বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির ত্রৈমাসিক প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে অ্যামাজনের মুনাফা হয়েছে ৩০ কোটি ডলার, যা ২০২১ সালের একই প্রান্তিকের ১ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারের চেয়ে অনেক কম। অবশ্য স্টার্টআপ রিভিয়ান অটোমোটিভ থেকেই তখন অ্যামাজনের মুনাফা হয়েছিল ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
তবে মুনাফা কমলেও সিয়াটলভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক আয় বেড়েছে। ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে অ্যামাজনের আয় ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯২০ কোটি ডলার। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছিল যেখানে ১৪ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। চলতি প্রান্তিকে ১২ হাজার ১০০ কোটি থেকে ১২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার আয়ের প্রত্যাশা অ্যামাজনের। বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা তা ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার হতে পারে।
২০২২ সাল ভালো যায়নি অ্যামাজনের। গত বছর তাদের শেয়ারের মূল্য প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। ফলে তাদের মোট লোকসান হয়েছে ২৭০ কোটি ডলার। বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হারে তারতম্যসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানান গ্লোবালডাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিল সন্ডার্স। রিভিয়ান অটোমোটিভে বিনিয়োগও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন তিনি।
উচ্চমূল্যস্ফীতি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ক্রেতারা তাদের ব্যয় সংকোচন করেছে। কম দামি দ্রব্যের প্রতি তাদের ঝোঁক বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। নভেম্বর থেকে কমেছে খুচরা বিক্রয়। ডিসেম্বরে খুচরা বিক্রয় কমেছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। ফলে অ্যামাজনের অনলাইনভিত্তিক বিক্রয় কমেছে ২ শতাংশ। অন্যান্য খুচরা বিক্রেতাদের মতো অ্যামাজনও ছুটির দিনগুলোয় মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। এতে নভেম্বরে তাদের খুচরা বিক্রয় বেড়ে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম