আন্তর্জাতিক
আইপিও থেকে বাদ পড়ছে আদানির কোম্পানি
যুক্তরাষ্ট্রের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্ম ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আদানির গ্রুপের শেয়ারদর ব্যাপক পতন হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আদানি গ্রুপের একটি কোম্পানি ভারতীয় শেয়ারবাজারের এসএন্ডপি এবং বিএসই আইপিও সূচক থেকে বাদ পড়তে পারে।
জানা গেছে, আদানি গ্রুপের সাতটি কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এসব কোম্পানি পণ্য ব্যবসা, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ, বন্দর ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা করছে। কোম্পানিগুলো হলো- আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনোমিক জোন, আদানি পাওয়ার লিমিটেড, আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি উইলমার লিমিটেড। হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরপরই এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে পতন হতে থাকে।
এশিয়া ইনডেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আদানি উইলমার লিমিটেড এসএন্ডপি বিএসই আইপিও সূচক থেকে বাদ পড়বে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোম্পানিটিকে দুই সূচক থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে যা আছে
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘শেয়ার দরে কারচুপি’র অভিযোগ তুলে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ। এ প্রতিবেদনে গৌতম আদানির আর্থিক নয়ছয়ের বিষয় উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কারসাজি এবং আর্থিক লেনদেনে প্রতারণা চালিয়ে আসছে আদানি গ্রুপ। কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর বহু গুণ বাড়িয়ে শিল্পগোষ্ঠীটি বিশাল সম্রাজ্য গড়েছে। গত কয়েক বছরে আদানি গ্রুপের কোম্পানির শেয়ার ৫০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
যেভাবে পতন শুরু আদানি গ্রুপের
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন গৌতম আদানি ও তার কোম্পানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিল্পপতি আদানির সম্পদের পরিমাণ কমতে থাকে। বিশ্বের তৃতীয় ধনী থেকে ছিটকে পড়েন ভারতীয় এই শিল্পপতি। ১২০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ এখন দাঁড়িয়েছে ৫১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর ২৪ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদানি গ্রুপের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদরের পতন অব্যাহত আছে। কোম্পানিগুলো এই সময়ে ৩০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭২ দশমিক ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে।
আদানি গ্রুপের সাত কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড। ২৪ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত (১৫ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৭২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই সময়ে গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৬৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেডের শেয়ারদর ৬৩ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়াও আদানি পাওয়ারের ৪৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ, আদানি এন্টারপ্রাইজের ৪৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, আদানি উইলমারের ৩০ শতাংশ এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের শেয়ারদর ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ কমেছে।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিতর্কের মুখে বড় সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নেয় আদানি গোষ্ঠী। বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয় ২০ হাজার কোটির রুপির এফপিও। এফপিও বাতিল প্রসঙ্গে আদানি বলেছিলেন, ‘আমরা এফপিওর সম্পূর্ণ সাবস্ক্রিপশন পেয়েছি, যার জন্য আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছে কৃতজ্ঞ। বাজারের অস্থিরতার কথা মাথায় রেখে পরিচালন পর্ষদ এই এফপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে চলমান দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এফপিও থেকে প্রাপ্ত পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগকারীদের ফিরিয়ে দেব।
ভারতীয় ব্যাংক এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বীমা সংস্থা আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে বা ঋণ দিয়েছে। শুধুমাত্র ভারতীয় লাইফ ইন্স্যুরেন্স করপোরেশন গত কয়েক বছরে ৩০ হাজার ১২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। তবে বিতর্কের মুখে পড়ায় সংস্থাটি আদানি গ্রুপে নতুন করে বিনিয়োগ করবে না বলে জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
চারশ বছরের পুরনো শহরে টুপি পরে মসজিদ উদ্বোধন নিউইয়র্কের মেয়রের

নিউইয়র্কের ইস্ট এলমর্হাস্টে ইসলামিক সেন্টার অব জ্যাকসন হাইটস ইনক এর ‘মসজিদ আবু হুরায়রা’ উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস।
ইস্ট এলহার্স্টে মসজিদ উদ্বোধন ঘিরে ছিলো উৎসবের আমেজ। প্রবাসী বাংলাদেশী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ছিলেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ উদ্বোধন করে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র এবং জনপ্রতিনিধিদের পবিত্র কোরান উপহার দেন অ্যাটর্নী মঈন চৌধুরী। মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতারা ছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন মসজিদ নির্মাণের রিয়েলটর গৌরাঙ্গ কুন্ডু।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, চারশ বছরের পুরনো নিউইয়র্ক শহরে তিনি সম্ভবত প্রথম টুপি পরে মসজিদ উদ্বোধন করলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেলিন্ডা কেট্জ, অ্যাসেম্বলিওমেন জেনিফার রাজকুমার এবং অন্যরা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পতনের ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ২০০ ব্যাংক

যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ধসের পরেই বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটির তিন ব্যাংকে ধস নামে। এই ধস বিশ্ব পুঁজিবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার আরো প্রায় ২০০ ব্যাংক পতনের ঝুঁকি মুখে রয়েছে। আমেরিকার চারজন বিশেষজ্ঞের গবেষণা রিপোর্টের বরাত দিয়ে আরটি এ তথ্য জানিয়েছে।
গবেষণা রিপোর্ট বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি অস্থিতিশীল বাজার শান্ত করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা সত্ত্বেও এসব ব্যাংক পতনের ঝুঁকি মুখে রয়েছে। আমেরিকার প্রায় ২০০ ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ভাগ্যবরণ করতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৭ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৬ মার্চ পর্যন্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতকরা ৪.৫৭ ভাগ সুদের হার বাড়িয়েছে যার কারণে এই সময়ে ব্যাংকগুলোর গচ্ছিত সম্পদের মূল্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যায়। মার্কিন চার অর্থনীতিবিদের গবেষণা রিপোর্ট সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কে এ গত সপ্তাহে প্রকাশ হয়। একদিকে ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়ে উচ্চহার সুদে ঋণ দিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে, অন্যদিকে অনেক ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত নগদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মার্কিন ট্রেজারিতে রেখে দিয়েছে। সুদের হার বাড়ানোর কারণে এইসব গচ্ছিত বন্ডের মূল্য এখন মারাত্মকভাবে কমে গেছে। খবর- পার্সটুডে
এদিকে আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল বিনিয়োগ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী লরেন্স ফিঙ্ক সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ব্যাংকিং খাত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দেশটির মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বাড়তে পারে সুদ হার। আর্থিক পরিস্থিতিকে ‘সহজ অর্থের মূল্য’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার আরও বৃদ্ধির প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার শঙ্কায় বিনিয়োগ যাচ্ছে সোনায়

যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া ব্যাংক খাতের সংকট বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ডেকে আনতে পারে-এমন শঙ্কায় গ্রাহকরা নিরাপদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। গ্রাহকরা নগদ অর্থ তুলতে শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্রে ছোট ও মাঝারি ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ছে। এ অবস্থায় দুটি ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পর আরো বেশ কিছু ব্যাংক ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, বিশ্বে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা শুরু হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সোনায় অর্থ ঢালছেন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গত শুক্রবার এক দিনে সোনার দাম প্রায় ৬৯ ডলার বেড়ে প্রতি আউন্স হয় এক হাজার ৯৮৮ ডলার। অর্থাৎ দুই হাজার ডলারের কাছাকাছি। এক দিনে সোনার দাম বেড়েছে ৩.৫৯ শতাংশ এবং এক সপ্তাহে বেড়েছে ৬.৪৪ শতাংশ। দুই দিনের ছুটি কাটিয়ে সোমবার বাজার খুললে মূল্যবান ধাতুর দাম আরো বাড়তে পারে।
সোনার পাশাপাশি বাড়ছে রুপার দামও। গত শুক্রবার বিশ্ববাজারে রুপার দাম ৪.১১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স হয় ২২.৬০ ডলার। এক সপ্তাহে বেড়েছে ১০.২০ শতাংশ।
সংস্থা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু হওয়া এ সংকটে বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বৃদ্ধির পথ থেকে ফিরে আসবেন বড় ধরণের মন্দা এড়াতে। সে কারণে বাড়ছে সোনার দাম।
এরই মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) নীতি সুদহার ৫০ বিপিএস বাড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন, যা এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর কথা থাকলেও তা থেকে পিছু হটতে পারে ফেড।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মূল্যবান ধাতু ব্যবসায়ী তাই ওয়াংগ বলেন, ‘ব্যাংক খাতের আরো অনেক মন্দ খবর আসতে পারে, এমন উদ্বেগ থেকে সোনার দাম বাড়ছে। এমনকি বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেডের পরবর্তী বৈঠকে সুদহার বাড়ানো হবে না।’
এফএক্সটিএমের সিনিয়র গবেষক লুকম্যান ওটুনুগা বলেন, ‘ব্যাংক খাতের অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীরা ঢাল হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ করছেন।’ তাঁর মতে, ডলার ও শেয়ারবাজার নিম্নমুখী রয়েছে। ফলে মূল্যবান ধাতু আরো আকর্ষণীয় বিনিয়োগ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় সবাই নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়ায়।
গত ১০ মার্চ মূলধনসংকটে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) বন্ধ করে দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ করে দিতে হয় সিগনেচার ব্যাংকও। এ অবস্থায় আতঙ্কের পারদ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে আসে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক ক্রেডিট সুইসে। যদিও সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫৩.৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তায় আপাতত দেউলিয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল ক্রেডিট সুইসে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল হিসেবে বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনার মূল্য অনেক, বিশেষ করে অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে। এর আগে বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইউবিএসের নির্বাহী পরিচালক ওয়েনে গর্ডন বলেছিলেন, ‘২০২৩ সালেই সোনার দাম প্রতি আউন্স দুই হাজার ডলার অতিক্রম করবে।’ তিনি বলেন, ‘গত বছর সুদের হার বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হলেও এখন আবার দুর্বল হচ্ছে। এ অবস্থায় ডলারের বিপরীতে নিরাপদ ঢাল হতে পারে সোনা।’
এদিকে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। সবচেয়ে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম ভরিতে সাত হাজার ৬৯৮ টাকা বেড়ে হয়েছে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে আরবি ৮৫ হিজরি সনের উমাইয়া মুদ্রা আবিষ্কার

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের দাওয়াদমি অঞ্চলে আরবি ৮৫ হিজরি সনের একটি উমাইয়া মুদ্রা আবিষ্কার করেছে সৌদি হেরিটেজ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার হেরিটেজ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে তারা আরবি ৮৫ হিজরি সনের পুরনো একটি উমাইয়া মুদ্রা খুঁজে পেয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ২০২২ সালে তৃতীয় বারের মত দাওয়াদমি গভর্নরেটের “হালিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান” খনন করতে গিয়ে একটি উমাইয়া মুদ্রা খুঁজে পান,তবে এর আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর সন্ধান পেয়েছিলেন দলটি ।
কর্তৃপক্ষ বলেছে যে পূর্বে আবিষ্কৃত একটি মসজিদের কাছে স্থাপত্য ইউনিট এবং পার্শ্ব প্রবেশদ্বার সহ সংলগ্ন কক্ষগুলি নিয়ে গঠিত বসতি বাজারের আবিষ্কারও করেছেন।স্থানটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কৃত ইসলামিক ঐতিহ্যের মধ্যে একটি।
“হালিত প্রত্নতাত্ত্বিক” স্থানটিকে উমাইয়া যুগের স্থানগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা উমাইয়া যুগে আরব উপদ্বীপের সভ্যতাগত ভূমিকাকে তুলে ধরে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সাড়ে ৮২ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি, আবেদন চলতি মাসেই

ইতালিতে বহুল প্রতীক্ষিত মৌসুমি ও অ-মৌসুমি ভিসায় বাংলাদেশসহ মোট ৩৩ দেশ থেকে ২০২৩ সালে ৮২ হাজার ৭০৫ জন নতুন শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং এ বিষয়ে সরকারি গেজেটও প্রকাশ করেছে। আগামী ২৭ মার্চ থেকে অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
এবার মৌসুমি ভিসায় ৪৪ হাজার শ্রমিক ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশসহ ৩৩ দেশের নাগরিকরা এই ভিসায় আবেদন করতে পারবেন।অন্যদিকে অ-মৌসুমি ভিসায় অর্থাৎ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আরও ৩৮ হাজার ৭০৫ জন শ্রমিক ইতালিতে আসতে পারবেন। অ-মৌসুমি ভিসার বাইরে কনস্ট্রাকশন, জাহাজনির্মাণ প্রতিষ্ঠান, মেকানিক্স, টেলিযোগাযোগসহ এসব সেক্টরে ৩০ হাজারের বেশি কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
ইতালি সরকার প্রায় ৮ বছর বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রাখে। তবে গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশি শ্রমিক আসার সুযোগ পাচ্ছেন দেশটিতে। মূলত কৃষিকাজের ভিসার মেয়াদ থাকে নয় মাস। নিয়মানুযায়ী নয় মাস কাজ করে স্ব-স্ব দেশে ফেরত যাবেন প্রত্যেক শ্রমিক। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা এ নিয়ম মানেন না।
জানা গেছে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা ইতালিতে কৃষিকাজের ভিসায় এসে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে থেকে যায়। আইন অনুসারে যেকোনো শ্রমিক ৯ মাসের বেশি ইতালিতে অবস্থান করলে তিনি অবৈধ হয়ে যান। কিন্তু বাংলাদেশি শ্রমিকরা ৯ মাসের ভিসায় এসে দেশে ফেরত না যাওয়ায় আইন অমান্যসহ বিভিন্ন কারণে ইতালি সরকার বাংলাদেশের কোটা বাতিল করে রেখেছিল গত কয়েক বছর।
এ বিষয়ে ইতালি বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ভেনিস সাধারণ সম্পাদক এসটি শাহাদাৎ বলেন, ইতালিতে স্পন্সরে (ফ্লুসি) আসার একমাত্র বৈধ প্রক্রিয়া। এই বৈধ পথটা যেন কোনো অসাধুচক্র অপব্যবহার না করে। আমরা নিশ্চয়ই অবগত আছি প্রায় আট বছর ইতালি সরকার বাংলাদেশকে কালোতালিকাভুক্ত করে রাখে। দুই বছর ধরে এই তালিকা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। তাই বৈধ প্রক্রিয়া যেন আমরা ধরে রাখতে পারি।
এ বছর আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন একটা শর্ত দেওয়া হয়েছে। তা হলো- নিয়োগদাতাকে প্রথমে শ্রমিকের চাহিদা জানিয়ে কর্মসংস্থান দপ্তরে আবেদন করতে হবে। তারা শ্রমিক সরবরাহ করতে অপারগ হলে একটা সনদ দেবে, যার ভিত্তিতে বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার আবেদন করা যাবে।
আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে জনপ্রশাসন অফিস থেকে নুল্লা ওয়াস্তা বা ভিসার অনুমোদনপত্র দেওয়া হবে। এটি নিজ দেশের ইতালিয় দূতাবাসে জমা দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করতে হয়। অনলাইনে করা আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভিসার অনুমোদনপত্র আসতে প্রায় ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএম