বৃত্তির ফল কেলেঙ্কারি: তদন্তে ফাঁসছেন ৫ কর্মকর্তা

বৃত্তির ফল কেলেঙ্কারি: তদন্তে ফাঁসছেন ৫ কর্মকর্তা
প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কারিগরি ত্রুটির কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করা হয়। একদিন পর সংশোধন করে তা আবারও প্রকাশ করা হয়। এতে প্রথম তালিকায় নাম থাকা অনেকের নাম বাদ যায়। যা নিয়ে দেশে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়।

সেই কারণ খতিয়ে দেখতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির প্রতিবেদনে অধিদপ্তরের চারজন কর্মকর্তার চরম গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

তদন্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) তিনজন পরিচালক, তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (আইএমডি) দুইজনসহ মোট পাঁচজন কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলে নানা ধরনের ত্রুটি শনাক্ত হয়। পরীক্ষা না দিয়েও অনেকে বৃত্তিপ্রাপ্তের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। কম নম্বর পেয়েও বৃত্তি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও বেশি নম্বর পেয়েও তারা তালিকা থেকে বাদ পড়ে। প্রচুর শিক্ষার্থীর ফলে এ ধরনের ক্রটি দেখা যায়। বিষয়টি চিহ্নিত হলে পরে তা সংশোধন করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে আলাদা দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সূত্র জানায়, সোমবার (১৩ মার্চ) দুই কমিটি মন্ত্রণালয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে অভিযুক্ত বৃত্তির ফল তৈরির কাজের সঙ্গে জড়িত চারজনের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন ও ফল তৈরি কার্যক্রমের প্রধান ডিপিই পরিচালক (প্রশাসন) এস এম আনছারুজ্জামানসহ টেকনিক্যাল বিভাগের তিনজনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে।

জানা গেছে, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সুপারিশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অঘটন আর না ঘটে সেজন্য কয়েকটি সর্তকতামূলক কয়েকটি সুপারিশও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি আমি পেয়েছি। এখানে বেশ কয়েকজনের চরম গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়। সফটওয়্যারের টেকনিক্যাল কোডিংয়ে ভুল হওয়ায় সার্বিক ফলে সমস্যা তৈরি হয়। এতে করে সেবার ফল স্থগিত করা হয়। পরে ১ মার্চ সংশোধিত ফল প্রকাশ করে। এতে আগের তালিকায় নাম থাকা অনেকেই বাদ পড়েন।

অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা
এসএসসির আগেই শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষা
নিয়োগ দেবে ইসলামী ব্যাংক, ৩৬ বছরেও আবেদনের সুযোগ
প্রাথমিকে বাৎসরিক ছুটি বাড়িয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ
এইচএসসি পাসে চাকরি দেবে আগোরা
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষা হবে আনন্দময়
আজ ৪৬তম বিসিএসের আবেদনের শেষ সময়
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাবিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আইআইএবি’র এজিএমে বোর্ড অব গভর্নরসের ১০ সদস্য নির্বাচিত
বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি, আবেদন শেষ ৫ জানুয়ারি