আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যটির মজুদ বৃদ্ধি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা শিথিল হওয়ার বিষয়কে দাম কমার পেছনে প্রধান কারণে হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স।
আইসিই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৮৬ ডলার ১২ সেন্টে নেমেছে। এর আগের কার্যদিবসে দাম কমেছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১৬ সেন্ট বা দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭৯ ডলার ৯৭ সেন্টে। এর আগের কার্যদিবসে এটির মূল্য ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ইরাকের এত তেল গেল কোথায়?

ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবের পর ইরাক হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল উৎপাদক। কিন্তু ইরাকের বিশাল তেলসম্পদ এবং অপরিশোধিত তেল রফতানি থেকে ব্যাপক রাজস্ব সত্ত্বেও দেশটি তার গ্যাসের প্রায় ৪০ ভাগ ইরান থেকে আমদানি করে এবং অধিবাসীদের জ্বালানি প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রকট বিদ্যুৎ সঙ্কট এবং জ্বালানি ঘাটতির ফলে লোকজন দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ পেয়ে থাকে। দৈনন্দিন কাজ করাই তাদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
’ইরাক মুক্ত’ করার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০ বছর আগে। একটি সমৃদ্ধ, তেলপুষ্ট অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক ইরাক এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইরাকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন যুদ্ধের পরিণতিতে সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, দুর্নীতি এবং স্থিতিশীল ও জবাবদিহিযুক্ত সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যর্থতা।
মার্কিন-নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলার পর কেবল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার অভাবই সৃষ্টি হয়নি, সেইসাথে দেশটির অর্থনীতি, অবকাঠামো, সামাজিক বন্ধনও ভেঙে গেছে। এমনকি পর্যাপ্ত বিদেশী বিনিয়োগ পর্যন্ত আকৃষ্ট করতে পারছে না দেশটি। আর ইরাকিদের দুর্দশা বেড়েছে আইএসের মতো চরমপন্থী গ্রুপের উত্থানে। তবে ইরাকিরা আরেকটি ভয়াবহ সমস্যার মুখেও পড়েছে। সেটি হলো দুর্নীতি।
দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা
২০২২ সালের অক্টোবরে একটি দুর্নীতির ঘটনায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার বাগিয়ে নেয়ার তথ্য সামনে আসে। এটিকে ‘শতাব্দীর সেরা ডাকাতি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তবে তহবিল তছরুপসহ নানা ধরনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার এটি একটি খণ্ডচিত্র মাত্র। এক হিসাবে দেখা গেছে, সাদ্দাম যুগের পর ১৫ বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৩২০ বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে লোপাট হয়েছে।
কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদেরা তেল রাজস্বসহ সরকারি অর্থ লোপাটে ব্যবস্থা। ভুতুরে বেতন, ভুতুরে কর্মী, ঘুষ, তেল পাচার একেবারে সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার মতো অর্থ থাকছে না।
নিয়ন্ত্রণহীন তেল অঞ্চল
ইরাকের তেল-সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোর কয়েকটি আবার বাগদাদ কর্তৃপক্ষের হাতে নেই। বিশেষ করে উত্তরের কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে থাকা তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ কুর্দিস্তান রিজিওন্যাল গভার্নমেন্টের হাতে। এখানে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত আছে। তবে আঞ্চলিক সরকারই এই তেলের খবরদারি করে, সরকারের কোনো আদেশ-নিষেধের পরোয়া তারা করে না। তারা তুরস্কের সাথে পাইপলাইন স্থাপন করেছে।
ইরাকে প্রমাণিত তেল মজুতের পরিমাণ প্রায় ১৪৫ বিলিয়ন ব্যারেল। এই তেল দিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য সহজেই উন্নতি করা যায়। কিন্তু সেজন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত কার্যকর সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আইএমএফের ২৯০ কোটি ডলার বেলআউট ঋণ পেল শ্রীলঙ্কা

ঋণ সংকটে বিপর্যস্ত দেশ শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেলআউট ঋণ পেয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে সোমবার বলেছেন, আইএমএফ ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট ঋণের অনুমোদন দিয়েছে। এতে করে দ্বীপরাষ্ট্র সংকট নিরসনের আশা জুগিয়েছে। আইএমএফ বোর্ডও ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, আমি আইএমএফ এবং আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগীদের তাদের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে চাই। খবর উইওন নিউজের।
গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা ঋণখেলাপি হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি ৭০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়।
অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে বেলআউট ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করে। এর পূর্বশর্ত হিসেবে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম।
শ্রীলঙ্কার জ্বালানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা মূল্য বৃদ্ধির এই ঘোষণা দেন। গত বছরও ৭৫ শতাংশ বেড়েছিল বিদ্যুতের দাম। ফলে ইতোমধ্যে গত বছরের তুলনায় জানুয়ারিতে ৫৪ শতাংশ বেশি মূল্যস্ফীতি ও ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত আয়করের বোঝায় চরম দুর্দশায় আছে দেশটির জনগণ। সর্বশেষ এই উদ্যোগে তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মত দেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন রেকর্ড গড়ে মূল্যস্ফীতি ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১৫ মাসে সর্বনিম্ন

বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেই বৈশ্বিক ব্যাংক খাত। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদহার বাড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আবারো দেখা দিয়েছে মন্দার আশঙ্কা। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারেও দেখা দিয়েছে পণ্যটির চাহিদা পতনের সম্ভাবনা। এর ধারাবাহিকতায় বাজারে এখন দ্রুতগতিতে দাম কমছে জ্বালানি তেলের। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম এখন নেমে এসেছে ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে।
কয়েকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছে অবাধে। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) গত সপ্তাহেও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। শুক্রবার মার্কিন বাজার আদর্শটির সাপ্তাহিক বাজার স্থির হয়েছিল প্রতি ব্যারেল ৬৬ ডলার ৭৪ সেন্টে। সেখান থেকে ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গতকাল সাপ্তাহিক বাজারের প্রথম দিনে একপর্যায়ে তা নেমে আসে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ ডলার ৮৬ সেন্টে।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম শুক্রবার দিন শেষে ছিল প্রতি ব্যারেল ৭২ ডলার ৯৭ সেন্ট। সেখান থেকে আরো ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গতকাল একপর্যায়ে তা নেমে আসে ৭০ ডলার ৯০ সেন্টে।
ডব্লিউটিআই ও ব্রেন্টসহ জ্বালানি তেলের প্রায় সব বাজার আদর্শেই এখন মূল্য নেমে এসেছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্নে। বৈশ্বিক আর্থিক খাতের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিগগিরই পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম।
চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে। দেশে পণ্যটির ৯৮ শতাংশই আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার প্রভাবে সংস্থাটির জ্বালানি তেল আমদানি বাড়লেও এ বাবদ ব্যয় অনেকখানিই কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিপিসির সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সংস্থাটির জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ ব্যয় কমেছে অন্তত ৪২ কোটি ডলার।
ব্যয় কমলেও দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে এখনো প্রস্তুত নয় বিপিসি। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ চুক্তির শর্তে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি মাসেই বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলা রয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দাম নিম্নমুখী থাকলেও এখনো দেশের বাজারে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। সংস্থাটির কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জ্বালানির দাম কমলেই সঙ্গে সঙ্গে দেশে কমানো সম্ভব হয় না। এলসি বা ক্রয়াদেশে যে মূল্য থাকে সে দামেই জ্বালানি কেনা হয়। জ্বালানি তেলের এলসি করার পর আমদানি, পরিশোধন ও মজুদ করা হয়। নতুন দামে কেনা জ্বালানি বাজারে ছাড়ার আগে পুরনো মজুদ শেষ করতে হয়। সব মিলিয়ে আমদানির পর জ্বালানি তেল চূড়ান্ত ক্রেতার হাত পর্যন্ত পৌঁছতে অনেক সময় লেগে যায়। দেশের বাজারে এখন যে জ্বালানি তেল পাওয়া যায় তা আগে করা এলসির ভিত্তিতে আমদানীকৃত। ফলে এখনই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে জ্বালানি তেলের দাম কমানো সম্ভব নয়।
বিষয়টি নিয়ে বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ এনডিসিসহ ঊর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ মুহূর্তে জ্বালানি তেলের বাজারদর নিম্নমুখী হয়ে ওঠার পেছনে প্রধানত বৈশ্বিক ব্যাংক খাতের সংকটকেই দায়ী করছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের পর পশ্চিমা দেশগুলোয় খাতটি ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক দেখা দেয়। এ আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে তোলে ক্রেডিট সুইসের ধসের আশঙ্কা। পরবর্তী সময়ে সুইস ব্যাংক ইউবিএস ক্রেডিট সুইসকে অধিগ্রহণের ঘোষণা দিলেও খাতটির বর্তমান দুর্দশা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। বৈশ্বিক পুঁজিবাজারে গতকালও ব্যাংক খাতের শেয়ার ও বন্ডের দাম ছিল নিম্নমুখী।
জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রফতানিকারকদের সংগঠন ওপেক প্লাসও পণ্যটির বর্তমান বাজার পরিস্থিতির পেছনে ব্যাংক খাতের দুর্দশাকেই দায়ী করছে। জোটসংশ্লিষ্ট সূত্রদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০০৮ সালের মতোই আর্থিক খাতে বড় আরেকটি ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জ্বালানি তেলের বাজারে উদ্বেগের আরেকটি বড় কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে ফেডের সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনা। আগামীকাল এ-সংক্রান্ত একটি ঘোষণা আসার কথা রয়েছে। রয়টার্সের এক জরিপের তথ্যানুযায়ী, ওইদিনের বৈঠকে ফেড সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট (দশমিক ২৫ শতাংশ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর্থিক ও মুদ্রাবাজারের বর্তমান অস্থিতিশীলতার মধ্যে এ সিদ্ধান্ত খাতটির সংকটকে আরো বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের অনেকের। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এখন ফেডের প্রতি এ মুহূর্তে সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের কমোডিটি রিসার্চ বিভাগের প্রধান বাডেন মুর রয়টার্সকে বলেন, ‘অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গোটা বাজারে সবার মনোযোগ এখন ব্যাংক খাতের অস্থিতিশীলতা ও ফেডের সুদহার বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপর নিবদ্ধ।’
অনেকটা একই বক্তব্য দিয়ে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইএনজি ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক নোটে বলা হয়, আগামী আরো কিছুদিন গোটা আর্থিক খাত নিয়ে আশঙ্কা বৃহদায়তনে জ্বালানি তেলের বাজারে সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
কিছুদিন আগেই চলতি বছরের পুরো সময় ধরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমানোর ঘোষণা দেয় ওপেক প্লাস জোট। ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৩ শেষে জোটভুক্ত দেশগুলোর দৈনিক উত্তোলন গত বছরের তুলনায় ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ানোর এ প্রয়াসও পণ্যটির বাজারকে উত্তোলনকারীদের লক্ষ্যমাফিক ঊর্ধ্বমুখী করতে পারছে না। আগামী আরো কিছুদিন বাজারে এ পরিস্থিতি চালু থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কুয়েতে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা

কুয়েতে পাইপলাইন ফুটো হয়ে তেল ছড়িয়ে পড়ায় ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে একটি রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে তেল ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। কুয়েত অয়েল কোম্পানি তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বা তেল উৎপাদনে কোনও ব্যঘাত ঘটেনি বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। তেল কোম্পানির মুখপাত্র কুসাই আল–আমের বলেন, ঘটনাস্থলে কোনও বিষাক্ত ধোঁয়া শনাক্ত হয়নি। মাটিতে পাইপলাইন ছিদ্র হয়েছে। তবে তা কোনও আবাসিক এলাকায় নয়।
ছিদ্র কোথায় হয়েছে তা খুঁজে বের করা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিম পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। কুয়েতের আল রাই পত্রিকার টুইটারে প্রকাশিত এক ভিডিওতে একটি বিরান ভূমিতে তেলের পাইপ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল বেরোতে দেখা গেছে।
বিশ্বের অন্যতম তেল উৎপাদনকারী দেশ কুয়েত। দেশটির ৯০ শতাংশ রাজস্বই আসে তেল থেকে। কুয়েত অয়েল কোম্পানি এর আগেও ২০১৬ ও ২০২০ সালে পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে তেল ছড়িয়ে পড়ার কথা জানিয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চারশ বছরের পুরনো শহরে টুপি পরে মসজিদ উদ্বোধন নিউইয়র্কের মেয়রের

নিউইয়র্কের ইস্ট এলমর্হাস্টে ইসলামিক সেন্টার অব জ্যাকসন হাইটস ইনক এর ‘মসজিদ আবু হুরায়রা’ উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস।
ইস্ট এলহার্স্টে মসজিদ উদ্বোধন ঘিরে ছিলো উৎসবের আমেজ। প্রবাসী বাংলাদেশী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ছিলেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ উদ্বোধন করে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র এবং জনপ্রতিনিধিদের পবিত্র কোরান উপহার দেন অ্যাটর্নী মঈন চৌধুরী। মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতারা ছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন মসজিদ নির্মাণের রিয়েলটর গৌরাঙ্গ কুন্ডু।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, চারশ বছরের পুরনো নিউইয়র্ক শহরে তিনি সম্ভবত প্রথম টুপি পরে মসজিদ উদ্বোধন করলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেলিন্ডা কেট্জ, অ্যাসেম্বলিওমেন জেনিফার রাজকুমার এবং অন্যরা।
অর্থসংবাদ/এসএম