আন্তর্জাতিক
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২২ সালে ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বহু কম। পরিসংখ্যান বলছে, এ পতন দেশটির ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এমন পরিস্থির দায় দেয়া হচ্ছে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, তা রোধে নেয়া নানা বিধিনিষেধ এবং আবাসন খাতে ইতিহাসে সর্বাধিক মন্দা পরিস্থিতিকে। একই সময়ে নীতিনির্ধারকদের ওপর বেড়েছে চলতি বছর নতুন প্রণোদনা ঘোষণার চাপ।
যদিও প্রান্তিকভিত্তিক প্রবৃদ্ধি ও খুচরা বিক্রির মতো ডিসেম্বরের নির্দেশক বাজারের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনজুড়ে বিরাজমান অর্থনৈতিক প্রবণতা এখনো দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। সব মিলিয়ে কভিডসংক্রান্ত নীতিমালা প্রত্যাহার করে নেয়ায় চীনও চাপের মধ্যে রয়েছে।
এক বছর আগের সময়ের চেয়ে চীনে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের (এনবিএস) তথ্য বলছে, এ হার তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে কম। সে সময় প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
এনবিএসের পরিচালক ক্যাং ই বলেন, ২০২২ সালে চীনের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি কিছু অপ্রত্যাশিত ঝুঁকির মুখে পড়েছিল, যার মধ্যে ছিল কভিড সংক্রমণ ও দাবদাহ। চাহিদায় তিন গুণ সংকোচন, সরবরাহ সংকট বেড়ে যাওয়ায় জটিলতা ও অনিশ্চয়তাও বাড়ছে।
চলতি বছর অনেকটা হঠাৎ করেই সংক্রমণসংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে চীন, যা অর্থনীতির গতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা তৈরি করেছে। কিন্তু বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় দেশটিতে আবারো বেড়েছে সংক্রমণ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অব্যাহত সংক্রমণ প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
মুডি’স অ্যানালিটিকসের অর্থনীতিবিদ হ্যারি মরফি বলেন, ২০২৩ সাল চীনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। দেশটিকে কভিড-১৯ রোগের পাশাপাশি আবাসন খাতের দুরবস্থা এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় রফতানিতে দুর্বলতা; সবকিছুর সঙ্গেই মোকাবেলা করতে হবে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ লুইস লু বলেন, ডিসেম্বরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে খুচরা খাতে ব্যয়ের মতো কিছু বিষয় এখনো দুর্বল। যে সুদূরপ্রসারী ভাবনা থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে তা কাজে লাগছে বলেই তথ্যপ্রমাণে উঠে আসছে।
এ অবস্থায় ২০২৩ সালের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এরই মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে চীন। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে প্রবৃদ্ধি শুরু হবে।
চীনের অর্থনীতির শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন বৈশ্বিক মন্দাকে প্রশমিত করতে পারে। তবে এটি বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির কারণও হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চীনে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর সংক্রমণ রোধে কড়াকড়ি আরোপ করে দেশটির সরকার। টানা কঠোর বিধিনিষেধ সংক্রমণ প্রশমন করলেও দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক পর্যায়ে জনঅসন্তোষ বাড়তে থাকে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা সরকারের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বরেই জিরো কভিড নীতি প্রত্যাহার করে চীন। এ প্রত্যাহার অনেকের জন্য স্বস্তি বয়ে আনলেও সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বন্ধ রাখতে হচ্ছে দোকান বা রেস্তোরাঁ, যা অর্থনীতির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
তিন মাসে এলভিএমএইচের আয় ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার

বিদায়ী ২০২২ সালের শেষ তিন মাসে বিলাসবহুল পণ্য বিক্রেতা কোম্পানিটি এলভিএমএইচের আয় হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। খবর বিবিসি।
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় সত্ত্বেও টানা দুই বছর এলভিএমএইচের বিক্রি বেড়েছে।
কোম্পানিটি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখলেও কভিড লকডাউনের কারণে চীনে পিছিয়ে যায়। এ কারণে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিতে এলভিএমএইচের বিক্রি ২০ শতাংশ কমেছে।
তবে এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী বেহনা আহনোঁ জানান, চীনের বাজার সম্পর্কে তিনি আশাবাদী। ম্যাকাও স্টোরের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ব্যবসা ফিরে এসেছে, চীনারা কিনছে।
এলভিএমএইচের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে টিফানি’স, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর, সেপোরা প্রভৃতি। তবে অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ডিজাইনার লেবেল লুই ভিতোঁ ব্যতিক্রমীভাবে ভালো করেছে। এর আয় প্রথমবারের মতো ২ হাজার ১৭০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
এলভিএমএইচের বিক্রিবাট্টা থেকে বিশ্লেষকরা বলছেন, সামগ্রিকভাবে ব্যক্তিগত বিলাসবহুল পণ্যগুলোতে ব্যয় বাড়ছে।
চলতি মাসের শুরুতে এলভিএমএইচের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। মেয়েকে ফ্যাশন হাউস ডিওরের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি বেহনা আহনোঁ। এখন তার পাঁচটি সন্তানই গ্রুপের ব্র্যান্ডে ব্যবস্থাপনা পদে অধিষ্ঠিত।
অর্থসংবাদ/এসএম
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ব অর্থনীতি মাত্র ১.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস জাতিসংঘের

কভিড-১৯ এর প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের কারণে বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় আকারের ধাক্কা লাগতে পারে। চলতি বছরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ১ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে। জাতিসংঘের অর্থ ও সমাজবিষয়ক বিভাগের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর এপি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনা ১ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২২ সালের প্রাক্কলনে যেখানে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। এদিকে ২০২৪ সালে ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশাবাদ জাতিসংঘের। অবশ্য তা নির্ভর করবে মূল্যস্ফীতি প্রশমন ও অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ওপর।
১৭৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ভূমিকায় জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস বলেন, উচ্চমূল্যস্ফীতি, আগ্রাসী মুদ্রানীতি ও ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তায় বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক শ্লথগতি দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বে ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্যের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। জাতিসংঘের অর্থ ও সমাজবিষয়ক বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা শান্তনু মুখার্জি জানান, ২০১৯-২০২১ সালে শীর্ষ উপার্জনকারী ১০ শতাংশের আয় বেড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে নিম্ন উপার্জনকারী ৪০ শতাংশের আয় কমেছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অন্যান্য অগ্রসর অর্থনীতিতে শ্লথগতির প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। জাতিসংঘের প্রাক্কলন, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২২ সালে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রলম্বিত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপের অনেক অর্থনীতিও শ্লথগতির মধ্য দিয়ে যেতে পারে। ২৭ সদস্যবিশিষ্ট ইইউর প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে যেখানে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। তিন বছর আগে ইইউ থেকে বেরিয়ে আসা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের। ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি।
চীন নিয়ে অবশ্য বেশ আশাবাদী জাতিসংঘ। গত বছরের শেষের দিকে জিরো-কভিড নীতি থেকে বেরিয়ে আসার ফলে এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতিটি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ২০২২ সালে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ২০২৩ সালে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে চীন। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি জাপানের প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনা ১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২২ সালে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পর চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। খাদ্য ও জ্বালানি মূল্যের উর্ধ্বগতিতে বিনিয়োগ ও রফতানি হ্রাসের প্রভাবে অঞ্চলটির প্রবৃদ্ধি কমতে যাচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস ১ দশমিক ৭ শতাংশ। আগের প্রতিবেদনে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। আইএমএফের পূর্বাভাসেও নেতিবাচক তথ্য উঠে এসেছে। ২০২১ সালে ৬ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৩ দশমিক ৭ শতাংশের পর চলতি বছরে ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস আইএমএফের।
গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউডব্লিউই) সম্মেলনে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, কঠিন বছর হতে যাচ্ছে ২০২৩। তবে আমরা বৈশ্বিক মন্দা আশা করছি না।
অর্থসংবাদ/কেএ
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
রেকর্ড মান হারিয়েছে পাকিস্তানি রুপি, ২৫৫ রুপিতে মিলছে ১ ডলার

মার্কিন ডলারের বিপরীতে রেকর্ড মান হারিয়েছে পাকিস্তানি রুপি। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দেশটির আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলারের দর দাঁড়ায় ২৫৫.৪৩ রুপি। বিনিময় হারে অনানুষ্ঠানিক একটি সীমা উঠিয়ে নেওয়ার পর এদিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রাটি ৯.৬১ শতাংশ (২৪.৫৪ রুপি) মান হারিয়েছে। দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসমাইল ইকবাল সিকিউরিটিজ সংস্থার হেড অব রিসার্চ ফাহাদ রউফ দ্য ডনকে বলেন, ১৯৯৯ সালে নতুন বিনিময় হার ব্যবস্থা চালুর পর এটাই সার্বিকভাবে ও শতাংশের হিসাবে রুপির সবচেয়ে বড় মান পতনের ঘটনা।
ফরেক্স অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের তথ্যমতে, খোলা মুদ্রাবাজার বা কার্ব মার্কেটে এদিন সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ ২৫৫ রুপিতে এক ডলার বিক্রি হয়েছে। আগেরদিন বিক্রি হয়েছে ২৪৩ টাকায়। গত ১৫ মাস ধরে আন্তঃব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্য দরের কিছুটা ব্যবধানও ছিল, যা বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় উবে গেছে।
আর্থিক তথ্য ও পরিসংখ্যান বিষয়ক পোর্টাল মেত্তিস গ্লোবালের পরিচালক সাদ বিন নাসের জানান, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান ডলারের দর বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বাজারের জন্য খুবই ভালো। ‘কিন্তু কোনো বিক্রেতা নেই, এই মুহূর্তে সবাই ডলার কিনতে চাইছে’।
আইএমএফ সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানকে ১২০ কোটি ডলার সহায়তা দিতে চেয়েছে। এই ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা করার সময় অন্যতম প্রধান শর্ত দেওয়া হয় বাজার-ভিত্তিক বিনিময় হার চালু করা। সরকার সে অনুসারেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন নাসের।
এখন বিনিময় দরে সীমা উঠিয়ে নেওয়ার পর আইএমএফসহ অন্য উৎস থেকে ডলার সরবরাহ আসার আশা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/কেএ
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যটির মজুদ বৃদ্ধি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা শিথিল হওয়ার বিষয়কে দাম কমার পেছনে প্রধান কারণে হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স।
আইসিই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৮৬ ডলার ১২ সেন্টে নেমেছে। এর আগের কার্যদিবসে দাম কমেছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১৬ সেন্ট বা দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭৯ ডলার ৯৭ সেন্টে। এর আগের কার্যদিবসে এটির মূল্য ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছিল।
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ

বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছেছে। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহে প্রতিবেশী এই দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৫৭২ বিলিয়ন বা ৫৭ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
যা গত বছরের আগস্টের শুরু থেকে সর্বোচ্চ। গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যানে এই তথ্য সামনে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের রিজার্ভ ছিল ৫৬ হাজার ১৫৮ কোটি মার্কিন ডলার এবং ২০২২ সালের অক্টোবরে এর পরিমাণ ছিল ৫২ হাজার ৪৫২ কোটি মার্কিন ডলার। সেসময় ভারতীয় রিজার্ভের এই পরিমাণ ছিল দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে গত বছরের শেষের মাসগুলোতে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দরপতন অব্যাহত ছিল। তবে নতুন বছরের শুরু থেকেই সেই জায়গা থেকে অনকেটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় এই মুদ্রা। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় অর্থনীতির এই দেশটির রিজার্ভও বেড়েছে।
রয়টার্স বলছে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মাঝে মাঝে রুপির দাম সুরক্ষার জন্য স্পট এবং ফরোয়ার্ড মার্কেটে হস্তক্ষেপ করে থাকে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া অতীতে বলেছে, রিজার্ভের এই তারতম্য মুদ্রার নির্ধারিত লাভ বা ক্ষতির কারণে হয়ে থাকে।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, গত ১৩ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতীয় রুপি গত দুই মাসের মধ্যে তার সেরা ব্যবসায়িক সপ্তাহ হিসাবে পার করেছে। এছাড়া গত ২০ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে রুপি কিছুটা ধীর গতিতে হলেও অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছিল।
অর্থসংবাদ/কেএ