জাতীয়
নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন, সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই: প্রধানমন্ত্রী

দেশের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এর বা এর বাজেটের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবন কার্যালয়ে সুইজারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের পর সরকার সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন তদারকি করতে আসবে এবং তারা স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করবে। দেশের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এর ওপর এবং এর বাজেটের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সেই সঙ্গে দেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বরেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল যার ভিত্তি তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত রয়েছে। এই রাজনৈতিক দলের জন্ম গণমানুষ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম সেনানিবাস থেকে। এই দুই দলের প্রধান প্রথমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হন, পরে তারা তাদের রাজনৈতিক দল গঠন করেন। জনগণের মধ্যে তাদের কোনো ভিত্তি নেই।
জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। জনগণের মধ্যে তাদের কোনো ভিত্তি নেই।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে সরকার গঠন করবে। গত ১৪ বছরে সরকার দেশের ব্যাপক রূপান্তর ঘটিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগ ও তার জোটকে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভোট দেওয়ার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে এবং গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১০ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশের জন্য বোঝা। তিনি সব পশ্চিমা দেশকে মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে সমর্থন প্রসারিত করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই যুদ্ধ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কষ্টে ফেলেছে। আমরা এই প্রভাব বন্ধ করার চেষ্টা করছি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই যুদ্ধে কাদের লাভ, শুধু অস্ত্র বিক্রেতারাই লাভবান হচ্ছে। বিশ্বের উচিত অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করা। প্রধানমন্ত্রী দেশে নারীর ক্ষমতায়নের কথাও সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে এবং তার দেশ মসৃণ উত্তরণে বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। আমি সবসময় বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে থাকবো।
তিনি বলেন যে তিনি দেশের প্রতিটি কোণ পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি দেশের উল্লেখযোগ্য এবং চিত্তাকর্ষক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করে মুগ্ধ হয়েছেন।
নাথালি চুয়ার্ড বলেন, বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আমি আশা করছি যে বাংলাদেশ এই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরও এগিয়ে যেতে পারবে।
তিনি গণতন্ত্রের মান, এর স্থিতিশীলতা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কের প্রশংসা করেন। তিনি দেশের নারীর ক্ষমতায়নের, অগ্রগতিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি মনে করেন, তাদের দ্রুত স্বদেশে ফিরে যাওয়া উচিত।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/কেএ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সুপেয় পানি নিশ্চিতে আরো জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে

স্বাস্থ্যসেবায় সকলের জন্য সুপেয় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগের চেয়ে আরো জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হাঙ্গেরি ও ফিলিপাইনের যৌথ আয়োজনে ‘স্বাস্থ্যসেবা সুবিধায় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি পাঠ শেখা ও এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা বলেন। আজ শনিবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের সব মানুষের জন্য সুপেয় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধান অর্জনগুলো তুলে ধরেন।
পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন জাতীয় কৌশল- ২০২১ এর উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষের সুপেয় পানি সুবিধা, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা, এবং প্রায় ৭৫ শতাংশের হাত ধোয়ার সুবিধা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি সম্পূর্ণ স্যানিটেশন পদ্ধতির পথপ্রদর্শক, যা এখন অনেক উন্নয়নশীল দেশের কাছে স্বীকৃত এবং অনুকরণীয়।
বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতার আলোকে আব্দুল মোমেন বিশ্বব্যাপী পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সেবায় অগ্রগতির সংকট সমাধানে কতিপয় সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেন।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তে, ফিলিপাইনের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী মারিয়া আন্তোনিয়ে ইউলো-লয়াজাগা এবং জর্জিয়ার আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো মন্ত্রী ইরাকলি কারসেলাদজেও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, জাতিসংঘ এবং এর বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পানি খাতে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুপেয় পানি বিষয়ক একটি উচ্চ-পর্যায়ের পার্শ অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। ব্র্যাক, এওএসইডি, বিডব্লিওওটি, জাগো নারী, গ্রাস এবং এসডিএ-কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সোস্যাল সায়েনটিস্ট ফাউন্ডেশন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৫০ টাকার নিচে ব্রয়লার মুরগি, কাল-পরশু আরও কমবে

দুইদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। রাজধানী ঢাকার বাজারে এখন আড়াইশো টাকার কমে ব্রয়লার মুরগি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামারপর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করে। এরপর বাজারে মুরগির দামে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকা দরে, যা শুক্রবার (২৪ মার্চ) ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে মুরগির দাম আরও কমবে। খামারে মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলে, তা খুচরা বাজারে ২৩০ টাকার নিচে বিক্রি হওয়ার কথা।
মুরগি বিক্রেতারা বলেন, ‘সরকার খামার পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পর বাজারেও মুরগির দাম কমেছে। আগামীকাল হয়তো আরও কমবে। এটা ২০০-২২০ টাকা কেজির মধ্যে এলে ঠিক আছে। আজ সকালে কাপ্তানবাজার থেকে ব্রয়লার মুরগি এনেছি। এটা ২৩০ টাকা দরেও বিক্রি করতে পারছি। আগামীকাল হয়তো দামটা আরও কমবে।’
এদিকে, ব্রয়লার মুরগির নিম্নমুখী দামের কারণে সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫০-৩৬০ টাকা দরে, যা দুদিন আগেও বিক্রি হচ্ছিল প্রায় ৪০০ টাকা দরে।
বাজারে দরদাম করে নিলে বিক্রেতার চাওয়া দামের চেয়ে আরও ৫-১০ টাকা কমে কেনা যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। তবে পাড়া-মহল্লার কিছু দোকানে এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, রমজানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকে। এজন্য মুরগির চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। রোজা যত শেষের দিকে যাবে, চাহিদা বাড়বে।
খামার থেকে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি হলে খুচরায় ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারবেন ভোক্তারা। পরিবহন, ঘাটতি অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বাজারে দামের পার্থক্য হবে ৩০-৪০ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আ’লীগ নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ শেখ হাসিনার

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোনো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে না। আমাদের নেত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। বরং সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবেন।’
শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সামাবেশে এ কথা বলে ওবায়দুল কাদের। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা ইফতারের আয়োজন না করে পার্টির পক্ষ থেকে, যারা কষ্টে আছেন, যারা গরিব মানুষ তাদের হাতে খাবার তুলে দেবো।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাত সাড়ে ১০টায় এক মিনিট অন্ধকার থাকবে দেশ

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ঢাকায় মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা থেকে শুরু করে ঘুমন্ত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যার জন্য ট্যাংক ও সাঁজোয়া বহর নিয়ে পথে নামে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ওই রাতে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যার শিকার হয় লাখো মানুষ।
ভয়াল সেই ‘কালরাত’ স্মরণে আজ রাতে দেশব্যাপী এক মিনিট নীরবতা পালনের কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। রাত সাড়ে ১০টায় সব আলো নিভিয়ে সারা দেশের মানুষ এ নীরবতা পালন করবেন।
এদিকে ২৫ মার্চের কালরাতকে স্মরণ করে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁরা ভয়াল সেই রাতে গণহত্যার শিকার অগণিত শহীদকে স্মরণ করেছেন।
কর্মসূচি
গণহত্যা স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে সকাল ১০টায় ‘বাংলাদেশের গণহত্যা ১৯৭১’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত থাকবেন।
দুপুর ২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ৫৩টি মোমবাতি প্রজ্বালন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোগে আগারগাঁও মিলনায়তনে সন্ধ্যায় জাদুঘরের শিখা চিরঅম্লান প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্বালন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, গণহত্যা জাদুঘর, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের মোমবাতি প্রজ্বালনসহ নানা কর্মসূচি রয়েছে।
একইভাবে ঢাকার বাইরেও দেশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা এবং গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এসব অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংবিধানে কর্মকর্তা বলে কিছু নেই, সবাই কর্মচারী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, সংবিধানে কর্মকর্তা বলে কোনো শব্দ নেই৷ আইনগতভাবে সবাই আমরা কর্মচারী। আমরা একটু খুশি হওয়ার জন্য কর্মকর্তা বলি। কিন্তু দেশের জনগণই আমাদের কর্তা। তাদের সম্মান করতে হবে৷ তাদের সেবা করতে হবে৷ জনগণই দেশের মালিক। সরকারি কর্মচারীদের প্রধান কাজই জনগণের সেবা করা।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদ তালেব ও কৃপেন্দ্র দাসের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু শেখ হাসিনা। তিনি গ্রামাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। ভারতের চেয়েও আমরা এগিয়ে। বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে দিয়েছি আমরা যা ভারত পাকিস্তানেও নেই। আরো অনেক কিছুতেই এগিয়ে আছি আমরা। আমাদের বীর সৈনিকরা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে৷ তাদেরকে মনে রাখতে হবে৷ স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতার আদর্শকে বুকে লালন করে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে৷
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে ও সমবায় কর্মকর্তা মাসুদ আহমদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম, শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন।
সভা শেষে দুপুরে পরিকল্পনামন্ত্রী শান্তিগঞ্জ উপজেলার ঈশাখপুর-শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।