মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের যাত্রা শুরু

মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের যাত্রা শুরু
ইসলাম ধর্মের বিষয়ে উন্নতর গবেষণা এবং ইসলাম শিক্ষার বিস্তার ও মানবসেবার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলো মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)। বিভিন্ন ধরনের আয়োজন ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের ওয়েবসাইট www.muslimresearchcentre.com ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষকে ইসলামের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত কোরআন ও হাদিসের ওপর উন্নতর গবেষণা, ইসলামী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও মহামারিতে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে এই প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে এই সেন্টার।

মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ রশিদ আল মাজিদ খান সিদ্দীকী মামুন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সমাজ এবং ব্যক্তিজীবনে ইসলামের সঠিক চর্চা করতে পারলে অপরাধ কমে যাবে, মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা বাড়বে এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। একটি মুসলিম সেন্টার থেকে যেন মানুষ দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের চর্চা সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর গবেষণালব্ধ উত্তর পেতে পারেন সেটার চেষ্টা করছি আমরা। এছাড়া বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দেয়া আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

ওয়েবসাইটের লিংকের মাধ্যমে www.muslimresearchcentre.com/dua সহজেই সবাই পড়তে ও জানতে পারবেন দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চাররা প্রতিনিয়ত লিখবেন সমসাময়িক ইস্যুর ওপর জরুরি মাসায়েল, যা পাঠক ঘরে বসেই ওয়েবসাইটের ব্লগ সেকশনে- www.muslimresearchcentre.com/blog পেয়ে যাবেন।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের পেজে কোরআনের বাছাইকৃত আয়াত সহজ অর্থে প্রচার শুরু করেছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার। একই সঙ্গে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, কোরবানি এবং নবির (সা.) সুন্নতের মতো বিষয়গুলোতে মানুষের করণীয় সর্ম্পকেও কোরআন ও হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা প্রচার করছে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় মাধ্যমেই এই ব্যাখ্যাগুলো www.facebook.com/MuslimResearchCentre পেজে নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ঢাকার গুলশানে সঠিক নিয়মে কোরআন শিক্ষার উদ্যোগের পাশাপাশি একটি হেফজখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার। সম্পূর্ণ আধুনিক উপায়ে কোরআন শিক্ষা ও হেফজখানাটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছেন আল্লামা হাফেজ ক্বারি আব্দুল জলীল। বর্তমানে আল্লামা হাফেজ ক্বারি আব্দুল জলীল গুলশানে একটি মসজিদে খতিব ও ইমামতির দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া কোরআন এবং হাদিসের ওপর উন্নতর গবেষণার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে ইসলামিক রিসার্চার নিয়োগ দিচ্ছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার। একই সাথে কীভাবে নবি করিম (সা.) এর নির্দেশিত পথে মুসলিমরা জীবন যাপন করতে পারেন সেটি নিয়েও কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া মরদেহ দাফনেও কাজ শুরু করেছে এই প্রতিষ্ঠান।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

থার্টিফার্স্ট নাইট নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষা কোর্স সম্পন্ন
আল্লাহর সঙ্গে যে কথা বলেছিলেন মূসা আ.
মিশরে বায়তুল মোকাররমের ইমামকে সম্মাননা প্রদান
জুমার দিন গোসল করার সঠিক সময় কোনটি?
জান্নাতিদের যে বিশেষ দানে সন্তুষ্ট করবেন আল্লাহ
নেক আমলের কারণে দুনিয়ায় যে উপকার পাবেন
রমজান শুরুর তারিখ ঘোষণা করলো আরব আমিরাত
একসঙ্গে অনেককে সালাম দিলে উত্তর দেবেন কে?
নবীজীর রওজায় বছরে একবারের বেশি যাওয়া যাবে না