গ্রিন বিজনেস ৪০ শতাংশ করতে কাজ করছে সরকার

গ্রিন বিজনেস ৪০ শতাংশ করতে কাজ করছে সরকার
টেকসই গ্রিন বিজনেস ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি কর্তৃক আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল গ্রিন বিজনেস’ শিরোনামে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও টেকসই গ্রিন বিজনেসের বিকল্প নেই। ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশ টেকসই গ্রিন বিজনেসে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। তবে ২০২৬ সালের মধ্যে এই মাত্রা ৪০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য সরকার সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সূর্য থেকে পাওয়ার সোলারের মাধ্যমে এনার্জি তৈরি করার চেষ্টা করছি কিন্তু এই প্রজেক্টের পরিসর খুবই কম। কয়লার ব্যবহারে বায়ুমণ্ডলে যেই কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েছে, তা কমানোর জন্য কাজ করছে সরকার।’

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার দেশের বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি তৈরির পথে হাঁটছে এবং কিছু ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে। এতে দেশের মানুষের আয় বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে ভোগের পরিমাণও। তাই শহরতলি থেকে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য জড়ো হচ্ছে। দেশকে বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা করতে, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি তৈরি করছে সরকার।’

সেমিনারের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘লার্নিং বাই ডুয়িং উইথ পার্টিসিপেশন সবচেয়ে বড় জানার মাধ্যম। আজকের এই সেমিনারেও আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনেক বেশি কিছু শিখলাম ও জানলাম। আমাদের ক্যাম্পাসগুলোকে কাজ শুরু করা উচিত, যেন আমরা গ্রিন ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করতে পারি। আমাদের ক্যাম্পাসে এখন শুধু ময়লা রাখার বক্স থাকে। কিন্তু ময়লার ধরন অনুযায়ী ৩টি ময়লার বাক্স রাখতে হবে, যেন ধীরে ধীরে নিজেদের সচেতন করতে পারি। কোন ময়লা রিসাইকেল যোগ্য আর কোনটি পচনশীল, সেগুলোও শিখতে পারি। এ জন্য গ্রিন ক্যাম্পাস বিনির্মাণে আমাদের সবার কাজ করে যেতে হবে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রী সাহেব নিজেও একজন উদ্ভাবনী মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ, যিনি নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা, বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জ্ঞান থেকে তিনি বিজ্ঞানসম্মতভাবে অবর্জনাগুলো রিসাইকেল করে গ্রিন এনভায়রনমেন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এ জন্য আমাদেরও ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট জানতে হবে। না হলে আমরা গ্রিন বিজনেস, গ্রিন ক্যাম্পাস, গ্রিন এনভায়রনমেন্ট, ক্লিন এনার্জি সম্পর্কে ধারণা করতে পারবো না।’

অনুষ্ঠানে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর উপস্থাপনা বক্তব্য দেন শেরপা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এ তাহের শেরপা, তৃণা সোলার কোম্পানি লিমিটেডের এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনের বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেলস ম্যানেজার সৈয়দ মো. আমিরুল হাসান এবং এভোনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সুজিত রঞ্জন সরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবি) ডিরেক্টর অধ্যাপক মো. আব্দুল মোমেন, ইডকল বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিইও আলমগীর মোর্শেদ এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু