পর্যটন
এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কিনবে বাংলাদেশ

বহুজাতিক কোম্পানি এয়ারবাসের কাছ থেকে বাংলাদেশ উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলী। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় কতটি উড়োজাহাজ কেনা হবে, সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
বুধবার (২২ মার্চ) সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর একই হোটেলে এয়ারবাস ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ–সম্পর্কিত একটি আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ–বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মাহবুব আলী বলেন, ‘আজকের আলোচনা শুধু বিমান কেনার বিষয়ে, তা বলা যাবে না। এখানে আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে বিমান খাতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের অভিজ্ঞতা আমরা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি, সেটিও আলোচনায় স্থান পাবে। তাতে এভিয়েশন খাতের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মতো বিষয় থাকবে। বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে এয়ারবাসের সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমাদের চিন্তা আছে এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার। তবে কতটি বিমান কেনা হবে এবং কবে কেনা হবে, সেটা এখনো ঠিক হয়নি।’
এয়ারবাস পৃথিবীর অন্যতম বড় বিমান সংস্থা, যারা বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের নকশা, নির্মাণ ও বিপণন করে। এটি ইউরোপভিত্তিক এবং ফ্রান্স, ব্রিটেন ও স্পেনে তাদের বড় অফিস ও সংযোজন কারখানা রয়েছে। এয়ারবাসের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং, যাদের কাছ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ কিনেছে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এয়ারবাস শুধু বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য এসেছে, তাই নয়। তারা আমাদের এভিয়েশন খাতে প্রযুক্তি বিনিময়ের পাশাপাশি শিক্ষা ও দক্ষতাবিষয়ক সহায়তাও দিতে চায়। এর মাধ্যমে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এভিয়েশন খাত নিয়ে যোগাযোগ আরও গভীর হবে।’
বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের একটি এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার পরিকল্পনা নিয়ে দেশের বিমানবন্দরগুলো সাজাচ্ছে, এ কথা উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, এয়ারবাসের সঙ্গে সহযোগিতা সরকারের সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
এভিয়েশন সামিটে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য রুশনারা আলী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এয়ারবাসের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসডুপুই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পর্যটন
এভিয়েশন খাতে প্রবৃদ্ধি হবে তিন গুণ: প্রতিমন্ত্রী

আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে প্রায় তিন গুণ প্রবৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন।
রোববার (২৮ মে) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ক্যাডেট পাইলটদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণে প্রেরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সময়োপযোগী অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কারিগরি ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এভিয়েশন সেক্টরের এই বিপুল প্রবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে এভিয়েশন শিল্পের প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের আরও বেশি সংখ্যক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে। দক্ষ জনবলের এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আরও বেশি প্রশিক্ষিত নারী পাইলট গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেক্সট জেনারেশন এভিয়েশন প্রফেশনালস (এনজিএপি)’ শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছে।
তিনি বলেন, দেশের এভিয়েশন শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি আমাদের বেসরকারি অংশীজনদেরও এগিয়ে আসতে হবে। দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণার্থী পাইলটদের উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইউএস-বাংলা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালন ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর সাদেকুর রহমান চৌধুরী, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশনস) মো. ইলিয়াস মালিক প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
কুয়েত প্রবাসীদের জন্য বিমানের ব্যাগেজ সুবিধা

কুয়েত প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এবার কুয়েত প্রবাসীদের জন্য অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও মূল্যহ্রাসের সুখবর নিয়ে এলো সংস্থাটি।
বুধবার (১০ মে) থেকে ৫ কেজি ১৪ কুয়েতি দিনার, ১০ কেজি ব্যাগেজ ১৯ কুয়েতি দিনার, ২৩ কেজি ব্যাগেজ ৩২ কুয়েতি দিনার এবং সঙ্গে ১ দিনারের সার্ভিস চার্জ নিতে পারবেন যাত্রীরা। ইকনোমিক ক্লাসে যাত্রীরা ৫০ কেজি ব্যাগেজ ও ৭ কেজি হাতে এবং বিজনেস ক্লাসে ৬০ কেজি ব্যাগেজ ও ৭ কেজি হাতে নিতে পারবেন। অতিরিক্ত এ ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজের মূল্যহ্রাসের খবরে উচ্ছ্বাসিত কুয়েত প্রবাসীরা।
স্কাই টাচ এবং বদুর ট্রাভেল এজেন্সির সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসনে মোবারক ও সেলিম হাওলাদার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ফলে গ্রাহকদের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সম্পর্কে নানা অভিযোগ ও আবদার আমাদের কাছে আসে। আমরাও চেষ্টা করি তাদের আবদার ও অভিযোগগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিতে। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজের মূল্যহ্রাস সময় উপযোগী চাহিদা ছিল তাদের। এতে কুয়েত বাংলাদেশ বিমানের প্রবাসী যাত্রীদের যাতায়াত বাড়বে। ফলে এতে লাভবান হবে বিমান এবং বাড়বে দেশের রেমিটেন্স। কুয়েত থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম রুটে বিমানে আরও ফ্লাইট বাড়ানো জরুরি বলেন মনে করেন এ কর্মকর্তারা।
কুয়েত বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সবসময় যাত্রীদের অভিযোগ এবং চাহিদা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত থাকে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজে মূল্যহ্রাস করেছি। বহির্বিশ্বে লাল সবুজ পতাকাবাহী বাংলাদেশের বিমান আমাদের নিজেদের বিমান। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীদের কর্ষ্টজিত আয়ে প্রবাসীদের নিয়মিত বাংলাদেশ বিমানে যাতায়াতের আহ্বান করেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
ঢাকা-কায়রো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইজিপ্ট এয়ার

সপ্তাহে দুদিন ঢাকা-কায়রো-ঢাকা গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইজিপ্ট এয়ার। এছাড়া ঢাকা থেকে কায়রো হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও আমেরিকারসহ ৬৪ শহরে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
শনিবার (১৩ মে) রাতে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এয়ারলাইন্সটি এসব তথ্য জানায়। তারা জানান, ঢাকা থেকে কায়রো যেতে সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা। ইজিপ্ট এয়ারের বহরে রয়েছে ২৪টি এয়ারবাস ও ৪১টি বোয়িং উড়োজাহাজ। এয়ারলাইন্সটি ইজিপ্টের ১৩ শহরে ও আন্তর্জাতিক ৬৫ শহরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ১৩টি দেশে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশে ইজিপ্ট এয়ারের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) আলো ঢাকা এভিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আলী সামী বলেন, ঢাকা ও কায়রোর রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। মিশরে বাংলাদেশিরা ব্যবসা, কাজ ও শিক্ষার জন্য ভ্রমণ করেন। তারা এখন সরাসরি বাংলাদেশ আসতে পারবেন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও আমেরিকা থেকেও ঢাকায় আসার সুযোগ বাড়বে।
অনুষ্ঠানে ইজিপ্ট এয়ারের পরিচালক (হলিডে) রোলা হেশাম বলেন, ভ্রমণের জন্য মিশর জনপ্রিয় গন্তব্য। আর ইজিপ্ট এয়ার মিশরের ভ্রমণের নানা রকম অফার দিচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকায় যাওয়া বা আসার ক্ষেত্রে যে কেউ মিশরে ভ্রমণ করতে পারবেন কম খরচে।
ইজিপ্ট এয়ারের চেয়ারম্যান ইহাব ই তাহতাভী বলেন, মিসরের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স ইজিপ্ট এয়ারের মাধ্যমে মিশরীয় আতিথেয়তা উপভোগ করতেন পারবেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্যও আমরা মিশরের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করবো। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও ভবিষ্যতে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশে এভিয়েশন হাব হতে যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তার প্রতিফলন ঘটছে। ইজিপ্ট এয়ার ফ্লাইট শুরু করছে। আরও নতুন নতুন এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চালাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফ্লাইট শুরুর ফলে মিশরের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও বাড়বে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
আন্তর্জাতিক এভিয়েশন হাবে পরিণত হবে বাংলাদেশ: প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যতম আন্তর্জাতিক এভিয়েশন হাবে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
বুধবার (১০মে) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বেবিচকের তিনটি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশগামী ও আগমনী যাত্রীদের জন্য সহজ ও আধুনিক উপায়ে উপযুক্ত সহযোগিতার জন্য ডিজিটাল এয়ারপোর্ট সার্ভিস নামক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, বিমানবন্দরের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অ্যাভসেকআইডি সিস্টেম এবং বিমানবন্দরের আশেপাশে ভবন স্থাপনের অনুমতির জন্য হাউট ক্লিয়ারেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিমান সেবা আরও সহজতর ও উন্নত করতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যা দৃশ্যমান। ক্রমেই এ দেশের পর্যটন ও বিমান খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে এ খাতের চিত্র। আমার বিশ্বাস এ শিল্প ২০২৪ সালে উন্নত বাংলাদেশ, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২০৭৫ সালে সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
ঢাকা-কায়রো সরাসরি ফ্লাইট শুরু ১৪ মে

মিশরের কায়রো থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে দেশটির সরকারি মালিকানাধীন এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান ইজিপ্ট এয়ার। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি পায় তারা।
ইজিপ্ট এয়ার জানায়, আগামী ১৪ মে এ রুটে প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করবে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ইজিপ্ট এয়ার মৌখিকভাবে বেবিচকের কাছে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা ব্যক্ত করে। তবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেনি। পরে ২০২২ সালের আগস্টে ঢাকা-কায়রো রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আবেদন করে তারা।
বেবিচকের কাছে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে এয়ারলাইন্সটি উল্লেখ করে, ঢাকা ও কায়রোর মধ্যে ইজিপ্ট এয়ারের সরাসরি ফ্লাইট শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশিরা মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারবেন। এছাড়াও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মিশরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। পর্যটকরা মিশরের বহুমুখী পর্যটনের সুবিধা ভোগ করবেন। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দুই দিন এবং ভবিষ্যতে সপ্তাহে সাত দিন ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ওই আবেদন পর্যালোচনার পর চলতি মাসে অনুমতি পেয়েছে তারা।
ইজিপ্ট এয়ার জানায়, সপ্তাহের রোববার ও বুধবার বোয়িং ৭৮৭-৯এস বিমান দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা। বাংলাদেশিদের যাত্রা সহজ করতে মিশরের সরকার বাংলাদেশিদের জন্য শর্তসাপেক্ষে অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের কোনো যাত্রীর যদি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইউরোপের সেনজেন ভিসা থাকে তাহলে তারা খুব সহজে অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা নিতে পারবেন। যাদের এসব দেশের ভিসা নেই তাদের বাংলাদেশে অবস্থিত মিশরের দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে হবে।

ইজিপ্ট এয়ার বর্তমানে ৬৯টি আধুনিক উড়োজাহাজের একটি বহর নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ ৮০টিরও বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।