মানববন্ধনে নেতারা বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে, যার ফলে পরিবহন খরচ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এতে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষরা বর্তমানে দিশাহারা। শ্রমিকরা বর্তমানে অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে শিল্প-কারখানায় কাজ করে যাচ্ছেন। মানববন্ধন থেকে নেতারা অবিলম্বে নতুন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের লক্ষ্যে মজুরি বোর্ড পুনর্গঠন করে হেলপার অর্থাৎ সপ্তম গ্রেডের মজুরি ৬৫ ভাগ বেসিকসহ সর্বমোট ২২ হাজার টাকা নির্ধারণের জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, দেশে যখনই শ্রম আইন বা বিধি প্রণীত হয়েছে, তাতে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী শব্দ চয়ন সংযোজিত হয়েছে। নেতারা সব কালা-কানুন বাতিল করে শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বলেন, সরকারি ভর্তুকি মূল্যে চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল, চিনি প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে দেয়ার লক্ষ্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তর এবং ডাইফির দুর্নীতি আজ সীমাহীন এবং অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়কে অবিলম্বে দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন বক্তব্য দেন পরিষদের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন, ভাইস চেয়ারম্যান এম দেলোয়ার হোসেন, মাহতাব উদ্দিন সহিদ, সুলতানা বেগম, যুগ্ম মহাসচিব বজলুর রহমান বাবলু, ফিরোজা বেগম, আব্দুল আজিজ, অর্থ সম্পাদক তাহমিনা রহমান, পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মো. ইলিয়াস হোসেন, মো. তৌহিদ হোসেন খান, মো. মোবারক খান, ফোরকান মৃধা সুমন, মো. এনায়েত হোসেন খান, মোসা. রুমা আক্তারসহ অনেকে।
মানববন্ধনে চলমান ৮ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করার লক্ষ্যে ২৭ জানুয়ারি গাজীপুর, ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম, ১০ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া এলাকায় আঞ্চলিক শ্রমিক জমায়েত এবং আগামী ৬ মার্চ ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে শ্রমিক সমাবেশ থেকে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
অর্থসংবাদ/এসএম