ভুল তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের ফের বিভ্রান্ত করলো ডিএসই

ভুল তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের ফের বিভ্রান্ত করলো ডিএসই

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের ফের ভুল তথ্য দিয়েছে। এবার তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের দুই প্রান্তিকের আয় নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে একই ভুলের পুনরাবৃত্তিতে কারসাজি চক্রের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর’২২-ডিসেম্বর’২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কোম্পানিটি। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বিচ হ্যাচারির দ্বিতীয় প্রান্তিকের তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২২-সেপ্টেম্বর’২২) ইপিএসকে গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে পরবর্তীতে ডিএসই জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩১ পয়সা আয় করেছে কোম্পানিটি।

সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২২-ডিসেম্বর’২২) শেয়ারপ্রতি ২৯ পয়সা আয় করেছে বিচ হ্যাচারি। আর গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ০৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার কোম্পানিটির ইপিএস ২৩ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডিএসই প্রথমে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। যদিও পরবর্তীতে বিষয়টি সংশোধন করেছে প্রধান শেয়ারবাজার কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিক নিয়েও ভুল তথ্য দিয়েছিল ডিএসই। কোম্পানিটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ২৮ পয়সা লোকসান দিয়েছে এমন তথ্য দেওয়া হয় ডিএসইর ওয়েবসাইটে। যদিও দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৮ পয়সা। অর্থাৎ আয়কে লোকসান হিসেবে দেখানো হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। যদিও প্রায় দুই ঘণ্টা পর তথ্য সংশোধন করে নেয় প্রধান শেয়ারবাজার কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ইস্টার্ন ক্যাবলসের পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয় গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি)। পর্ষদ সভা শেষে কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিক নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইস্টার্ন ক্যাবলসের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৮ পয়সা। অথচ এক দিন পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। ডিএসইর মার্কেট অপারেশন বিভাগের প্রধান মো. রনি ইসলাম ইচ্ছাকৃতভাবেই ভুল তথ্য দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসব বিষয়ে জানার জন্য ডিএসইর মার্কেট অপারেশন বিভাগের প্রধান রনি ইসলামের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম সাইফুর রহমান মজুমদার মঙ্গলবার অর্থসংবাদকে বলেন, ভুল হলে সংশোধন করে দেওয়া হয়। এটাই স্বাভাবিক। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আগের কোন ঘটনায় তদন্ত হয়েছে কি না সেটি এখন বলতে পারছি না।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আমরা কাল বৈঠক করবো। তাঁরা যেন এসব বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হয়, সেটি আমরা বলবো।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত