Connect with us

অর্থনীতি

হজ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক

Published

on

ব্লক

হজ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে আগামী শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন।

এতে বলা হয়েছে, ‘হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পূর্ণ দিবস (সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত) ব্যাংক খোলা রাখতে হবে।’

একইসঙ্গে আগামী ২৭ মার্চ (সোমবার) প্রয়োজনে অফিস সময়ের পরেও প্রস্তুত করা ভাউচারের অর্থ নেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এ নির্দেশ জারি করা হলো।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সবশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, হজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়েছে। তাছাড়া নতুন করে নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

বাণিজ্য ঘাটতি কমে ১ হাজার ৫৭৩ কোটি ডলার

Published

on

ব্লক

ডলার সংকট ও আমদানি নিয়ন্ত্রণের কারণে ধারবাহিকভাবে কমছে বাণিজ্য ঘাটতি। এপ্রিল মাস শেষে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১ হাজার ৫৭৩ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৫ কোটি। ২০২২ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৬৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ঘাটতি কমেছে ৪৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। গত মার্চে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৪৬১ কোটি ডলার।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে চলতি হিসাবের লেনদেন ভারসাম্যের ঘাটতিও কমে হয়েছে ৩৭৭ কোটি ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৫৪৯ কোটি ডলার। এ হিসাবে কমেছে ১ হাজার ১৭২ কোটি ডলার।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ও চলতি হিসাবের পরিসংখ্যানের হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে উভয় হিসাবেই আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঘাটতি কমেছে।

হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের গত ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭৩ কোটি ডলার। এক বছর আগে গত মার্চে এ ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৭৬৯ কোটি ডলার। এ হিসাবে ঘাটতি কমেছে ১ হাজার ১৯৬ কোটি ডলার (১০.৯৬ বিলিয়ন)। শতকারা হিসাবে কমেছে ৪৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৮৭৮ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের আলোচিত সময়ে আমদানি খাতে ব্যয় ছিল ৬ হাজার ৮৬৭ কোটি ডলার।

চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত আমদানি ব্যয় ছিল ৫ হাজার ৩৯৪ কোটি ডলার। এ হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ডলার বা ২৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রপ্তানি খাতে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৯৭ কোটি ডলারের, যা গত অর্থবছরের আলোচিত সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে রপ্তানি থেকে আয় এসেছিল ৩ হাজার ৯৩১ কোটি ডলার।

চলতি অর্থবছর রেকর্ড ৩৩ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি এবং ১৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি নিয়ে শুরু হয়েছিল। এর পর নানামুখী উদ্যোগে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসার প্রভাবে এ সময়ে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের ঘাটতিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে। চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা মানে নিয়মিত লেনদেনে কোনো ঋণ করতে হয় না দেশকে। আর ঘাটতি থাকলে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়।

রিজার্ভ কমে আসা এবং চলতি হিসাবে রেকর্ড ঘাটতির মধ্যে সরকার বাজেট সহায়তাসহ আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী ও দেশের কাছে অর্থায়নের চেষ্টা শুরু করে। এর অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে সরকার। এর প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার গত ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই পেয়েছে বাংলাদেশ। কিস্তিতে অবশিষ্ট অর্থ পাওয়া যাবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।

অপরদিকে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে গত বুধবার ৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী জুন নাগাদ আরও কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে ঋণে অর্থ পাওয়ার আশায় রয়েছে বাংলাদেশ। এসব অর্থ ছাড় হলে চলতি হিসাবের ঘাটতি আরও কমে তা ভারসাম্য আনতে সহায়ক হবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে গত এপ্রিল শেষে সামগ্রিক লেনদেনের (ওভার অল ব্যালান্স) ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৮৪০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার কম। ২০২১-২২ অর্থবছরের এপ্রিলে ঘাটতির এ পরিমাণ ছিল ৮১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ পরিসংখ্যান বলছে, বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে, এপ্রিল শেষে যা দাঁড়িয়েছে ২১৬ কোটি ডলারে। ২০২১-২২ অর্থবছরের মার্চে এ হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ১১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। গত মার্চে এ হিসাবে ঘাটতি ছিল ২২১ কোটি ডলার।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বিদেশে গেলেই ট্যাক্স রিটার্নে দিতে হবে সম্পদের তথ্য

Published

on

ব্লক

করবর্ষের শেষ তারিখে ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকলে এবং বছরের কোনও সময়ে চিকিৎসা বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য ব্যতীত ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ ভ্রমণ করলে যাবতীয় সম্পদের তথ্য আয়কর রিটার্নের সম্পদ বিবরণীতে জানানো বাধ্যতামূলক করে ‘আয়কর বিল-২০২৩’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। আয়কর কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা কমানোর পাশাপাশি বিলে করদাতাদের রিটার্ন জমা আগের তুলনায় সহজ করার প্রস্তাব রয়েছে এতে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে এ সংক্রান্ত ‘আয়কর বিল-২০২৩’ তোলেন। পরে পাঁচদিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলটি উত্থাপনের বিরোধিতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তবে তার বিরোধিতা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম নতুন আয়কর আইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন পাসের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে বিদেশে অর্থ পাচার বৃদ্ধির পাশাপাশি খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। নতুন আয়কর কার্যকর হলে একই ঘটনা ঘটবে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।

এরপর অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আয়কর ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এই বিলটি আনা হয়েছে। বিলটি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এরপরও সংসদীয় কমিটি ও সংসদে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। বিলটি পাসের আগে সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে যুগোপযোগী করা যাবে।

করযোগ্য আয় না থাকলেও দেশের সীমানা পেরোলেই ফ্ল্যাট, জমি, আসবাব ও ব্যাংক ব্যালেন্সসহ যাবতীয় সম্পদের তথ্য জানানো বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে সংসদে উত্থাপিত বিলে। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্যাক্স রিটার্নসহ তাদের সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে। করদাতাদের ট্যাক্স রিটার্নে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে তাদের সম্পদ ও দায় উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো করদাতা যদি তার রিটার্নে বিদেশে থাকা সম্পদ প্রদর্শন না করেন, আর সেই সম্পদের খোঁজ যদি কর কর্মকর্তারা পান এবং ওই সম্পদ অর্জনের উৎস ও অন্যান্য বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারেন তবে কর কর্মকর্তারা জরিমানা করতে পারবেন। বিদেশে থাকা সম্পত্তির ন্যায্য বাজারমূল্যের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা আদায়ও করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন আয়কর আইন ১৯২২ সালের আয়কর আইন সংশোধন করে প্রণয়ন করা বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর স্থলাভিষিক্ত হবে। প্রস্তাবিত আইনে হিসাব পদ্ধতি, অবমূল্যায়ন ও মর্টাইজেশন বিধিমালা, মূলধন লাভ সম্পর্কিত বিধান, অদৃশ্য সম্পদ থেকে আয়, স্থানান্তর মূল্য ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ব্যবসায় পুনর্গঠন-মার্জার, ডিমার্জারকে ট্যাক্স নিউট্রাল করে আইনি বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাক্ষমতা যথাসম্ভব হ্রাস করার বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজীকরণের লক্ষ্যে বিধানাবলির প্রস্তাব করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চাকে প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কর পরিপালন সহজীকরণে স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল, রিটার্ন প্রসেস ও রিটার্ন অডিট সংক্রান্ত বিধানাবলির আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিতকরণপূর্বক পদ্ধতি অনুসৃতব্য করা হয়েছে। তাই প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে আয়কর, অগ্রিম আয়কর, উৎসে কর, ন্যূনতম কর, সারচার্জ ও অন্য কোনো প্রকারের কর আরোপ, আদায়, সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা সহজীকরণসহ আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

আইনটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে-বিদ্যমান আইনে ইংরেজিতে প্রণীত বিধানসমূহের বিষয়বস্তু সহজ সরল বাংলা ভাষায় রূপান্তর করা হয়েছে। আইনের যথাযথ ও সুস্পষ্ট প্রয়োগের স্বার্থে যথাসম্ভব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে। একই বিষয় সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো একই অধ্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে করে করদাতাদের পুরো আইনের বিভিন্ন জায়গায় পরিভ্রমণের প্রয়োজন হবে না। প্রস্তাবিত আইনে হিসাবরক্ষণের পদ্ধতি, অবচয় ও অ্যামরটাইজেশনের নিয়মাবলি, মূলধনি লাভ সংক্রান্ত বিধানাবলি, স্পর্শাতীত পরিসম্পদ হতে আয়, ট্রান্সফার প্রাইসিং, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিধানাবলি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্যবসায় পুনর্গঠন-মার্জার, ডিমার্জারকে ট্যাক্স নিউট্রাল করে আইনি বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশে স্টার্টআপ প্রতিবেশ আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে স্টার্টআপ সান্ডবক্সের প্রস্তাব করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাক্ষমতা যথাসম্ভব হ্রাস করার বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে।

ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজীকরণের লক্ষ্যে বিধানাবলির প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান অধ্যাদেশ এর অধীন উৎসে কর কর্তন সম্পর্কিত ২১টি রিটার্ন ও বিবরণী দাখিলের পরিবর্তে প্রস্তাবিত আইনে মাত্র ১২টি রিটার্ন দাখিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান

Published

on

ব্লক

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান করেছে সরকার।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে বদলির মাধ্যমে প্রেষণে নিয়োগ করা হলো।

জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

দুই সিটিতে ব্যাংক বন্ধ সোমবার

Published

on

ব্লক

বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামী সোমবার (১২ জুন) নির্বাচনী এলাকায় সব ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বৃহস্পতিবার ( ৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপরিভিশন এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এবং ২টি পৌরসভার (নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার পৌরসভা ও কক্সবাজার পৌরসভার) এবং ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১২ জুন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তফশিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা ও উপশাখা বন্ধ থাকবে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই তফশিল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনে সংসদে বিল

Published

on

ব্লক

ব্যাংকের পরিচালক বা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনিয়মে আর্থিক ক্ষতি পূরণে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে ব্যাংক। এমন বিধান যুক্ত করে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) বিল ২০২৩ সংসদে তোলা হয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি সংসদে তোলেন। পরে তা ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বিলটি উত্থাপনে আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। আপত্তি তোলার সময় ফখরুল ইমাম অভিযোগ করেন, আইএমএফের শর্ত মেনে এই সংশোধনী বিলটি আনা হয়েছে। সংসদে কোনো কিছু গোপন করা উচিত নয়।

তবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কারো পরামর্শে এই সংশোধনী আনা হচ্ছে না। আধুনিক ও সময়োপযোগী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কিছু সংশোধন আনা হচ্ছে। পরে কণ্ঠভোটে ফখরুল ইমামের আপত্তি নাকচ হলে বিলটি সংসদে তোলেন অর্থমন্ত্রী।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একটি একক পরিবারের সদস্যের বাইরে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বোচ্চ দুটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পক্ষে প্রতিনিধি পরিচালক থাকতে পারবে। তবে কোনো ব্যাংকের পর্ষদে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পক্ষে একজনের অধিক ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক নিযুক্ত হতে পারবে না।

আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের পর্ষদে প্রাকৃতিক ব্যক্তিস্বত্ত্বা বিশিষ্ট ব্যক্তি শেয়ারহোল্ডারের পক্ষে অপর কোনো ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবেন না। অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি ব্যাংকের শেয়ারের মালিক হলে তার প্রতিনিধি হিসেবে অন্য কোনো ব্যক্তিকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

বিদ্যমান আইনে কোনো ব্যাংক পরিচালক একইসময়ে অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকতে পারবেন না। তবে এই আইন কার্যকর হবার পর সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে বিমা কোম্পানির পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও ২০১০ সালে প্রণীত বিমা আইন অনুযায়ী কোনো বিমা কোম্পানির পরিচালক ব্যাংক কোম্পানির পরিচালক হতে পারেন না।

সংশোধনী খসড়ায় কোনো ব্যাংক পরিচালকের একইসঙ্গে বিমা কোম্পানির পরিচালক পদে থাকার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।

তবে কোনো পরিচালক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালক হতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে বিদ্যমান আইনে কিছু বলা নেই। কিন্তু একজন পরিচালক আরও কোন কোন কোম্পানিতে পরিচালক থাকতে পারবেন না বলে বিলে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ব্যাংকের পরিচালক হলে একই সময়ে তিনি অন্য কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি বা এসব কোম্পানির কোনো সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালক থাকতে পারবেন না।

এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এমন কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান যা ওই ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিমা কোম্পানির উপর নিয়ন্ত্রণ বা যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তার করে- এমন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকবে না বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে বিকল্প পরিচালক নিয়োগের সুযোগ থাকলেও তার মেয়াদকাল এবং বিকল্প পরিচালকদের যোগ্যতা সম্পর্কে কিছু বলা নেই। নতুন আইনে এসব বিষয় সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো পরিচালক কমপক্ষে নিরবচ্ছিন্নভাবে তিন মাস বিদেশে অবস্থান করলে তার অনুপস্থিতির কারণে পর্ষদ চাইলে মূল পরিচালকের বিপরীতে বছরে সর্বোচ্চ একবার একজন বিকল্প পরিচালক নিযুক্ত করতে পারবে। পরিচালক নিয়োগের যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো বিকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক-কোম্পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার স্বার্থে উহার পর্ষদ এবং পর্ষদ কমিটি সমূহের কর্মপরিধি বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সময় সময় নির্দেশনা জারি করতে পারবে।

নতুন আইনে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পাবে। এতে নতুন ধারা যোগ করে বলা হয়েছে, যে উদ্দেশ্যেই ব্যাংক কোনো সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হার বা পরিমাণের বেশি সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধন হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারবে না।

নতুন আইনের আওতায় সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যোগ্যতা ও উপযুক্ততার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করবে।

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাওয়া, বাড়ি-গাড়ি ও কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ তাদের রাজনৈতিক দলের কমিটিতে না রাখার বিধান রেখে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অধিকতর সংশোধন করতে একটি বিল সংশোধন আনা হয়েছে। এই বিলে এক পরিবার থেকে তিন জনের বেশি ব্যাংক পরিচালক হওয়া যাবে না এমন বিধান রয়েছে।

২০১৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে পরের বছরের মধ্যে খসড়া তৈরি করা হলেও তা চূড়ান্ত করতে খুবই ধীর গতিতে কাজ চলছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের সময় আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই খসড়া আইনটিকে পার্লামেন্টে বিল আকারে উত্থাপনে আইএমএফ শর্ত দেওয়ার পর গত ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা খসড়াটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

আইনি অস্পষ্টতার জায়গাগুলো দূর করতে এবং মন্দ ঋণের লাগাম টেনে ধরার জন্য অতি-জরুরি এই সংশোধনীগুলো বছরের পর বছর প্রক্রিয়াধীন ছিল। অংশীজনের মতামত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২০ সালেই খসড়া তৈরি করে। এতে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর বেশ কয়েকটি বিধানের পরিবর্তন এবং কিছু নতুন বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবশ্য বিদ্যমান আইনেও ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিধিনিষেধ আছে।

সংসদে উপস্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত করা ও চূড়ান্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুটি পৃথক কমিটি গঠন করবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সময়ে সময়ে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে।

তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আপিল করতে পারবে এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এছাড়া, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement
June 2023
SMTWTFS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930