শনিবার(৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারী মাসে ৬৫০ দুর্ঘটনার মধ্যে সড়কে ৫৯৩, রেলপথে ৪৪ এবং নৌ-পথে ১৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় সড়কে প্রাণ হারিয়েয়েছেন ৫৮৫ এবং আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন যাত্রী। একই সঙ্গে রেল দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও নৌ-পথে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের চেয়ে এ বছরের জানুয়ারিতে সড়কে দুর্ঘটনা ৫.৩ শতাংশ ও দুর্ঘটনায় আহত ১০.০৪ শতাংশ বাড়লেও প্রাণহাণী ৪.৬ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি সংগঠিত হয়েছে ১৭ জানুয়ারি। এই দিনে ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ২ জানুয়ারি। এই দিনে ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, বিপজ্জনক অভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ যানবাহন উঠে আসা, ছোট যানবাহন ক্রমশ বৃদ্ধি, বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্ভিস লেন না থাকায় ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা মহাসড়কে নেমে আসা, গুরুত্বপূর্ণ জংশনে, রাস্তার মোড় ও বাস স্টপেজগুলোতে যানজট তৈরি করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এ ছাড়াও যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চালকের বেপরোয়া মনোভাব, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি, সড়কে চাঁদাবাজি ও রাস্তার পাশে হাট-বাজারও বাড়িয়েছে দুর্ঘটনার পরিমাণ।
অর্থসংবাদ/এসএম