Connect with us

টেলিকম ও প্রযুক্তি

স্টিভ জবসের পরামর্শ, জীবনে সুখের সন্ধান পাওয়া যাবে তিনটি প্রশ্নের ভিত্তিতে!

Published

on

স্টিভ জবস বলেছিলেন, একটা অচেনা জীবন পার করা মানেই নিজের জীবন নষ্ট করা। নিজের প্রিয় কাজ করতে পারলে বেঁচে থাকার প্রেরণা পাওয়া যায়, যা আমাদের পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে সাহায্য করে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

মৃত্যুর ছয় বছর আগে আমেরিকান বিজনেস ম্যাগনেট ও অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস আমাদের মনের ভেতরে এক চরম সত্য ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন- “তোমার সময় সংক্ষিপ্ত, তাই অচেনা এক জীবন যাপন করতে গিয়ে এই সময় নষ্ট করো না।”

অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রযুক্তি দুনিয়ার অন্যতম পথিকৃৎ স্টিভ জবস ২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গ্র্যাজুয়েটের সামনের কথাগুলো বলেছিলেন। এর কিছুদিন আগেই স্টিভ জবসের অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার ধরা পড়েছিল এবং চিকিৎসকরা বলেছিলেন, তিনি আর মাত্র তিন থেকে ছয় মাস বাঁচবেন।

মৃত্যু সন্নিকটে জেনেই বোধহয় স্টিভ জবস চেষ্টা করেছিলেন জীবনের অবশিষ্ট সময়টা সর্বোত্তমভাবে কাটাতে, আর এই বার্তাই তিনি স্ট্যানফোর্ডের সদ্য পাশ করা গ্র্যাজুয়েটদের দিয়েছিলেন। চিকিৎসকদের ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যা প্রমাণ করে এরপরে আরও বছর ছয়েক বেঁচে ছিলেন জবস।

স্টিভ জবসের কথা শুনে আমাদের মনে নানা প্রশ্নের উদয় হতে পারে যে, জীবনে কোন বিষয়গুলো আসলেই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ? এখনও পর্যন্ত, স্টিভ জবসের সেই বাণী শুনলে অনেকেরই মনে হবে, আরেকবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করি এবং এর সত্য জবাব খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি!

জীবনে সুখী হওয়ার জন্য স্টিভ জবস নিজেই নিজেকে খুব সহজ তিনটি প্রশ্ন করতে বলেছিলেন।

১. যেরকম জীবন চাইতাম সেরকমই জীবনযাপন এবং যে কাজ করতে চাইতাম, সেটাই কি করছি?

মৃত্যু সন্নিকটে জেনে স্টিভ জবসের ভেতরে এক অন্যরকম শক্তি কাজ করছিলো। তিনি প্রতিটি দিনই এমনভাবে কাটাতেন যেন এটিই তার জীবনের শেষ দিন। জীবনের রস আস্বাদনে কোনো কমতি রাখেননি তিনি। এই পৃথিবীতে যে সংক্ষিপ্ত সময় নিয়ে আমরা আসি, তা নিয়ে বিষণ্ণ হয়ে থাকা কোনো কাজের কথা নয়। বরং, এটা আমাদের ভাবতে শেখায় যে সময় ভীষণ মূল্যাবান এবং এই সময়ের মধ্যেই জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে হবে।

মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়াকে স্টিভ জবস বলেছিলেন ‘জীবনে সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে এমন একটি টুল’। জবসের ভাষ্যে, মৃত্যুর মুখোমুখি হলে আমাদের ভয়, ব্যর্থতা, গর্ব সবকিছু কেটে যায়; থাকে শুধু সেই জিনিস যা সত্যিই দরকারি।

২. আজই যদি জীবনের শেষ দিন হতো, আমি কি করতে চাইতাম?

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের সতর্কবাণী পাওয়ার পর থেকে নিজেকে প্রতিদিন এই একটি প্রশ্ন করতেন স্টিভ জবস। তিনি সত্যিকার অর্থেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে এই প্রশ্নটি করতেন।

জবস বলেন, “টানা বেশ কয়েকদিন যখন এই প্রশ্নের উত্তর এলো ‘না’, তখন আমি বুঝলাম কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে।”

নিজে নিজের মুখোমুখি হওয়া খুব জরুরি। দিনের শুরুতেই নিজেকে উপরে উল্লিখিত প্রশ্নটি করুন। আপনার জন্য সামনে কী অপেক্ষা করে আছে সেদিকে মনোযোগ দিন। নিজে নিজের কাছে সৎ থাকুন। আপনি যে জীবন চান, তা যদি আপনি না পেয়ে থাকেন, সেটা স্বীকার করাটা কষ্টের। কিন্তু নতুন কিছু অর্জনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হলে, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে এই সত্য স্বীকার করতেই হবে।

৩. যা করতে ভালোবাসি তা-ই করছি তো?

স্টিভ জবস বলেছিলেন, একটা অচেনা জীবন পার করা মানেই নিজের জীবন নষ্ট করা। এর বদলে তিনি সবাইকে পরামর্শ দেন খুঁজে বের করতে যে, আপনার যে ভূমিকা পালন করার কথা ছিল তা কি আপনি করছেন?

আপনার নিজের কী পছন্দ, কী ভালোবাসেন তা আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। কাজ অবশ্যই জীবনের একটা বড় অংশ… আর নিজে যা বিশ্বাস করি, তার ওপর ভিত্তি করে কাজ করতে পারাটা তো দারুণ! আর দারুণ কাজ করার শর্ত হলো- নিজের প্রিয় কাজ করা।

নিজের প্রিয় কাজ করতে পারলে বেঁচে থাকার প্রেরণা পাওয়া যায়, যা আমাদের পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে সাহায্য করে। মার্কিন বিলিয়নিয়ার ওয়ারেন বাফেটের ভাষ্যে তা ‘ট্যাপ ডান্স টু ওয়ার্ক’। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, কাজে লিপ্ত থাকতে এবং সুখী থাকতে চাইলে, সবার আগে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমার কাজটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমার কাজের মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ কোনো উদ্দেশ্য হাসিল হতে পারে।

অনেকেই দিনরাত কলুর বলদের মতো কাজ করে যান, কিন্তু জীবনে কোনো লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ঠিক করতে পারেন না। কিন্তু কাজের পেছনে উদ্দেশ্য খুঁজে পেলে আমরা শুধুমাত্র সুখীই হবো না, আমাদের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। আর যদি কেউ না-ই জানেন যে তার কি কি প্রিয়, তাহলে তা আগে নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে। শুধু কোনো প্রতিবেদনের লেখকের কথায় বিশ্বাস করবেন না যেন!

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

টেলিকম ও প্রযুক্তি

টাকার বিনিময়ে ব্লু ব্যাজ দেয়া শুরু ফেসবুকের

Published

on

ডিএসইর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড চালু করলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট কোম্পানি মেটা। দেশটির ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টের পাশে লোভনীয় ব্লু ব্যাজ অর্থের বিনিময়ে যুক্ত করতে পারছেন। শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বিজনেসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া ঘোষণায় মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জুকারবার্গ অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করা যাবে বলে জানান। তার ঘোষণা অনুযায়ী, মাসিক নির্দিষ্ট একটি অংকের অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের নামের পাশে ব্লু ব্যাজ চিহ্ন পাবেন ব্যবহারকারীরা।

সিএনএন বলছে, শুক্রবার থেকে মেটা দু’টি সামাজিক নেটওয়ার্কের মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য পেইড ভেরিফায়েড কর্মসূচি পরীক্ষামূলক শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক জুকারবার্গ ইনস্টাগ্রামে এক ঘোষণায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোম্পানিটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও বেশিসংখ্যক মার্কিন ব্যবহারকারীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।

এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ওই সময় ওয়েবে মেটা ভেরিফায়েড মাসে ১১ দশমিক ৯৯ ডলার আর আইওএসে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলারের বিনিময়ে শুরু হয়।

মেটা ভেরিফায়েড সাবস্ক্রিপশন নামের চালু করা এই সেবার আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট যাচাই, ব্লু ব্যাজ, অতিরিক্ত সুরক্ষাসহ সরাসরি গ্রাহক সহায়তা সুবিধা পাওয়া যাবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ছদ্মবেশে অন্যের নামে ব্যবহার করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষাও মিলবে এই গ্রাহক সেবায়।

মেটার নতুন এই ফিচার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবাজুড়ে গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে বলে ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন জুকারবার্গ।

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টুইটার মাসে ১১ ডলারের বিনিময়ে ব্লু টিক মিলবে বলে গত ডিসেম্বরে ঘোষণা দিয়েছিল। তাদের এই ঘোষণার পর একই ধরনের সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা চালু করেছে ফেসবুক।

এর আগে, গত বছর রাজস্ব বৃদ্ধির নতুন উৎস হিসাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ন্যাপচ্যাট এবং বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রাম পেইড সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা চালু করে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

টেলিকম ও প্রযুক্তি

ফেসবুকে নিজের পোস্টে লাইক দিলেই বিপদ

Published

on

ডিএসইর

ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পোস্টে নিজেই লাইক দিয়ে থাকেন। নিজের পোস্টে লাইক দেওয়া কি আসলেই একটি সঠিক কাজ? এই বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

নিজের পোস্টে নিজেই লাইক দেওয়া মানে নিজের ব্যক্তিত্বকে আঘাত করা বলে মনে করেন অনেকেই। কারণ, কেউ পোস্ট লাইক করছে না বলে নিজেই লাইক করছেন, এটি একটি অন্যতম কারণ। ফেসবুকে অনেকেই নিজের পোস্টে লাইকের পাশাপাশি মন্তব্যও করে থাকেন। এটি স্বাভাবিকভাবেই হাস্যকর বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে ট্রলের শিকার হন অনেকেই।

আবার অনেকেই মনে করেন নিজের পোস্টে নিজেই লাইক করলে পোস্ট অন্যের কাছে তেমন পৌঁছায় না। ফলে লাইক কমে যায়। এই ধারণাটি ব্যক্তিগত প্রোফাইলের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভুল। ফেসবুকের অ্যালগরিদম অনুযায়ী এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। বরং এতে ওই পোস্টটি বন্ধু তালিকায় থাকা অনেকের কাছেই পৌঁছে যায়। তাই এই দিক থেকে কোনো সমস্যাই নেই।

স্বাভাবিকভাবে ব্যাপারটি দৃষ্টিকটু লাগায় এটি করা উচিত নয় বলে অধিকাংশই মনে করেন। তাই নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে এই কাজ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। যদি এই বিষয়টি সমস্যা মনে না হয়, তাহলে নিজের পোস্টে নিজেই লাইক দিতে পারেন।

ফেসবুকে নিজের পোস্টে লাইক দিলে কারিগরি দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। তবে ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তাই সিদ্ধান্ত আপনার। কারণ, যাই করেন না কেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যবসায়িক পেইজের প্রোফাইলের ক্ষেত্রে ভুলক্রমেও এই কাজটি করবেন না। নিজের পোস্ট নিজে কখনোই ‘লাইক দিবেন না’।

নিজের পোস্টে লাইক দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া এক ধরনের ব্ল্যাক হ্যাট এসইও, যা অ্যালগরিদমকে ম্যানিপুলেট করার একটি কৌশল। এক কথায় বলতে গেলে এই প্রক্রিয়াটি অবৈধ এবং এজন্য এক সময় ব্যবসায়িক পেইজের প্রোফাইলের রিচ (অন্যের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা) কমে যাবে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

টেলিকম ও প্রযুক্তি

টিকটক নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চরমে

Published

on

ডিএসইর

টিকটক বিক্রি করে দেয়ার জন্য চীনা কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপের পর এনিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব আরও তীব্র রূপ নিয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

যুক্তরাষ্ট্র গতকাল বুধবার এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল যেন তারা চীনা কোম্পানির মালিকানা থেকে বেরিয়ে আসে, নইলে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবেই এটি নিষিদ্ধ করা হবে। এরপর আজ বৃহস্পতিবার চীন এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ টিকটক-কে “অযৌক্তিকভাবে দমিয়ে রাখার” চেষ্টা বন্ধ করা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কিছু পশ্চিমা দেশের পর যুক্তরাজ্যও সরকারি মন্ত্রী এবং আমলাদের ফোনে টিকটক নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে সরকারের কেবিনেট অফিস মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন একটি বিবৃতি দেয়ার কথা রয়েছে।

টিকটকের মূল মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। গত কয়েক বছরে এটি গোটা বিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয় এক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থানে গেছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে। এসব দেশ বলছে, চীনা কর্মকর্তারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে।

বুধবার হোয়াইট হাউজ জানিয়েছিল, টিকটকের মালিকানা যদি বেইজিং ভিত্তিক কোম্পানি ‘বাইটড্যান্সের’ হাতে থাকে, তাহলে এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে।

কিন্তু টিকটকের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, টিকটক থেকে চীনা বিনিয়োগ তুলে নেয়ার এই আহ্বান বা এটিকে নিষিদ্ধ করার এরকম আহ্বানের কোন দরকার নেই। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোন উদ্বেগ থাকে, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের তথ্য এবং সিস্টেমের জন্য সেখানে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

টিকটক নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাবে বেইজিং বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র এখনো পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি যে টিকটক তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোন হুমকি তৈরি করছে।

চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, “অন্য দেশগুলোকে অন্যায্যভাবে দমিয়ে রাখার জন্য ডেটা নিরাপত্তার ইস্যুকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।”

টিকটক নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটে যে বিল আনা হয়েছে, হোয়াইট হাউজ গত সপ্তাহে সেটিকে স্বাগত জানিয়েছিল। এই বিলের পেছনে ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান, উভয় দলের সদস্যদের সমর্থন আছে।

টিকটক দাবি করে বিশ্বজুড়ে একশো কোটির বেশি মানুষ তাদের অ্যাপ ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের দশ কোটি ব্যবহারকারী আছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে তাদের অ্যাপ দারুণ জনপ্রিয়।

মানুষ এখন টিকটকে যে পরিমাণ সময় কাটায়, সেটি ইউটিউব, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপকে ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদেশগুলো যেভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করতে চাইছে, সেটিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে বর্ণনা করছেন সমালোচকরা।

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মচারীদেরকে তাদের অফিস থেকে দেয়া ফোন টিকটক ইনস্টল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডাতেও সরকারি আমলাদের ফোনে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন যুক্তরাজ্যও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

টিকটক বলছে, যুক্তরাজ্য এরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে সম্পূর্ণ “ভুলধারণাবশত আশংকার ওপর ভিত্তি করে”, এবং এর পেছনে মনে হচ্ছে “বৃহত্তর ভু-রাজনৈতিক” বিষয় কাজ করছে।

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

টেলিকম ও প্রযুক্তি

শেষ হলো সিটিসেল অধ্যায়

Published

on

ডিএসইর

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ২১৮ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় চূড়ান্তভাবে লাইসেন্স বাতিল হলো মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেলের। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো দেশের প্রথম মোবাইলফোন অপারেটরের যাত্রা।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বিটিআরসি তার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কমিশন বৈঠকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টির জন্য সরকারের পূর্বানুমোদন চেয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) লাইসেন্স বাতিলের অনুমোদনের চিঠি পায় বিটিআরসি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বুধবার (১৫ মার্চ) সিটিসেলকে লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠানো হতে পারে।

বিটিআরসির কমিশনার (লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মন্ত্রণালয় থেকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদনের চিঠি পাওয়া গেছে। এখন সিটিসেলকে লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠানো হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব এস এম তারিকের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন সভার সিদ্ধান্ত ও বিটিআরসির সুপারিশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের প্রাপ্য বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ৪৬(৩) (খ)-এর বিধান অনুযায়ী, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (পিবিটিএল) অনুকূলে ইস্যুকৃত টু-জি সেলুলার মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স বাতিল করা হলো।

তবে গ্রাহক কমতে থাকায় ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে সিটিসেলের সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির তরঙ্গ ও নবায়ন করা তরঙ্গের (স্পেক্ট্রাম) বরাদ্দও বাতিল হয়েছে। এবার টু-জি লাইসেন্স বাতিলের মধ্য দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হলো সিটিসেল।

এদিকে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ২১৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৫৯ টাকা উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) বাংলাদেশ টেলিকম (প্রা.) লিমিটেডের অনুকূলে মোবাইল অপারেটরটির লাইসেন্স ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে এর নাম রাখা হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিতি পায়।

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

টেলিকম ও প্রযুক্তি

আট গুণ বেশি ক্ষমতা নিয়ে উন্মুক্ত হলো জিপিটি-৪

Published

on

ডিএসইর

ব্যাপক জনপ্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির হালনাগাদ ভার্সন জিপিটি-৪ উন্মুক্ত করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। চ্যাটজিপিটির আগের ভার্সনটি ছিল জিপিটি-৩.৫।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

আগের ভার্সনটি শুধু টেক্সটে সীমাবদ্ধ থাকলেও নতুন ভার্সন ছবি বুঝতে সক্ষম। যেমন- কোনো রান্নার উপকরণের ছবি দেখে এটি বলতে পারবে এসব উপকরণ দিয়ে কী কী রান্না করা সম্ভব কিংবা কোনো ছবির জন্য ক্যাপশন বা ডেসক্রিপশন লিখতে পারবে।

হালনাগাদকৃত ভার্সনটি ২৫ হাজার শব্দ পর্যন্ত বুঝতে সক্ষম, যা আগের ভার্সনের চেয়ে ৮ গুণ বেশি।

২০২২ সালে নভেম্বরে উন্মোচনের পর বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছেন। গান লেখা, বিজ্ঞাপনের কপি বানানো, কম্পিউটার কোড, শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজে সাহায্যের জন্য মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে। যদিও শিক্ষকরা বলে আসছেন বাড়ির কাজে সাহায্যের জন্য শিক্ষার্থীদের এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।

চ্যাটজিপিটির মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কোনো জিজ্ঞাসার বিপরীতে এটি মানুষের মতো করে উত্তর দেয়। এটি গুগল সার্চের মতো শুধু অনেকগুলো লিংক দিয়ে দেয় না। ফলে এটি ব্যবহার করে কোনো প্রশ্নের তড়িৎ উত্তর পেতে পারেন ব্যবহারকারীরা।

চ্যাটজিপিটির সক্ষমতা দেখে অনেকে উদ্বিগ্ন যে, এটি একসময় অনেক মানুষের চাকরি কেড়ে নেবে।

ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৪ এর নিরাপত্তা বিষয়গুলো নিশ্চিত করার জন্য তারা ৬ মাস ধরে কাজ করেছে এবং মানুষের ফিডব্যাকের সাহায্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যদিও কোম্পানিটি স্বীকার করেছে, জিপিটি-৪ এ এখনো ভুল তথ্য চলে আসতে পারে।

আপাতত যারা মাসিক ২০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে চ্যাটজিপিটি প্লাস সাবস্ক্রাইব করেছেন, তাদের জন্যই জিপিটি-৪ ভার্সনটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।

মাইক্রোসফটের নতুন বিং সার্চ ইঞ্জিনেও চ্যাটজিপিটি সংযুক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল ১৬ মার্চ মাইক্রোসফটও তাদের সার্চ ইঞ্জিনে চ্যাটজিপিটির হালনাগাদকৃত ভার্সন জিপিটি-৪ সংযুক্ত করার ঘোষণা দিতে পারে। যদিও নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মাইক্রোসফট ‘খুব সম্ভবত’ তাদের সার্চ ইঞ্জিনে ‘জিপিটি ৪’ ভার্সনটি ইতোমধ্যেই ব্যবহার করছে।

চ্যাটজিপিটির নতুন ভার্সনে আরও জটিল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। ওপেনএআই তাদের লাইভ ডেমোতে এমন কিছু প্রশ্ন-উত্তর সবাইকে দেখিয়েছে।

চ্যাটজিপিটির মতো জিপিটি-৪ ও জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, যা টেক্সট নির্দেশনা থেকে নতুন কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম। তবে জিপিটি ৪ আগের ভার্সনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং এর বোঝার ক্ষমতাও অনেক বেশি।

ভাষা শিক্ষা অ্যাপ ডুয়োলিংগো এবং বি মাই আই- এর সঙ্গে অংশীদারত্বের ঘোষণাও দিয়েছে ওপেনএআই। যার ফলে এসব অ্যাপগুলোতে এখন ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তর পেতে পারেন।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
ডিএসইর
পুঁজিবাজার2 hours ago

নাম্বার ওয়ান হতে হবে ডিএসইর আইটি: চেয়ারম্যান

ডিএসইর
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার2 hours ago

রমজানে মাসজুড়ে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ ছুটি

ডিএসইর
কর্পোরেট সংবাদ2 hours ago

‘এবি ব্যাংক স্মার্ট কৃষি ঋণ’ পেলো প্রান্তিক কৃষকরা

ডিএসইর
শিল্প-বাণিজ্য3 hours ago

দেশের বাজারে কমলো সোনার দাম

ডিএসইর
অন্যান্য3 hours ago

যেভাবে ‘পালঙ্কী’ থেকে নাম বদলে ‘কক্সবাজার’

ডিএসইর
খেলাধুলা3 hours ago

বিমান বাংলাদেশের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন সাকিব

ডিএসইর
অর্থনীতি3 hours ago

গরু মোটাতাজা করায় স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়ার সুযোগ

ডিএসইর
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

ক্রেতাদের সুবিধার্থে স্বপ্ন’তে তরমুজ বিক্রি নিয়ে ভিন্ন উদ্যোগ

ডিএসইর
জাতীয়3 hours ago

দুদকের নতুন মহাপরিচালক মোকাম্মেল হক

ডিএসইর
জাতীয়3 hours ago

৮ হাজার ২৮৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

Advertisement
Advertisement
March 2023
SMTWTFS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031