আই ভিশনস ডি মডেলের গাড়িতে ২৪০টি আলাদা আলাদা রঙের সেল রয়েছে, যেগুলো মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে স্বতন্ত্রভাবে বদলাতে পারে। একটা পর্যায়ে গিয়ে দেখা যায় গাড়িটির আদিরূপ ছিল সবুজ রঙের। পরে দর্শকরা সেটা গাঢ় বেগুনি রঙে বদলে যেতে দেখে এবং এর পরই সাদা স্ট্রাইপ দেয়া লালে তা বদলে যায়।
বিএমডব্লিউ আইএক্স ফ্লো রেঞ্জের অংশ হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ই ইনকের। বিএমডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ম্যানেজমেন্টের সদস্য ফ্র্যাঙ্ক ওয়েবার বলেন, ডিজিটাল অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে শুধু প্রদর্শনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। সেখানে বাস্তবতা আর ভার্চুয়ালের আরো বেশি সংমিশ্রণ থাকবে। বিএমডব্লিউ আইএক্স ফ্লোর মাধ্যমে আমরা গাড়ির বডিকে জীবন্ত করে তোলার চেষ্টা করছি।
এর পেছনে যে ধারণাটা কাজ করেছে তা হলো, যানটি চালকের মুডের বর্ধিত অংশ হয়ে যাবে। যখনই বৈদ্যুত্যিক সিগন্যালের মাধ্যমে উদ্দীপিত হবে ই ইনকের বানানো ইলেকট্রোগ্রাফিক প্রযুক্তির কারণে ওপরের অংশে ভিন্ন ভিন্ন রঙের বিস্তার দেখা যাবে। এ প্রযুক্তি এর আগে ইরাডারের ডিসপ্লেতে ব্যবহূত হয়েও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
যানবাহনটির ওপরের কোটিংটি ই ইনকের, যেখানে লাখ লাখ মাইক্রোক্যাপসুলের অবস্থান, যা মানুষের একটি চুলের মতো ব্যাসের। এসব মাইক্রোক্যাপসুলের প্রতিটিতে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত হোয়াইট পিগমেন্ট থাকে এবং ধনাত্মক চার্জযুক্ত ব্ল্যাক পিগমেন্ট থাকে। পছন্দসই সেটিং বেছে নিলে একটি ইলেকট্রিক্যাল ফিল্ডে উদ্দীপনার ফলে হয় সাদা অথবা কালো পিগমেন্টগুলো উপরিতলে থাকা মাইক্রোক্যাপসুল সংগ্রহ করে। ফলে গাড়িটি চাহিদামতো শেড গ্রহণ করে।
আই ভিশন ডি ৩২টি ভিন্ন রঙ প্রতিফলিত করতে সক্ষম। বাইরের রঙ বদলের পাশাপাশি আই ভিশন ডির কিছু অগ্রগামী প্রযুক্তি রয়েছে যেগুলো দিয়ে ভেতরেও পরিবর্তন দেখা যায়। বিএমডব্লিউর আই ভিশন ডি চালকের অভ্যাসের সঙ্গে মানিয়ে নেয় এবং কোন গন্তব্যে যাওয়া যায় তার পরামর্শ দেয়। এর কিছু বিনোদনমূলক প্রোগ্রামও রয়েছে। বেশকিছু তথ্য ও খবর সরবরাহ করে গাড়িটি। পাশাপাশি ক্যালেন্ডারে যুক্ত করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টও এখানে দেখা যাবে।
অর্থসংবাদ/এসএম