ভোমরা স্থলবন্দরের ৬ মাসে রপ্তানি আয় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা

ভোমরা স্থলবন্দরের ৬ মাসে রপ্তানি আয় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা
ভোমরা স্থলবন্দরে গত অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশী পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৭১৫ টন। রফতানীকৃত পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস সামগ্রী, রাইস ব্র্যান অয়েল, নারকেলের শলা, পাটের সুতা, ক্লিনিক্যাল ক্লথ, তাঁতি শাড়ি ও প্রাণ গ্রুপের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী।

বন্দরের শুল্কস্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) এ বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৮ টন বিভিন্ন প্রকার বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয়েছে। যার রফতানি মূল্য ১ হাজার ৬৭৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থাৎ ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত পণ্য রফতানি হয় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪০৮ টন। যার রফতানি মূল্য ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে রফতানি বেড়েছে ৭১৫ দশমিক ৫০ টন এবং রফতানি আয় বেড়েছে ২০৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার ঘোষ জানান, তার প্রতিষ্ঠানটি বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পণ্য রফতানি করে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ক্লিনিক্যাল ক্লথ, কটন ইয়ার্ন ওয়েস্ট, তাঁতি শাড়ি, গার্মেন্টস প্যান্ট, টুপি, ট্রলি ব্যাগ ও রাইস ব্র্যান অয়েল। তবে করোনা-পরবর্তী সময়ে রফতানি কিছুটা বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘রফতানি বাড়ায় আমার প্রতিষ্ঠানে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১০-১৫ শতাংশ রফতানি বেড়েছে।’

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু বলেন, ‘অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ভোমরা বন্দরে রফতানি আয় বেড়েছে। ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে ক্রমান্বয়ে রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। তবে রফতানির পাশাপাশি আমদানিও বাড়াতে হবে আমাদের। করোনা-পরবর্তী সময়ে ভোমরা বন্দরে রফতানি বাড়লেও আমদানি কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে। ফলে আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি দিতে হবে। ব্যাংকে এলসি (ঋণপত্র) জটিলতা নিরসন করে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হবে।’

সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু বলেন, ‘আমদানি বা রফতানি উভয় দিক থেকে ভোমরা স্থলবন্দর খুবই সম্ভাবনাময়। খুব সহজে এ বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি করা যায়। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত কলকাতায় দেশের অন্যসব বন্দরের তুলনায় কম সময়ে পৌঁছানো যায়। তবে এ বন্দরের সক্ষমতা বাড়ালে পণ্য আমদানি-রফতানি আরো বাড়বে। ভোমরা বন্দরে ভারী কোনো পণ্য লোড-আনলোড করার মতো ক্রেন বা অন্য সক্ষমতা নেই। তার পরও রফতানি বাড়ছে এ বন্দরে। তবে রফতানির পরিমাণ বাড়লেও আমদানির তুলনায় তা অপ্রতুল।’

ভোমরা শুল্কস্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বলেন, ‘করোনার পর ভোমরা বন্দরে রফতানি বেড়েছে, এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাছাড়া ভোমরা বন্দরে আমদানি বা রফতানি দুটোই সহজ। এখানে পণ্যজট বা যানজটের কোনোটাই হয় না।’

অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ