সারাদেশ
শিবচরে যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ১৬

মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আজ রোববার (১৯ মার্চ) সকালে পদ্মাসেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, রোববার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সকাল সোয়া আটটা পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজন মারা যান।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
মিয়ানমারে ফিরতে রোহিঙ্গাদের চার দফা দাবি

প্রত্যাবাসনসহ চার দফা দাবি জানিয়ে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদাভাবে ‘দ্রুত প্রত্যাবাসন’ ক্যাম্পেইন শেষে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে রোহিঙ্গারা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে নিজ দেশ মিয়ানমারে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যাওয়া, নাগরিকত্বের স্বীকৃতি, নিরাপত্তা এবং অন্য জাতিগোষ্ঠীর লোকজন যেভাবে অবাধে চলাফেরা করে তেমন স্বাধীনতাসহ চার দাবি তুলে ধরে মোনাজাতে দোয়া চান।
এই সমাবেশে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিল বলে জানিয়ে টেকনাফের ১৬-এপিবিএনের পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ‘তিন ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা দ্রুত প্রত্যাবাসন দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। সেটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশ উপলক্ষে টেকনাফের লেদা, জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকাল থেকে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী, শিশুরাও যোগ দেয়। এছাড়া কুতুপালং, বালুখালী, লম্বাশিয়ায়ও এ ধরনের সমাবেশ হয়েছে। সেখানে পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তোলেন।
সমাবেশে হাজারো রোহিঙ্গা অংশগ্রহণ করে বলে দাবি রোহিঙ্গা নেতাদের। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায় ও প্রত্যাবাসনের দাবিতে সোচ্চার শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতারা সেখানে বক্তব্য দেন।
দ্রুত স্বদেশে (মিয়ানমারে) ফিরে যেতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা দাবি করে টেকনাফের জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা বজলুল রহমান বলেন, ‘আমরা আর বাংলাদেশে থাকতে চাই না। দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, চলাচলের স্বাধীনতাসহ নিজ গ্রামে ভিটেমাটি ফেরত দিলে এই মুহূর্তে চলে যাবো মিয়ানমারে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপ-সচিব) খালিদ হোসেন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোয় রোহিঙ্গারা দ্রুত প্রত্যাবাসন দাবি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। সেখানে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া দাবি জানিয়ে রোহিঙ্গারা কয়েকটি দাবি তোলেন।
এদিকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘আমরা আর শরণার্থী জীবন চাই না। সামনের দিনগুলোতে আমরাও আমাদের জন্মভূমি আরাকানে জীবনযাপন করতে চাই। বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের দেশে ফেরার ব্যাপারে যেন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই এখানে ছিল আরও কয়েক লাখ নিপীড়িত রোহিঙ্গা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
১৪ ঘণ্টা বন্ধের পর আদানির কেন্দ্র থেকে আসছে বিদ্যুৎ

ভারতের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ভোর পৌনে ৪টা নাগাদ সঞ্চালন শুরু করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিপিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান।
তিনি বলেন, আজ ভোর পৌনে ৪টা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। পূর্ণ সক্ষমতায় কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ আসছে।
এর আগে গতকাল বেলা পৌনে ৩টার দিকে চাপাইনবাবগঞ্জে ঝড়ের কারণে সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে আদানির কেন্দ্র থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এর পরপরই দ্রুত গ্রিড লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য পিজিসিবির কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ চৌদ্দ ঘণ্টা পর আমদানি পুনরায় শুরু হলো।
ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে বর্তমানে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে। প্রথম ইউনিটের পাশাপাশি কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও ১০০ মেগাওয়াটের মতো পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ আসছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ঝড়ে সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি, আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

চলমান বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যেই ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। হঠাৎ ঝড়ের কারণে সঞ্চালন লাইন ট্রিপ করায় বিদ্যুৎ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে, সঞ্চালন লাইন ঠিক করা হয়েছে। রাতের মধ্যে সরবরাহ শুরু হতে পারে।
ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানির কয়লাভিত্তিক কড্ডা কেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহনপুর দিয়ে এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। রোহনপুরে ঝড়ের কারণে লাইন ট্রিপ করে বলে পিজিসিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে সঞ্চালন লাইন ঠিক হয়ে যায়। এখন কেন্দ্র চালু হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পিজিসিবি।
আদানির বিদ্যুৎ বন্ধের কারণে জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যায়। বুধবার দুপুর ২টার দিকে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ৪৬৩ মেগাওয়াট আর লোডশেডিং হয়েছে ২ হাজার ২৩২ মেগাওয়াট। আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় বিকাল ৩টার দিকে উৎপাদন কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৬১০ মেগাওয়াটে। লোডশেডিং বেড়ে হয় ৩ হাজার ১৪২ মেগাওয়াট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ১৩

সিলেটের নাজিরবাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
বুধবার (৭ জুন) ভোরে ৫টা ৩৯ মিনিটে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১১ জন ঘটনাস্থলে ও দুজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এখন পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাই ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৩০), সাহেদ নুর (৪৫), সাগর (২০), বাহাদুর পুরের ওয়াহিদ আলী (৩০), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৪৫), বাদশা মিয়া (৩০)
এর আগে সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দোহা পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে আসা একটি ট্রাক ও সিলেট থেকেআসা শ্রমিকবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন এবং অপর একজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ৭টি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায় এবং হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস সিলেটের সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, নির্মাণ শ্রমিক বহনকারী পিকআপ ভ্যানটি ওসমানী নগরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে নাজিরবাজার এলাকায় পৌঁছামাত্র বিপরীতগামী মাল বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর শ্রমিক বহনকারী পিকআপটি রাস্তার পাশে পড়ে যায় এবং ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। নিহতদের সবাই পুরুষ।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
গোপালগঞ্জের রাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণ নিয়ে নিহত ১

গোপালগঞ্জে রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণ হয়ে দেয়াল চাপা পড়ে নূর ইসলাম মোল্লা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন তার দুই সন্তান।
মঙ্গলবার (৬ জুন) ভোরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর গ্রামের মনোরমা রাইস মিলে এই বয়লার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাসুদ বয়লার বিস্ফোরন হয়ে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত নূর ইসলাম মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর পূর্বপাড়া গ্রামের ইউসুফ মোল্লা ছেলে। আহত রোমানা (১১) ও মোস্তাকিম (৫) নিহত নূর ইসলাম মোল্লার সন্তান।
ওসি জাবেদ মাসুদ জানান, নিহত নূর ইসলাম মোল্লার স্ত্রী নিপা বেগম (২৫) মনোরমা রাইস মিলে দীর্ঘ দিন ধরে শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। গতকাল সোমবার রাতে শ্রমিক নিপা বেগম তার স্বামী নূর ইসলাম মোল্লা ও দুই সন্তান রোমানা ও মোস্তাকিমকে নিয়ে রাইস মিলের বয়লারের পাশের রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন।

মঙ্গলবার ভোরে ওই নারী শ্রমিক নিপা বেগম কাজ করতে বের হন। এ সময় হঠাৎ করে রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণ হলে রুমের দেওয়াল ভেঙ্গে নুর ইসলাম মোল্যা ও সন্তানদের শরীরের উপর পড়ে। এতে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নুর ইসলাম মোল্যা নিহত হন ও তার দুই সন্তান মারাত্মক আহত হন।
পরে খবর পেয়ে গেপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করা করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। ওই দুই শিশু সন্তানের অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে