সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমানতের সুদহার তুলে নেওয়ায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদহার নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারবে। ফলে বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর আয় বাড়তে পারে। বিশেষ করে জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে নতুন এ মুদ্রানীতি।
জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৬১টি বিমা কোম্পানির কার্যক্রম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি জীবন বিমা এবং ৪২টি সাধারণ বিমা কোম্পানি। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য মতে, ৬১টি বিমা কোম্পানির বিপরীতে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানির সংখ্যা ৫৬টি। এই ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানি রয়েছে ১২টি।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
জানতে চাইলে শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ অর্থসংবাদকে বলেন, নতুন মুদ্রানীতিতে আমানতের সুদহার তুলে দেওয়া হয়েছে। এর প্রভাবে বিমা কোম্পানিগুলোর আয় হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিকে গত সপ্তাহে শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এতে উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় বাড়বে। ফলে বস্ত্র, পাট ও ট্যানারি খাতসহ উৎপাদনমুখী কোম্পানিগুলোর আয়ে ভাটা পড়তে পারে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।