টেলিকম ও প্রযুক্তি
এল স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন, এক নজরে দাম ও অন্যান্য

বহুল কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের অবশেষে মোড়ক উন্মোচন হলো। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি সংস্থাটি তিনটি ফোন এনেছে এই সিরিজের। গ্যালাক্সি এস২৩ ছাড়াও রয়েছে গ্যালাক্সি এস২৩ প্লাস ও গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে মেসোনিক অডিটোরিয়ামে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়।
স্যামসাংয়ের তথ্যমতে, নতুন মডেলের এই ডিজাইনের ফোনগুলোতে খুব বেশি পার্থক্য চোখে পড়বে না। বরং স্পেসিফিকেশনের দিকে জোর দিয়েছে স্যামসাং। প্রসেসর, ক্যামেরা ও অন্যান্য বিভাগের স্পেসিফিকেশনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি রয়েছে।
গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রা
এস২৩ সিরিজের প্রিমিয়াম ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রা। এ ফোনে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি কিউএইচডি+ ডিসপ্লে। এ ডিসপ্লেতে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে। রয়েছে ৩০৮৮/১৪৪০ পিক্সেল রেজুলেশন।
শক্তিশালী এ ফোনে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ এর চিপসেট। এস-পেনের সমর্থন সহ স্মার্টফোনটি ১২ জিবি র্যাম ও এক টেরাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজসহ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ প্রসেসরের কাস্টমাইজড ভার্সন দিয়ে ফোনটি চলবে।
৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ, ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ, ১২ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি স্টোরেজ এবং ১২ জিবি র্যাম ও এক টেরাবাইট স্টোরেজসহ ডিভাইসটি পাওয়া যাবে।
স্যামসাং দাবি করেছে, এতে যে প্রসেসর ব্যবহৃত হচ্ছে তা ৪০ শতাংশ দ্রুতগতির।
এই ফোনের পিছনে রয়েছে ২০০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা। সঙ্গে ১২ মেগাপিক্সেল আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা ও ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা ও ১০ মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ ক্যামেরা দিয়েছে স্যামসাং। এ ফোনে আছে ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ ও গ্যালাক্সি এস২৩ প্লাস
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩-তে আছে ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে। অন্যদিকে, গ্যালাক্সি এস২৩ প্লাস ফোনে থাকছে ৬.৬ ইঞ্চি এফএইচডি ডিসপ্লে। দুটি ফোনই ফ্যান্টম ব্ল্যাক, গ্রিন, ক্রিম এবং ল্যাভেন্ডারসহ চারটি রঙের পাওয়া যাবে।
দুটি ফোনেই ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরার সঙ্গে আছে ১২ মেগাপিক্সেল আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা ও ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো সেন্সর। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩-তে থাকবে ৩,৯০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং। অন্যদিকে গ্যালাক্সি এস২৩ প্লাস-এ রয়েছে ৪,৭০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট।
দাম
গ্যালাক্সি এস২৩-এর দাম ফোনের স্পেসিফিকেশন ভেদে শুরু ৭৯৯ ডলার থেকে। গ্যালাক্সি এস২৩ প্লাস-এর দাম শুরু ৯৯৯ ডলার থেকে। এ ছাড়া গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রার সর্বনিম্ন দাম পড়বে ১ হাজার ১৯৯ ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

টেলিকম ও প্রযুক্তি
গুগলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বেড়েছে মাইক্রোসফটের

বিং সার্চে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির সক্ষমতা সম্প্রতি যুক্ত করেছে মাইক্রোসফট। এরপর থেকে পেজ ভিজিটের দিক থেকে গুগলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বেড়েছে মাইক্রোসফটের। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমিলারওয়েব সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংবলিত (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বিং ভার্সন প্রকাশ করে মাইক্রোসফট করপোরেশন। এরপর থেকে ২০ মার্চের তথ্যানুযায়ী, বিং সার্চে পেইজ ভিজিটের হার ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। এদিক থেকে আলফাবেটের মালিকানাধীন গুগল সার্চের পেইজ ভিজিট ১ শতাংশ কমেছে।
পরিসংখ্যানের মাধ্যমে একটি বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। তা হলো জেনারেটিভ এআইয়ের বিকাশে গুগলের আগে বাজারে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে মাইক্রোসফট। মূলত চ্যাটজিপিটির কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ এ বটকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আইফোন মুহূর্ত বলে আখ্যাও দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ১২ হাজার কোটি ডলারের বাজারে মাইক্রেসফটের প্রবেশ দ্বারও তৈরি করে দিয়েছে। যেখানে গুগল ৮০ শতাংশেরও বেশি বাজার দখলে রাখার মাধ্যমে কয়েক দশক ধরে শীর্ষে রয়েছে। ডি.এ. ডেভিডসন অ্যান্ড কোম্পানির বিশ্লেষক গিল লুরিয়া আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যে বিং সার্চ পুনরায় সার্চ বাজারে বাজার হিস্যা ফিরে পাবে। বিশেষ করে গুগল যদি তাদের পণ্যে জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার দেরিতে করে তাহলে।’
ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারীরা বিং এআই ব্যবহার করতে পারছে। যেখানে গত মঙ্গলবার গুগলের চ্যাটবট বার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। লুরিয়া বলেন, ‘গুগলের যে বাজার হিস্যা রয়েছে তার ১০ ভাগের ১ ভাগও বিংয়ের নেই। কিন্তু তার পরও যদি প্লাটফর্মটি ১-২ শতাংশ ব্যবহারকারী বাগিয়ে নিতে পারে তাহলে সেটি বিং ও মাইক্রোসফটের জন্যই উপকারী হবে।
অ্যাপ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডাটা ডট এআইয়ে তথ্যানুযায়ী, এআই যুক্ত করার পর বৈশ্বিকভাবে বিং অ্যাপ ডাউনলোডের হার ৮ গুণ বেড়েছে। যেখানে একই সময়ে গুগল সার্চ অ্যাপের ডাউনলোড ২ শতাংশ কমেছে। এত কিছুর পরও কিছু বিশ্লেষকের মতে, প্রথম দিকে পিছিয়ে গেলেও শিগগিরই গুগল শীর্ষ অবস্থানে ফিরে আসবে। বর্তমানে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য বার্ড এআইয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে গুগল। সম্প্রতি একটি ব্লগ পোস্টে সফটওয়্যার জায়ান্টটি জানায়, পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব এআই চ্যাটবট বার্ডের রোলআউট শুরু করেছে। নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারীই গুগলের এ চ্যাটবট ব্যবহারের সুবিধা পাবে বলেও গুগল সূত্রে জানা গেছে। আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের ব্যবহারকারীরাই বার্ডের অ্যাকসেস পাবে। এ দুই দেশের বাসিন্দারা ওয়েট লিস্টে যুক্ত হতে পারে। সামনের দিনগুলোয় অন্যান্য দেশেও পরিষেবা চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। বার্ড ডট গুগল ডটকম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট দেশগুলোর গ্রাহকরা এআই ব্যবহারের জন্য আবেদন করতে পারবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
রমজানে টিকটক-রিলস নিয়ন্ত্রণের দাবি

রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে এ মাসে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে টিকটক, ফেসবুকের রিলস, ভিগো ও লাইকি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে গ্রাহক স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা বন্ধ করতে। ফেসবুক টিকটক কর্তৃপক্ষ যদিও বলছে, তারা অসামাজিক বা অশ্লীল কোনো ভিডিও পোস্ট করতে দেয় না, কিন্তু বাস্তবতা হলো এ মাধ্যমগুলো বর্তমানে পর্নোগ্রাফিকেও হার মানিয়েছে।
মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ এবং রমজানের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থেই এসব মাধ্যম থেকে বিরত থাকার জন্য ইসলামের নির্দেশনা রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যেহেতু আমাদের দেশে বর্তমানে প্রায় ১৮ কোটি সক্রিয় সিম রয়েছে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা সংখ্যার প্রায় আট কোটি। পরিবার, সমাজ, বন্ধু, আত্মীয়স্বজন এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিপালনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। তাই একজন রোজাদারকে বাধ্য হয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। দীর্ঘদিনের অভ্যাসগত কারণে এসব মাধ্যম অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। আর এসব ব্যবহারের মাধ্যমে তার রোজা নষ্ট হওয়ার এবং পবিত্র রমজান মাসের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার অনেক ইসলামিক বিধান সুস্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়। মহিউদ্দিন বলেন, তাই পবিত্র রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার স্বার্থে সরকার এবং নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে আমাদের দাবি থাকবে-এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা যায় কি না তার ব্যবস্থা করবেন। এ সিদ্ধান্তের ফলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পবিত্র রমজান পালন অনেকটাই সুরক্ষিত হবে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
টাকার বিনিময়ে ব্লু ব্যাজ দেয়া শুরু ফেসবুকের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড চালু করলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট কোম্পানি মেটা। দেশটির ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টের পাশে লোভনীয় ব্লু ব্যাজ অর্থের বিনিময়ে যুক্ত করতে পারছেন। শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বিজনেসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া ঘোষণায় মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জুকারবার্গ অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করা যাবে বলে জানান। তার ঘোষণা অনুযায়ী, মাসিক নির্দিষ্ট একটি অংকের অর্থের বিনিময়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের নামের পাশে ব্লু ব্যাজ চিহ্ন পাবেন ব্যবহারকারীরা।
সিএনএন বলছে, শুক্রবার থেকে মেটা দু’টি সামাজিক নেটওয়ার্কের মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য পেইড ভেরিফায়েড কর্মসূচি পরীক্ষামূলক শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক জুকারবার্গ ইনস্টাগ্রামে এক ঘোষণায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোম্পানিটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও বেশিসংখ্যক মার্কিন ব্যবহারকারীর জন্য এই কর্মসূচি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ওই সময় ওয়েবে মেটা ভেরিফায়েড মাসে ১১ দশমিক ৯৯ ডলার আর আইওএসে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলারের বিনিময়ে শুরু হয়।
মেটা ভেরিফায়েড সাবস্ক্রিপশন নামের চালু করা এই সেবার আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট যাচাই, ব্লু ব্যাজ, অতিরিক্ত সুরক্ষাসহ সরাসরি গ্রাহক সহায়তা সুবিধা পাওয়া যাবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ছদ্মবেশে অন্যের নামে ব্যবহার করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষাও মিলবে এই গ্রাহক সেবায়।
মেটার নতুন এই ফিচার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবাজুড়ে গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে বলে ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন জুকারবার্গ।
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টুইটার মাসে ১১ ডলারের বিনিময়ে ব্লু টিক মিলবে বলে গত ডিসেম্বরে ঘোষণা দিয়েছিল। তাদের এই ঘোষণার পর একই ধরনের সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা চালু করেছে ফেসবুক।
এর আগে, গত বছর রাজস্ব বৃদ্ধির নতুন উৎস হিসাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ন্যাপচ্যাট এবং বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রাম পেইড সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা চালু করে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফেসবুকে নিজের পোস্টে লাইক দিলেই বিপদ

ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পোস্টে নিজেই লাইক দিয়ে থাকেন। নিজের পোস্টে লাইক দেওয়া কি আসলেই একটি সঠিক কাজ? এই বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।
নিজের পোস্টে নিজেই লাইক দেওয়া মানে নিজের ব্যক্তিত্বকে আঘাত করা বলে মনে করেন অনেকেই। কারণ, কেউ পোস্ট লাইক করছে না বলে নিজেই লাইক করছেন, এটি একটি অন্যতম কারণ। ফেসবুকে অনেকেই নিজের পোস্টে লাইকের পাশাপাশি মন্তব্যও করে থাকেন। এটি স্বাভাবিকভাবেই হাস্যকর বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে ট্রলের শিকার হন অনেকেই।
আবার অনেকেই মনে করেন নিজের পোস্টে নিজেই লাইক করলে পোস্ট অন্যের কাছে তেমন পৌঁছায় না। ফলে লাইক কমে যায়। এই ধারণাটি ব্যক্তিগত প্রোফাইলের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভুল। ফেসবুকের অ্যালগরিদম অনুযায়ী এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। বরং এতে ওই পোস্টটি বন্ধু তালিকায় থাকা অনেকের কাছেই পৌঁছে যায়। তাই এই দিক থেকে কোনো সমস্যাই নেই।
স্বাভাবিকভাবে ব্যাপারটি দৃষ্টিকটু লাগায় এটি করা উচিত নয় বলে অধিকাংশই মনে করেন। তাই নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে এই কাজ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। যদি এই বিষয়টি সমস্যা মনে না হয়, তাহলে নিজের পোস্টে নিজেই লাইক দিতে পারেন।
ফেসবুকে নিজের পোস্টে লাইক দিলে কারিগরি দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। তবে ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তাই সিদ্ধান্ত আপনার। কারণ, যাই করেন না কেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যবসায়িক পেইজের প্রোফাইলের ক্ষেত্রে ভুলক্রমেও এই কাজটি করবেন না। নিজের পোস্ট নিজে কখনোই ‘লাইক দিবেন না’।
নিজের পোস্টে লাইক দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া এক ধরনের ব্ল্যাক হ্যাট এসইও, যা অ্যালগরিদমকে ম্যানিপুলেট করার একটি কৌশল। এক কথায় বলতে গেলে এই প্রক্রিয়াটি অবৈধ এবং এজন্য এক সময় ব্যবসায়িক পেইজের প্রোফাইলের রিচ (অন্যের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা) কমে যাবে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
টিকটক নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চরমে

টিকটক বিক্রি করে দেয়ার জন্য চীনা কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপের পর এনিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব আরও তীব্র রূপ নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র গতকাল বুধবার এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল যেন তারা চীনা কোম্পানির মালিকানা থেকে বেরিয়ে আসে, নইলে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবেই এটি নিষিদ্ধ করা হবে। এরপর আজ বৃহস্পতিবার চীন এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ টিকটক-কে “অযৌক্তিকভাবে দমিয়ে রাখার” চেষ্টা বন্ধ করা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কিছু পশ্চিমা দেশের পর যুক্তরাজ্যও সরকারি মন্ত্রী এবং আমলাদের ফোনে টিকটক নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে সরকারের কেবিনেট অফিস মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন একটি বিবৃতি দেয়ার কথা রয়েছে।
টিকটকের মূল মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। গত কয়েক বছরে এটি গোটা বিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয় এক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থানে গেছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে। এসব দেশ বলছে, চীনা কর্মকর্তারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে।
বুধবার হোয়াইট হাউজ জানিয়েছিল, টিকটকের মালিকানা যদি বেইজিং ভিত্তিক কোম্পানি ‘বাইটড্যান্সের’ হাতে থাকে, তাহলে এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে।
কিন্তু টিকটকের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, টিকটক থেকে চীনা বিনিয়োগ তুলে নেয়ার এই আহ্বান বা এটিকে নিষিদ্ধ করার এরকম আহ্বানের কোন দরকার নেই। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোন উদ্বেগ থাকে, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের তথ্য এবং সিস্টেমের জন্য সেখানে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেতে পারে।
টিকটক নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাবে বেইজিং বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র এখনো পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি যে টিকটক তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোন হুমকি তৈরি করছে।
চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, “অন্য দেশগুলোকে অন্যায্যভাবে দমিয়ে রাখার জন্য ডেটা নিরাপত্তার ইস্যুকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।”
টিকটক নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটে যে বিল আনা হয়েছে, হোয়াইট হাউজ গত সপ্তাহে সেটিকে স্বাগত জানিয়েছিল। এই বিলের পেছনে ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান, উভয় দলের সদস্যদের সমর্থন আছে।
টিকটক দাবি করে বিশ্বজুড়ে একশো কোটির বেশি মানুষ তাদের অ্যাপ ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের দশ কোটি ব্যবহারকারী আছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে তাদের অ্যাপ দারুণ জনপ্রিয়।
মানুষ এখন টিকটকে যে পরিমাণ সময় কাটায়, সেটি ইউটিউব, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপকে ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদেশগুলো যেভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করতে চাইছে, সেটিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে বর্ণনা করছেন সমালোচকরা।
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মচারীদেরকে তাদের অফিস থেকে দেয়া ফোন টিকটক ইনস্টল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডাতেও সরকারি আমলাদের ফোনে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন যুক্তরাজ্যও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
টিকটক বলছে, যুক্তরাজ্য এরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে সম্পূর্ণ “ভুলধারণাবশত আশংকার ওপর ভিত্তি করে”, এবং এর পেছনে মনে হচ্ছে “বৃহত্তর ভু-রাজনৈতিক” বিষয় কাজ করছে।