বগুড়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১২ টাকা

বগুড়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১২ টাকা
সরবরাহ প্রচুর থাকলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে বগুড়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১২ টাকা বেড়ে পাইকারিতে ৩০ ও খুচরা পর্যায়ে ৪০ টাকা হয়েছে। যা গত বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পাইকারি পর্যায়ে ২২ ও খুচরা পর্যায়ে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা বলছেন, রোজার মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে এই আশঙ্কায় পাইকারি আড়তে পেঁয়াজ কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাবনা, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুরসহ যেসব জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়, সেসব এলাকার হাটে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, যার প্রভাব পড়েছে বগুড়ায়ও।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বগুড়ার রাজাবাজার পাইকারি আড়তে দেশি পেঁয়াজের দাম গত তিন দিনে কেজিপ্রতি ১২ টাকা বেড়েছে। আমদানি স্বাভাবিক না হলে রোজার সময় পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা।

রাজাবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জহর আলী বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল কেজিপ্রতি ২২ থেকে ২৪ টাকা, গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় যেসব এলাকায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, সেসব এলাকার হাটেও পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী।

গতকাল শহরের রাজাবাজারের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

শহরের ফতেহ আলী বাজারের কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকায়, যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়।

রাজাবাজারের রাজ ভান্ডারের মালিক ও রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, বাজারে এখনো নতুন পেঁয়াজের আমদানি পুরোপুরি শুরু হয়নি। সরবরাহ ঘাটতির কারণে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে রোজার আগেই বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দামও স্থিতিশীল হবে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশে পেঁয়াজের চাহিদার বড় অংশই দেশীয় ফলন দিয়ে মেটানো হয়। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পেঁয়াজ দেশে উৎপাদিত হয়েছে, বাকি ২০ শতাংশ পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়েছে।

মুরগির দাম অস্থিতিশীল
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি সোনালি জাতের মুরগির দাম প্রতি কেজিতে গড়ে ৫০ টাকা বেড়েছে। বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজার ও বকশি বাজারে গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বকশি বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে সোনালি জাতের মুরগি ১৭০ ও ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষেরা। শহরের রিকশাচালক মহব্বত আলী বলেন, দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা উপার্জন। ঠিকমতো সংসার চলে না। বছরে একদিনও গরুর মাংস পাতে জোটে না। মাছের বাজারও চড়া। ভরসা ছিল ব্রয়লার মুরগি, সেই ব্রয়লার মুরগির দামও চার দিনের ব্যবধানে এক লাফে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।

অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেঁয়াজের দামে শঙ্কায় কৃষক, ক্ষুব্ধ ক্রেতা
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি বন্ধ
তিনদিন সেন্টমার্টিনের হোটেল-মোটেল বন্ধ
চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্ট বাবলু
স্থলবন্দর এলাকায় মর্টারশেল, ধ্বংস করলো সেনাবাহিনী
রংপুরের তারাগঞ্জ সভাস্থলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু
ময়মনসিংহে মালবাহী ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৪
এক জালে ১৫৯ পোপা মাছ, দাম হাঁকছেন ২ কোটি
রেললাইনের ক্লিপ খুলে নিলো দুর্বৃত্তরা, অল্পের জন্য রক্ষা