তিনি বলেন, তেল ও গ্যাসের মূল্যের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে একটি এডজাস্টমেন্ট হয়েছে। প্রতিমাসে যেন এডজাস্টমেন্ট করতে পারি সেজন্য মেকানিজম তৈরি করা হয়েছে। আমরা যে আইনটা করেছি, তার কারণ হচ্ছে আমরা প্রতিমাসে যেন এডজাস্টমেন্টে যেতে পারি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যেটা সবসময় করে থাকে। ইতোমধ্যে আমরা জেনারেশনের ক্ষেত্রে প্রাইস এডজাস্টমেন্টে গিয়েছি। তেলের পলিসি নিয়ে কাজ চলছে। কোনো দেশ এখন ভর্তুকি দিতে চাইছে না। গ্যাপ পূরণে আমরা ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তার দাম এতোটাই বেড়ে গেছে যে ভর্তুকি ছাড়া সমন্বয় করার উপায় নেই।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পের পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) ও ইমপ্লিমেন্টেশন (আইএ) সই অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড। এর যৌথ মালিকানায় রয়েছে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপার্ট কর্পোরেশন।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এখানে সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যের শুনানি বিইআরসি করেছে। এখন তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। জনজীবনে যেন এর দুর্বিষহ প্রভাব না পড়ে, সেজন্য বিইআরসি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করেছে। তবে আশা করছি বিইআরসি হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
জ্বালানিতে ভর্তুকির বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভর্তুকি সরকারকে দিতেই হচ্ছে। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় পর কিন্তু আমাদের এডজাস্টমেন্ট করতে হয়েছে। আগামী বছরেও ভর্তুকি প্রয়োজন পড়বে। কারণ গ্যাসের দামের ক্ষেত্রে যে সমন্বয়ের প্রয়োজন ছিল সেটা তো করতে পারছি না।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময় সিস্টেম লস ৪৪ ভাগ ছিল, এখন সেটা ৭ ভাগে নেমে এসেছে। অপচয় হচ্ছে গ্রাহক পর্যায়ে। অনেকেই বিনা কারণে লাইট-ফ্যান জ্বালিয়ে রাখেন। তারা সাশ্রয়ী হলেই বিদ্যুতের অপচয় কমে যাবে।
আবাসিক খাতে গ্যাসের সংকটের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আমরা স্পট থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ রেখেছি। ফলে সংকট হওয়াটা স্বাভাবিক। আমাদের মূল চেষ্টা থাকে শিল্পখাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস নিশ্চিত করা। এছাড়া পাওয়ার প্লান্টেও গ্যাস দিচ্ছি, কারণ সেটা তেলের চাইতে সাশ্রয়ী। ঘাটতি মেটাতে আবাসিক খাতে এলপিজির মতো বিকল্প ব্যবস্থা আমরা রেখেছি।