রাজনীতি
গুলশান কার্যালয়ে হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, নেওয়া হলো হাসপাতালে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন মহাসচিব। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শায়রুল জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক অধ্যাপক মুমিনুজ্জামানের অধীনে মির্জা ফখরুলকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরে মির্জা ফখরুলের শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। কিছুদিন আগে তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরেন।
বিএনপি মহাসচিব তখন চিকিৎসা নিয়েছেন সিঙ্গাপুর সুপ্রিম ভার্সুলার অ্যান্ড আন্তর্জাতিক ক্লিনিকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
কিছুদিন পর হোমিওপ্যাথির শিশিতে গরুর মাংস বিক্রি হবে: আলাল

জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়েছে যে, কিছুদিন পর হোমিওপ্যাথির শিশিতে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আলাল বলেন, সরকার বাংলাদেশের অবস্থা আজ যেখানে এনে দাঁড় করিয়েছে, তাতে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে এই দেশ টিকে থাকবে কি-না, তা নিয়েই মানুষের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে যাবেন সেখানেই দেখবেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। মাঠে নেমে দেখি যেখানে আওয়ামী লীগ নাই, সেখানে আছে হামলা লীগ, পুলিশের এক অংশের লীগ, র্যাবের এক অংশের লীগ এবং পেটোয়াবাহিনীর লোকজন।
তিনি বলেন, বাজারে যাবেন, বাজারে কিছু কিনে খাওয়ার উপায় নাই। গতকাল আমি বলেছিলাম হয়তো বাজারে দেখা যাবে, সামনে সাইনবোর্ড ঝুলানো আছে ব্রয়লার মুরগি কিস্তিতে বিক্রি করা হয়। জিনিসপত্রের দাম এতটা বেড়েছে যে, কিছুদিন পর হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশিতে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রাইমারি স্কুলের স্টুডেন্টদের ফলাফল নিয়ে পর্যন্ত গোটা জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের স্কুলে বা কলেজে জানুয়ারি মাস থেকে বেতন ধার্য করে নেওয়া হবে। কিন্তু ঢাকাসহ দেশের বহু জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছেন তাদের কাছ থেকে গতবছরের টাকাসহ বর্তমান বছরের টাকাও আদায় করা হচ্ছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই ঢাকা শহরে নাকি শতকরা ৮৪ ভাগ ভবন দাঁড়িয়ে আছে ঝুঁকির মধ্যে। যেকোনো সময় একটা ছোট ভূমিকম্প হলেও ঢাকা শহর একটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। কোনো দিকে সরকারের কোনো নজর নাই। এ দেশের কোনো অভিভাবক নাই, ঢাকা শহরেরও কোনো অভিভাবক নাই। মানুষ আল্লাহর ওয়াস্তে বেঁচে আছে। আল্লাহর ওয়াস্তে বেঁচে থাকার অনেক মানুষ আছে। কণ্ঠস্বর হিসেবে যারা থাকেন, তাদের মুক্তির দাবিতে আমাদের আজকের এই প্রতিবাদী মানববন্ধন।
তিনি বলেন, পতনের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এই পায়ের আওয়াজ যত কাছে আসবে, যত দীপ্ত হবে কঠিন হবে তত জোরে কিন্তু ধাক্কা দেওয়া হবে। সেই ধাক্কায় এই সরকার পড়ে যাবে। এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। সেজন্য প্রতিজ্ঞা এবং শপথ নিয়েই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মাহাতাব, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ, মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
‘আমি আশাবাদী মানুষ, সংকট কেটে যাবে’

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউকে আলোচনার জন্য ডাকা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না। নির্বাচনকে সমানে রেখে এ ধরনের সংকট আমাদের দেশে নতুন নয়। কালো মেঘ ঘনিভূত হলেও তা কেটেও গেছে। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি মনে করি এ সংকট কেটে যাবে।
সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে। সরকার আছে, বিরোধীদল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি যার জন্য যে সংবিধান আছে, সেই সংবিধান পরিবর্তন করে কোনো প্রকার বিকল্প প্রস্তাব, কারো অনুকূল সমর্থন করার সুযোগ নেই। আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেবো না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করবো না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন করতে হবে, সেই সংকটে আমরা পড়িনি।
তিনি আরও বলেন, তাদের অবস্থানটা কী? তাদের অবস্থান ক্ষমতায় যাওয়া না। তাদের অবস্থান শেখ হাসিনাকে হটানো। ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। বিএনপিও লক্ষ্য একটাই, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো।
বিএনপির আন্দোলন ও অর্থনৈতিক সংকট, কোনটি বড় চ্যালেঞ্জ? এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে যত গর্জে ততটা বর্ষে না। কারণ তারা ছিল একটি গণঅভ্যুত্থানের আশায়, সেখান থেকে নেমে এলো নীরব পদযাত্রা। এখন তারা সেখান থেকে নিঃশব্দ মানববন্ধনে নেমে এসেছে। তাদের আন্দোলনের গতি দেখলে বোঝা যায় তারা যতটুকু জনগণের অংশগ্রহণ আশা করেছিল তা হয়নি। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো গণআন্দোলন সম্ভব না। তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে মূলত আন্দোলন ছিল, সেটিও এখন কমে গেছে। তাদের আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না। তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট আছে। এটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগির থেমে যাওয়ার লক্ষণ নেই। সেই যুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এখনো চলছে। এর ফলে সারা দুনিয়ায় সংকট আছে। জনজীবন, তেলের দাম, ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ অনেক সংকট আছে। বাংলাদেশেও সংকট আছে। সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের জনগণ অনেক ধৈর্যশীল। সরকারের সদিচ্ছার প্রতি জনগণের আস্থা আছে। বিরোধীদল উস্কে দিলেও মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করেনি। মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকারের আন্তরিক প্রয়াসে জনগণের আস্থা আছে, তাই কোনো গণঅভ্যুত্থানের আশঙ্কা নেই।
ফখরুল বলেছেন কথা বললেই মামলা দেয়, এ বিষয়ে তিনি বলেন, কথা বললেই মামলা দেয়, প্রমাণ কী? তারা তো দেশে ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, সেই স্লোগানও দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আক্রমণ করছে। তারপরও কি তাদের নেতারা জেলে আছে? যার যা খুশি বলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা ৭১-এর চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। বিএনপির আন্দোলন মানেই আগুন সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, ভূমি অফিস পুড়িয়ে ফেলা। এসব বিএনপির আন্দোলন। আমরা মাঠে না থাকলে তারা এটা করবে না, তার গ্যারান্টি নেই। আমরা ক্ষমতায়, আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। তারা ক্ষমতায় থাকতে আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। আর রাস্তায় ফখরুল সাহেবরা বের হচ্ছেন, কর্মসূচি পালন করছেন। কেউ তো কিছু বলছে না। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তো তাদের হচ্ছে না।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আমার এতো ভোট গেল কই: হিরো আলম

উপনির্বাচনে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ এনে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হলেও ফলাফলে গণ্ডগোল করা হয়েছে। কিছু শিক্ষিত লোক ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন।
উপনির্বাচনে বগুড়ার দুই আসনে পরাজয়ের পর বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম এসব অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সবাই বলছেন, আপনি পাস করেছেন, ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এতো ভোট গেল কই? কিন্তু ফলাফল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছেন, মশাল জিতে গেছে; এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোটগুলো গেল কই? এই ফলাফল আমি মানি না। আমাকে চক্রান্ত করে হারিয়ে দিলেও যে ভোট পেয়েছি তাতে আমি বিজয়ী।’
হিরো আলম বলেন, ‘এসব অনিয়মের বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। ১০টি কেন্দ্রের ভোটগণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলোতে কত ভোট পেয়েছি তা জানানো হয়নি আমাকে।’
তিনি বলেন, ‘সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। লাহেরি পাড়ায় আমার এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধই ছিল না। তাকে পাস করানো হয়েছে।’
হিরো আলমের অভিযোগ, ‘কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চান না। তারা ভাবেন, আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে হিরো আলমকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। সেজন্যই আমাকে জিততে দেওয়া হয়নি।’
হিরো আলম ভোটারদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমার ভোটারদের পাশে অতীতে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। আপনারা দুঃখ করবেন না, আপনাদের চোখে পানি মানে আমার চোখে পানি। এ সময় সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানান হিরো আলম।’
বগুড়া-৪ আসনে ফলাফলে হিরো আলম ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে মশাল প্রতীকের কাছে হেরেছেন। তবে বগুড়া-৬ আসনে তিনি ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচন দেখতে ইউরোপ আমেরিকা থেকে পর্যবেক্ষক আসতে পারবে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারও ফরমায়েশে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চলবে না। নির্বাচন কেমন হয় তা দেখতে ইউরোপ আমেরিকাসহ যে কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
শুক্রবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে।
কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের পাশে থাকে। ক্ষমতায় না থাকলেও মানুষের পাশে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর শ্রদ্ধা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জাতীয় সংসদের নব-মনোনীত উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এমপি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এসময় মতিয়া চৌধুরী সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী।
সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে সমর্থন করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ উপনেতা পদের জন্য কোনো ভোটের প্রয়োজন হয় না। সংসদ নেতা তার মতামত স্পিকারকে জানান। স্পিকার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠান এবং বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এ পদের জন্য কোনো শপথ নেওয়ার দরকার হয় না। তবে সংসদ উপনেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও সুবিধা পেয়ে থাকেন।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়ে যায়।
সংসদীয় আইন অনুযায়ী সংসদ উপনেতা নিয়োগে বাধ্যবাধকতা নেই। বিএনপি তাদের সময়ে এ পদে কাউকে মনোনীত করেনি। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই তাদের সিনিয়র কোনো নেতাকে দিয়ে এ পদটি অলঙ্কৃত করেছে।
অর্থসংবাদ/কেএ