Connect with us

আন্তর্জাতিক

মিলে যাচ্ছে ক্রেডিট সুইস ব্যাংক নিয়ে রবার্ট কিয়োসাকির ভবিষ্যদ্বাণী

Published

on

পুঁজিবাজারে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংকের ব্যর্থতার পর সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। ক্রেডিট সুইসের এমন ঘোষণা ওয়াল স্ট্রিট বিশেষজ্ঞ রবার্ট কিয়োসাকির ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে মিলে যাচ্ছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি তাদের সাম্প্রতিক খবরে প্রসিদ্ধ এই বিশ্লেষকের আগাম সতর্কতার বিষয়টি জানিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষক রবার্ট কিয়োসাকি একজন স্বনামধন্য গবেষক যিনি ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ বৃহত্তম বিনিয়োগ ব্যাংক লেম্যান ব্রাদার্সের পতনের সফল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংকের পতন বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। বড় দুই ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের পতনের পর অন্যান্য ব্যাংকগুলি সংক্রমণের ভয়ে পিছিয়ে যাওয়ায় এশিয়ায় স্টক মার্কেটগুলি ডুবে যাচ্ছে এবং ইউরোপের ব্যাংকগুলো বিপর্যস্ত হচ্ছে।

মার্কিন ব্যাংক দুটির পতনের পর ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষক রবার্ট কিয়োসাকি দাবি করেছিলেন, ক্রেডিট সুইস হল পতনের ঝুঁকিতে থাকা পরবর্তী ব্যাংক।

ক্রেডিট সুইস সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, যার মধ্যে আছে ব্যাংকটির ইউএস অ্যাসেট ম্যানেজার আর্চেগোস কেলেংকারি এবং ইউকে ফার্ম গ্রিনসিলের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা।

২০২১ সালের মার্চ মাসে গ্রিনসিলের দেউলিয়া হওয়ার পর থেকে ক্রেডিট সুইস তার বাজার মূল্যের প্রায় ৮০ শতাংশ হারিয়েছে, যা তাদের জন্য প্রথম।

ব্যাংকটি আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে, অর্থায়নের জন্য সুইস ব্যাংক থেকে ৫০ বিলিয়ন ফ্রাঙ্ক বা ৫৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে যাচ্ছে তারা। ক্রেডিট সুইসের এমন ঘোষণা ব্যাংকটিকে কিয়োসাকির করা ভবিষ্যদ্বাণীর দিকে নিয়ে যাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।

তবে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক এবং সুইস ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেট সুপারভাইজরি অথরিটি বলেছে তারা প্রয়োজনে ক্রেডিট সুইসকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। ওয়াল স্ট্রিট বিশেষজ্ঞ রবার্ট কিয়োসাকি ক্রেডিট সুইসকে পতনের ঝুঁকিতে থাকা পরবর্তী ব্যাংক হিসেবে বিবেচিত করার পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা অবস্থা নিয়েও কথা বলেন।

ব্যাংকে অর্থ বিনিয়োগ করার পরিবর্তে বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণ ও রৌপ্যে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক

পতনের ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ২০০ ব্যাংক

Published

on

পুঁজিবাজারে

যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ধসের পরেই বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটির তিন ব্যাংকে ধস নামে। এই ধস বিশ্ব পুঁজিবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার আরো প্রায় ২০০ ব্যাংক পতনের ঝুঁকি মুখে রয়েছে। আমেরিকার চারজন বিশেষজ্ঞের গবেষণা রিপোর্টের বরাত দিয়ে আরটি এ তথ্য জানিয়েছে।

গবেষণা রিপোর্ট বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি অস্থিতিশীল বাজার শান্ত করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা সত্ত্বেও এসব ব্যাংক পতনের ঝুঁকি মুখে রয়েছে। আমেরিকার প্রায় ২০০ ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ভাগ্যবরণ করতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৭ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৬ মার্চ পর্যন্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতকরা ৪.৫৭ ভাগ সুদের হার বাড়িয়েছে যার কারণে এই সময়ে ব্যাংকগুলোর গচ্ছিত সম্পদের মূল্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যায়। মার্কিন চার অর্থনীতিবিদের গবেষণা রিপোর্ট সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কে এ গত সপ্তাহে প্রকাশ হয়। একদিকে ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়ে উচ্চহার সুদে ঋণ দিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে, অন্যদিকে অনেক ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত নগদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মার্কিন ট্রেজারিতে রেখে দিয়েছে। সুদের হার বাড়ানোর কারণে এইসব গচ্ছিত বন্ডের মূল্য এখন মারাত্মকভাবে কমে গেছে। খবর- পার্সটুডে

এদিকে আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল বিনিয়োগ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী লরেন্স ফিঙ্ক সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ব্যাংকিং খাত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দেশটির মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বাড়তে পারে সুদ হার। আর্থিক পরিস্থিতিকে ‘সহজ অর্থের মূল্য’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার আরও বৃদ্ধির প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার শঙ্কায় বিনিয়োগ যাচ্ছে সোনায়

Published

on

পুঁজিবাজারে

যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া ব্যাংক খাতের সংকট বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ডেকে আনতে পারে-এমন শঙ্কায় গ্রাহকরা নিরাপদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। গ্রাহকরা নগদ অর্থ তুলতে শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্রে ছোট ও মাঝারি ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ছে। এ অবস্থায় দুটি ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পর আরো বেশ কিছু ব্যাংক ঝুঁকিতে রয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, বিশ্বে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা শুরু হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সোনায় অর্থ ঢালছেন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গত শুক্রবার এক দিনে সোনার দাম প্রায় ৬৯ ডলার বেড়ে প্রতি আউন্স হয় এক হাজার ৯৮৮ ডলার। অর্থাৎ দুই হাজার ডলারের কাছাকাছি। এক দিনে সোনার দাম বেড়েছে ৩.৫৯ শতাংশ এবং এক সপ্তাহে বেড়েছে ৬.৪৪ শতাংশ। দুই দিনের ছুটি কাটিয়ে সোমবার বাজার খুললে মূল্যবান ধাতুর দাম আরো বাড়তে পারে।

সোনার পাশাপাশি বাড়ছে রুপার দামও। গত শুক্রবার বিশ্ববাজারে রুপার দাম ৪.১১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স হয় ২২.৬০ ডলার। এক সপ্তাহে বেড়েছে ১০.২০ শতাংশ।

সংস্থা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু হওয়া এ সংকটে বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বৃদ্ধির পথ থেকে ফিরে আসবেন বড় ধরণের মন্দা এড়াতে। সে কারণে বাড়ছে সোনার দাম।

এরই মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) নীতি সুদহার ৫০ বিপিএস বাড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন, যা এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর কথা থাকলেও তা থেকে পিছু হটতে পারে ফেড।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক মূল্যবান ধাতু ব্যবসায়ী তাই ওয়াংগ বলেন, ‘ব্যাংক খাতের আরো অনেক মন্দ খবর আসতে পারে, এমন উদ্বেগ থেকে সোনার দাম বাড়ছে। এমনকি বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেডের পরবর্তী বৈঠকে সুদহার বাড়ানো হবে না।’

এফএক্সটিএমের সিনিয়র গবেষক লুকম্যান ওটুনুগা বলেন, ‘ব্যাংক খাতের অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীরা ঢাল হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ করছেন।’ তাঁর মতে, ডলার ও শেয়ারবাজার নিম্নমুখী রয়েছে। ফলে মূল্যবান ধাতু আরো আকর্ষণীয় বিনিয়োগ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় সবাই নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়ায়।

গত ১০ মার্চ মূলধনসংকটে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) বন্ধ করে দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ করে দিতে হয় সিগনেচার ব্যাংকও। এ অবস্থায় আতঙ্কের পারদ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে আসে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক ক্রেডিট সুইসে। যদিও সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫৩.৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তায় আপাতত দেউলিয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল ক্রেডিট সুইসে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল হিসেবে বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনার মূল্য অনেক, বিশেষ করে অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে। এর আগে বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইউবিএসের নির্বাহী পরিচালক ওয়েনে গর্ডন বলেছিলেন, ‘২০২৩ সালেই সোনার দাম প্রতি আউন্স দুই হাজার ডলার অতিক্রম করবে।’ তিনি বলেন, ‘গত বছর সুদের হার বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হলেও এখন আবার দুর্বল হচ্ছে। এ অবস্থায় ডলারের বিপরীতে নিরাপদ ঢাল হতে পারে সোনা।’

এদিকে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। সবচেয়ে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম ভরিতে সাত হাজার ৬৯৮ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

সৌদিতে আরবি ৮৫ হিজরি সনের উমাইয়া মুদ্রা আবিষ্কার

Published

on

পুঁজিবাজারে

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের দাওয়াদমি অঞ্চলে আরবি ৮৫ হিজরি সনের একটি উমাইয়া মুদ্রা আবিষ্কার করেছে সৌদি হেরিটেজ কর্তৃপক্ষ।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বুধবার হেরিটেজ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে তারা আরবি ৮৫ হিজরি সনের পুরনো একটি উমাইয়া মুদ্রা খুঁজে পেয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ২০২২ সালে তৃতীয় বারের মত দাওয়াদমি গভর্নরেটের “হালিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান” খনন করতে গিয়ে একটি উমাইয়া মুদ্রা খুঁজে পান,তবে এর আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর সন্ধান পেয়েছিলেন দলটি ।

কর্তৃপক্ষ বলেছে যে পূর্বে আবিষ্কৃত একটি মসজিদের কাছে স্থাপত্য ইউনিট এবং পার্শ্ব প্রবেশদ্বার সহ সংলগ্ন কক্ষগুলি নিয়ে গঠিত বসতি বাজারের আবিষ্কারও করেছেন।স্থানটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কৃত ইসলামিক ঐতিহ্যের মধ্যে একটি।

“হালিত প্রত্নতাত্ত্বিক” স্থানটিকে উমাইয়া যুগের স্থানগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা উমাইয়া যুগে আরব উপদ্বীপের সভ্যতাগত ভূমিকাকে তুলে ধরে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

সাড়ে ৮২ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি, আবেদন চলতি মাসেই

Published

on

পুঁজিবাজারে

ইতালিতে বহুল প্রতীক্ষিত মৌসুমি ও অ-মৌসুমি ভিসায় বাংলাদেশসহ মোট ৩৩ দেশ থেকে ২০২৩ সালে ৮২ হাজার ৭০৫ জন নতুন শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং এ বিষয়ে সরকারি গেজেটও প্রকাশ করেছে। আগামী ২৭ মার্চ থেকে অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

এবার মৌসুমি ভিসায় ৪৪ হাজার শ্রমিক ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশসহ ৩৩ দেশের নাগরিকরা এই ভিসায় আবেদন করতে পারবেন।অন্যদিকে অ-মৌসুমি ভিসায় অর্থাৎ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আরও ৩৮ হাজার ৭০৫ জন শ্রমিক ইতালিতে আসতে পারবেন। অ-মৌসুমি ভিসার বাইরে কনস্ট্রাকশন, জাহাজনির্মাণ প্রতিষ্ঠান, মেকানিক্স, টেলিযোগাযোগসহ এসব সেক্টরে ৩০ হাজারের বেশি কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

ইতালি সরকার প্রায় ৮ বছর বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রাখে। তবে গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশি শ্রমিক আসার সুযোগ পাচ্ছেন দেশটিতে। মূলত কৃষিকাজের ভিসার মেয়াদ থাকে নয় মাস। নিয়মানুযায়ী নয় মাস কাজ করে স্ব-স্ব দেশে ফেরত যাবেন প্রত্যেক শ্রমিক। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা এ নিয়ম মানেন না।

জানা গেছে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা ইতালিতে কৃষিকাজের ভিসায় এসে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে থেকে যায়। আইন অনুসারে যেকোনো শ্রমিক ৯ মাসের বেশি ইতালিতে অবস্থান করলে তিনি অবৈধ হয়ে যান। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা ৯ মাসের ভিসায় এসে দেশে ফেরত না যাওয়ায় আইন অমান্যসহ বিভিন্ন কারণে ইতালি সরকার বাংলাদেশের কোটা বাতিল করে রেখেছিল গত কয়েক বছর।

এ বিষয়ে ইতালি বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ভেনিস সাধারণ সম্পাদক এসটি শাহাদাৎ বলেন, ইতালিতে স্পন্সরে (ফ্লুসি) আসার একমাত্র বৈধ প্রক্রিয়া। এই বৈধ পথটা যেন কোনো অসাধুচক্র অপব্যবহার না করে। আমরা নিশ্চয়ই অবগত আছি প্রায় আট বছর ইতালি সরকার বাংলাদেশকে কালোতালিকাভুক্ত করে রাখে। দুই বছর ধরে এই তালিকা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। তাই বৈধ প্রক্রিয়া যেন আমরা ধরে রাখতে পারি।

এ বছর আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন একটা শর্ত দেওয়া হয়েছে। তা হলো- নিয়োগদাতাকে প্রথমে শ্রমিকের চাহিদা জানিয়ে কর্মসংস্থান দপ্তরে আবেদন করতে হবে। তারা শ্রমিক সরবরাহ করতে অপারগ হলে একটা সনদ দেবে, যার ভিত্তিতে বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার আবেদন করা যাবে।

আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে জনপ্রশাসন অফিস থেকে নুল্লা ওয়াস্তা বা ভিসার অনুমোদনপত্র দেওয়া হবে। এটি নিজ দেশের ইতালিয় দূতাবাসে জমা দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করতে হয়। অনলাইনে করা আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভিসার অনুমোদনপত্র আসতে প্রায় ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ক্রেডিট সুইস ব্যাংক বাঁচাতে ৬ বিলিয়ন ডলার গ্যারান্টি চায় ইউবিএস

Published

on

পুঁজিবাজারে

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউরোপের ব্যাংকে বড় ধাক্কা লেগেছে। বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে সুইজারল্যান্ডের অন্যতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণ করতে এগিয়ে এসেছে সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইউবিএস এজি। তবে প্রতিষ্ঠানটি এই ব্যাংক কিনতে সরকারের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলারের নিশ্চয়তা চেয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

আলোচনার বিষয়ে অবগত আছেন এমন এক ব্যক্তি বলেন, সুইস ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দুই পক্ষ একসঙ্গে একটি চুক্তির দিকে হাঁটছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন ঋণদাতা সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের পতনের ফলে ব্যাংকিংখাতে অশান্তির শুরু। সেই অস্থিরতার জেরে ১৬৭ বছরের পুরোনো ক্রেডিট সুইস ব্যাংকও ঝুঁকিতে পড়ে।

রয়টার্সকে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ইউবিএস সরকারের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলারের গ্যারান্টি চাইছে।

একটি সূত্র সতর্ক করে জানিয়েছে, ক্রেডিট সুইসের আস্থার সংকট সমাধানের জন্য আলোচনা উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হচ্ছে এবং দুই ব্যাংক একত্রিত হলে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই হতে পারে।

সোমবার শেয়ার বাজার পুনরায় খোলার আগে সুইস নিয়ন্ত্রকরা ক্রেডিট সুইসের জন্য একটি সমাধানের জন্য দৌড়াচ্ছে। রোববারও আলোচনা চলবে বলে জানা গেছে।

তবে এ ব্যাপারে ক্রেডিট সুইস, ইউবিএস ও সুইস সরকার কোনো মন্তব্য করতে নারাজ।

সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক, এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক নতুন ফান্ড দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর গত বুধবার একদিনেই শেয়ারের ৩০ শতাংশ দর পতন ঘটে ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের। ১৬ মার্চের প্রথম দিকে, ক্রেডিট সুইস জানায়, এটি তারল্য বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ঋণ নেবে।

৯ মার্চ ক্রেডিট সুইস আমেরিকার প্রধান আর্থিক নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের শেষ মুহূর্তের ফোনকলের পর তার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্ব ঘোষণা করে। ফলে ফার্মের আর্থিক-রিপোর্টিং সিস্টেমে ‘বস্তুগত দুর্বলতার’ কারণে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ক্রেডিট সুইসের একটি বিকল্প হলো ইউবিএসের সঙ্গে টাই-আপ করা। জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেডিট সুইসকে ইউবিএস এজির সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে। তবে সরকারের ইউবিএসকে এ ব্যাপারে বাধ্য করার এখতিয়ার নেই।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
পুঁজিবাজারে
কর্পোরেট সংবাদ13 mins ago

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১২ এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট উদ্বোধন

পুঁজিবাজারে
কর্পোরেট সংবাদ24 mins ago

বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড পেলো ইসলামী ব্যাংক

পুঁজিবাজারে
কর্পোরেট সংবাদ40 mins ago

ইউসিবির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুক্তি

পুঁজিবাজারে
পুঁজিবাজার44 mins ago

পুঁজিবাজারের কোম্পানি তদারকিতে জোর দিচ্ছে এফআরসি

পুঁজিবাজারে
কর্পোরেট সংবাদ56 mins ago

বাংলাদেশ ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি

পুঁজিবাজারে
জাতীয়1 hour ago

আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’

পুঁজিবাজারে
পুঁজিবাজার1 hour ago

আলহাজ টেক্সটাইলের সর্বোচ্চ দরপতন

পুঁজিবাজারে
খেলাধুলা2 hours ago

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের কোপার শিরোপা জয়

পুঁজিবাজারে
পুঁজিবাজার2 hours ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স

পুঁজিবাজারে
পুঁজিবাজার2 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে সী পার্ল

Advertisement
Advertisement
March 2023
SMTWTFS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031