খেলাধুলা
মেসিদের বিপক্ষে অধিনায়ক রোনালদোই

প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় পর মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বর্তমান বিশ্বের সেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সবশেষ তারা লড়েছিলেন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।
অবশেষে আরও একটি মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ এবং সম্ভবত শেষবার। সময়ের প্রবাহতায় দুজন এখন দুই ভুবনের বাসিন্দা। মেসি খেলছেন ইউরোপের দল প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে, রোনালদো সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে।
মূলত মেসি-রোনালদোর লড়াইটা হবে একটি প্রীতি ম্যাচে। যেখানে সৌদি অল স্টার একাদশ খেলবে পিএসজির বিপক্ষে। এত বছর পর দুই মহাতারকার লড়াই, সেটাও আবার সৌদি আরবের মাটিতে। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচ ঘিরে চড়ছে উন্মাদনার পারদ।
মেসি-রোনালদোর লড়াই দেখতে টিকিটের আবেদন জমা পড়েছে অনেক। শুধু তাই নয়, এই ম্যাচে একটি বিশেষ টিকিটের দাম উঠেছে ২৬ কোটি টাকা! স্বাভাবিকভাবেই এই চিত্রটা বলে দিচ্ছে, সৌদি অল স্টার একাদশ এবং পিএসজির মধ্যে যে প্রীতি ম্যাচটি কতটা আরাধ্য।
আগামী ১৯ জানুয়ারি রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন ৬৮ হাজার দর্শক। কিন্তু এই ম্যাচে টিকিটের আবেদন এসেছে ২০ লাখেরও বেশি।

কাদের কপাটে জুটবে, টিকিট তা নিয়ে বেশ চাপে আয়োজকরা। এরই মধ্যে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রোনালদোকে আর্মব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া রোনালদোর অধিনায়ক থাকার বিষয়টি টুইট করে নিশ্চিত করেছেন সৌদি আরবের সাধারণ বিনোদন কর্তৃপক্ষের বর্তমান চেয়ারম্যান তুর্কি আল-শায়েখ। তিনিও আর্মব্যান্ড পরার ভিডিওটি টুইটে সংযুক্ত করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলা
কত টাকায় দেখা যাবে মিরপুরের টেস্ট, জানালো বিসিবি

আগামীকাল ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথমটিতে ইতিহাসগড়া জয় পেয়ে বাংলাদেশ দলের সামনে এখন ইতিহাসের হাতছানি। সিলেটে সাদা পোশাকে কিউইদের ১৫০ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। এবার মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হার এড়োলেই প্রথমবারের মতো কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
মিরপুরে হোম অব ক্রিকেট খ্যাত শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ থাকছে দর্শক-সমর্থকদের সামনে। আগামীকালের এই ম্যাচের গ্যালারির টিকিটের দাম প্রকাশ করেছে বিসিবি।
হোম অব ক্রিকেটে বসে খেলা দেখতে হলে দর্শকদের সর্বনিম্ন গুণতে হবে ১০০ টাকা। এ দামে পাওয়া যাবে ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিট। নর্থ অথবা সাউথ স্ট্যান্ডের টিকিট পাওয়া যাবে ২০০ টাকায়।
এ ছাড়া ক্লাব হাউসের ৩০০ ও ভিআইপি স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখতে চাইলে গুনতে হবে ৫০০ টাকা। আর সর্বোচ্চ পর্যায়ের টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ১ হাজার টাকা। এই টাকায় গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখা যাবে।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচটির টিকিট শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বুথ থেকে কেনা যাবে। ম্যাচের আগের দিন ও ম্যাচ ডেতে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে টিকিট।
ম্যাচের টিকিটের দাম

(১) গ্রান্ড স্ট্যান্ড- ১০০০ টাকা
(২) ভিআইপি স্ট্যান্ড- ৫০০ টাকা
(৩) ক্লাব হাউজ- ৩০০ টাকা
(৪) নর্থ/সাউথ স্ট্যান্ড- ২০০ টাকা
(৫) ইস্টার্ন স্ট্যান্ড- ১০০ টাকা
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
মিরপুরের মতো এত খেলা বিশ্বের কোনো পিচে হয় না

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ইতিহাস গড়ার পর সিরিজ জিততে মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ। আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামবে দুই দল। অবশ্য ঢাকা টেস্টের আগে আলোচনায় মিরপুরের রহস্যময় পিচ।
মিরপুরের রহস্যময় পিচ নিয়ে দ্বিধায় আছে স্বাগতিক দলও। টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ভাষায়, এই টেস্ট মিরপুরে, যেখানে মাঝে মাঝে আপনি কয়েকটা সেশন খেলার আগপর্যন্ত পিচ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন না। কারণ এখানে অনেক বেশি খেলা হয়। আমার মনে হয় না বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেট পিচে এত খেলা হয়। তবে আমরা তেমন একটা পরিবর্তনের কথা এই মুহূর্তে ভাবছি না।
বাংলাদেশে বাড়তি পাওয়া সম্পর্কে হাথুরু বলেন, আপনি নিশ্চয়ই কন্ডিশন দেখে কম্বিনেশন সাজাবেন। প্রতিপক্ষ কী করছে আপনার সীমাবদ্ধতা কোথায় এসব টেকটিক্যাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখানে সর্বশেষ যে টেস্ট হয়েছে তখন পিচ অন্যরকম ছিল। উইকেট প্রস্তুত করার জন্য অনেক সময় পাওয়া গিয়েছিল। ৩ পেসার নিয়ে খেলা হয়েছিল প্রতিপক্ষের কথা মাথায় রেখে। আমাদের এখন যে স্কিল আছে সে অনুযায়ী খেলব। আমরা এখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে কম্বিনেশন সাজাতে পারি, এটা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি পাওয়া।
দলে কেউ আত্মতুষ্টিতে ভুগছে কি না এমন প্রশ্নে হাথুরু বলেন, কে আত্মতুষ্টিতে ভুগছে, তা তো আমি দেখতে পাব না। যদি কারও কর্মকাণ্ডে তা বোঝা যায়, তাহলে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে পারি। তবে আমার মনে হয় না, সে রকম কিছু আছে। গতকাল আমাদের সবার সঙ্গে লম্বা আলোচনা হয়েছে। দলে অনেক শক্তিশালী নেতৃত্ব আছে। অভিজ্ঞ নেতৃত্ব। যেমন মুশি ও মুমিনুল। ওরা কাল কী বলেছে জানি না, কারণ বাংলায় বলেছে। তবে যা বলেছে, তা বেশ আবেগপ্রবণ মনে হয়েছে। হ্যাঁ, আমি দলের মধ্যে কোনো ‘টল পপিজ’ দেখছি না।
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে সিলেট টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার খেলায় মুগ্ধ হয়েছেন হেডকোচও। মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, অধিনায়কত্ব ও নেতৃত্ব দুটো আলাদা জিনিস। অধিনায়কত্ব ছিল চমৎকার। টেকটিক্যালি সে একদম ঠিকঠাক ছিল। খেলায় সে বেশির ভাগ সময়ই নিজে আগে এগিয়ে এসেছে। মুগ্ধ করার মতো ফিল্ড প্লেসিংও ছিল। কোনো কোনো সময় কিছুটা আনঅর্থডোক্স কিন্তু সেটা খুবই কাজের ছিল।

শান্তর সামনে লম্বা সময় পড়ে আছে, সেটাও বিশ্বাস করেন এই কোচ, নেতৃত্বও চমৎকার ছিল। পারফরম্যান্স দিয়েই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। সম্মানটা সে আদায় করেছে আর একটা স্ট্যান্ডার্ডও চেয়েছে। আমার মনে হয় তার সামনে লম্বা ভবিষ্যৎ আছে। তাকে অধিনায়ক করা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। সঠিক সময়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সিঙ্গাপুরকে ৮-০ গোলে হারালো বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথম ম্যাচ ৩-০ গোলে জিতেছিল। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে রীতিমতো গোল উৎসব করলো বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৮-০ গোলে হারালো বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে সাবিনার দল। বাংলাদেশের নারী ফুটবল ইতিহাসে কোনো বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে ব্যবধানে জয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। লিড নিতেও বেশি সময় ব্যয় করতে হয়নি তাদের। ম্যাচের ১৫ মিনিটে আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা তহুরা খাতুনের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
এরপর তিন মিনিটের মাথায় আবারও গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। সাবিনের কর্নার কিক থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে জালে জড়ান ঋতুপর্না চাকমা। তার গোলে জোড়া লিড পায় বাংলাদেশ।
এরপরও আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে সাবিনা-সানজিদারা। ম্যাচের ২৪ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। নিজের দ্বিতীয় গোল করে বাংলাদেশকে ৩-০ তে এগিয়ে দেন তহুরা।

এরপরও একাধিক আক্রমণ করে বাংলাদেশ। তবে আর কোনো গোল না হলে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতিতে থেকে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ মিস করেন তহুরা। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বলটি যায় সানজিদার পায়ে। সেই সুযোগে বাম পায়ের জোড়ালো শটে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি।
৬১ মিনিটে এক ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে বক্সে ঢুকে ঋতুপর্ণা বাঁ পায়ে জোরালো শটে দলকে পঞ্চম গোল এনে দেন। ৭৫ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের পাসে সাবিনা দারুণ প্লেসিং করে ষষ্ঠ গোল পাইয়ে দেন। শেষ দুটি গোল এসেছে দুই বদলি খেলোয়াড়ের কাছ থেকে। ৮৭ মিনিটে বদলি সুমাইয়া মাৎসুশিমা দারুণ এক সাইড ভলিতে গোল করে দর্শকদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেন।
যোগ করা সময়ে শামসুন্নাহার জুনিয়র প্লেসিং করে দলকে অষ্টম গোল পাইয়ে সিঙ্গাপুরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। সিঙ্গাপুর এই অর্ধে কোনও সুযোগই পায়নি। দীর্ঘদেহী বরুশিয়ার স্ট্রাইকার একাধিকবার বল পেলেও কিছুই করতে পারেনি। দেখাতে পারেনি পায়ের ঝলক। দুই ম্যাচে টানা জিতে বাংলাদেশের মেয়েরা বছরটি শেষ করলো দারুণভাবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সিঙ্গাপুরকে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ

ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে আছে সিঙ্গাপুর। এবার সেই সিঙ্গাপুরকে কোনো পাত্তাই দিল না বাংলাদেশের মেয়েরা। তহুরা খাতুনের জোড়া গোলে অতিথি দলটিকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে দলটি।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) কমলাপুরের সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে জয় পেল বাংলাদেশ। ম্যাচে জোড়া গোল করেন তহুরা খাতুন, অন্য গোলটি করেছেন আফিদা খাতুন।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে গোল করেন আফিদা খাতুন। কর্ণার থেকে আসা বলে হেড নেন আফিদা। বল বারপোস্টে বাধা পেলেও পড়ে গোললাইনের ভিতরে। লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৫ মিনিটে তহুরা খাতুনের গোলে ২-০ গোলের লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এই গোলে অবশ্য কৃতিত্ব বেশি মারিয়া মান্ডার। ডি-বক্সের বাইরে দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল পাস করেন তহুরা। ফাঁকা বল পেয়ে নিশানা ভেদ করতে ভুল করেননি তহুরা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বজায় রাখে বাংলাদেশ। ৫৯ মিনিটে ব্যবধানটা ৩-০ করেন আফিদা খাতুন। মাঝমাঠ থেকে দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট করেছেন মাসুরা পারভিন। এই ডিফেন্ডারের বাড়ানো লং পাস দারুণ দক্ষতায় রিসিভ করে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালের লক্ষ্যে পাঠান আফিদা। ম্যাচের বাকিটা সময় আর গোলের দেখা পায়নি কেউই। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা।
এই জয়ে ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের প্রতিশোধ নেয়া হয়ে গেল বাংলাদেশের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
৪৪ রানে পিছিয়ে কিইউরা, হাতে ২ উইকেট

বাংলাদেশের করা ৩১০ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। তারা এখনও বাংলাদেশের চেয়ে ৪৪ রানে পিছিয়ে আছে তারা। এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে কিউইদের ম্যাচে রেখেছেন কেন উইলিয়ামসন। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড নেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। একটা প্রান্ত ধরে জুটির পর জুটি গড়ে যাচ্ছিলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
অবশেষে উইলিয়ামসনকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেও বোল্ড হয়ে গেছেন উইলিয়ামসন। ২০৫ বলে ১০৪ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি হাঁকান কিউই তারকা।
উইলিয়ামসনের পরপরই টসড আপ ডেলিভারিতে এজড হয়ে উইকেট হারান ইস শোধি। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওপেন করেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। তাইজুল-মিরাজের ঘূর্ণিতে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তারা। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ল্যাথাম ও ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান কনওয়ে। ল্যাথামকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলকে সুইপ খেলতে গিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ হন ল্যাথাম।
এরপর কনওয়েকে ফেরান অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বলে খেই হারিয়ে শর্টলেগে শাহাদাত হোসেনের তালুবন্দি হন এই কিউই ওপেনার।

মধ্যাহ্নভোজের পর আউট হন নিকোলস। ৪২ বলে ১৯ রান করে শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তার আগে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি করেছিলেন নিকোলস।
একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। একের পর এক জুটি গড়ে গেছেন। নিকোলসের সঙ্গে ৫৪, মিচেলের সঙ্গে ৬৬ রানের পর গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেও ৭৬ রান যোগ করেন তিনি। কিছুতেই জুটিটা ভাঙছিল না।
অবশেষে কিউই ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মুমিনুল হকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বল হাতে নিয়েই অধিনায়ককে উইকেট উপহার দেন মুমিনুল। টার্ন করা বল ফিলিপসের (৪২) ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে গেলে নিচু ক্যাচ দারুণভাবে লুফে নেন শান্ত।
অর্থসংবাদ/এমআই