প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে মোবাইল সংযোগের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার, যা ৩১ মে পর্যন্ত ছিল ১৬ কোটি ১৫ লাখ ৬ হাজার। সেই হিসাবে এক মাসে গ্রাহক সংখ্যা কমেছে ২ লাখ ১১ হাজার। এর আগে মার্চ, এপ্রিল ও মে—এই তিন মাসে মোবাইল সংযোগ কমেছিল ৪৬ লাখ ৮ হাজার। করোনার মহামারির কারণে লকডাউন শুরু হলে সংযোগ হারাতে শুরু করে মোবাইল অপারেটরগুলো।
এদিকে গত এক মাসে (জুন মাসে) ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে দুই মাধ্যমেই। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার। এরমধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার। গত মে মাসে যা ছিল ৯ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার। সেই হিসাবে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে ৬ লাখ ৬৯ হাজার। এর মাধ্যমে গ্রাহক বৃদ্ধির ধারায় ফিরলো মোবাইল ইন্টারনেট। মোবাইল অপারেটরগুলোর ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা হিসাব করে দেখা গেছে, গত তিন মাসে (মার্চ-মে) মোবাইল অপারেটরগুলো ২ লাখ ৮ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে। আবার গত এক মাসে তিনগুণের বেশি গ্রাহক ফিরে পেয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলো।
দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেড়েছে। গত মে মাস পর্যন্ত দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৮০ লাখ ৮৪ হাজার। বিটিআরসি প্রকাশিত জুন মাসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮৫ লাখ ৭১ হাজার। সেই হিসাবে এক মাসে ব্যবহারকারী বেড়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যা ছিল ৫৭ লাখ ৪৩ হাজার। ফেব্রুয়ারি-মার্চ-মে, এই তিন মাসে একলাফে ব্রডব্যান্ডের গ্রাহক বেড়ে যায় ২৩ লাখ ৪১ হাজার। দেশে লকডাউন শুরু হলে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, অনলাইনে স্কুলের ক্লাস শুরু হয়। এছাড়া লকডাউনের সময় বেশিরভাগ লোক ঘরে থাকার ফলে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখার হার বেড়ে যাওয়ায় নতুন নতুন সংযোগ নেওয়ার সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ কারণে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে।
উল্লেখ্য, কোনও গ্রাহক বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি (আঙুলের ছাপ) ব্যবহার করে মোবাইল সিম কিনে ৯০ দিনের মধ্যে যদি একবারও ভয়েস, ডাটা (ইন্টারনেট ব্যবহার) ও এসএমএস করে থাকে, তাহলে মোবাইল অপারেটররা তাকে একজন ব্যবহারকারী হিসেবে গণনা করে।