আন্তর্জাতিক
অর্থের অভাবে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত

নির্বাচন কমিশনের সূচি অনুযায়ী পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না- তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। চলতি বছর ৮ অক্টোবর পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা দেশটিতে। বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনের দিন এগিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন; কিন্তু তার সেই দাবিতে কার্যত পানি ঢেলে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের ব্যাপক সমালোচনাও করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানী ইসলামাবাদে কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে খাজা আসিফ বলেন, ‘চলতি বছর নির্বাচন হবে কিনা— তা পুরোপুরি অনিশ্চিত, কারণ নির্বাচনের আয়োজন করার মতো তহবিল এই মুহূর্তে সরকারের হাতে নেই। তহবিল হাতে না আসা পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব হবে না।’
ইমরান খানের সমালোচনা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে পাকিস্তানের একটি বড় সমস্যার নাম ইমরান খান। তাকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা চলছে বলে যে অভিযোগ তিনি করেছিলেন— তা ছিল মিথ্যা। ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি সাবেক সেনাপ্রধান কামার আহমেদ বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন, (ক্ষমতা হারানোর পর) এখন তাকেই দোষারোপ করছেন। এমনকি তিনি এ ও বলেছেন— তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল।’
সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছিল, কিন্তু পাঞ্জাব, সিন্ধ প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার বিলোপের ক্ষেত্রে তিনি অগণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। এছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালে বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের ব্যাপক দমনপীড়নও করেছেন তিনি।

‘পিটিআই সরকারের তিন বছরের শাসনামলের গোটা সময় আমাকে জেলে কাটাতে হয়েছে। আমাদের নেতৃত্বকেও (নওয়াজ শরিফ-শেহবাজ শরিফ) মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন তিনি।’
এদিকে, খাজা আসিফের এই বক্তাব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওবার্তা পোস্ট করেন ইমরান খান। সেখানে সরকারের নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইমরান খান বলেন, নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সংবিধানবিরোধী এবং পাকিস্তানে বর্তমানে প্রতারকদের শাসন চলছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালো বিশ্বব্যাংক

সুদহারবৃদ্ধি এবং লোন দেওয়ার বিষয়টি কঠিন করায় ২০২৪ সালে বৈশ্বিক অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বৃদ্ধি করেছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৬ জুন) এ পূর্বাভাস প্রকাশ করা হয়।
এর আগে জানুয়ারি মাসে অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশ করেছিল বিশ্বব্যাংক। তখন বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। সেটি কমিয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়েছে।
এ বিষয়গুলো ২০২৩ সালের শেষ ছয় মাসের প্রবৃদ্ধিও কমাবে। তবে ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ বছর (২০২৩) গ্লোবাল গ্রোস ডমিস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) ২ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হবে। জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাসে এ সংখ্যাটি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বলা হয়েছিল। যদিও জিডিপি বাড়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটি ২০২২ সালের ৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে অনেক কম।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দারমিত গিল বলেছেন, গত ৫ দশকের মধ্যে উন্নত অর্থনীতির ক্ষেত্রে ২০২৩ সাল হবে প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ধীর।
আর উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কম প্রবৃদ্ধি দেখবে। এসব উন্নয়নশীল অর্থনীতি করোনা মহামারি ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা, দারিদ্রতা কমানো এবং ঋণের ধাক্কা থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানে স্বর্ণের দাম কমার রেকর্ড

অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাকিস্তানে রেকর্ড পরিমান হ্রাস পেয়েছে। চলতি জুনের প্রথম সপ্তাহেই দু’বার স্বর্ণের দাম কমলো দেশটিতে।
পাকিস্তানের স্বর্ণালঙ্কার ও রত্ন ব্যবসায়ীদের সংগঠন অল-পাকিস্তান সারাফা জেমস অ্যান্ড জুয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দেশটিতে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে (১১ দশমিক ৬৬ গ্রাম) ১ হাজার রুপি কমে হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৪০০ রুপি; আর ২৪ ক্যারেটের প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের (গিনি) দাম ৮৫৭ রুপি কমে হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩১ টাকা।
এর আগে গত ১ জুন, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে কমেছিল স্বর্ণের দাম। ওই দিন প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৪০০ রুপি এবং ২৪ ক্যারেটের ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৬২৯ রুপি হ্রাস পেয়েছিল।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে স্বর্ণের এই পরিমাণ মূল্যহ্রাস এর আগে ঘটেনি পাকিস্তানে। সেই হিসেবে এটি একটি রেকর্ড।
আর্থিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির জেরে ডলারের মজুত তলানিতে নেমে যাওয়ায় গত বছরের শেষ দিক থেকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। প্রয়োজন অনুযায়ী ডলারের মজুত না থাকায় ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে এবং গম, ডিম, আটা-ময়দা, ওষুধ, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে পাকিস্তানে। এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা।

জাতীয় অর্থনীতিতে পাথরের মতো চেপে বসা এই চাপ সামাল দিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ১১০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ (বেইল আউট) চেয়েছে পাকিস্তান। কবে নাগাদ সেই ঋণ মিলবে— এখনও তার ইঙ্গিত দেয়নি আইএমএফ তবে ইসলামাবাদ আশা করছে, চলতি মাসে বাজেট পেশের আগেই আইএমএফ থেকে ‘সুসংবাদ’ আসবে।
এই পরিস্থিতেতে স্বর্ণের দাম হ্রাস পাওয়া দেশটির অর্থনীতির জন্য ‘শুভ সংকেত’ বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দিনমজুর থেকে এশিয়ার শীর্ষ ধনী ঝং শানশান

চীনের ঝং শানশান এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। ভারতের বিজনেস টাইকুন গৌতম আদানিকে পেছনে ফেলে তিনি এই স্থানে উঠে এলেন। আর এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়র্স ইনডেক্সের তালিকা অনুযায়ী, গৌতম আদানি ১৮তম স্থান এক ধাপ পিছিয়ে ১৯তম স্থানে রয়েছেন। আর ১৮তম স্থানে রয়েছেন শানশান। বিশ্বের সেরা ২০ ধনকুবেরের তালিকায় গৌতম আদানি এই মুহূর্তে ১৯তম স্থানে। ফলে ২০ জনের তালিকার একেবারে শেষের দিকে তিনি। এই তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, কে এই চীনা কোটিপতি, যিনি বিশ্বের শীর্ষ ২০ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক শানশানের পরিচিতি।
কে এই ঝং শানশান
ঝং শানশান ৬২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক। চিনের ঝং শানশান ব্লুমবার্গের তালিকায় বিশ্বের ১৮তম ধনী ব্যক্তি। আর এশিয়ার শীর্ষ ধনীদের মধ্যে দ্বিতীয়। গত সপ্তাহে তার নামে ১.১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ যোগ হয়েছে।

জানা যায়, এককালে তিনি ছিলেন দিনমজুর। পরে তিনি বাড়ি বাড়ি সেলসম্যানের কাজ করতেন। এককালে করেছেন সাংবাদিকতাও।
পরে ‘নোংফু স্প্রিং’ নামের মিনারেল ওয়াটার প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার হন ঝং শানশান। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। পানি বিক্রি করেই তিনি চীনের শীর্ষ ধনী হয়ে ওঠেন।
শীর্ষ ২০ ধনকুবেরের তালিকায় কতজন এশিয়ার?
ব্লুমবার্গের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মুকেশ আম্বানি ১৩তম স্থানে রয়েছেন। ৮৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে তিনি ধনীদের তালিকায় এশিয়ায় সবচেয়ে আগে। এরপর রয়েছেন ঝং। আর তৃতীয় স্থানে আছেন গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এশিয়ার এই ৩ ব্যবসায়ী স্থান করে নিয়েছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি
এই মুহূর্তে ১৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তি সঙ্গে নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ইলন মাস্ক। এমনই তথ্য দিয়েছে ব্লুমবার্গের তালিকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বার্নার্ড আর্নল্ট, তৃতীয় স্থানে জেফ বেজোস ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। আর পঞ্চম স্থানে ল্যারি এলিসন, ষষ্ঠ স্থানে স্টিভ বলমার, সপ্তম স্থানে ওয়ারেন বাফেট, অষ্টম স্থানে ল্যারি পেজ, নবম স্থানে সের্গেই ব্রিন ও দশম স্থানে মার্ক জুকারবার্গ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্নার্ড আরনল্ট ছাড়া সবাই যুক্তরাষ্ট্রের। আরনল্ট ফ্রান্সের বাসিন্দা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
হজের পূর্ণ পরিকল্পনা প্রকাশ সৌদির

আসন্ন হজ মৌসুম নিয়ে নিজেদের পূর্ণ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারির পর এবারই সবচেয়ে বড় পরিসরে হজের পরিকল্পনা সাজিয়েছে দেশটি।
হাজিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন করতে পারেন সেজন্য এবার রেকর্ড সংখ্যক ১৪ হাজার কর্মী মোতায়েন করবে সৌদি। এসব কর্মীর সঙ্গে থাকবেন আরও ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বছর হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হতে পারে ২৬ জুন।
এবারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মক্কার হারাম শরীফ এবং মদিনার মসজিদে নববীতে বিনামূল্যে ৩ লাখ পবিত্র কোরআন বিতরণ করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজিদের সুবিধার্থে ৫১টি ভাষায় অনুবাদক এবং গাইডের ব্যবস্থা রাখা হবে।
কোরআন তেলাওয়াত এবং হিফজের ওপর বিভিন্ন কর্মশালা থাকবে।

এছাড়া মক্কা ও মদিনায় ৩০ হাজার বিতরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে— প্রতিদিন অন্তত ২ মিলিয়ন লিটার, আর সব মিলিয়ে ৪০ মিলিয়ন লিটার জমজমের পানি বিতরণ করা হবে।
হাজিদের সুবিধার্থে মোবাইল অ্যাপস, রোবটসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সুবিধা থাকবে।
সবকিছুই করা হবে দুই পবিত্র মসজিদ সম্পর্কিত জেনারেল প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে।
নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রেসিডেন্সির প্রেসিডেন্ট ডাক্তার আব্দুলরহমান আল-সুদাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাজ নেতৃত্বের বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দের সমন্বিত প্রস্তুতকৃত সেবা অনুযায়ী— করোনা মহামারির শেষে এবং কয়েক লাখ হাজি ফেরানোর ঘোষণা দেওয়ার পর— এবারই হজ মৌসুমের সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।’
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায়, এ বছর হজের ক্ষেত্রে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। ধারণা করা হচ্ছে এবার বিশ্বের ২৬ লাখ মুসল্লির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে কাবা প্রাঙ্গণ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তেলের উৎপাদন কমাচ্ছে সৌদি আরব

বিশ্বজুড়ে তেলের বাজার স্থিতিশীল করতে উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। আগামী মাস থেকে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমিয়ে দেবে। জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী ১৩ দেশীয় জোট ওপেক প্লাস ও এর ১০ মিত্র দেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটি। মিত্র দেশগুলোর নেতৃত্বে ছিল রাশিয়া।
গত কয়েক বছরে দামের উত্থান-পতনের ধারাবাহিকতায় এখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম পড়তির দিকে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়া বিশ্ববাজারে কম মূল্যের জ্বালানি তেল সরবরাহের কারণে দামে স্থিতাবস্থা আনতে পারছিল না ওপেক ও ওপেক প্লাস। ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো এর আগেও তেল উৎপাদন কমানোর জন্য দুই দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
অবশেষে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীদের দীর্ঘ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জোটগতভাবে দৈনিক ১৪ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানো হবে। এর মধ্যে সৌদি একাই কমিয়ে দেবে ১০ লাখ ব্যারেল।
রোববার সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকেই তারা বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে গড়ে অন্তত ১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল কম উৎপাদন করবে। সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আব্দুল আজিজ বিন সালমান এক সংবাদ সম্মেলনে ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বলেন, এটি আমাদের জন্য বিশাল এক প্রাপ্তির দিন।
কারণ আমরা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি, তা নজিরবিহীন। জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর এই সিদ্ধান্ত অনেক বেশি স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ। এদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলছে, এর ফলে রাশিয়াই উপকৃত হবে। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি বাণিজ্যের ওপর অবরোধ আরোপ করলেও তেলের দাম বাড়ায় এমনিতেই ওই অবরোধ খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না। তার ওপর ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্ত রাশিয়াকে আরও বেশি সুবিধা করে দেবে। ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৪০ শতাংশ উৎপাদন করে থাকে।

গত কয়েক মাসে ওপেক প্লাস তাদের দৈনিক উৎপাদন থেকে ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমিয়েছে। এখন আবার ১৪ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দিলে বিশ্ববাজারে তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।