শিল্প-বাণিজ্য
বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট আদায়ে ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

২৭ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগের রাজস্ব আদায়ে প্রায় ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। মেলায় পণ্য বিক্রির ওপর আড়াই কোটি টাকার বেশি ভ্যাট আদায় করেছে এনবিআর।
ভ্যাট কমিশনারেটের তথ্যানুসারে, বাণিজ্য মেলা থেকে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ভ্যাট আদায় হয়েছে। এ বছর ভ্যাট আদায়ে ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং ২০২১ সালের তুলনায় ৯০ লাখ টাকা বেশি। ২০২১ সালে পণ্য বিক্রয়ের ওপর থেকে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছিল।
এ বিষয় ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার মো. ইফতেখার আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের অফিসের আওতায় উপকমিশনার ও সহকারী কমিশনারের নেতৃত্ব আটটি টিম ধারাবাহিকভাবে ভ্যাট সংগ্রহের কাজ করেছে। স্বল্প জনবল দিয়ে সব দোকান বা প্যাভিলিয়নের নজরদারি করার চেষ্টা করেছি। মেলায় পণ্য বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।’
এর আগে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, বাণিজ্য মেলা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার স্পট রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে। এছাড়া মেলায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। এবারের মেলায় ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও নেপালের মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেয়া হয় ১০টি সেরা প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে, দ্বিতীয় পুরস্কার দেয়া হয় ১৩টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে, তৃতীয় পুরস্কার দেয়া হয় ১১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে। এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে চারটি প্রতিষ্ঠানকে, বেস্ট ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে, বেস্ট ফার্নিচার উৎপাদনকারী বা রফতানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চারটি প্রতিষ্ঠানকে এবং ইনোভেটিভ পণ্য উৎপাদনকারী বা বিক্রেতা হিসেবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি দেয়া হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়লো

দুই দফা দাম কমানোর পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে সোনার এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে বুধবার (২২ মার্চ) ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করে বাজুস। সব থেকে ভালো মানের দাম কমানো হয় ১ হাজার ১৬৭ টাকা।
এর একদিন আগে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ঘোষণা দিয়ে বুধবার ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। অর্থাৎ দুইদিনে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়। তবে, এখন আবার সোনার দাম বাড়ানো হলো। এর মাধ্যমে শেষ তিনদিনের প্রতিদিনই সোনার দাম সমন্বয় করা হলো। এর আগে কখনো দেশের বাজারে এভাবে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়নি।
মঙ্গলবার ও বুধবার দাম কমানোর ঘোষণা আসার আগে ১৮ মার্চ ঘোষণা দিয়ে এক লাফে সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয় ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো সোনার এত দাম হয়নি। ১৯ মার্চ থেকে সোনার এ দাম কার্যকর হয়।
রেকর্ড এ দাম নির্ধারণের পাঁচদিনের মধ্যে তিন দফায় সোনার দাম পুনর্নির্ধারণ করা হলো। ২৩ মার্চ বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বৈঠক করে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরবর্তীতে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ২৪ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়েছে।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা করা হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৮৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৭৮৫ টাকা করা হয়। বৃহস্পতিবার এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।
তার আগে মঙ্গলবার সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা করা হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৩৪ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৭৫৮ টাকা কমিয়ে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা করা হয়।
অপরদিকে, ১৮ মার্চ ঘোষণা দিয়ে ১৯ মার্চ থেকে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা করা হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৭ হাজার ২৯০ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৩০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৬ হাজার২৪১ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৮৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৫ হাজার ১৩২ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা করা হয়।
সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ

রমজানে মানুষকে স্বস্তি দিতে ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করেছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দেশের চারটি বড় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দাম নির্ধারণ করা হয়। কোম্পানিভেদে ১৯০-১৯৫ টাকা বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে, আর ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২২০ টাকার বেশি হবে না বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, কোম্পানি পর্যায়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকায় বিক্রি করতে পারবে। আর খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা বিক্রি হবে। এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হলে তাদের রসিদ যাচাই-বাছাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ এবং প্যারাগন পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেডকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ডাকা হয়। সর্বশেষ পাইকারি ও খুঁচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
এক দিনের ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম

মাত্র এক দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম কমেছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সবচেয়ে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৭ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকেই সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ২২ ক্যারেট দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৭ হাজার ৬২৪ টাকা করেছিল বাজুস। আজ বুধবার থেকে সেই দাম কার্যকর হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
খেঁজুরের দাম লিমিট ছাড়া, কাস্টমারদের সাথে তর্ক করতে হয়

খেঁজুরের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে তর্ক করতে হয় বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি সই

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধায় যানবাহন চলাচলের বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির শিরোনাম হচ্ছে ‘প্রটোকল অব দ্য এগ্রিমেন্ট অন দ্য মুভমেন্ট অব ট্রাফিক ইন ট্রানজিট বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ভুটান’।
বুধবার (২২ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের পানি, স্থল ও আকাশপথের অবকাঠামো ব্যবহার করে ট্রানজিট সুবিধায় তৃতীয় দেশে পণ্য আমদানি-রফতানি করতে পারবে ভুটান। এতে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়, অর্থনৈতিক সুবিধার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে ও সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই যুগান্তকারী চুক্তি দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এসএম