ভ্যাট কমিশনারেটের তথ্যানুসারে, বাণিজ্য মেলা থেকে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ভ্যাট আদায় হয়েছে। এ বছর ভ্যাট আদায়ে ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং ২০২১ সালের তুলনায় ৯০ লাখ টাকা বেশি। ২০২১ সালে পণ্য বিক্রয়ের ওপর থেকে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছিল।
এ বিষয় ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার মো. ইফতেখার আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের অফিসের আওতায় উপকমিশনার ও সহকারী কমিশনারের নেতৃত্ব আটটি টিম ধারাবাহিকভাবে ভ্যাট সংগ্রহের কাজ করেছে। স্বল্প জনবল দিয়ে সব দোকান বা প্যাভিলিয়নের নজরদারি করার চেষ্টা করেছি। মেলায় পণ্য বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।’
এর আগে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, বাণিজ্য মেলা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার স্পট রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে। এছাড়া মেলায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। এবারের মেলায় ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও নেপালের মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেয়া হয় ১০টি সেরা প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে, দ্বিতীয় পুরস্কার দেয়া হয় ১৩টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে, তৃতীয় পুরস্কার দেয়া হয় ১১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে। এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে চারটি প্রতিষ্ঠানকে, বেস্ট ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে, বেস্ট ফার্নিচার উৎপাদনকারী বা রফতানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চারটি প্রতিষ্ঠানকে এবং ইনোভেটিভ পণ্য উৎপাদনকারী বা বিক্রেতা হিসেবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি দেয়া হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম