সারাদেশ
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ কমে তা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্ৰিতে নেমেছে। চলতি বছরের শীত মৌসুমে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। এতে শীত আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগরের লেবু ব্যবসায়ী ছুরুক আহমদ বলেন, চা-বাগান ঘেরা চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে। কোনো কোনো দিন সকালের দিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিক।
মৌলভীবাজার শহরের শিক্ষক জাবিদুর রহমান বলেন, শীতে জবুথবু অবস্থা। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে গেলে হাত-পা ঠান্ডায় জমে যায়। এবারের টানা শীতে জনজীবনে অনেকটা বিপর্যয় নেমে এসেছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, এ উপজেলায় এমনিতেই অনেক শীত। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতজনিত কষ্ট ও দুর্দশা লাঘবে প্রধানন্ত্রীর পক্ষ থেকে কম্বল বরাদ্দ এসেছে।
অর্থসংবাদ/কেএ
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
বিশ্ব ইজতেমায় দ্বিতীয় পর্বে পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু!

গাজীপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) আরও চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।
তারা হলেন- ঢাকার কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইন এলাকায় মুসল্লি আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৫), রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. বোরহান (৪৮), গাইবান্ধার শুক্কুর মণ্ডলের ছেলে আব্দুল হামিদ মণ্ডল (৫৫) ও ঢাকার সাভারের বাসিন্দা আব্দুল আলীমের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৫৪)।
ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আবু সায়েম জানান, শুক্রবার এশার নামাজের সময় জিকির করছিলেন আব্দুল হান্নান। সেখানে অচেতন হয়ে তিনি মারা যান। একই রাত ১১টার দিকে ইজতেমা ময়দানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মো. বোরহান। সন্ধ্যায় আব্দুল হামিদ মন্ডল ও মফিজুল ইসলাম মারা যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইজতেমা ময়দানে বরগুনার আব্দুল আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে মারা গেছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
তুরাগতীরে দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় ইজতেমা মাঠে বৃহৎ জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জামাত শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করেন দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভী।
ইজতেমায় যোগদানকারী মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে রাজধানী ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমাস্থলে হাজির হন। ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে। দুপুর ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সবস্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এছাড়া টঙ্গীর বিভিন্ন উঁচুভবনের ছাদে থেকেও মুসল্লিরা জুমার নামাজে শরিক হন। বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটে আসেন জুমার নামাজ আদায় করার জন্য। মাঠে স্থান না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়ক ও অলিগলিসহ যে যেখানে পেরেছেন হোগলা পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হন।
শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।
আজ জুমার পর সংক্ষিপ্ত বয়ান করবেন কাকরাইলের শুরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা সাদের মেঝ ছেলে মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্দলভী, মাগরিবের পর বয়ান করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ইজতেমা ময়দানকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে ময়দানের আশপাশে প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথম পর্বে যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল এবারও ঠিক আগের মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট থাকবে।
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বেড়েছে সবজির দাম, চাল-মুরগিও ঊর্ধ্বমুখী

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সরু চালের দাম। একই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা। শীতের সবজির দামও এখন ঊর্ধ্বমুখী। সব সবজিই এখন গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আজ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি দামে। আমন মৌসুমেও বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। শুধু মোটা চালের দাম সামান্য কমেছিল। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
যদিও বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পরও বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েড়নি।
বাজার ও মান ভেদে সরু মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা।
অন্যদিকে শীত মৌসুম শেষ না হলেও মৌসুমি সবজির দাম বাড়তির দিকে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ ঘাটতির কথা বললেও কোথাও সেরকম লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে। তবে দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত।
প্রতি কেজি মুলা ও প্রতি পিস ফুলকপিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সিমের কেজি এখন ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, উচ্ছের কেজি ৮০ টাকা, তাল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা। এছাড়া লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, বরবটির কেজি ১০০ টাকা, ভালো মানের প্রতি পিস লাউ ১০০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতি পিস লাউ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁপের কেজি ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। এছাড়া নতুন আলুর কেজি ৩০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি নতুন পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।
অন্যদিকে অব্যাহত রয়েছে আদা রসুনের মূল্য বৃদ্ধি। এ দুই পদের মসলা কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি দেড়শ থেকে ২০০ টাকা।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ডিমের দামে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। কোনো কোনো এলাকায় প্রতি ডজন (১২ পিস) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। কোথাও আবার ১২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দোকানিরা সামাজিক ও বিভিন্ন উৎসবকে দায়ী করছেন। চাহিদা বাড়ার কারণে ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে দাওয়াতে তাবলিগের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আজ বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। ময়দানে আজ কয়েক লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এ পর্বে অংশ নিচ্ছেন। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনি (মাওলানা সাদ) ময়দানে আসেননি। তিনি আসবেন কি না, সেটিও নিশ্চিত নয়। তার তিন ছেলে ও জামাতা এদিন সকালে ময়দানে আসেন। বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী আজ জুমার জামাতে ইমামতি করতে পারেন।
দ্বিতীয় পর্ব আজ শুরু হলেও বুধবার রাত থেকে মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেন। নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে তারা ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। ৫১ জিম্মাদার খিত্তাগুলোর দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মেহমান ময়দানে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছেন ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম। তিনি আশা করছেন, আরও কয়েক হাজার বিদেশি মুসল্লি আসবেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে আজ ইজতেমা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকেই শুরু হয় নানা কার্যক্রম। বাদ ফজর সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে ইস্তেকবালি (স্বাগত) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা চেরাগ উদ্দিন। বাংলায় তা অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা আজিমুদ্দিন।
বাদ জোহর বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরুব্বি মাওলানা ফারুক। বাংলায় তা অনুবাদ করেন মাওলানা আশরাফ আলী। বাদ আসর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা হারুন কোরাইশী, বাংলায় ভাষান্তর করেন মনির বিন ইউসুফ।
বাদ মাগরিব বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা জামশেদ, তা বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। তারা ছয় উসুল, যথা-ইমান, নামাজ, এলেম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, তাসহিহে নিয়ত, দাওয়াত ও তাবলিগ সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক কথা বলছেন। মূল বয়ান সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ভাষায় তরজমা করা হচ্ছে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাজি মনির হোসেন যুগান্তরকে জানান, মাওলানা সাদ সাহেবের আসাটা অনিশ্চিত। আমরা দোয়া করছি, তিনি যেন আমাদের মাঝে আসতে পারেন। তবে তার তিন ছেলে ও জামাতা ময়দানে এসেছেন। তারা হলেন-বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী, মেজো ছেলে মাওলানা সাঈদ কান্ধলভী এবং ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী। তাদের সঙ্গে আসে মাওলানা সাদের মেয়ের জামাতা মাওলানা হাসানসহ সাতজনের একটি জামাত।
পুলিশের ব্রিফিং : বৃহস্পতিবার টেলিফোন শিল্প সংস্থা মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথম পর্বের মতো এ পর্বেও পুরো ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা নেই।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ হাজার ৩০ জন পুলিশসহ র্যাব ও সাদা পোশাকধারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়াও ময়দানে যাতে কোনো রোহিঙ্গা (মিয়ানমারের বাস্তুচুত নাগরিক) ঢুকতে না পরে, সেদিকে কড়া নজরদারি রয়েছে।
রোববার মেট্রোরেল চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত : এমআরটি লাইন-৬-এর উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের সুবিধার্থে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেট্রোরেল পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেট্রোরেল প্রথমবারের মতো ওইদিন ৯ ঘণ্টা চলবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড সূত্র জানায়, বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা চলাচল করছে মেট্রোরেল। ২৫ জানুয়ারি থেকে সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলাচল করবে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বলেন, দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মেহমান ময়দানে নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে, ইনশাআল্লাহ।
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের দাপট

গত দুদিন ধরে আবহাওয়ার রেকর্ডে বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে কমেনি শীতের মাত্রা। মধ্যরাতের পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
টানা শৈত্যপ্রবাহের শীতে বিপর্যস্ত সীমান্ত জেলার সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে শহরের জাতীয় মহাসড়ক ও গ্রামের সড়কগুলোতে যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
যা গতকাল থেকে বেড়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সোমবার ভোর থেকে বেলা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ঢাকা রয়েছে এ জেলা। কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন। কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাস থাকায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। শীত দুর্ভোগে জীবনযাপন করছে নানান শ্রমজীবী-কর্মজীবী গরীব অসহায় মানুষ। চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহনের চালকরা পড়েছেন বিপাকে। শীতের কারণে তাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। দারিদ্রতা ভর করছে।
কুয়াশা ঢাকা সকালে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, প্রয়োজনে অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজে বেড়িয়ে পড়েছেন দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিক, ভ্যান চালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। জীবিকার তাগিদেই তারা
কেউ নদীতে পাথর তুলতে, কেউ চা-বাগানে, কেউ পাথর ভাংতে আবার গেরস্থের বাড়িতে দিন হাজিরার কাজে ও বেসরকারি সংস্থা এনজিও কর্মীদের কাজে যেতে দেখা গেছে। শীতের দুর্ভোগ বেড়েছে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে। এসব মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার যে ত্রাণ দিয়েছে তা একেবারেই কম বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক ও দিনমজুর মানুষগুলো জানান, ঠান্ডার কারণে তারা ঠিকমত কাজ করতে পারছেন না। কাজ না করলে জীবনও চলছে না। তাই তারা শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন। দিনশেষে কাজ করে যা মজুরি আসবে সেটা দিয়ে বাজার-সওদা করে পরিবারের মুখে আহার জুটাবেন।
কয়েকজন এনজিও কর্মী জানান, খুব ঠান্ডা। আর ঘন কুয়াশার কারণে মোটরসাইকেল চালানো অত্যন্ত কষ্টকর। কিন্তু চাকরি করার কারণে কষ্ট হলেও ফিল্ডে বের হতে হয়েছে।
বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরাও। তারা জানান, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের কারণে ক্ষেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। অনেক দেরিতে মাঠে যেতে হচ্ছে। এখন বোরো মৌসুম, ভুট্টা, মরিচ, গমসহ বিভিন্ন ফসলের বীজ বপন করতে হচ্ছে। শীতের কারণে বেলা করে ক্ষেতে গিয়ে কাজ এগুচ্ছে না বলে জানান তারা।
শীতের কারণে পড়ালেখা স্থবির হয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও। স্কুল শিক্ষার্থীরা জানায়, শীতের কারণে তাদের পড়ালেখা করতে কষ্ট হচ্ছে। সন্ধ্যায় রাত বরফ হয়ে উঠে। ভোরে কুয়াশা আর কনকনে শীতে পড়তে-লিখতে হাতপা অবশ হয়ে আসে। স্কুল-কলেজে যেতে কষ্ট হচ্ছে।
শীত প্রকোপে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। জেলা সদর ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, জেলায় গতকালের তুলনায় আজ এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে। দুদিন আগে গত শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। জেলার ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহিত হচ্ছে।