রদর্শন করবে, জানাবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি যতদূর জানি, জামায়াতে ইসলামী এখন নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত রাজনৈতিক দল নয়। কাজেই এ বিষয়ে আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সিদ্ধান্ত জানাবেন। ঢাকায় (বায়তুল মোকাররম এলাকায়) সমাবেশ করতে দিলে কোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আগামী নির্বাচনে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পনা আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা যেটা বলেছে সেটাই যথেষ্ট। তারাই মনিটরিং করছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এটুকু মনে করি, রাষ্ট্রদূতরা যেন তাদের শিষ্টাচার মেনে, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৬ দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আজ বুধবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে অনন্য প্রতিবাদী, আত্মত্যাগে ভাস্বর ও গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামী একটি দিন। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-এ তিনি এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। পরে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের পক্ষে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ

আজ বুধবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলন সূচনার দিন। ১৯৬৬ সালের এদিন বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন স্পষ্টত নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়। এর মধ্য দিয়ে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ছয় দফাভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৬-দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। আমি বিশ্বাস করি, তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ৬-দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে এবং প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছি। গত প্রায় সাড়ে ১৪ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।
পাকিস্তানিদের দুঃশাসন থেকে বাঙালির মুক্তির দিশারী হিসাবে ছয় দফা দাবি প্রণয়ন করে জনগণের সামনে বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা-সংগ্রামে রূপ নেয়। ছয় দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সর্বশেষ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ছয় দফাকে স্থান দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ উপেক্ষা করে ছয় দফার প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব না দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ওই সম্মেলনে আর যোগ দেননি। তবে লাহোরে অবস্থানকালেই ছয় দফা উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু।
এর মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আখ্যা দিয়ে সংবাদ ছাপানো হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে ১৩ মার্চ ছয় দফা এবং দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি দলের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন।
ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুরু হয় আওয়ামী লীগের আন্দোলন। হরতালও ডাকা হয়। হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন।
ক্রমেই ছয় দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন তৈরি হয়। জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। ছয় দফাভিত্তিক ১১ দফা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় শুরু হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান।
সর্বোপরি ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জনগণ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে একচেটিয়া রায় দেন। জনগণ বিজয়ী করলেও স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
ছয় দফার মূল বক্তব্য ছিল—প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সব ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি পৃথক ও সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর ও শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচি
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। এদিন বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছয় দফা দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ওমান থেকে কয়লাবাহী ৭৭ জাহাজ আসার খবর মিথ্যা

ওমান থেকে কয়লাবাহী ৭৭টি জাহাজ বাংলাদেশে আসছে বলে যে খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা ‘শতভাগ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ বলে জানিয়েছে সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে কয়লা সংকটে উৎপাদন বন্ধ থাকা পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ওমান থেকে নয়, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত ৮টার দিকে মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের বরাতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ কথা জানানো হয়।
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলো- বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান থেকে ৮৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৯৫ মেট্রিক টন কয়লাসহ ৭৭টি বিশাল জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।’
মন্ত্রণালয়ের পোস্টে বলা হয়, ‘এ ধরনের খবরের কোনো সত্যতা নেই। এটা শতভাগ মিথ্যা বা বিভ্রান্তকর খবর। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আসবে ইন্দোনেশিয়া থেকে। আগামী ২৪ জুন তা পৌঁছাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে।’

অর্থসংবাদ/এসএম