জাতীয়
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে আজ

চলতি বছরের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় তৃতীয় দফায় বাড়ানো হয়েছিলো। তবে এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না বলে গত ৭ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। সে অনুয়াযী আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। নিবন্ধন ভাউচার প্রস্তুতের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে নিবন্ধন নিশ্চিত না করলে উক্ত ভাউচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে বলেও জানানো হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়, যা ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় পরে সময় আরও ৫ দিন বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এরপরও নিবন্ধন সংখ্যা কম থাকায় দ্বিতীয় দফায় শেষ সময় বাড়িয়ে ৭ মার্চ করা হয়। তৃতীয় ও শেষ দফায় সময় বাড়িয়ে ১৬ মার্চ করা হয়।
২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১৫ হাজার হজযাত্রী।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজে বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এর মধ্যে বিমান ভাড়া বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি। মক্কা-মদিনায় বাড়ি-ভাড়া ও তাঁবুর খরচ বেড়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
এক বছরে বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১২ শতাংশ

বার্ষিক রাজস্ব আয়ে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক। গত বছর প্রতিষ্ঠানটির আয় আগের বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। আর সব মিলিয়ে বাংলালিংকের আয় বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভিওনের গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান তেরজিওগ্লু, বাংলালিংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা চেম ভেলিপাসাওগ্লু, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা উপাঙ্গ দত্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলালিংক বলছে, গত বছর পরিষেবা থেকে তাদের আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এ নিয়ে টানা তিন প্রান্তিকে আয়ের ক্ষেত্রে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলালিংকের।
আয়ের পাশাপাশি বেড়েছে মুঠোফোন কোম্পানিটির গ্রাহকসংখ্যাও। গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলালিংকের গ্রাহকসংখ্যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে দেশে মুঠোফোন অপারেটরদের মধ্যে বাংলালিংক সর্বোচ্চসংখ্যক গ্রাহক অর্জন করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা এখন ৪ কোটি।
দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে দাবি বাংলালিংকের। এ ছাড়া গত বছর বাংলালিংক প্রায় ৪০ শতাংশ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ফলে মোট সাইটের সংখ্যা ১৪ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে।
বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলালিংকের ডিজিটাল বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম টফির সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। আর দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫২ লাখ, যা আগের বছরের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি। কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের এক্সক্লুসিভ লাইভস্ট্রিমিংয়ের কারণে টফির জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলালিংক।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংক বোর্ডের চেয়ারম্যান কান তেরজিওগ্লু বলেন, টানা তিন প্রান্তিকে বাংলালিংকের রাজস্ব আয়ে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি গ্রাহকদের আস্থা বৃদ্ধিতে আমাদের সাফল্যের প্রমাণ। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল মার্কেটে ধারাবাহিকভাবে উন্নত ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে বাংলালিংক।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘গত বছর আমাদের প্রবৃদ্ধির হার টেলিকম খাতের মোট প্রবৃদ্ধির হারের দ্বিগুণ। দ্রুততম ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে ও দেশের প্রতিটি এলাকায় উন্নত ডিজিটাল সেবা দিয়ে আমরা দেশব্যাপী বিস্তৃত অপারেটরের মর্যাদা অর্জন করেছি।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আরও ৪ জেলায় ‘বাংলা কিউআর’ কোডে লেনদেন চালু

সর্বজনীন কুইক রেসপন্স কোডের (কিউআর) মাধ্যমে নগদ লেনদেনহীন ব্যবস্থা ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ সেবা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে সেবাটির সম্প্রসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সেবায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, নাটোর ও রংপুর জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অন বিজনেস এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও বিভিন্ন ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, নাটোর ও রংপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে এ উদ্যোগে যেসব ব্যাংক সম্পৃক্ত রয়েছে, সেগুলো হলো- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, পূবালী ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক। এ ছাড়া মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশ, এমক্যাশ, রকেট এবং আন্তর্জাতিক পরিশোধ স্কিম মাস্টারকার্ড, ভিসা ও অ্যামেক্স এ সেবায় যুক্ত হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমরা এই সেবা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।
প্রতি বছর কোরবানির পশু কেনার সময় শোনা যায় অনেকের পকেটে টাকা নাই। চুরি হয়ে যায়। নতুন এ নগদ লেনদেনহীন ব্যবস্থা এ সমস্যা বন্ধের পাশাপাশি কেনাকাটাকে আরও সহজ ও সময় সাশ্রয়ী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, টাকা বহন, প্রটেকশন ইত্যাদি কাজে প্রতি বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়। এই টাকাটা আসলে জনগণের ট্যাক্সের টাকা। আমরা যদি এই ক্যাশলেস ব্যবস্থা চালু করতে পারি তাহলে টাকা বহন, নিরাপত্তা ইত্যাদি কাজগুলো অনেক সাশ্রয়ী হবে। এক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের মাঝে এ সেবা ছড়িয়ে দেয়া জরুরি বলে তিনি মনে করেন। এ সেবাকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ।
এমন উদ্যোগ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতার মাসে এমন একটি মহান উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। এর সূচনা হয়েছিল ২০১৯ সালে কিন্তু এটির সম্প্রসারণে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং সেই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এজন্য আপনাদের অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
ভিসি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্জনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে সেবার গুণগত মান ও স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হলো। এটির পুরো মাত্রায় সফলতা আনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় সহযোগিতা করবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’র কার্যক্রম শুরু হয়। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের ১৮ই জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর শুভ সূচনা করে। এ সেবার আওতায় বাংলা কিউআর নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত যে কোনো ব্যাংক বা মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীরা অন্য যে কোনো ব্যাংক বা এমএফএস অ্যাকাউন্টধারী ব্যবসায়ীদের কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোড স্ক্যান করে পণ্য বা সেবামূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’

আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে বলে জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে নগরের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য ইন্টারপোলের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি, সেটা ইন্টারপোল করেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আরাভ আর কেউ নন-ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম, যিনি ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই গেছেন।
গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় তার বিরদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা গেছে ৯টি। মামলার সংখ্যা আরও বেশি। আরাভ বেশ কয়েকটি বিয়েও করেছেন। গ্রামে প্রচার রয়েছে, তার বিয়ের সংখ্যা অন্তত ২০টি।
আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। উপযুক্ত সময়ে আপনাদের জানাবো।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ইস্যুতে আইজিপি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আবার আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। তার মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিষয়ে আইজিপি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়টি নজরদারিতে আছে। পাহাড়ে খুনোখুনির ঘটনায় মামলা হচ্ছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে। যখন যেখানে যে অপরাধ হচ্ছে, পুলিশ সেটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোর আওতা সংশোধন

পাসপোর্ট সেবার মান বৃদ্ধি এবং পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজ করতে সম্প্রতি ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী ৭টি পাসপোর্ট অফিসের আওতা পুনর্নির্ধারণ করে সরকার। এখন সেই পুনর্নির্ধারিত আওতায় সংশোধন আনা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোর আওতা পুনর্নির্ধারণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়। এরপর গত ১৪ মার্চ আগের পরিপত্রে আংশিক সংশোধন করে নতুন করে পরিপত্র জারি করা হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি পরিপত্রে আগারগাঁওয়ের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কেরানীগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা পূর্ব পাসপোর্ট অফিস (বনশ্রী), ঢাকা পশ্চিম পাসপোর্ট অফিস (মোহাম্মদপুর), ঢাকা সেনানিবাসের পাসপোর্ট অফিস এবং সচিবালয়ের পাসপোর্ট অফিসের আওতা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
সংশোধিত পরিপত্রে ‘ঢাকা পূর্ব পাসপোর্ট অফিস (বনশ্রী)’ এর পরিবর্তে ‘ঢাকা পূর্ব পাসপোর্ট অফিস (আফতাবনগর)’ করা হয়েছে।
নতুন করে আগারগাঁওয়ের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের আওতায় এসেছে রমনা, তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল। আগে এ থানাগুলো ঢাকা পূর্ব পাসপোর্ট অফিসের (বনশ্রী) অধীনে ছিল।
এছাড়া কেরানীগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অধীনে এসেছে যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা। আগে এ দুটি থানা ঢাকা পূর্ব পাসপোর্ট অফিসের (বনশ্রী) অধীনে ছিল।
ভাটারা থানা উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আওতায় এসেছে। আগে ভাটারা থানাও ছিল ঢাকা পূর্ব পাসপোর্ট অফিসের (বনশ্রী) অধীনে।
সংশোধিত আওতা অনুযায়ী যে থানা যে অফিসের অধীনে
আগারগাঁওয়ের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের আওতায় থাকবে শেরে বাংলা নগর, মিরপুর, কাফরুল, রুপনগর, গুলশান, বনানী, শাহবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান, রমনা, তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা (১২টি থানা)।
কেরানীগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অধীনে থাকবে শ্যামপুর, কদমতলী, কোতয়ালী, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ, লালবাগ, চকবাজার, কামরাঙ্গীরচর, বংশাল, ওয়ারী, ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানা (১৬টি থানা)।
উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, উত্তর খান, দক্ষিণ খান, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, আশুলিয়া, পল্লবী, ভাষানটেক ও ভাটারা থানা (১১টি থানা) থাকবে উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আওতায়।
ঢাকা পূর্ব (আফতাবনগর) পাসপোর্ট অফিসের অধীনে থাকবে মুগদা, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, রামপুরা, মতিঝিল, পল্টন, বাড্ডা ও হাতিরঝিল থানা (৯টি থানা)।
সাভার, ধামরাই, মোহাম্মদপুর, আদাবর, দারুস সালাম, শাহ আলী, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট থানা থাকবে মোহাম্মদপুরের ঢাকা পশ্চিম পাসপোর্ট অফিসের অধীনে।
ঢাকা সেনানিবাসের পাসপোর্ট অফিসের সেবা নিতে পারবেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার অধীনে বসবাসরত নাগরিকরা।
এছাড়া সচিবালয়ের পাসপোর্ট অফিসের সেবা নেবেন শুধুমাত্র সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পোষ্যরা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পণ্য বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

দেশের রফতানি আয় বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রফতানি পণ্যের বহুমুখী করা একান্তভাবে প্রয়োজন। আমাদের নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে।
আজ সোমবার (২০ মার্চ) গণভবনে রফতানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় শেখ হাসিনা এ পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,পণ্য বহুমুখীকরণ, কোন দেশে কোনটা প্রয়োজন আমরা সেটা উৎপাদন এবং রফতানি করব। বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বহু দেশ আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য এখন নিতে চায়, কিনতে চায়। আমরা সেটা করতে পারি।
তথ্য-প্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে চলে এসেছে। বাজারে এর চাহিদাটাও বাড়ছে। দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের এখানে বিনিয়োগও আসছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সেখানে গার্মেন্টস, ওষুধ, হালকা, ভারী শিল্প, মোটর গাড়ি, ইলেকট্রনিক মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যপণ্য রফতানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকগুলো দেশ আমার কাছ থেকে খাদ্যপণ্য নিতে চাচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এসএম