এক সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ফিরেছে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা

আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহে উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারাবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। তবে সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। লেনদেন কমলেও সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা ১৮ হাজার ৮৪২ কোটি ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ১৪৪ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৭৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৬২ টাকা বা ২৯.৭৪ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৮৯৮ কোটি ০০ লাখ ৯৪ হাজার ০৪৬ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৮২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৭ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৭৯ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮০৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩৫০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৩২ টাকা কম হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৬ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৯ হাজার ৮৬৬ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা বা ২.৭৪ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৯.১১ পয়েন্ট বা ১.৬৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৭৩.১৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩০.২৭ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৩.০৩ পয়েন্ট বা ২.৬১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৩০.৬১ পয়েন্টে এবং ১৬৯০.১০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮১টির বা ৫০.২৭ শতাংশের, কমেছে ১৫০টির বা ৪১.৬৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির বা ৮.০৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ১৪ হাজার ৬১০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৩১ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ৮৬৮ টাকা বা ১৮.৭১ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৬.৩৮ পয়েন্ট বা ১.২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৭৩.০২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১১৯.০৪ পয়েন্ট বা ১.৪৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩৩৭.৫৬ পয়েন্ট বা ২.৮৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৮.৫৮ পয়েন্ট বা ১.৮৬ শতাংশ এবং সিএসআই ১৬.৩৯ পয়েন্ট বা ১.৮৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৩৮৪.৯৪ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৭৫.৫০ পয়েন্টে, ১০১৮.৮৬ পয়েন্টে এবং ৯০০.৭৭ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪৫.১১ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৪৩টির বা ৪৫.১১ শতাংশের কমেছে এবং ৩১টির বা ৯.৭৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর বাজার মূলধন ৮ হাজার ৯৭৬ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা বা ৩.০৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৮৯২ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায়।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত