আবহাওয়া
সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস

তিন বিভাগের বেশিরভাগ অঞ্চল এবং পাঁচ বিভাগের কিছু কিছু অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা বাড়ারও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। ঢাকায়ও বিচ্ছিন্নভাবে কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এসময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আবহাওয়া
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার সকালে আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়াও দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে— রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর ও সৈয়দপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
অর্থসংবাদ/এস.ইউ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
আজ যেসব জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। তার মধ্যে দুই জেলার ওপর দিয়ে তাপমাত্র বেশি প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়েও বয়ে চলেছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ।
যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এই সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাজশাহী ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙ্গামাটিতে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে, ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর সোমবার ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী ১৫ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল পশাল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
তাপপ্রবাহ নিয়ে সতর্কবার্তা, আর কতদিন থাকবে গরম?

চলমান তাপপ্রবাহ আরও পাঁচ থেকে ছয় দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশসহ ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নিকলিতে ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বশেষ রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হচ্ছে দিনাজপুরে ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে ১২ মিলিমিটার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
তাপমাত্রা ৪১.১ ডিগ্রি, ৬ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

গরমে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। এ দাবদাহ থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে ঢাকাসহ ছয় বিভাগে স্বল্প পরিসরে হালকা বৃষ্টির আভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
একদিকে তাপমাত্রা বেশি, এর ওপর বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি। সবমিলিয়ে মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় হালকা পরিশ্রমেই ঘেমে-নেয়ে একাকার। ফ্যানের নিচে থেকেও ঘামছে মানুষ। তাপপ্রবাহ কোথাও মৃদু কোথাও তীব্র।
চলমান তাপপ্রবাহ আরও ৫/৬ দিন অব্যাহত থাকতে পারে, একই সঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর অনুভূতিও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
রোববার (৪ জুন) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নীলফামারীর সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সন্ধ্যা৬টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা) রংপুরে ১৩, নিকলিতে ১৩, ফেনীতে ১২, শ্রীমঙ্গলে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা ও সিলেটে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু/এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
গত বছরের চেয়ে এবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশে আসতেও দেরি করছে। গত বছরের ৩১ মে মৌসুমি বায়ু টেকনাফ পর্যন্ত এসেছিল। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
তবে জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বর্ষা বাংলাদেশের উপকূলে পৌঁছানোকে স্বাভাবিক মনে করেন আবহাওয়াবিদরা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
৪ বিভাগে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

শনিবার দেশের চার বিভাগে স্বল্প পরিসরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইতোমধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। প্রচণ্ড গরমে কষ্টে রয়েছে প্রায় সারা দেশের মানুষ। এর মধ্যে চলছে লোডশেডিং। গরমে বাড়ছে মানুষের অসুস্থতা।
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে এই তপ্ত পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। যদিও স্বল্প পরিসরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে কিছুটা বৃষ্টি হচ্ছে। তাপপ্রবাহ দূর করতে বিস্তৃত পরিসরে বৃষ্টি হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। দিনাজপুর, সৈয়দপুর, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৪০, শ্রীমঙ্গলে ৮ এবং নিকলিতে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় (১ থেকে ২৫ শতাংশ অঞ্চল) অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
হাফিজুর রহমান আরও জানান, আগামী তিন দিনে সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সিলেটে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।