শিল্প-বাণিজ্য
নিজস্ব বিদ্যুতে চলে শিল্প-কারখানা

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে উৎপাদনমুখী শিল্প স্থাপনা রয়েছে ৪৬ হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে ৪০ হাজারের কিছু বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। বাকি ছয় হাজার বৃহৎ ও মাঝারি শিল্প। আর সব শিল্পের বড় অংশই সচল থাকে বিদ্যুতের নিজস্ব উৎপাদন বা ক্যাপটিভ ব্যবস্থায়। কারণ হিসেবে শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, ব্যয়ভারের চেয়েও বড় সমস্যা হলো সেটি নিরবচ্ছিন্ন নয়। ফলে শিল্পের লাইফলাইন বা শিল্প চলে মূলত ক্যাপটিভেই।
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন সাড়ে ২৬ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। জাতীয় গ্রিডবহির্ভূত উৎপাদন সক্ষমতা সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের মতো, যার মধ্যে ক্যাপটিভের সক্ষমতা প্রায় ২ হাজার ৮ মেগাওয়াট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে গত এক দশকেরও বেশি সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে। কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন না হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে আস্থা পাচ্ছে না শিল্প খাত। নিজস্ব বিদ্যুিনর্ভরতাও তাই ক্রমে বাড়ছে।
শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত থাকলেও শিল্প মালিকরা তাতে খুব একটা আগ্রহী হন না। আবার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে দাম গুনতে হয় দ্বিগুণেরও বেশি। এসব কারণে জাতীয় গ্রিডের চেয়ে ক্যাপটিভেই এখনো নির্ভরতা শিল্প মালিকদের। কিন্তু সেই ক্যাপটিভ এখন গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিচ্ছে। একদিকে জ্বালানি নিরাপত্তাহীনতার ভোগান্তি—গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন যেমন না, আবার ক্ষেত্রবিশেষে বন্ধও থাকছে। অন্যদিকে আবার গ্যাসের দামও বহুগুণ বেড়েছে। ফলে শিল্পের লাইফলাইন ক্যাপটিভ হলেও এ ব্যবস্থার সুফল পাওয়া থেকে ক্রমেই দূরে সরে যেতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘বৃহৎ ও মাঝারি শিল্প মূলত ক্যাপটিভেই চলে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলোর অনেকে কম হলেও ক্যাপটিভ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। একটা সময় ছিল যখন বিদ্যুতের সংকট ছিল। ফলে সরকারের উৎসাহ ছিল উদ্যোক্তাদের ক্যাপটিভ ব্যবস্থা গড়ে তোলার। সে উৎসাহের ওপর ভিত্তি করেই ব্যক্তি খাতের শিল্পে বিনিয়োগ হয়েছে নিজস্ব উৎপাদন ব্যবস্থায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ক্রমে বাড়লেও সরবরাহ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি। এজন্যই ব্যয়ভার, গ্যাসের চাপজনিত সমস্যা থাকলেও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ভরসা রাখছে শিল্প খাত। কিন্তু বর্তমানে ক্যাপটিভে উৎপাদনও কঠিন হয়ে পড়ছে। বর্তমানে ক্যাপটিভ বিদ্যুতের ব্যয় যে পর্যায়ে গেছে শিল্প সংকুচিত হওয়া ছাড়া পথ থাকবে না। তবে গ্রিড বা ক্যাপটিভ শিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে জ্বালানি লাগবেই। কেননা গ্রিডের বিদ্যুতের দাম অনেক বেশি।’

একই মত পোষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় অংশই ব্যবহার করে শিল্প। জাতীয় গ্রিডেও উৎপাদন সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। কিন্তু শিল্প খাত সেটা ব্যবহার করছে না, কারণ গ্রহণযোগ্য নয়। সঞ্চালন ও সরবরাহের পাশাপাশি ফুয়েল সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে গ্রহণযোগ্য করা যেত। যেহেতু টেকসই নয়, তাই জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ শিল্প তেমন ব্যবহার করছে না। শিল্প চায় গুণগত মান ও গ্রহণযোগ্যতা। গ্যাস দিয়ে দিলে নিজেদের উৎপাদন ব্যবস্থায়ই তারা আস্থা রাখছে।
এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ম তামিম বলেন, ‘সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হলো ক্যাপটিভ থেকে সরে আসবে। আমাদের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পরিকল্পনা মূলত আমদানিনির্ভরতাকে ঘিরে। পুরো বিদ্যুৎ খাত পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগোচ্ছে। সমস্যা হলো আমদানিনির্ভরতার পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজে লাগছে না আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতি বিদ্যুৎ খাতের ব্যর্থতা নয়। আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণেই এ সংকট।’
সূত্র জানিয়েছে, দেশে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার সর্বোচ্চটি মূলত তৈরি পোশাকের কাঁচামাল সুতা-কাপড়ের উৎপাদনকারী বস্ত্র শিল্প মালিকদের। এ শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, যারা ক্যাপটিভনির্ভর শিল্প তাদের বাস্তবতা হলো জ্বালানি উৎস সেই একটিই, গ্যাস। এখন যে দামে জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে, সেটা সমন্বয় করা হচ্ছে। যেহেতু গ্যাসের সংকট, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উৎপাদনে। শিল্পের খুব কম উদ্যোক্তারই দুই ধরনের জ্বালানি উৎস আছে। কাজেই যাদের ক্যাপটিভ, তাদের যদি গ্যাস সরবরাহ না থাকে, তাহলে উৎপাদন বন্ধ থাকবে। এখনই রেশনিং করে চলতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সুতা ও কাপড় উৎপাদনকারী মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘ক্যাপটিভ অবশ্যই শিল্পের লাইফলাইন। বস্ত্র খাত ও ক্যাপটিভ মিলিয়ে গোটা শিল্পে গ্যাসের ব্যবহার ৩৫ শতাংশ। বাকি পুরোটাই সরকারের বিভিন্ন খাতে। ১৬ টাকার গ্যাস এখন হয়েছে ৩০ টাকা। অর্থাৎ আগে মাসে বিল ছিল ২ কোটি টাকা, এখন হয়ে গেল ৪ কোটি। এতে শিল্পপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এফবিসিসিআইয়ের মাধ্যমে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার জন্য উদ্যোগ নেয়া যায় কিনা, আমরা সেটা ভাবছি।’
অর্থসংবাদ/কেএ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
ফের আইবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান হলেন আবদুল মাতলুব

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন নিটল মোটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ। প্রতিবেশী দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটির আগামী দুই বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) আইবিসিসিআই নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনি বোর্ডের অপর দুই সদস্য ছিলেন, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল ও মো. কোহিনুর ইসলাম। সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবদুল মাতলুব আহমাদ দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি। একইসঙ্গে এইচএসটিসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও কনসাল কোরের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এম শোয়েব চৌধুরী এবং সান ফার্মাসিউটিক্যালস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের কান্ট্রি হেড সঞ্জয় বসুকে চেম্বারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আইবিসিসিআই ২৪ সদস্যের নতুন পর্ষদে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড অমিত কুমার সংগঠনটির মহাসচিব, কোয়ালিটি এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াহেদ যুগ্ম মহাসচিব এবং বাংলাদেশ সিস্টেম টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সুলতান আহমেদ কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও ফতুল্লা স্টিল রি-রোলিং মিলসের মোহাম্মদ আলী, বিআর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের মো. বজলুর রহমান, ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জের ফারখুন্দা জাবীন খান, মেসার্স শারোথি এন্টারপ্রাইজের মতিয়ার রহমান, ব্রিক ওয়ার্কস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, এশিয়ান পেইন্টস লিমিটেডের বুধাদিত্য মুখার্জি, আয়ন এক্সচেঞ্জ এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট (বিডি) লিমিটেডের মো. জুলফিকার শেখ এবং এজিওন ল্যাবরেটরিজ প্রাইভেট লিমিটেডের অজিত কুমার পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।

সংগঠনটির পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের এসকে মাহফুজ হামিদ, অরবিন্দ লিমিটেডের অনিল কুমার, অ্যাক্সিস ব্যাংক লিমিটেডের সুমিত গোস্বামী, ডাবর বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের বিশ্বজিৎ কুমার দাস, অ্যাগ্রো টেক ফুডস (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের পিংকু রায়, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেডের সুব্রত দত্ত গুপ্ত, রানার অটোমোবাইলস পিএলসি-এর মোহাম্মদ আলী দ্বীন, এমকেকে লজিস্টিকসের রবিউল আলম, টরসিড বাংলাদেশ লিমিটেডের অমিত কুমার তিওয়ারি এবং ভেনক্রিস এনার্জি লিমিটেডের মুলে ভেঙ্কটারত্ন রেড্ডি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
যুক্তরাজ্যে রপ্তানির ৯১ শতাংশই তৈরি পোশাক

যুক্তরাজ্যের বাজারে সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আর মোট রপ্তানির ৯১ শতাংশই তৈরি পোশাক বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
গত ২৬ নভেম্বর রাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটিতে সফররত এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম আরো জানান, পোশাক ছাড়াও সম্ভাবনা আছে টেক্সটাইল, মৎস্য, বাইসাইকেলের।
এ ছাড়া কৃষিজাত পণ্য ও আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের ফল রপ্তানির ওপর জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের তৈরি পণ্য মূলধারার বাজারে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূলধারার বাজারে কী ধরনের পণ্য আসছে আমরা যদি সেসব পণ্যের উৎস কোথায়, কী ধরনের চাহিদা রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি, তাহলে সেটি দেশের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ কাজে লাগাতে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের বিকল্প নেই।
মাহবুবুল আলম বলেন, ‘পোশাকশিল্পের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে আরো কী ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায়, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা।’ এ সময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রপ্তানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
বৈঠকে প্রশিক্ষিত নার্সসহ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতারা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা শুরু বৃহস্পতিবার

দেশে পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) আন্তর্জাতিক মেলা। আগামী ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
তিন দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে ২ ডিসেম্বর, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানিয়েছেন মেলার আইটি ও মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সাব-কমিটির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দিন খান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আহকাবের প্রেসিডেন্ট সায়েম উল হক, মহাসচিব মোহাম্মদ আফতাব আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলায় দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ২১৫টি কোম্পানির ৫৮০টি স্টল থাকবে। মেলায় বাংলাদেশ, চীন, মিশর, জার্মানি, ভারত, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতনামা অনেক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।
মেলায় এ্যানিমেল হেলথ সেক্টরে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য ও উপকরণাদি উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া এই মেলায় দেশের মৎস্য ও প্রাণিজ খাতের সমস্যা ও এর প্রতীকার, কারিগরি উন্নয়ন, নিরাপদ আমিষের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে। এছাড়াও এ মেলাতে পোষা প্রাণির রোগ নিরাময় ও লালন পালনের বিবিধ তথ্য প্রদর্শন করা হবে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রাণিজ ও মৎস্য খাতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা সংক্রান্ত বিষয়ে দুইটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাজারে এলো বাজাজ পালসারের ২৫০ সিসির মোটরসাইকেল

দেশে প্রথমবারের মতো ২৫০ সিসির মোটরসাইকেল লঞ্চ করেছে বাংলাদেশে বাজাজ মোটরসাইকেলের নির্মাতা ও পরিবেশক উত্তরা মোটরস। সোমবার (২৭ নভেম্বর) লঞ্চ করা হয় পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলটি।
৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাচ্ছে তিনটি ভিন্ন রঙে।
২৫০ সিসির অয়েল কুলড ইঞ্জিন সম্বলিত মোটরসাইকেলটিতে ডুয়েল চ্যানেল অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) ব্যবহার করা হয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে মোটরসাইকেলটি উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রধান নাঈমুর রহমান, বাজাজ অটো ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিভিশন ম্যানেজার সমীর মারদিকারসহ বিপুল সংখ্যক উৎসাহী।

কয়েক মাস আগে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ১৬৫ এর চেয়ে উচ্চতর সিসির ইঞ্জিন সম্বলিত মোটরসাইকেল বিক্রির অনুমতি দেয় সরকার।
এরপর অক্টোবর থেকে সড়কে ৩৭৫ সিসির মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দেয় সরকার। তবে সেক্ষেত্রেও মোটরসাইকেলগুলো দেশে উৎপাদিত হতে হবে।
বাজাজের পর এবার অন্য ব্র্যান্ডগুলোও উচ্চতর সিসির মোটরসাইকেল নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
কমনওয়েলথ বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেবে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদল

কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) একটি প্রতিনিধিদল। এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন খাতের ৪৪ জন ব্যবসায়ী।
কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সর্ম্পক জোরদারে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সফরে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
সফরের পূর্ব-নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, রোববার রাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আমন্ত্রণে একটি নৈশভোজে যোগদান করবেন ব্যবসায়ীরা। এরপর ২৭ নভেম্বর সকালে কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের অধিবেশনে যোগ দেবেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। ঐদিন সিটি অব লন্ডন চেম্বারের চেয়ারম্যানের আমন্ত্রণে একটি নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
২৮ নভেম্বর কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘টেক অ্যান্ড ইনোভেশন: অ্যানাব্লিং ট্রেড’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগদান করবেন এফবিসিসিআই সভাপতি। পরে ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই)র সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করবে এফবিসিসিআই।
এছাড়া বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সভা, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২৯ নভম্বর লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দল।

অর্থসংবাদ/এমআই