ব্যাংক
প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন দুই এএমডি

শাহেদ সেকান্দার এবং সৈয়দ নওশের আলী সম্প্রতি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এই পদোন্নতির পূর্বে শাহেদ সেকান্দার এবং সৈয়দ নওশের আলী একই ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শাহেদ সেকান্দার ৩৮ বছরের বর্ণাঢ্য ব্যাংকিং কর্মজীবনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ১৯৮৩ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে এনসিসি ব্যাংক, এসআইবিএল- এ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৫ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডে যোগ দেন। তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ব্যাংকিং প্রোগ্রাম, ট্রেনিং, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নেন।
সৈয়দ নওশের আলী ৩৭ বছরের বর্ণাঢ্য ব্যাংকিং কর্মজীবনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ১৯৮৬ সালে এবি ব্যাংক লিমিটেডে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০০০ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডে যোগ দেন। তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ব্যাংকিং প্রোগ্রাম, ট্রেনিং, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে দেড় কোটি

দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। জানুয়ারি শেষে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭টি। গত বছরের জুন শেষে যার সংখ্যা ছিলো ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। অর্থাৎ সাত মাসে হিসাব বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত ডিসেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাবের সংখ্যা ছিলো ১৯ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এধরনের হিসাব বেড়েছে ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ১০৯জন। অপরদিকে নারী গ্রাহক ৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৩জন। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯ হাজার ১১২ জন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, অতিদ্রুত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট এক গতি সঞ্চার করেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবা। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানও যোগ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছিলো ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। আগস্ট মাসে কিছুটা কমে লেনদেন হয়েছিলো ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। এরপরের মাস সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৬৯৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) জানুয়ারি মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৮ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ১ হাজার ৯৬১ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৩ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদ সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
স্বর্ণ নিলামে তুলবে বাংলাদেশ ব্যাংক

নিলামের মাধ্যমে ২৫ কেজি বা ২ হাজার ১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগিরই নিলামের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এ নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
চোরাই পথে আনার সময় আটক স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। এ পর্যন্ত শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে আটক স্বর্ণের পরিমাণ সাড়ে ৬ হাজার কেজির মতো। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করেছে ২ হাজার ৪২৯ কেজি।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে স্থায়ী খাতে জমা আছে ৯৬ কেজি ৪৩০ গ্রাম। এরমধ্যে স্বর্ণবার ৫৭ কেজি ১৫৯ গ্রাম এবং বাকি ৩৯ কেজি ২৭১ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার বা মিশ্রিত স্বর্ণ। আর অস্থায়ী খাতে (মামলা চলমান) আছে ২ হাজার ৯০০ কেজির মতো। এছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম। এরমধ্যে স্বর্ণবার ছিল ৬৫৪ কেজি। বাকি ৪৩৩ কেজি ৪০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার।
স্থায়ী খাত থেকেই ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসের শুরুতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৪ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে দরপত্র কিনে জমা দিতে বলা হয়। প্রাথমিকভাবে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে স্বর্ণকার নিয়ে ভল্টে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর দরপত্র জমা নেওয়া হয়। প্রকৃত বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দাম প্রস্তাব করায় বিক্রি না করে আবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৩ জুলাই নিলামের মাধ্যমে ২১ কেজি ৮২২ গ্রাম স্বর্ণ বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছরের শুরুর দিকে তিন ধাপে আরও ২৫, ২১ ও ২০ কেজি বিক্রি করা হয়। উপযুক্ত দরদাতা না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন পর গত নভেম্বরে নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ঋণের সীমা লঙ্ঘন, তারল্য সংকটে ১৭ ব্যাংক

দেশের ব্যাংক খাতে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছে নানা সমস্যা। এ খাতের একটি বড় সমস্যা হলো উচ্চ খেলাপি ঋণ। মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা যায়, খেলাপি ঋণ ব্যাংকগুলোর ভিত্তি দুর্বল করে দিচ্ছে। খেলাপি ঋণ শুধু ব্যাংক খাতে নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেই ঝুঁকি তৈরি করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন কিছু তথ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমা লঙ্ঘন করে আগ্রাসী ঋণ দেওয়ায় ১৭টি ব্যাংকে আমানত ও ঋণের ভারসাম্যপূর্ণ শৃঙ্খলা ভেঙে গেছে। ফলে প্রচলিত ধারা ও শরিয়াহভিত্তিক এসব ব্যাংক পড়েছে চরম তারল্য সংকটে। এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে আমানতকারীদের জন্য। উল্লেখ্য, আমানতের বিপরীতে ব্যাংক কত টাকা ঋণ দিতে পারবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেই সীমা অতিক্রম করা অনুচিত।
বস্তুত, ব্যাংকের ঋণশৃঙ্খলা ভেঙে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বেনামে ঋণ। দেশে খেলাপি ঋণ বিস্তারের অন্যতম কারণ অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ বিতরণ। অসৎ কর্মকর্তাদের দাপট ও আধিপত্যের কারণে ব্যাংক খাতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির পাশাপাশি ঋণখেলাপির ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। মোটা অঙ্কের ঋণ অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার অভিযোগ আছে। আরও অভিযোগ আছে, আমানতের টাকা ব্যাংক পরিচালকরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন। আবার সেই ঋণ পরিশোধ না করে খেলাপি হয়ে একপর্যায়ে তা অবলোপনও করেন। অনেকে সেই টাকা বিদেশে পাচার করে সেখানে বাড়ি কিনে রাখেন, যাতে অবস্থা বেগতিক দেখলে সটকে পড়া যায়। এসব ঘটনা ব্যাংক খাতে বিরাজমান বিশৃঙ্খলারই নামান্তর। হাজার হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ, অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অবলোপন ও দুর্নীতি এ বিশৃঙ্খলার কারণ হলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই! যেহেতু ব্যাংক খাতের টাকা জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের আমানত, তাই এ খাতের দুর্বৃত্তদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংকে তারল্য সংকটের দায় ব্যাংকগুলোরই। কারণ তারা নিয়ম লঙ্ঘন করে বিপুল অঙ্কের ঋণ দিয়েছে। ব্যাংকের এ তারল্য ও পুঁজি সংকটের বিরূপ প্রভাব পড়ছে শিল্প খাতেও। বস্তুত ব্যাংক খাতের এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সমস্যা নিরসনে ইতঃপূর্বে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাতে সংকট কাটেনি। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংকট নিরসনের স্থায়ী পদক্ষেপ হিসাবে এ খাতটিকে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন।
সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংককে অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ, জবাবদিহি ও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যাংক খাত সংস্কারে একটি কমিশন গঠন করারও দাবি রয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। ব্যাংকগুলোর কর্মকাণ্ড সূক্ষ্মভাবে তদারকি করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন। এ খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে হতে হবে তৎপর।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সুদের হারে এক অঙ্কের বেধে দেওয়া সর্বোচ্চ সীমা তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এর পরিবর্তে বাজারে সুদের চাহিদা অনুযায়ী বেঞ্চমার্ক ভিত্তি বা রেফারেন্স রেট বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সুদহার ১৩ শতাংশ হতে পারে। বর্তমানে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা রয়েছে ৯ শতাংশ।
আগামী অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা হবে সুদহারের বিষয়টি। রোববার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতেই সুদহারের সীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত লাইবর রেট বা বেঞ্চমার্কের আদলে ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত সুদ যোগ করে মোট সুদহার নির্ধারণ করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
তবে এর ভিত্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এটা নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে সুদহারের ভিত্তি ৮ শতাংশ এবং আরও ৫ শতাংশ পর্যন্ত যোগ হতে পারে। তবে ব্যাংক ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ যেটা আছে সেটা থাকছে না। ২০২৩–২৪ অর্থবছর থেকে ক্ষেত্র বিশেষে সাড়ে ১১ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশ হতে পারে সুদের হার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আগামী জুনের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা হবে। চলমান মুদ্রানীতির কার্যক্রম ও আগামী মুদ্রানীতিতে কী থাকবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদহার, একক রেট এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
রমজানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে সাড়ে ৬ ঘণ্টা

আসন্ন রমজান মাসে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। স্বাভাবিক সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
রোববার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো এ নির্দেশনায় বলা হয়, রমজান মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এসময়ের মধ্যে যোহরের নামাজের বিরতি থাকবে ১৫ মিনিট (দুপুর ১.১৫টা থেকে ১.৩০টা পর্যন্ত)।
রমজান মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অফিসের সময়সূচি আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।
এর আগে জানানো হয়, রোজায় ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে আনুষঙ্গিক কাজ পরিচালনার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।