বোনিটো অ্যাকসেসরিজের আইপিও আবেদন বাতিল

বোনিটো অ্যাকসেসরিজের আইপিও আবেদন বাতিল
বোনিটো অ্যাকসেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রাথমিক গনপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন বাতিল করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারনে এ কোম্পানিটির আইপিও আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।এ বিষয়ে সোমবার সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজারকে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

যন্ত্রপাতি ক্রয়, ভবন নির্মাণ ও ঋণ পরিশোধের জন্য স্থির মূল্য পদ্ধতির মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল কোম্পানিটি।বোনিটো অ্যাকসেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ শতভাগ রফতানিমুখী গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক।

সূত্র জানিয়েছে, কোম্পানিটি আইন লঙ্ঘন করেছে এবং তার আর্থিক বিবরণীতে আয় বাড়িয়ে দেখিয়েছে যাতে বিনিয়োগকারীরা প্রতিষ্ঠনটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে আরও আগ্রহী হয়।আইপিও তহবিল ব্যবহার করে যেখানে ভবন নির্মিত হবে সেই জমি কিনেনি কোম্পানিটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা মনে করে, এটি আইপিওর অর্থ ব্যবহারের সাথে বিপরীত অবস্থা প্রতিয়মান হয়েছে।

সুত্র মতে, কোম্পানিটি ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত বিক্রয় বাড়িয়ে দেখিয়েছে।ফলে ভবিষ্যতের লাভ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করে বিএসইসি।এছাড়াও ২০১৬ সালের জুনে কোম্পানিটির শেয়ার মূলধন ছিল এক কোটি টাকা।এরপর দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যেই এর শেয়ার মূলধন বাড়িয়ে ৪০ কোটি টাকা করা হয়। এর পর আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করেছিল। এক্ষেত্রে কমিশনের কাছে প্রি-আইপিও সমর্থনকারী নথি জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটি দেখিয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ব্যাংক ঋণ রয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং নগদ ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। তবে তিন কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে চেয়েছিল, যা আইপিওতে দেখানো হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার পর্যবেক্ষনে উঠে এসছে কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয়কে কমিয়ে দেখিয়ে আয়ের পরিমাণকে বাড়িয়ে দেখিয়েছে।কোম্পানিটি দেখিয়েছিল প্রশাসনিক ব্যয় এবং ডিস্ট্রিবিউশন ব্যয়ের সম্মিলিত পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।যেখানে গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আয় ছিল ৪৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। একই সময়ে কোম্পানির পরিচালক এবং কর্মকর্তাদের ২ কোটি ২১ লাখ টাকা পারিশ্রমিক প্রদান করেছিল।

কোম্পানিটির নিট আয়ের অনুপাত ১১.০৪ শতাংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে, যা টেক্সটাইল খাতে গড়ের চেয়ে বেশি ছিল।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা মনে করে, কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরনীর ক্ষেত্রে সত্য এবং ন্যায্য দৃষ্টিভঙ্গি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও কোম্পানিটি খুব শীঘ্রই তার মুনাফার উপর কোভিড-১৯ মহামারীর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, যা শেয়ারহোল্ডারদেরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন বেশ কিছু দূর্বল কোম্পানির আইপিও বাতিল করেছে। এর মধ্যে বেকা গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড, জেএমআই হসপিটাল রিকুইসিটি ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড, এসএফ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, বি ব্রাদার্স গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেড এবং বিডি পেইন্টস লিমিটেডের আইপিও আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছে। এই কোম্পানিগুলোও তাদের আর্থিক বিবরণীতে আয় এবং লাভকে স্ফীত করেছে, এবং সম্পত্তি এবং সম্পদের পরিমাণকে বাড়িয়ে দেখিয়েছে।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছে বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড এবং ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত