খেলাধুলা
আয়ারল্যান্ডকে বিশাল রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

দু’দুটি সেঞ্চুরি মিস হলো। সাকিব আল হাসান আউট হলেন ৯৩ রানে, অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয় আউট হলেন ৯২ রানে। ঝড়ো ব্যাটিং করলেন মুশফিকুর রহিমও। তিনটি ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে ৩৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় আয়ারল্যান্ড। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশ।
কিন্তু লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে বিপর্যয়কর অবস্থাকে বাড়তে দেননি। যদিও তারা দু’জন ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। ২৬ রানে লিটন এবং ২৫ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়ে যান। ৮১ রানে ৩ উইকেপ পড়ার পরই অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি বাধেন সাকিব আল হাসান।
১৩৫ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন এই দুই ব্যাটার। মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন সাকিব। ৮৯ বলে ৯৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তৌহিদ হৃদয় আউট হলেন ৯২ রান করে। ২৬ বলে ৪৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলা
আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের কোপার শিরোপা জয়

কনমেবল বিচ সকার কোপা আমেরিকা-২০২৩ এর ফাইনালে মাঠে নেমেছিল লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। রোজারিওতে অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে লে আলবিসেলেস্তেদের ১৩-৫ গোলে হারিয়ে শেষ হাসি হেসেছে সেলেসাওরা।
রোববার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ম্যাচে দারুণ খেলে তৃতীয়বারের মতো এই শিরোপা জিতেছে সেলেসাওরা।
ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রেখে খেলতে থাকে ব্রাজিলিয়ানরা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৫-০ লিডে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা। ব্রাজিলের হয়ে ফিলিপে দুইটি গোল করেন। এ ছাড়া এডসন হাল্ক, জে লুকাস ও জর্ডানের এক গোলে এই লিড পায় ব্রাজিলের বিচ ফুটবলাররা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে গুনে গুনে আরও ৮টি গোল দেয় তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল লে আলবিসেলেস্তেরা। তবে ম্যাচের গোল ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো ফল পায়নি আর্জেন্টাইনরা। আর্জেন্টিনার হয়ে ডি সোসা, রিভাদেনেইরা, পোমার ও মেদেরো গোল করেন। শেষ পর্যন্ত ১৩-৫ গোল ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
এদিকে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে প্যারাগুয়েকে ৭-৫ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া। কলম্বিয়ার হয়ে কর্ডোবা, ওসা ও অ্যাকোস্টা দুইটি করে আর ক্লাভিজো একটি গোল করেন। অন্যদিকে প্যারাগুয়ের হয়ে মার্টিনেজ দুটি এবং বেনিতেজ, রোলন ও ক্যান্তেরোর একটি করে গোল করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৮-২ গোলে হারায় ব্রাজিলের বিচ ফুটবলাররা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের বড় জয়

ব্যাটার সাকিব আল হাসান এবং তৌহিদ হৃদয়ের অবদানে বড় সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্য তাড়ায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে আইরিশদের ব্যাটিং লাইনআপ। তাসকিন-এবাদতদের তোপের মুখে ১৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারী আয়ারল্যান্ড। এর ফলে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে টাইগাররা। যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়।
শনিবার (১৮ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে রেকর্ড ৩৩৮ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৩০ ওভার ৫ বল খেলে ১৫৫ রান তুলে অলআউট হয়ে গেছে সফরকারীরা।
বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৯ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। দুই আইরিশ ওপেনার স্টিফেন ধোয়েনি ও পল স্টার্লিংকে দুই প্রান্ত থেকেই চেপে ধরেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা। প্রথম ছয় ওভারে সফরকারীরা কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে তুলে ২৩ রান। আর তাতে আইরিশদের প্রয়োজনীয় রান রেইট বেড়ে দাঁড়ায় ৭ এর ওপরে।
শুরুর সেই চাপ কমাতে এরপর আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেন দুই আরিশ ওপেনার। কাউন্টার অ্যাটাকে কিছুটা হলেও সাফল্য পেয়েছেন তারা। পাওয়ার প্লের শেষের ৪ ওভারে ২৮ রান তোলে আইরিশরা। তাতে শুরুর পাওয়ার প্লে শেষে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৫১ রান যোগ করেছে আয়ারল্যান্ড। এরপর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি আইরিশদের উদ্বোধনী জুটি। বিপজ্জনক হয়ে উঠার আগেই ধোয়েনিকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। এই স্পিনারের করা ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেছেন তিনি।
ধোয়েনি ফেরার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেলেন না পল স্টার্লিং। একটি করে চার ও ছক্কায় ২২ রানে থেমেছেন এই ওপেনার। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি খানিকটা শর্ট লেন্থে রেখেছিলেন এবাদত হোসেন। সেটা আগে থেকেই বুঝতে পেরে পুল করতে যান স্টার্লিং কিন্তু বলে বাড়তি বাউন্স থাকায় ঠিকমতো টাইমিং করতে পাররেননি এই ওপেনার। তাতে বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে মুশফিকের গ্লাভসে জমা পড়ে। এদিন উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিক।
আগের ওভারে স্টার্লিংকে ফেরানোর পর নিজের পরের ওভাররেই হ্যারি ট্যাক্টরকেও ফেরান এবাদত। ঠিক যেন আগের ওভারের কার্বন কপি! পার্থক্য ছিল শুধু ব্যাটারে, স্টার্লিংয়ের জায়গায় ট্যাক্টর। এবারও ওভারের দ্বিতীয় বলটি শট লেন্থে ছিল তাতে ব্যাটার পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে ট্যাক্টরের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ৩ রান।
এবাদত পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নেওয়ার পর দুই প্রান্ত থেকেই পেস আক্রমণে যান তামিম। আর বোলিংয়ে ফিরেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিলেন তাসকিন। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে বার্লবির্নিকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই পেসার। তার আগে ৫ রান এসেছে আইরিশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে। তাসকিনের এই ওভারের কোনো বল থেকেই রান নিতে পারেনি আইরিশরা, ফলে উইকেট মেইডেইন পান তিনি।
নিজের পরের ওভারে আক্রমণে ফিরে আবারও উইকেটের দেখা পান তাসকিন। এবার তার শিকার টাকার। ওভারের প্রথম বলটি শট লেন্থে ফেলে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে রেখেছিলেন এই পেসার, সেখানে অন সাইডে টেনে খেলতে গিয়ে ইয়াসির রাব্বির হাতে ধরা পড়েন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ রান। ওভারের বাকি বল গুলোতেও কোনো রান দেননি তাসকিন, ফলে পরপর দুটি উইকেট মেইডেন পেয়েছেন এই পেসার।
৬০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৭৬ রান তুলতেই সাজঘরে টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটার। ১৬ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে আইরিশরা যখন ধুঁকছে তখন দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলার চেষ্টা করেন জর্জ ডকরেল ও কুর্টিস ক্যাম্পার।
ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজনে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। তবে অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সামনে। তাদের জুটিতে একশো পার হয় সফরকারীরা। কিন্তু দলীয় রান তিন অঙ স্পর্শ করার পর আর বেশিদূর এগোয়নি এই জুটি। ১৬ রান করা ক্যাম্পারকে ফিরিয়ে ৩৩ রানের এই জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ।
২৪তম ওভারের চতুর্থ বলটি অফ এবং মিডল স্ট্যাম্পের ওপর রেখে ফুল লেন্থে করেছিলেন নাসুম। বলে সামান্য টার্ন থাকায় ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন মিস করেন ক্যাম্পার। তাতে বল সরাসরি পায়ে আঘাত হানলে নাসুমের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এই আইরিশ অলরাউন্ডার। ফলে রিভিও নেন তিনি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।
নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন নাসুম। ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান করা গেরেথ ডেলানিকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলানোর পরের বলেই অ্যান্ড্রি ম্যাকব্রাইনকেও ফিরিয়েছেন এই স্পিনার। মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি ম্যাকব্রাইন। ইনিংসে এটা নাসুমের তৃতীয় শিকার।
ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মিছিলেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ডকরেল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। তার ৪৫ রান শুধুই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৩০ ওভার ৫ বল খেলে ১৫৫ রান তুলে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাদের। ব্যক্তিগত ৩ রানের মাথায় আইরিশ পেসার মার্ক অ্যাডায়ারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর শুরুর সেই চাপ কিছুটা সামলে নেন লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলীয় ৪৯ রানের সময় সাজঘরে ফেরেন লিটনও। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে পল স্টার্লিংয়ের হাতে তালুবন্দী হওয়ার আগে তিনি ৩১ বলে ২৬ রান করেছেন।
এরপর দলেকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন সাকিব আল হাসান সঙ্গে থাকেন শান্ত। তবে বেশিদূর এই জুটি এগোতে পারেনি। দলীয় ৮১ রানে শান্ত সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ২৫ রান করে। তখনও অপরপ্রান্তে অবিচল ব্যাট হাতে সাকিব। এরপর উইকেটে আসেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। সাকিবকে নিয়ে গড়েন বড় জুটি। এদিনই সাকিব ওয়ানডেতে নিজের ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
অন্যপ্রান্তে অভিষিক্ত হৃদয়ও দারুণ খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধ শতক। যদিও দুজনের সামনেই সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও কেউই পারেননি ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে। ৯৩ রানের মাথায় বিদায় নেন সাকিব। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে ইয়র্কার ধরনের ডেলিভারি করেছিলেন গ্রাহাম হিউম। দূর থেকেই খেলার চেষ্টা করলেন সাকিব। তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে গেল কিপার লরকান টাকারের হাতে। আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত জানাতেই ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটা ধরলেন সাকিব।
এই অলরাউন্ডারের বিদায়ের পরই মারমুখী হতে থাকেন হৃদয়। অন্যপ্রান্তে মুশফিুকর রহিম খেলেন টর্নেডো ইনিংস। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান অভিজ্ঞ এই টাইগার ক্রিকেটার। যদিও শেষ পর্যন্ত অর্ধ শতক তোলার আগেই বিদায় নেন মুশফিক। ২৫ বলে ৪১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
তখনও ব্যাট হাতে লড়ছিলেন হৃদয়। অবশ্য অভিষেকে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তা আর পাওয়া হল না। নেহায়েত কপাল মন্দ! সাকিবের মতো নার্ভাস নাইন্টিতে কাটা পড়েন তরুণ এ ব্যাটারও। গ্রাহাম হিউমের করা ৪৬তম ওভাররের পঞ্চম বলটি গুড লেন্থে পড়ে লেগ স্ট্যাম্প বরাবর আসছিল, সেখানে ঘুরে দাঁড়িয়ে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে লফটেট শট খেলতে চেয়েছিলেন হৃদয়। কিন্তু ব্যাটে-বলে কোনো রকম সংযোগই হয়নি, তাতে বল সরাসরি তার উইকেটে আঘাত হানে। শেষপর্যন্ত ৯২ রানে বোল্ড হয়েই থেমে যায় হৃদয়ের ইনিংস, দলের রান তখন ২৯৭।
এরপর দলের হয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলি রাব্বি। যদিও অন্যপ্রান্তে তাসিকন আহমেদ ফিরে যান ১১ রান করে। এরপর রান আউটে কাটা পড়ে রাব্বি ফেরেন ১৭ রান করে। নাসুম আহমেদ অপরাজিত থাকেন ১১ রানে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে তামিম ইকবালের দল । আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট সংগ্রহ ইনিংসের সেরা বোলার গ্রাহাম হিউম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন সাকিব

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজেই ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান। এবার পেরিয়ে গেলেন ৭০০০ রানের মাইলফলক। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সাকিব সাত হাজারি ক্লাবের সদস্য হলেন। তবে একটা জায়গায় বাংলাদেশে তার ধারেকাছে কেউ নেই। শুধু বাংলাদেশে কেন, বিশ্বেই এই রেকর্ড আছে মাত্র তিনজনের!
ওয়ানডেতে ৭০০০ রান আর ৩০০ উইকেটের যুগলবন্দি রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। আজকের ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে তার মোট রান ৭০৬৯ আর উইকেটসংখ্যা ৩০০। তার আগে ওয়ানডে ইতিহাসে এই যুগলবন্দি রেকর্ড আছে কেবল পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি আর শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি সনৎ জয়াসুরিয়ার। সাত হাজারের মাইলফলক ছুঁতে সাকিবের লেগেছে ২১৬ ইনিংস।
সাকিবের আগে আরো একজন বাংলাদেশি ওয়ানডেতে ৭০০০ রানের মাইলফলক পেরিয়েছেন। তিনি তামিম ইকবাল। আরো আগেই তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে আট হাজারি ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। আইরিশদের বিপক্ষে এই ম্যাচে ৩ রানে আউট হয়ে তামিম ইকবালের ক্যারিয়ার রান এখন ৮১৪৬। ৭০০০ ছুঁতে তামিমের লেগেছিল ২০৪ ইনিংস। দ্রুততম ৭০০০ রানের রেকর্ড গড়া হাশিম আমলার লেগেছিল স্রেফ ১৫০ ইনিংস।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
এশিয়া কাপে স্বর্ণের লড়াইয়ে দিয়া-রুবেল

এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং আরচারি টুর্নামেন্ট স্টেজ-১ এর ফাইনালে উঠে পদক নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। চাইনিজ তাইপেতে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছে রিকার্ভ মিশ্র দলগত বিভাগে।
দেশসেরা নারী আরচার দিয়া সিদ্দিকী ও হাকিম আহমেদ রুবেল জুটি সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫-১ সেট পয়েন্টে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ৬-২ সেট পয়েন্টে পরাজিত করে মালয়েশিয়াকে। বাংলাদেশ ১৯ মার্চ ফাইনালে কাজাখস্তানের মুখোমুখি হবে।
এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের ৯ সদস্যের দল। ১০ ইভেন্টের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে ৭ টিতে। সেগুলো হচ্ছে- রিকার্ভ পুরুষ একক, রিকার্ভ মহিলা একক, রিকার্ভ পুরুষ দলগত, রিকার্ভ মিশ্র দলগত, কম্পাউন্ড পুরুষ একক, কম্পাউন্ড মহিলা একক এবং কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত।
বাংলাদেশ দল
মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল (রিকার্ভ পুরুষ), মো. সাগর ইসলাম (রিকার্ভ পুরুষ), রাম কৃষ্ণ সাহা (রিকার্ভ পুরুষ), দিয়া সিদ্দিকী (রিকার্ভ মহিলা), মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান (কম্পাউন্ড পুরুষ), শ্যামলী রায় (কম্পাউন্ড মহিলা)।
মো. আয়নাল হক স্বপন: টিম ম্যানেজার, মার্টিন ফ্রেডরিক: প্রধান প্রশিক্ষক, মোহাম্মদ হাসান: প্রশিক্ষক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
আবারও ফিফার সভাপতি ইনফান্তিনো

দ্বিতীয় মেয়াদে ফিফার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতি থাকবেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে ফিফার ৭৩ তম কংগ্রেস থেকে এই ঘোষণা আসে। কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন ৫২ বছর বয়সী ইনফান্তিনো। এমনটিই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরা।
সাবেক সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের জায়গায় ২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইনফান্তিনো। দায়িত্ব পেয়ে ইনফান্তিনো নজর দেন ফুটবলের পরিধি আরও বিস্তৃত করার দিকে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্বকাপে অংশকারী দলের সংখ্যা বাড়াবেন। ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে ৪৮ দলের অংশগ্রহণ বার্তা দিচ্ছে—নিজের কথা রেখেছেন তিনি। একই সঙ্গে চলতি বছর জুনে হতে যাওয়া নারী বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিতে চলেছে ৩২টি দল।
আরও একবার ফিফার সভাপতি হওয়ায় স্বভাবতই আনন্দিত ইনফান্তিনো। ফিফার কংগ্রসে সভাপতি হিসেবে তার নাম ঘোষিত হওয়ার পর উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
জবাবে নিজের বক্তব্যে ইনফান্তিনো বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা যারা আমাকে ভালোবাসেন, তাদের প্রতি ভালোবাসা। যারা আমাকে ঘৃণা করেন, তাদেরও আমি ভালোবাসি। ফিফার সভাপতি হওয়া সম্মান ও গর্বের বিষয় এবং একই সঙ্গে এটি অনেক বড় দায়িত্ব। আপনারা সবসময়ের মতো আমার প্রতি আস্থা রাখতে পারেন।’