Connect with us

জাতীয়

রাজশাহীর জনসভায় ২৬ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

ক্ষতিপূরণ

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিয়ে ২৬টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ছয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টায় জনসভা ময়দানে এসে তিনি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে আসেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পরে তিনি জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন।

যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন আর ফলক উন্মোচন
রাজশাহীতে ১১ হাজার ৩শ ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আনুমানিক ৩শ ৭৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আরো ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল
রাজশাহী নগরীর সিএন্ডবি ক্রসিং সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে বড় ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। আরসিসি রাজশাহী সিটিতে সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক ২ হাজার ৯শ ৯৩ কোটি টাকার প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রায় ৫ কোটি ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দেশের বৃহত্তম ম্যুরাল নির্মাণ করেছে।

ম্যুরালটির উচ্চতা ৫৮ ফুট এবং ম্যুরালের মূল অংশে ৫০ ফুট উচ্চতা এবং ৪০ ফুট চওড়া বঙ্গবন্ধুর ছবি রয়েছে।

রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ম্যুরালটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ তার জীবন, কর্ম এবং দেশের স্বাধীনতায় প্রশংসনীয় অবদান ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করে।

বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো হলো- শেখ রাসেল শিশু পার্ক, মোহনপুর রেল ক্রসিংয়ের ওপর ফ্লাইওভার, চার লেনের সড়ক এবং ভাদ্রা রেল ক্রসিং থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য একটি পৃথক লেনসহ রোড ডিভাইডার, চার লেনের সড়ক এবং রোড ডিভাইডার। বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে সিটির হাট পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন এবং সড়ক প্রশস্তকরণ, কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী ক্রসিং এবং কার্পেটিং সড়কের উন্নয়ন, হাই-টেক পার্ক হয়ে রেন্টুর খারির আড়ত থেকে ধলুর মোড় পর্যন্ত নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ এবং কার্পেটিং। কোর্ট থেকে শাহারতলী ক্লাব পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প।

মানুষের বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে রাজশাহী নগরীতে শেখ রাসেল শিশু পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। আরসিসির উদ্যোগে ছোট বনগ্রাম এলাকায় ২.১৪ একর জমির ওপর পার্কটি নির্মাণ করা হয়, যার আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৪ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রায় ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পুঠিয়া থেকে বাগমারা পর্যন্ত একটি মহাসড়ক নির্মাণ করেছে।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) প্রায় ১০ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রধান কার্যালয়ের ষষ্ঠ তলা থেকে দশম তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করেছে। প্রায় ২০ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তর ভবন নির্মাণ করেছে।

লক্ষ্মীপুর এলাকায় প্রায় ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। মোহনপুর উপজেলায় ২২ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ২২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকায় রাজশাহী শিশু হাসপাতালও নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে একটি বহুতল সমাজসেবা ভবন নির্মিত হয়েছে।

রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে প্রায় ৫ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ছয় তলার ওপর দুই তলা বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। চারঘাট উপজেলায় ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

রাজশাহী সিভিল সার্জনের অফিস নির্মাণ করা হয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মার ভাঙন থেকে বাম তীর রক্ষায় ৬৯৪ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গ্রামীণ সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৩ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুটি সড়ক নির্মাণ করছে। রাজশাহী পিটিআইতে প্রায় ৮ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগরীতে প্রায় ২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রকল্পগুলো হচ্ছে: ২৪ কোটি টাকায় তথ্য কমপ্লেক্স ভবন, ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা আঞ্চলিক জন প্রশাসন অফিস ভবন, ৬২ কোটি টাকায় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ১৬২ কোটি টাকায় বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ প্রকল্প।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

৭ মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমেছে ৩ হাজার ৬৯ কোটি টাকা

Published

on

ক্ষতিপূরণ

ভিন্ন কড়াকড়ি আরোপের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছেই। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাতমাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমছে তিন হাজার ৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এসময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি দিয়ে গ্রাহকের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করাও সম্ভব হয়নি। উল্টো সরকারি কোষাগার বা ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ১৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ওই সময়ে সুদ-আসল পরিশোধের পরও সরকারের কোষাগারে ১২ হাজার ১৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা জমা ছিল। সেসময়ে ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিক্রির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, গত বছরেরর তুলনায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি ব্যাপক কমেছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রথম ছয়মাসে এ খাত থেকে কোনো ঋণ পায়নি সরকার। উল্টো সরকার পরিশোধ করেছে।

চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। মূলত সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপর চাপ কমাতে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। একই সঙ্গে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন সনদপত্র বাধ্যতামূলক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার শর্তসহ আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপরও বিক্রি বাড়তে থাকে।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই বিক্রি কমতে থাকে।

অন্যদিকে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমা নিয়ে কথা হয় আসলাম নামে এক গ্রাহকের সঙ্গে। তিনি বলেন, একটা সময় সঞ্চয়পত্র মানুষের আস্থার জায়গা ছিল। সবাই এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সুদহার কমিয়ে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শেয়ারবাজারের পরিবর্তে এখানে রেখেছিলাম, সেটাও আর হচ্ছে না। সব টাকা উঠিয়ে নিতে হচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আহমেদ জানান, সাধারণ মানুষের নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে সঞ্চয়পত্র বিবেচিত হতো। এখন সরকার কর্তৃক সুদহার কমানোসহ নানা কড়াকড়ির কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ কমছে মানুষের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, সুদহার কমানোসহ নানান কড়াকড়ির আরোপ করার পর থেকেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানিতে নেমেছে। বিক্রির চেয়ে সুদ-আসল পরিশোধেই সরকারের বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। সুদহার কমায় অবসরের অর্থ কিংবা পরিবারের বাড়তি টাকা থাকলেও সেগুলো সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে আসছেন না। এতে বিক্রি কমে যাচ্ছে। এসব কারণে সরকারের ব্যাংক ঋণের পরিমাণও বাড়ছে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

রোজার প্রথম দিনই কমলো ব্রয়লার মুরগির দাম

Published

on

ক্ষতিপূরণ

পবিত্র রমজান মাস শুরু হলেও দ্রব্যমূল্য নিয়ে অস্বস্তি কাটছে না। ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে নাভিশ্বাস উঠেছে সীমিত আয়ের মানুষের। তবে রমজানের প্রথম দিনই কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ব্রয়লার মুরগির বাজারে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি নির্ধারণের পরেই বাজারে এমন নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেল।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা দরে। যা গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিল ২৭০-২৮০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যে দাম আরও কমবে। খামারে মুরগি ১৯০ টাকা বিক্রি হলে সেটা খুচরা বাজারে ২৩০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। তবে সেজন্য দু-একদিন সময় লাগবে।

রাজধানীর আগারগাঁও তালতলা বাজারের ব্রয়লার ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা যে মাল বিক্রি করছি সেটা আগের দামে কেনা। তারপরও পাইকারি বাজার কিছুটা কমায় কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমিয়ে বিক্রি করছি। যারা আজ (শুক্রবার) সকালে কাপ্তান বাজার থেকে মাল এনেছেন, তারা কেজিতে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি করতে পারছেন।

এদিন খিলগাঁও রেলগেটে ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকা। যা দুদিন আগেও ছিল ৪০০ টাকা ছুঁই ছুঁই।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকে বলে মুরগির চাহিদা কমে গেছে। সকাল থেকে বাজারে ক্রেতাও খুব কম। অনেক দোকান সকাল থেকে জুমার নামাজ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। চাহিদা কমায় দামও কিছুটা কমেছে।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা সালাম জানান, ফার্ম থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় মুরগি বিক্রি হলে খুচরায় ২৩০-২৪০ টাকায় কিনতে হবে ভোক্তাদের। পরিবহন, ঘাটতিসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দামের পার্থক্য থাকে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের প্রথম দিন সকালে মুরগির দোকানে ভিড় ছিল তুলনামূলক কম। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আজ তারা পাইকারি বাজার থেকে ব্রয়লার ২৩৫ টাকা আর সোনালি মুরগি কিনেছেন ৩৪০ টাকা দরে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

রমজানের প্রথম জুমায় মুসল্লিদের ঢল

Published

on

ক্ষতিপূরণ

পবিত্র রমজান মাসের জুমার নামাজের গুরুত্ব মুসল্লিদের কাছে অপরিসীম। তাই রমজানের জুমার জামাতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি মুসল্লি অংশ নেন। প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই রাজধানী অন্যতম বড় জুমা জামাতটি অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদে। নামাজ শেষে মোনাজাতে মুসল্লিরা নিজের এবং দেশের মানুষের কল্যাণ কামনা করেন।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

শুধু বায়তুল মোকাররম নয়, রমজানের প্রথম জুমায় রাজধানীর মসজিদে-মসজিদে ঢল নেমেছিল মুসল্লিদের। কোথাও-কোথাও মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের নামাজের জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বাইরে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।

বায়তুল মোকাররমে দেখা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সী মানুষ মসজিদে আসা শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেই ভরে উঠে মসজিদের মূল ভবন। ফলে মসজিদের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় কয়েক শতাধিক মুসল্লি বাইরে নামাজ আদায় করেন।

নামাজের শুরুতে জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন খুতবায় রমজানের আমলের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি নামাজের পাশাপাশি যাকাত আদায়ের গুরুত্ব ও কারা যাকাতের প্রথম হকদার তা তুলে ধরেন।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা

Published

on

ক্ষতিপূরণ

মানসম্মত পণ্যের পরিবর্তে ভেজাল ও অতিরিক্ত দাম নেওয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রমজানের প্রথম দিন থেকে আগামী ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভমূল্যে এসব পণ্য ভ্রাম্যমাণভাবে বিক্রি করা হবে।

শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমাদের কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যক্তিরা রমজানে মানুষকে কষ্ট দেয় ও ভেজাল দিতে চায়। এদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। যেখানে অন্যায় হবে, যেখানে খারাপ খাবার সরবরাহ করা হবে, মানসম্মত পণ্যের পরিবর্তে ভেজাল দেওয়া হবে, যেখানে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন তার সাধ্যের মধ্যে দুধ, ডিম ও মাংস কিনতে পারেন সেজন্য সরকার ভ্রাম্যমাণভাবে এগুলোর বিক্রি কার্যক্রম চালু করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় করোনায় সর্বপ্রথম ভ্রাম্যমাণভাবে বিক্রি ব্যবস্থা চালু করে খামারি ও ভোক্তাদের উপকার করেছে, অর্থনীতি সচল রেখেছে, যারা বিপণের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত তাদের সহায়তা করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় রমজানে ভ্রাম্যমাণভাবে পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিপণন কার্যক্রমের মন্ত্রণালয় নয়। এই মন্ত্রণালয় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী। দাপ্তরিক ম্যান্ডেট না হলেও আমরা মানুষের উপকারের জন্য এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঢাকার ২০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণভাবে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রমজানে সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম পর্যায়ক্রমে কমে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর প্রাথমিকভাবে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও প্রতিটি ডিম ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হবে। তবে আমরা যে দাম ধার্য করেছি এটা নির্ধারিত নয়। প্রাথমিকভাবে উৎপাদকদের সঙ্গে বসে ডিমের দাম নির্ধারণে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রমজানে পর্যায়ক্রমে তা আরও কমে আসবে বলে আশা করছি। একইভাবে মাংস ও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম আরও কমে আসবে বলে আশা করছি। প্রতিদিনের অবস্থান অনুযায়ী এটি পরিবর্তিত হবে। তবে কোনোভাবেই প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত মূল্যের ওপরে উঠবে না। আমরা চেষ্টা করব এ মূল্যের নিচে রেখে কীভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায়।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে এবার দুধের আধা লিটারের ছোট প্যাকেট, অল্প পরিমাণ ডিম এবং আধা কেজির মাংসের প্যাকেট বিক্রি করা হবে। যাতে একেবারে নিম্নআয়ের মানুষও সাধ্যের মধ্যে এসব পণ্য কিনতে পারেন। এর মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায় শেখ হাসিনা সরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উৎপাদক ও বিপণনকারীদের মাঝখানে একটি মধ্যস্বত্বভোগী মহল কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রশাসন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে। উৎপাদনের সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত লাভের বাইরে যারা অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে, অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। আশা করি মানুষের সহনশীল মূল্যে এসব পণ্য বিপণনে আমরা সহযোগিতা করতে পারব।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, যারা অতিরিক্ত লাভ করতে চায়, তারা অতিরিক্ত মূল্য নেয়। দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিপণনে সরকার কোনো লাভ করছে না, কোনো ভর্তুকি দিচ্ছে না। কোনো ভর্তুকি না দিয়ে রমজানে যে দামে সরকার বিক্রি করতে পারছে, সে দামে বিক্রি করার মতো ব্যবসায়ীদেরও যৌক্তিক অবস্থা রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন ও ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স-বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হাসান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম।

উল্লেখ্য, দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

২৩৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেলো বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন

Published

on

ক্ষতিপূরণ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেছে। জাহাজটির মালিক সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট ২ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৩৬ কোটি টাকার মতো (১ ডলার= ১০৫.১২ টাকা ধরে)।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

এ বিষয়ে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মো. জিয়াউল হক বলেন, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদেশি বিমা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। এসব ডলার ইতোমধ্যে সাধারণ বিমা করপোরেশনে চলে এসেছে। শিগগিরই বিএসসির অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।

জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে গত ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করা অবস্থায় রকেট হামলার শিকার হয় বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি। এতে জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। এছাড়া বাকি ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ২০৮ কোটি টাকায় চীন থেকে কেনা হয় ২০১৮ সালে। বাণিজ্যিক এই জাহাজটি ডেনমার্কের চার্টারার ডেল্টা কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভাড়ায় চলছিল। গত বছরের ২৬ জানুয়ারি জাহাজটি মুম্বাই বন্দর থেকে রওনা হয়ে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। এরপর প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল সরু চ্যানেল পেরিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে অলভিয়া বন্দরের অদূরে নোঙর করে জাহাজটি। পরদিন সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল বাংলার সমৃদ্ধির। কিন্তু এরই মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে আটকা পড়ে জাহাজটি।

পরে ২ মার্চ নোঙর করা অবস্থায় জাহাজটি হামলার শিকার হয়। হামলার পর জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর জাহাজটির মালিক বিএসসি ক্ষতিপূরণ পেতে বিমা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ক্ষতিপূরণের সেই অর্থ সম্প্রতি হাতে পায় বিএসসি।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement
March 2023
SMTWTFS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031