Connect with us

ইন্টারভিউ

শেয়ারবাজারের প্রয়োজনেই ফ্লোর প্রাইস তুলে দিতে হবে

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

মীর আরিফুল ইসলাম
সিইও, সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ইন্টারভিউ

শেয়ারবাজারে পতনের একমাত্র কারণ ফ্লোর প্রাইস নয়: মীর আরিফুল ইসলাম

Published

on

মীর আরিফুল ইসলাম (1)

মীর আরিফুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ইন্টারভিউ

বিনা জামানতে ৫০ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

ডিএসইর

বিনা জামানতে নারী উদ্যোক্তাদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স। বিজয় প্যাকেজের আওতায় মাত্র চারদিনের মধ্যেই ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থসংবাদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. কায়সার হামিদ এ তথ্য জানান।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

তিনি বলেন, একজন নারী উদ্যোক্তার কি সমস্যা থাকতে পারে সেই বিষয়গুলো আমরা দেখেছি। জামানত দেওয়ার মত কোন সিকিউরিটি না থাকায় তারা ব্যাংক লোনকে ঝামেলা মনে করে। অনেক কাগজপত্র ও বেশি সময় এবং বিভিন্ন ধরনের ইস্যুকে তারা ঝামেলা মনে করেন। তাদের পরিবারেরও খেয়াল রাখতে হয়। তাই এসব বিষয়গুলোকে যদি একসঙ্গে একটি সমাধানের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আমরা চিন্তা করে বিজয় নামের একটি প্যাকেজ নিয়ে এসেছি।

প্যাকেজটির সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, বিনা জামানতে চারদিনের মধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকি। এখানে এক পাতার একটি আবেদনপত্র। এছাড়া পুরো পরিবারের স্বাস্থ্যকে তারা যাতে এর সাথে যুক্ত করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। তাই যে কোন সময় ডাক্তারের কাছ থেকে ফোন করে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগও রয়েছে। এখানে তারা টেলিমেডিসিন সেবা পাবে।

নারী উদ্যোক্তাদের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ব্যবসায়ীরা (নারী উদ্যোক্তা) যারা বড় হতে চায়, তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করতে চায় এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তের দিকে ছুটে আসতে চায় তাদের ক্ষেত্রে খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।

নারী উদ্যোক্তাদের মতো কৃষকদেরও সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড। গ্রামীণ পর্যায়ের কৃষকদের ঋণের ব্যবস্থা কিভাবে করা হয় তা জানতে চাওয়া হয় কায়সার হামিদের কাছে। তিনি বলেন- কৃষিক্ষেত্রে গরু পালনের বিষয় দিয়ে আমরা শুরু করেছি। কৃষকরা মৌসুমের আগে গরু কিনে মোটাতাজাকরণ করে সেটাকে তারা বিক্রি করে। দুইভাবে আমরা এ সেবা দিচ্ছি। প্রথমটা হচ্ছে- প্রত্যেককে গরু কিনে দিচ্ছি, নগদ টাকা দিচ্ছি না। আর একটা হচ্ছে- প্রত্যেক গরুর ইন্স্যুরেন্স করেছি।

ডিএসইর

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের লক্ষ্য সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির এমডি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি সেখানে পৌঁছাতে হলে গ্রামীণ অর্থনীতিকে পুঁজি করে এগিয়ে যেতে হবে। অর্থনীতির মূল শক্তি হচ্ছে এমএমই। জনসংখ্যার বড় একটা অংশ শহরের বাইরে। তাদের অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন হবে না। ঢাকা-চট্টগ্রামের বাহিরে থেকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে কোলাবরেশন মডেলের মাধ্যমে আমরা যাচ্ছি। এটার ফলাফল বছরের মধ্যে পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, জনগনের সাথে যোগাযোগ করতে কোলাবরেশন মডেল দরকার। কৃষকদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রথমত সম্পর্ক থাকতে হবে। এটির সঙ্গে পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য একটি ডিজিটাল ওয়ালেট যুক্ত করা দরকার। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দরকার। এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় ঘটানো গেলেই এসব প্রজেক্টে সফলতা পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশে কোলাবরেশন খুব কম হয়। যদি সত্যিকারের কোলাবরেশন করা সম্ভব তাহলে এই ধরণের ব্যবসা করা যাবে। আমরা সেই জায়গায় বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করেছি। আমাদের পার্টনার আকিজ, বাংলা ক্যাট, প্রাণিসেবা এবং বেশ কয়েকটি এনজিও। এছাড়াও আমাদের সাথে পার্টনার হিসেবে রয়েছে বড় কিছু কর্পোরেট হাউস। এছাড়া পেমেন্ট পার্টনারশিপে নগদ ও বিকাশ আমাদের সাথে রয়েছে।

ডিএসইর

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূল কাজের জায়গা হচ্ছে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কারণ হচ্ছে- ঋণের সঠিক ব্যবহার হয় না। অনেক সময় এসএমই’র নামে লোন নিয়ে ঋণ গ্রহীতা জমি কেনেন। ঋণ নেয়ার কারণ এবং গ্রহীতার তথ্য নিশ্চিত করতে পারলে ঋণ খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। দেশে বেশিরভাগ বড় ঋণ খেলাপি হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে কেওয়াইসি নিশ্চিত না হওয়া এবং গ্রহীতার সদিচ্ছা না থাকা, ব্যবসার নামে টাকা সরিয়ে ফেলা। এসব বিষয় নিশ্চিত করা গেলে খেলাপি ঋণ কমে যাবে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সে বিদেশি বিনিয়োগ না থাকার কারণ জানতে চাইলে কায়সার হামিদ বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৈদেশিক বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স কাজ করছে। সম্প্রতি ৫০ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ আনার ব্যাপারে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। বিডা, বিএসইসি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি। কিছু জটিলতা থাকলেও আমরা আশা করি সেগুলো দূর করা সম্ভব। শেয়ারবাজারে কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবে কিনা সেটা বিদেশিরা কমপক্ষে এক বছর রিসার্চে রাখে। একটা সময় বিদেশি বিনিয়োগ আমাদের কোম্পানিতে আশা শুরু করবে।

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ইন্টারভিউ

‘চ্যাম্পিয়ন হতে হলে আগে বিশ্বাস করতে হবে’

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

ডিএসইর

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ভারতবর্ষের এই মোটিভেশনাল স্পিকারের জন্ম কলকাতায়। ১৯৮৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষ করে চাকরি জীবনে প্রবেশ করেন তিনি। দীর্ঘ ১৫ বছরের চাকরি জীবনের পর ৩৬ বছর বয়সে তিনটি সংস্থার পরিচালকের দায়িত্ব পান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি ‘ধ্রুব সত্য’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। এই প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের পেশাদার হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

সম্প্রতি ভারতবর্ষের এই মোটিভেশনাল স্পিকার বা সেমিনার লিডার কথা বলেন অর্থ সংবাদের সঙ্গে। সেখানে উঠে আসে তার সেমিনার লিডার হয়ে ওঠার গল্প।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, তিনটি সংস্থার পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে এক সেমিনারে একজন মেন্টরের সান্নিধ্য পাই, যিনি একজন বিখ্যাত সেমিনার লিডার। এর আগে সেমিনার নিয়ে আমার কোন ধারণা ছিল না যে- একটি সেমিনার বা ওয়ার্কশপ একজন মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে। ওই ব্যাক্তির সান্নিধ্যে আসার পর সিদ্ধান্ত নিই সেমিনার লিডার হবো। এই ভাবনা নিয়েই ‘ধ্রুব সত্য’ এর জন্ম হয়। এখন আমরা দেশ-বিদেশে ৬০০ সংগঠন এবং ৩০০ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কাজ করি। হাসপাতাল, কলেজ, মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ডাক্তারদের নিয়ে কাজ করি। জটিল রোগের প্রতিষেধকের সন্ধানে যেসব বিজ্ঞানী কাজ করছেন, তাদেরকে উদ্দীপ্ত করার জন্য কাজ করি। এছাড়াও তিন বছর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সব ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের মোটিভেশনাল মেন্টর ছিলাম। বর্তমানে যারা ইন্ডিয়া টিমে খেলছেন যেমন- রিদ্ধিমান, মোহাম্মদ সামি, অভিমন্নু এমনকি সৌরভ গাঙ্গুলীও আমার স্টুডেন্ট।’

তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের মেন্টর হিসেবে এক বছর থাকার সুযোগ হয়েছে। বেশ কিছু মানসিক সংশোধানাগার, যৌনকর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেছি।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহানে মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীন থেকে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। ২০২০ সালের শুরুতেই চীনের সীমানা অতিক্রম করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে থাকে কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস)। সৌমিত্রও আক্রান্ত হন এই ভাইরাসে। সে সময় একাকী সময় কেটেছে তার। ওই ভয়াবহ পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়, তিনি কিভাবে করেছেন তা নিয়ে লিখেছেন বই। ইংরেজি ভাষার ওই বইটির নাম ‘ফেইথ’ (FAITH)। শীঘ্রই  বইটির বাংলা সংস্করণও পাওয়া যাবে।

নিজের লেখা বইটি নিয়েও কথা বলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি যখন কোভিড আক্রান্ত হই, তখন তেমন সমস্যা হইনি। তবে একা থাকাকালে আতঙ্কিত হই। কোভিডের যে আতঙ্ক সেখান থেকে কিভাবে প্র্যাকটিক্যালি বের হয়ে আসা যায় তা এ বইয়ে লেখা আছে।

বইটির গুরুত্ব সম্পর্কে সৌমিত্র বলেন, মানুষের ব্রেইন সার্ভাভাইলের জন্য তৈরী। যখন কোভিড বা এর মত মহামারি আসে তখন ব্রেইন সার্ভাভাইলি ধাক্কা খায়। তখন আমাদের স্ট্রেস হরমোনের নিঃস্বরণ বাড়তে শুরু করে। যার ফলে প্যানিক অ্যাটাক, আশাহত হওয়ার মত সমস্যা গ্রাস করে। বইটিতে বলতে চেয়েছি- মেন্টাল হেলথ্ ভালো থাকলে কোভিড বা কঠিন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভালো কাজে দেয়। কোভিড আমাদের মেন্টাল হেলথকে ছারখার করে দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আমার এ বইটির গুরুত্ব অপরিসীম। এর এক অংশে বলা হয়েছে- বাধা থাকা স্বত্ত্বেও হিরোরা কিভাবে লক্ষ্যে পৌঁছেছে। অপর অংশে বলা হয়েছে- এই হিরোরা নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কি কি করেছেন, কি ধরণের ধ্যান করেছেন।

নিজের কাজ সম্পর্কে এই সেমিনার লিডার বলেন, কাজের মাধ্যমে মানুষকে শেখাই- ‘কিভাবে একজন মানুষ তার নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে, ইম্পসিবলকে কিভাবে পসিবল করতে পারে’।

ডিএসইর

ইন্স্যুরেন্স ও কর্পোরেট সেক্টর নিয়ে সৌমিত্র বলেন, যারা সেল করে, আমি কিভাবে ভালো সেলম্যান হতে পারি। কাস্টমারের অভিযোগ কিভাবে সমাধান করবো, এগুলো আমরা শেখাই। একজন ডাক্তার যেভাবে রোগীদের ট্রিটমেন্ট করে, সেভাবেই আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের শেখাই।

তিনি বলেন, অনেকেই অনেক কিছু সাফার করে, কিন্তু কাঙ্খিত রেজাল্ট পায় না। কারণ অনেকেই রেজাল্ট নিয়ে বলতে চায় না। তাদের দম নেই। কিন্তু আমরা দম নিয়ে বলি রেজাল্ট দিব। রেজাল্ট দিতে পারি কারণ প্রসেস তৈরী করতে পারি। এজন্য আমরা সবাইকে বলি প্রসেস তৈরী করুন।

বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক সময়ের এই মোটিভেটর কথা বলেন সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স নিয়ে। বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে, এটা আমি ধরেই নিয়েছিলাম। তারা সম্প্রতি অনেকগুলো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে আগে বিশ্বাস করতে হবে। আর বিশ্বাস করতে হলে দ্বিধা-দ্বন্দ্বকে ঠাঁই দেয়া যাবে না। ক্রিকেটারদের কোয়ালিটি নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

টিমের পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস থাকলে, ওয়ান টিম-ওয়ান ড্রিম থাকলে জয় পাওয়া সম্ভব। কোচ এবং ম্যানেজমেন্টকে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আর মনে রাখতে হবে আমরা পতাকার প্রতি দায়বদ্ধ। তাহলে ভালো করা সম্ভব।

ই-কমার্সে তারুণ্যের সাফল্য কিভাবে আসবে-এমন প্রশ্নের জবাবে সৌমিত্র বলেন, তরুণ-তরুণীদের নতুন আইডিয়া নিয়ে ভাবতে হবে, কাজ করতে হবে। গ্রাহকের প্রধান ৫/১০টি সমস্যা জানতে হবে। সেগুলো সমাধান করতে পারলে ভালো করতে পারবে। তরুণ উদ্যোক্তারাই কিন্তু আমাদের ভবিষ্যত।এদেরকে সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ইন্টারভিউ

‘সিমেন্ট রপ্তানির জন্য দরকার পলিসি সাপোর্ট’

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

ডিএসইর

আমাদের দেশে সিমেন্ট চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদন হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে সিমেন্ট রপ্তানি করা সম্ভব। আর এর জন্য সরকারের পলিসি সাপোর্ট থাকা দরকার বলে মনে করেন বেঙ্গল সিমেন্টের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আসাদুল হক সুফিয়ানী। সম্প্রতি অর্থসংবাদকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি সিমেন্ট খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে সিমেন্ট খাতে সম্পৃক্ত রয়েছেন। অর্থসংবাদের পাঠকদের জন্য আলোচনার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

অর্থসংবাদ: আপনার দৃষ্টিতে দেশের সিমেন্ট খাতের অবস্থা কি?

সুফিয়ানী: গত ১০ বছরে আমাদের দেশের সিমেন্ট শিল্প অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশের সিমেন্টের মান অনেক উন্নত হয়েছে।একই সঙ্গে আমাদের দেশে সিমেন্ট উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে এখন সিমেন্টের চাহিদার পরিমান ৩২ মিলিয়ন মেট্টিক টন, সেখানে উৎপাদন হচ্ছে ৫৭ মিলিয়ন মেট্টিক টন।ফলে এখন দেশের চাহিদা পূরন করে সিমেন্ট রপ্তানি করাও সম্ভব। তবে সেটার জন্য সরকারের পলিসি সাপোর্ট দরকার।

ডিএসইর

অর্থসংবাদ: রপ্তানির জন্য কি ধরনের পলিসি সাপোর্ট দরকার?

সুফিয়ানী: আমাদের দেশের সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল সম্পূর্ন আমদানি নির্ভর। কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড়সহ বিশেষ সুবিধা দেয়া হলে এই খাতের রপ্তানি সম্ভাবনা অনেক। এর ফলে সিমেন্ট শিল্পের বিকাশ হবে। এ শিল্প বড় হলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তবে এর আগে  আমাদের পলিসি মেকিং ডিপার্টমেন্ট থাকা দরকার। বিশেষ করে ইন্ডাষ্ট্রির জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। এ ডিপার্টমেন্ট থাকলে চাহিদার তুলনায় একই খাতের অতিরিক্ত কারখানা গড়ে উঠত না। তাহলে অসম প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হতো না। পলিসি মেকিং ডিপার্টমেন্ট থাকলে সব কিছুতেই সঠিক প্রয়োগ হবে। বিশেষ করে যে কোন খাতের জন্য সঠিক গবেষনার ভিত্তিতে তার জন্য সব রকমের সাপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় দিক ‍নির্দেশনা পাওয়া সহজ হবে।

অর্থসংবাদ: পোষাক শিল্পের মত সিমেন্ট খাতেও কি প্রণোদনা দরকার আছে বলে মনে করেন ?

ডিএসইর

সুফিয়ানী: এই খাতেও বিশেষ প্রণোদনা দরকার, বাংলাদেশ ‍সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার এসোসিয়েশন থেকে আমরা প্রণোদনার জন্য অনেকবার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সিমেন্ট শিল্পের জন্য দেয়া হয়নি। আমি মনে করি আমরা অর্থনীতি সচল রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাই এ শিল্পকে সরকার গুরুত্ব দেয়া দরকার।

অর্থসংবাদ: লকডাউনের মধ্যে আপনারা কিভাবে ব্যবসা চালু রেখেছেন?

সুফিয়ানী: লকডাউনের মধ্যেও কিন্তু আমাদের ব্যবসা চালু ছিল, পন্য ডেলিভারি হয়েছে। তবে ঐ সময় ব্যবসা স্লো ডাউন ছিল। প্রায় ৩৫ শতাংশ ব্যবসা ডাউন ছিল কিন্তু, পরের মাসেই সেটা আবার অনেকটা ঠিক হয়ে গেছে। ইন্ডাস্ট্রিতে করোনা পরিস্থিতিতে অন্যরা  কর্মী ছাটাই করলেও আমরা কোনা ছাটাই করিনি। আমরা মনে করি এমপ্লয়ীদের জন্য একটা দায়িত্ববোধ থাকে, এটা কারোই করা উচিত না। কয়েকটা মাসের সমস্যার জন্য তো আর যুগ যুগ ধরে চলা একটা কোম্পানি বন্ধ থাকতে পারে না। কোম্পানি বন্ধ ছিল তার জন্য বেতন কমে যাবে সেটা তো হতে পারে না। এই ক্ষেত্র আমরা চিন্তা করছি বিপদের সময় যখন কর্মীরা কাজ করছে, যারা ইন্ডাস্ট্রির জন্য কন্ট্রিবিউট করলো, তাদের এই দু:সময়ে বেতন কমিয়ে দেওয়া আমরা যুক্তি যুক্ত মনে করিনি। যেহেতু কোম্পানির জন্য তারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে এবং কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়েছে, সে কারণে আমরা তাদের বেতন বোনাস সবকিছুই ঠিক মতো দিয়েছি।

অর্থসংবাদ: বেঙ্গল সিমেন্টের বিশেষত্ব কি? বড় কোন প্রজেক্টে আপনাদের সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে কি?

সুফিয়ানী: অবশ্যই আমরা ইউনিক, ৩৫টি সিমেন্ট কোম্পানির মধ্যে বেঙ্গল সিমেন্টের আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।বেঙ্গল গ্রুপের যে কোনা প্রোডাক্টই নাম্বার ওয়ান, গুনে এবং মানে। যে কারনে ৩৫ টি কোম্পানির মধ্যে আমরা মাত্র এক বছরেই ৭ম অবস্থানে চলে এসেছি। মান নিয়ন্ত্রনে বিশ্বমানের কাঁচামাল ব্যবহার হয় বেঙ্গল সিমেন্টে। তাই সরকারি ও বেসরকারি অনেক বড় বড় প্রজেক্টে বেঙ্গল সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে। যেমন মেট্টরেল প্রজেক্টে, এমইএস,এমআরটি, টাঙ্গাইল-রংপুর হাইওয়ে এবং বিএসএমএমইউ সহ রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে বেঙ্গল সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে। বেঙ্গল সিমেন্ট এর দিনে ৪ হাজার মেট্টিক টন সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন ৮০ হাজার ব্যাগ সিমেন্ট উৎপাদন হচ্ছে।

ডিএসইর

এছাড়াও আমাদের বিপনন সিস্টেমেও কিছুটা ভিন্নতা আছে, যেহুতে আমরা লেট এন্ট্রি এবং সবচেয়ে নতুন সিমেন্ট কোম্পানি। সেহেতু আমরা বাংলাদেশে ১৪৭ জনকে নতুন এই প্রফেশনে নিয়োগ দিয়েছি। যারা একদমই ফ্রেস, পড়ালেখা শেষ করেছে মাত্র তাদেরকে আমরা সুযোগ দিয়েছি। কারণ নতুন ছেলেদেরকে আনার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের মধ্যে একটা উদ্দীপনা থাকে, যেহেতু ইন্ডাস্ট্রিকে কিছু দিতে পারে। সেই সুযোগটা আমরা দিয়েছি এবং তাদেরকে দিয়ে আমরা মার্কেটটা শুরু করেছি। ফলে ৪.৫ শতাংশ আমাদের মার্কেট শেয়ার বর্তমানে।

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ইন্টারভিউ

খেলাপীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবি ব্যাংক

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

ডিএসইর

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি এবি ব্যাংক লিমিটেড ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ায় ব্যাংকের আদায় বেড়েছে, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণ কমেছে অনেক। আর্থিক সংকট কাটিয়ে ইতিমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের এ ব্যাংকটি। পাশাপাশি বেড়েছে আমানত। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দুই বছর পর এবার লভ্যাংশও দিতে পেরেছে। ফলে দীর্ঘদিন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা শেয়ারবাজারের এ প্রতিষ্ঠানটি এখন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হচ্ছে।সম্প্রতি ব্যাংকটির  উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে অর্থসংবাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আফজাল।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এস এম জাকির হোসাইন। ছবি: ফয়সাল ইব্রাহীম

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

এবি ব্যাংকের এমডি বলেন, গত দুই বছর যাবত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত বিভিন্ন সূচকে এবি ব্যাংক নিম্নমূখী ছিল, তাই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ইচ্ছা করলেও শেয়ারহোল্ডারদেরকে লভ্যাংশ দিতে পারেনি। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইনের অনেক সূচকেই উন্নতি করেছি এবং সম্মানজনক পর্য়ায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি ব্যাংকটিকে। অর্থাৎ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হওয়ার জন্য যেসব সূচকে উন্নতি করা প্রয়োজন ছিল, সেসব সূচকে আমরা উন্নীত হয়েছি। যেমন তারল্য বেড়েছে, উপার্জন ক্ষমতা বেড়েছে, মন্দ ঋণ কমেছে, গ্রাহকের আস্থা বেড়েছে। ফলে এবছর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ব্যাংকের পর্ষদ ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।ডিএসইরব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও এমডি তারিক আফজাল বলেন, দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা একটি ব্যাংক একবছরের মধ্যে লাভজনক অবস্থায় নিয়ে আসতে পেরেছি, এটা নি:স্বন্দেহে অনেক বড় অর্জন। ব্যাংকটিকে মোটামোটি একটা সম্মাানজনক অবস্থায় নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংকটির হারানো ঐতিহ্য অনেকটাই ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। যেমন ২০১৮ সালের শেষে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৩৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০১৯ সালের শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২৮ শতাংশে। এক বছরে খেলাপি ঋণ কমেছে ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময় ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৪৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৩০৮ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় শত ভাগেরও বেশি। আমরা খেলাপীদেও বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি।ঋণখেলাপী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা। আমরা ব্যাংকের প্রতি আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। ফলে ২০১৯ সালের শেষে আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকায়। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। একবছরেরও কম সময়ে আমানত বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।

সম্প্রতি এবি ব্যাংকের কর্মী ছাটাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকটির এমডি তারিক আফজাল বলেন, আসলে এই খবরটি সঠিক নয়, আমরা চলতি মাসে ১৬০ জনকে পদোন্নতি দিয়েছি। এছাড়াও প্রায় ২ হাজার জনকে ইনক্রিম্যান্ট দিয়েছি। গত একবছর চেষ্টা করেও যাদেরকে অগ্রগামী করতে পারিনি সেসব অদক্ষ জনবলকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র ব্যাংকের উন্নয়নের স্বার্থে। কারন যোগ্য ব্যবস্থাপনা এবং দক্ষ জনবল একটি প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ন উপাদান। এটির অভাব থাকলে একটি প্রতিষ্ঠান তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেনা। যোগ্য ব্যবস্থাপনা এবং দক্ষ জনবলের অভাবেই ব্যাংকটি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছিল। বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারনে অনেকেরই চাকরি চলে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে ব্যবস্থাপনায় এবং পরিচালনা পর্ষদে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। অদক্ষ জনবলের কারনে গ্রাহক থেকে ব্যাংকের টাকা আদায় করতে পারেনি, ফলে ব্যাংকটি প্রান্তিক পর্যাযে চলে যাচ্ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ২০১৯ সালের পুরো সময়টা অদক্ষ জনবলকে ট্রেনিং দেয়ার চেষ্টা করলাম। অনেককে উন্নয়নের দিকে নিয়ে আসছি, যাচাই করার চেষ্টা করেছি তারা কি যোগ্য পদে আছে কিনা? অনেকের পোর্টফলিও বদল করেছি। কোভিড১৯ এর ফলে লকডাউনের সময় ব্যাংকের ৭০ থেকে ৮০ টি শাখা বন্ধ ছিল। তখন তাদেরকে অনলাইনে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। যারা বিগত কয়েক বছর ধরে পারফর্মেন্স খারাপ করছিল তাদেরকে গত জানুয়ারী মাস থেকেই একাধিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। যারা প্রথমে পরীক্ষায় খারাপ করেছে তাদেরকে আবার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারপরেও যারা উন্নতি করতে পারেনি আমরা তাদেরকে বলেছি ছেড়ে দিতে, অনেকেই নিজের ইচ্ছায় চলে গেছে।

ডিএসইরতারিক আফজাল ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কি কি অর্জন হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি, যা অনেক বড় অর্জন। খেলাপী ঋণ কমিয়ে নিয়ে আসা, লোকসান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা। ব্যাংকের ঐতিহ্য এবং সুনাম ফিরিয়ে আনা উল্লেখযোগ্য অর্জন।

খেলাপী ঋণ আদয়ে তিনি এ পর্যন্ত কি কি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খেলাপীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রেপ্তার অভিযান করেছি। অনেকেই ভয়ে এবং লজ্বায় ব্যাংকের টাকা দিয়েছে। গত দুই বছরে ১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ে ১১৪টি মামলা দায়ের করেছি। এসব মামলার বেশির ভাগই করা হয় চেক ডিজঅনার এবং অর্থঋণ আদালতে। অনেক বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে তোলার ব্যবস্থা করেছি।এবি ব্যাংকের খেলাপি প্রতিষ্ঠান প্যারাডাইজ কেবলস থেকে ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৭৫ কোটি টাকা এবং প্যারাডাইজ স্পিনিং মিলস থেকে পাওনা প্রায় ১২৫ কোটি টাকা আদায়ে গত ২১ জুন উভয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর ২৫ জুন প্রতিষ্ঠান দুটির বন্ধকি সম্পত্তিও নিলামে তুলেছি।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে মেজেসটিকা হোল্ডিংস লিমিটেড এবং ধলেশ্বারি লিমিটেডের কর্ণধার লতিফ সিদ্দিকীর পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে ২০১৯ সালের জুন এবং ২০২০ সালের জুনে মেজেসটিকা হোল্ডিংস লিমিটেড ও ধলেশ্বারি লিমিটেডের পরিচালকদের বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টে-১৮৮১ আইনের ক্ষমতা বলে একাধিক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে হয়। ২০১৯ সালের জুনের মামলার ওয়ারেন্ট বাস্তবায়ন হয় ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি। পুলিশের সহায়তায় তাদের বাসভবনে গ্রেফতার অভিযান চালানো হয। টাকা ফেরত না দেয়ায় ব্যাংক তাদের বন্ধকি সম্পত্তি নিলাম তোলার সব আইনি প্রক্রিয়া চালু রেখেছে। বর্তমানে তারা জামিনে থাকলেও ব্যাংকের পাওনা টাকা আদায়ে প্রয়োজনীয় আইনি সব প্রক্রিয়া চলমান। একইভাবে ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড লিমিটেডের পরিচালকদের বিরুদ্ধে ৫টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয় এবং টাকা আদায়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।

২০১৮ সালে এরশাদ ব্রাদার্স কর্পোরেশনের মালিক এরশাদ আলির বিরুদ্ধে ৪টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সে মোতাবেক ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই পুলিশের সহায়তায় তার বাসভবনে গ্রেফতার অভিযান চালানো হয় কিন্তু তিনি পালিয়ে যান। বর্তমানে জামিনে আছেন তিনি। এছাড়াও এবি ব্যাংক ঋণের টাকা উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া চালু রয়েছে আশিয়ান এডুকেশন লিমিটেড ও আশিয়ান ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধেও।

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
ডিএসইর
পুঁজিবাজার2 hours ago

নাম্বার ওয়ান হতে হবে ডিএসইর আইটি: চেয়ারম্যান

ডিএসইর
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার2 hours ago

রমজানে মাসজুড়ে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ ছুটি

ডিএসইর
কর্পোরেট সংবাদ2 hours ago

‘এবি ব্যাংক স্মার্ট কৃষি ঋণ’ পেলো প্রান্তিক কৃষকরা

ডিএসইর
শিল্প-বাণিজ্য3 hours ago

দেশের বাজারে কমলো সোনার দাম

ডিএসইর
অন্যান্য3 hours ago

যেভাবে ‘পালঙ্কী’ থেকে নাম বদলে ‘কক্সবাজার’

ডিএসইর
খেলাধুলা3 hours ago

বিমান বাংলাদেশের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন সাকিব

ডিএসইর
অর্থনীতি3 hours ago

গরু মোটাতাজা করায় স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়ার সুযোগ

ডিএসইর
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

ক্রেতাদের সুবিধার্থে স্বপ্ন’তে তরমুজ বিক্রি নিয়ে ভিন্ন উদ্যোগ

ডিএসইর
জাতীয়3 hours ago

দুদকের নতুন মহাপরিচালক মোকাম্মেল হক

ডিএসইর
জাতীয়3 hours ago

৮ হাজার ২৮৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

Advertisement
Advertisement
March 2023
SMTWTFS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031