পুঁজিবাজার
নাম্বার ওয়ান হতে হবে ডিএসইর আইটি: চেয়ারম্যান

ডিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আইটি হতে হবে অত্যাধুনিক। বাইরের দেশগুলোর মতো আমাদেরও সবকিছু অটোমেটেড হতে হবে। আমাদের আইটি হতে হবে নাম্বার ওয়ান। আমি পূর্বেও ডিএসই’র আইসিটি কমিটিতে ছিলাম। আমাদের আইসিটি শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নয়, সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে নাম্বার ওয়ান হতে হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের অংশগ্রহণে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও-এর নেতৃত্বে ডিবিএ’র পরিচালনা পর্ষদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নব-নিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদের সাথে সৌজন্য বৈঠককালে এসব কথা বলেন৷
অধ্যাপক ড. হাফিজ বলেন, আমরা চাই বাজারের পরিবর্তন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় সম্মিলিতভাবে বাজারের উন্নয়ন করতে চাই। আমার সহকর্মীবৃন্দ সকলেই সহযোগী মনোভাবাপন্ন। সকলেই তাদের কর্মক্ষেত্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। বর্তমান বোর্ড বিশ্বাস করে, আপনাদেরকে ছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই মার্কেটটা আসলে আপনাদেরই সৃষ্টি করা মার্কেট। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের প্রেক্ষাপটে আমরা হয়ত আজ এখানে এসেছি, কিন্তু এখানে আপনারাই প্রধান চালিকাশক্তি।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদেরকে সাথে নিয়েই উন্নয়ন পরিকল্পনা করবো এবং এই প্রতিষ্ঠান, এই মার্কেট এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাবো। এটাই হলো আমাদের লক্ষ্য। আমাদের নিজস্ব কোন এজেন্ডা নেই। আমরা এখানে আপনাদের সাথে সমন্বয় করে এই পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে নিয়ে যাবো। আমাদের দুইজন সদস্য এখনও বোর্ডে যুক্ত হয়নি। আমরা দ্রুত তাদের নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা একটি গতিশীল মার্কেট চান। তেমনি আমরা একটি শক্তিশালী বোর্ড চাই। কারণ শক্তিশালী বোর্ড একটি ভালো পরিবেশ তৈরি করতে পারে। আমরা প্রত্যেকেই সবসময় আপনাদের পাশে চাই। আপনাদের মাকের্ট আপনাদেরই ভালো করতে হবে। আমরা আপনাদের কথা শুনবো। আমরা একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করবো। ডিএসই’র উন্নয়নে আপনারা পরিকল্পনা করুন। পুঁজিবাজারকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে পুঁজিবাজার সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, তা পরিবর্তন করতে হবে। আপনারা কখনো আমাদের সাথে কথা বলতে সংকোচবোধ করবেন না। আমরা সব সেক্টর নিয়ে কাজ করবো। ভালো ইনভেস্টমেন্ট আনতে হলে ভালো ইন্সটুমেন্ট আনতে হবে। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আজকে আমাদের এই বৈঠক মিলনমেলায় পরিণত হলো। আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমাদের সকলকে সততার সাথে সুন্দরভাবে এই পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। আজকের শুরুটা এমনভাবে হোক যেন একে অপরের মাঝে বন্ধন তৈরি হয়। আমরা নতুন বোর্ড, বুঝার চেষ্টা করছি। আমরা আপনাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নেব। এই বিষয়ে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর নবনিযুক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন এবং রুবাবা দৌলা, শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, ডিবিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ সাজেদুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন।
ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, পুঁজিবাজারের প্রাইমারী রেগুলেটরের এই মর্যাদাপূর্ণ পদে আপনাদের নিয়োগ নিঃসন্দেহে আপনাদের সম্ভাব্যতা ও দক্ষতা নিয়ে সরকারের যে আস্থা রয়েছে তারই বহিঃপ্রকাশ। আমরা নিশ্চিত যে, আপনার সফল নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা এবং দিক নির্দেশনায় পুঁজিবাজার আগামীতে আরও বেশি উচ্চতা এবং সাফল্য অর্জন করবে। আপনার একাডেমিক রেকর্ড, দক্ষতা এবং আইসিটি জগতের বহুমূখী পেশাদারিত্ব অভিজ্ঞতায় পুঁজিবাজারের গতিশীলতা আনয়ন করবে৷
ডিবিএ’র পরিচালকরা আরও বলেন, পুঁজিবাজারের ব্যবসাটাই মূলতঃ ব্রোকারদের মূল ব্যবসা। ব্রোকাররা সবসময় নিজেদের স্বার্থেই পুঁজিবাজারকে ভালো অবস্থানে দেখতে চায়। স্টক ট্রেডিং বেইজড ইনকামের পাশাপাশি ডেটা সেল সহ অন্যান্য খাত থেকে আয় বৃদ্ধি করতে হবে। ২০১৩ সালের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পূর্বে এই ব্রোকাররাই পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রণ করত। আপনাদের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা একটি উন্নত পুঁজিবাজার গঠন করতে পারব। বর্তমানে লেনদেনের ভলিউম প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। এই ভলিউম বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের ব্যবসায়িক পরিবেশে কি ধরনের মডেল কাজ করবে তা খুঁজে বের করতে হবে। ডিএসইকে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। ডিএসইকে একটি শক্তিশালী নেগোসিয়েটর হিসেবে দেখতে চাই। স্টক এক্সচেঞ্জের টেকনোলজিতে আরও উন্নতি চাই। আশা করি, আপনাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এবং আপনাদের সহযোগিতায় আগামী দিনে একটি শক্তিশালী স্টক এক্সচেঞ্জ তৈরি করতে পারবো।
পরিশেষে ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে এই এসোসিয়েশনের প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে৷ সেই সাথে তিনি ডিবিএ’র সদস্যদের প্রতি আহবান জানান, ডিএসইকে সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ মে-০১ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন হয়েছে । একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন বেড়েছে এক হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৮১ কোটি ২৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮০ টাকায়। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৯ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৬৪৭ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৭২১ কোটি ৩০ লাখ ৪২ হাজার ৮৩৩ টাকা।
গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ২৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ডিএসইর অপর দুই সূচক ও বেড়েছে। গেল সপ্তাহে ‘ডিএস ৩০’ সূচকে ২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট এবং ‘ডিএসই এস’ সূচকে ৮ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে লেনদেন ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসে এক্সচেঞ্জটিতে ৫ হাজার ৫২১ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৮৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০৩টির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ৮১টির। বিপরীতে ১০৮ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ১৯৪ কোটি ৬৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া জুট স্পিনার্স লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
তামহা সিকিউরিটিজের এমডিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার বাজারের ব্রোকার হাউজ তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সফটওয়্যারের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মিথ্যা ও ভুয়া বিবরণী ও পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট প্রদান করে ১৩৯ কোটি ৬৯ লাখ ৯১ হাজার ৯৬২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকালে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- ব্রোকার হাউজ তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. হারুনুর রশীদ, পরিচালক জাহানারা পারভীন, ড. শাহনাজ বেগম, অ্যাকাউন্টস্ এক্সিকিউটিভ ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ আব্দুর রহমান তালাল, সাঈদ চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান, মো. গোলাম রসুল, শেরাটন শাখার ইনচার্জ ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ এ এম আলমগীর কবীর, শেরাটন শাখার ম্যানেজার ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. ওয়ারিছ উদ্দিন, অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. ফায়েজুর রহমান, সেটেলমেন্ট অফিসার ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. শাহরিয়ার কবীর, অ্যাকাউন্টস্ এক্সিকিউটিভ ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ জি. এম. আজাদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশীদের গাড়িচালক মো. মামুন হোসেন ও অফিস সহকারী মো. হাসান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত হয়। শেয়ারবাজারের ব্রোকার হাউজ তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড দুটি ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এরমধ্যে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মিথ্যা ও ভুয়া বিবরণী ও পোর্টফলিও স্টেটমেন্ট প্রদান করে।
এতে আরও বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায় বিও হিসাবধারীরা যাতে শেয়ার লেনদেনের প্রকৃত তথ্য জানতে না পারে সেজন্য তাদের অজান্তে তাদের বিও হিসাবে প্রদত্ত ফোন নম্বর বা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে তামহা সিকিউরিটিজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মোবাইল নম্বর সংশ্লিষ্ট বিও হিসাবের বিপরীতে ইনপুট দেওয়া হয়েছে। এর মূলহোতা তামহা সিকিউরিটিজের সেটেলমেন্ট অফিসার (সিডিবিএল অফিসার) ও অথোরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. শাহরিয়ার কবীর, যিনি নিখুঁতভাবে এ অন্যায় কাজটি করেছেন।

তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের বিনা অনুমতিতে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে শেয়ার ক্রয় করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন বাতিল, নেপথ্যে বিতর্কিত সাইফুর

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চেয়েছিল ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড। তবে প্রতিষ্ঠানটির আবেদন বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে নেপথ্যে ছিলেন বিতর্কিত কাজী সাইফুর। বিভিন্ন অপরাধের দায়ে এই সাইফুরকে ২০১৪ সালে একাধিকবার জরিমানা করেছিল বিএসইসি। একইসঙ্গে দীর্ঘ সময়ের জন্য শেয়ারবাজারে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল বিতর্কিত এই ব্যক্তিকে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনেকদিন ধরে ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন পেন্ডিং ছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক হিসাবে অতিমূল্যায়িত করে সম্পদ দেখিয়েছে। বিক্রির বিপরীতে প্রমাণাদিও দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি। এছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট চলমান রয়েছে। এসব বিবেচনায় কোম্পানিটির আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
ইসলাম অক্সিজেনকে শেয়ারবাজারে আনতে নেপথ্যে কাজ করা কাজী সাইফুর এর আগের বেশকিছু দুর্বল কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন। বিশেষ করে তালিকাভুক্ত করতে কোম্পানিগুলোর ভুয়া আর্থিক প্রতিবেদন তৈরীতে সহযোগিতা করতেন বিতর্কিত এই ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, ইসলাম অক্সিজেন কর্তৃপক্ষ শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৯৩ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিল। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রোড শোও করেছিল কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং রেজিষ্ট্রার টু দ্যা ইস্যুয়ারের দায়িত্বে ছিল সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। তবে পরোক্ষভাবে মূলত ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছে বিতর্কিত শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট। যে প্রতিষ্ঠানটি এরইমধ্যে কয়েকটি কোম্পানিকে ভূয়া আর্থিক হিসাব দিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করেছে। আর শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের মালিকানায়ও রয়েছেন শেয়ারবাজারের বিতর্কিত ব্যক্তি কাজী সাইফুর রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ দেবে এমারেল্ড অয়েল

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড সমাপ্ত হিসাববছরের (৩০ জুন, ২০২২) বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে এই লভ্যাংশ শুধুমাত্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির কর পরবর্তীতে আয় হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার ৮৪৬ টাকা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিলো ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এ হিসেবে সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিলো ৫৮ পয়সা।
এদিকে. ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩৬ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ জুলাই বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ জুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মূলধন বাড়াবে ব্র্যাক ব্যাংক

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড তাদের অনুমোদিত মূলধন ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়াবে। এর ফলে ব্যাংকটির অনুমোদিত পুঁজি গিয়ে দাড়াবে ৫ হাজার কোটি টাকায়।
ব্যাংকটির সর্বশেষ বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে (০১) জুলাই বৃহস্পতিবার এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির পূর্ব ঘোষিত এজিএমে ২০২২ সালের জন্য পর্ষদ ঘোষিত ১৫ শতাংশ (৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার) ও অনুমোদিত মূলধন অনুমোদন করা হয়।
এর আগের পরিচালনা পর্ষদ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে ১১২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৬ টাকা দেবে। পাশাপাশি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ারও দেওয়া হবে।

তার আগের বছরে ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ (সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ আর সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দিয়েছিল। গত ২০২০ সালেও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ, আর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল।
জানা গেছে, ২০২২ সালে সামষ্টিকভাবে ব্র্যাক ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৬১২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৪৬৫ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক এককভাবে ২০২২ সালে ৫৭৬ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা ২০২১ সালের ৫৫৫ কোটি টাকার তুলনায় ৩.৯০ শতাংশ বেশি।